Ajker Patrika

লাঙল কিনতে কৃষকের ভিড়

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৫০
লাঙল কিনতে কৃষকের ভিড়

ট্রাক্টর কিংবা পাওয়ার টিলারের যুগে হারাতে বসেছে লাঙল। তবে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে এখনো রয়েছে লাঙলের কদর। এ উপজেলায় হাটবাজারে চলে লাঙল বেচাকেনা। আলু রোপণের মৌসুম হওয়ায় লাঙল কিনতে হাটে ভিড় করছেন কৃষকেরা।

উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলু রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর দেরিতে শুরু হবে আলু রোপণ। তবে ইতিমধ্যে কিছু জমিতে রোপণ শুরু হয়েছে। এ জন্য লাঙল, কোদালসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ কিনছেন তাঁরা। অন্যদিকে লাঙল তৈরি ও তা হাটে আনতে ব্যস্ততা যাচ্ছে লাঙলের কারিগরদের।

গত বুধবার সিরাজদিখান বাজারের সাপ্তাহিক হাটের দিন লাঙল বিক্রি করতে দেখা যায়। কৃষকেরা দরদাম করে লাঙল কিনছেন। বিক্রেতারাও ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানান।

কারিগরেরা বলেন, লাঙলের প্রধানত তিনটি অংশ থাকে- শরীর, ঈষ ও ফাল। ফাল তৈরি হয় লোহা বা ধাতব বস্তু দিয়ে। আর পুরো লাঙল তৈরি হয় কাঠ দিয়ে। কাঠের গুণগত মানের ব্যবধানে একেকটি লাঙলের দাম একেক রকম হয়ে থাকে। সারেন্দ্র ও গাত- দুই ধরনের লাঙল বিক্রি হচ্ছে সিরাজদিখানে। একেকটি লাঙল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজা টাকায়।

কৃষক মো. ইয়াসিন বলেন, ‘আলু রোপণ কিছুদিন পর শুরু হবে। তাই জমি প্রস্তুত করার জন্য লাঙলসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কিনে নিচ্ছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর লাঙলের দাম একটু বেশি। ১ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে একটি লাঙল কিনেছি।’

বিক্রেতা শান্ত কর্মকার বলেন, ‘আলু রোপণ মৌসুমে সিরাজদিখান বাজারে লাঙল বিক্রি করে থাকি। লাঙল তৈরিতে লোহা ও বরই কাঠ বেশি ব্যবহার হয়। একটি লাঙল তৈরি করতে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে।’

অপর লাঙল বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এবার লাঙল তৈরির সব ধরনের উপকরণের বেশ দাম হয়েছে। সে কারণে এবার লাঙলের দাম একটু বেশি।’

সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের এই উপজেলায় আলুর মৌসুমে লাঙলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাটের দিন লাঙল বিক্রি করতে আসেন কারিগরেরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত