Ajker Patrika

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি ও শৌচাগার সংকট

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ৪৭
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি ও শৌচাগার সংকট

চারঘাটে ৭৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২২ টিতে দপ্তরি এবং ওয়াশ ব্লক (শৌচাগার) নেই ৪৩টিতে। দপ্তরি না থাকায় শিক্ষকেরাই করছেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। অন্যদিকে, শৌচাগার না থাকায় বিদ্যালয়ের পাশের বাড়িতে গিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করতে হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি তাঁরাও অবগত আছেন। দপ্তরি নিয়োগ ও শৌচাগারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে আরও ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের সঙ্গে শৌচাগার তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর তা খোলা হয়। পরবর্তীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি দুই সপ্তাহের জন্য সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এবার ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলেছে। আগামী ১ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার কথা রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলার অনুপামপুর, বালাদিয়াড়, জাগিরপাড়া ও রাওথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শিক্ষকরাই শ্রেণিকক্ষ ধোয়ামোছার কাজ করছেন।

উপজেলার অনুপামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা পারভীন বলেন, ‘আমরা নিজেরাই বালতিতে পানি নিয়ে বেঞ্চ পরিষ্কার করছি। শ্রেণিকক্ষসহ আঙিনা ঝাড়ু দিয়েছি। ঝোপঝাড়ও পরিষ্কার করতে হচ্ছে আমাদের। দপ্তরির কাজগুলো আমরা শিক্ষকেরাই করছি। কত দিন এভাবে চলবে জানি না।’

জাগিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেক পারভিন জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে শৌচাগার তৈরির কাজ চলছে তিন বছর ধরে। ফলে স্কুল খুললেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাশের গৃহস্থ বাড়িতে যেতে হয়। করোনার সময়ে এটা বড় সমস্যা। তা ছাড়া দপ্তরির সংকটে শিক্ষকদের নাজেহাল অবস্থা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, ‘শিক্ষকেরা পড়াশোনা করাবে নাকি স্কুল পরিষ্কার করবে! বিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী ও ওয়াশ ব্লক নির্মাণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জানানো হয়েছে। ইচ্ছে থাকলে করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় কাজগুলো বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখন দ্রুত সেগুলো করা হবে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী না থাকার বিষয়টি জানানো হয়েছে। ২০টি বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক আছে, আরও ২০টিতে কার্যক্রম চলমান আছে। আশা করছি খুব দ্রুতই বিষয়গুলোর সমাধান হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত