Ajker Patrika

নিজস্ব চিকিৎসক নেই বন্য প্রাণী কেন্দ্রে

শামিমুজ্জামান, খুলনা
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ০৩
নিজস্ব চিকিৎসক নেই  বন্য প্রাণী কেন্দ্রে

খুলনা বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেই কোনো চিকিৎসক। অসুস্থ বন্য প্রাণীর চিকিৎসা দিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানটির নেই কোনো আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও। এখানকার প্রাণীগুলোর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় অন্য প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক দিয়ে। এ কারণে এসব প্রাণীর চিকিৎসা দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্য প্রাণীর চিকিৎসা ও আশ্রয়ের জন্য ২০১৫ সালের অক্টোবরে খুলনা মহানগরীর এমএ বারী সড়কে বন বিভাগের নিজস্ব জমিতে প্রতিষ্ঠা হয় কেন্দ্রটি।

সুন্দরবন এবং পদ্মার এ পারের ২১টি জেলা থেকে উদ্ধার হওয়া বন্য প্রাণীদের আশ্রয় ও চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে। এরপর সুবিধামতো সময়ে ওই প্রাণীগুলোকে সাফারি পার্ক, সুন্দরবন অথবা প্রাণীদের নিরাপদ আবাসস্থলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

খুলনা বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেদ্রের তথ্যমতে, বর্তমানে এখানে রয়েছে ১টি হরিণ, ২টি ময়ূর, ১টি বানর, ১টি গন্ধগকুল, ১টি বন বিড়াল, ২টি ময়না, ১৩টি অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, ১টি কালিমী পাখি, ১টি জলডোরা এলবিনো ও ৩৭টি কালকেউটে। প্রাণীগুলোকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এসব প্রাণীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এখানে কোনো ভেটেরিনারি সার্জন নেই।

একমাত্র অপারেশন থিয়েটার, তা-ও চালু হয়নি কোনো দিন। নেই কোনো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। যে কারণে এখানকার অসুস্থ প্রাণীর চিকিৎসায় সাহায্য নিতে হয় সাফারি পার্ক অথবা খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকের।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু নঈম মো. নুরুন্নবী বলেন, কেন্দ্রে কোনো ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় উদ্ধার হওয়া প্রাণীর চিকিৎসায় সাহায্য নিতে হয় সাফারি পার্কের চিকিৎসকের। অনেক সময় মোবাইল ফোনে আলোচনা করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আবার কখনো খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসকেরা এসে চিকিৎসা দেন। তবে এতেও রয়েছে জটিলতা।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জিতা চক্রবর্তী বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জনরা গৃহপালিত পশুর চিকিৎসায় অভিজ্ঞ। বন্য প্রাণীর চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন। তাই বন্য প্রাণীর চিকিৎসা করতে জটিলতায় পড়তে হয়।

এদিকে খুলনা প্রাণিসম্পদ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি বিভাগের প্রধান নির্মল কুমার পাল বলেন, কেন্দ্রটিতে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত