শাহীন রহমান, পাবনা
‘ফলন ভালো হলিও সার, বিষ, বেছন, লেবারের যে দাম, তাতে ইবার পিঁয়েজের আবাদ কইরে লাভ হলো লায়। বিঘেয় ৫০ মণ ফলন হলি কী হবি! হাটে ৮০০ টেকা মণ বেইচে পুষাচ্ছে না। এত কষ্টের ফসলের দাম না পালি কিষক বাঁচপি ক্যাবা কইরে।’
এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে আগাম জাতের ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ লাগিয়েছিলেন পাবনার সুজানগর উপজেলার তারাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সরোয়ার প্রামাণিক। ফলন ভালো হয়েছে, ৫০ মণ পেঁয়াজ পাওয়ার আশা করছেন তিনি। কিন্তু এরপরও খেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে তুলতে তাঁর কপালে চিন্তার ভাঁজ। তিনি হিসাব করে দেখালেন, ৮০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলে উৎপাদনের খরচই উঠবে না।
উত্তরের জেলা পাবনায় ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও মন ভালো নেই কৃষকের। দুই সপ্তাহ আগেও ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা।
জেলায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয় সুজানগর উপজেলায়। সাপ্তাহিক হাটের দিন গতকাল বুধবার সকালে সুজানগর হাটে পেঁয়াজ তুলেছিলেন চর ভবানীপুর গ্রামের চাষি আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ‘চার বিঘেত পিঁয়াজ লাগাইছিলেম। খরচ দেড় লাখের মতো হইছে। হয়তো ১৮০ মণ পিঁয়াজ পাব। এহন হাটে দাম মেলা কম। আইজ ৮০০ টেকা মণ বেচা লাইগল। এত কুমা দামে পিঁয়াজ বেচলি তো লস। সামনেরবার পিঁয়াজ আবাদ আর করব কি না চিন্তা করতিছি।’
পেঁয়াজচাষিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেঁয়াজ আবাদ করলে খরচ হবে অন্তত ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমি লিজ বাবদ ২০ হাজার টাকা, পেঁয়াজ বীজ ২৫ হাজার টাকা, সার ৩ হাজার টাকা, কীটনাশক ২ হাজার টাকা এবং শুরু থেকে ফলন ওঠা পর্যন্ত শ্রমিক খরচ ৯ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৫০ মণ। গতকালের বাজারদর অনুযায়ী ৮০০ টাকা মণ বিক্রি করলে ৫০ মণের দাম ৪০ হাজার টাকা। এতে লোকসান ২০ হাজার টাকা। তবে মৌসুমের শুরুতে যাঁরা ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে পেরেছেন, তাঁদের কিছুটা লাভ হয়েছে। এ ছাড়া যাঁরা নিজেদের জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন, তাঁদের উৎপাদন খরচ কোনোমতে উঠলেও লাভের মুখ দেখতে পারছেন না।
দাম কম কেন জানতে চাইলে পেঁয়াজচাষিরা বলেন, এ পেঁয়াজ ঘরে বেশি দিন রাখা যায় না। সবাই একসঙ্গে পেঁয়াজ তুলে বাজারে নিয়ে আসে। আর হাটে পাইকার বা ব্যাপারীরাও এই সুযোগে ইচ্ছামতো দাম কম দিয়ে কেনেন। তাঁরা ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বিক্রি করে ঠিকই লাভবান হন। কিন্তু লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের।
সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ পচনশীল। বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। জমি থেকে তোলার পরই বিক্রি করে ফেলতে হয়। এটা অল্পদিন বাজারে থাকে। এ কারণে চাষিরা একসঙ্গে হাটে নিয়ে গেলে সরবরাহ বেড়ে যায়। আর সরবরাহ বেশি হওয়ার কারণে দামও কমে যায়।
‘ফলন ভালো হলিও সার, বিষ, বেছন, লেবারের যে দাম, তাতে ইবার পিঁয়েজের আবাদ কইরে লাভ হলো লায়। বিঘেয় ৫০ মণ ফলন হলি কী হবি! হাটে ৮০০ টেকা মণ বেইচে পুষাচ্ছে না। এত কষ্টের ফসলের দাম না পালি কিষক বাঁচপি ক্যাবা কইরে।’
এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে আগাম জাতের ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ লাগিয়েছিলেন পাবনার সুজানগর উপজেলার তারাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সরোয়ার প্রামাণিক। ফলন ভালো হয়েছে, ৫০ মণ পেঁয়াজ পাওয়ার আশা করছেন তিনি। কিন্তু এরপরও খেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে তুলতে তাঁর কপালে চিন্তার ভাঁজ। তিনি হিসাব করে দেখালেন, ৮০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলে উৎপাদনের খরচই উঠবে না।
উত্তরের জেলা পাবনায় ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও মন ভালো নেই কৃষকের। দুই সপ্তাহ আগেও ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা।
জেলায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয় সুজানগর উপজেলায়। সাপ্তাহিক হাটের দিন গতকাল বুধবার সকালে সুজানগর হাটে পেঁয়াজ তুলেছিলেন চর ভবানীপুর গ্রামের চাষি আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ‘চার বিঘেত পিঁয়াজ লাগাইছিলেম। খরচ দেড় লাখের মতো হইছে। হয়তো ১৮০ মণ পিঁয়াজ পাব। এহন হাটে দাম মেলা কম। আইজ ৮০০ টেকা মণ বেচা লাইগল। এত কুমা দামে পিঁয়াজ বেচলি তো লস। সামনেরবার পিঁয়াজ আবাদ আর করব কি না চিন্তা করতিছি।’
পেঁয়াজচাষিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেঁয়াজ আবাদ করলে খরচ হবে অন্তত ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমি লিজ বাবদ ২০ হাজার টাকা, পেঁয়াজ বীজ ২৫ হাজার টাকা, সার ৩ হাজার টাকা, কীটনাশক ২ হাজার টাকা এবং শুরু থেকে ফলন ওঠা পর্যন্ত শ্রমিক খরচ ৯ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৫০ মণ। গতকালের বাজারদর অনুযায়ী ৮০০ টাকা মণ বিক্রি করলে ৫০ মণের দাম ৪০ হাজার টাকা। এতে লোকসান ২০ হাজার টাকা। তবে মৌসুমের শুরুতে যাঁরা ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে পেরেছেন, তাঁদের কিছুটা লাভ হয়েছে। এ ছাড়া যাঁরা নিজেদের জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন, তাঁদের উৎপাদন খরচ কোনোমতে উঠলেও লাভের মুখ দেখতে পারছেন না।
দাম কম কেন জানতে চাইলে পেঁয়াজচাষিরা বলেন, এ পেঁয়াজ ঘরে বেশি দিন রাখা যায় না। সবাই একসঙ্গে পেঁয়াজ তুলে বাজারে নিয়ে আসে। আর হাটে পাইকার বা ব্যাপারীরাও এই সুযোগে ইচ্ছামতো দাম কম দিয়ে কেনেন। তাঁরা ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বিক্রি করে ঠিকই লাভবান হন। কিন্তু লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের।
সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ পচনশীল। বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। জমি থেকে তোলার পরই বিক্রি করে ফেলতে হয়। এটা অল্পদিন বাজারে থাকে। এ কারণে চাষিরা একসঙ্গে হাটে নিয়ে গেলে সরবরাহ বেড়ে যায়। আর সরবরাহ বেশি হওয়ার কারণে দামও কমে যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪