Ajker Patrika

লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১১: ৩০
লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

ময়মনসিংহের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব মাছের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। প্রায় সব ডালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে হালিতে ৮-১০ টাকা। দেশি, লেয়ার, সোনালি, সাদা কক মুরগির মাংস কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারের এই অস্থিরতা দেখার যেন কেউ নেই। নেই কোনো বাজার তদারকির উদ্যোগ। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করা হচ্ছে এবং তদারকি আরও জোরদার করা হবে।

গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেড়েছে বেশির ভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। বাজার করতে আসা কালাম মিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন। তাহলে হয়তো বাজারের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়ত। আমরা যারা সাধারণ ক্রেতা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতাম।’

রাজলক্ষ্মী স্টোরের বিক্রেতা ভোলানাথ দাস বলেন, খোলা ও প্যাকেট আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে দুই সপ্তাহের মধ্যেই চালের সমান হবে আটার দাম।

বাজার করতে আসা আলিমুল হাসান বলেন, ‘গত সপ্তাহে খেসারি ডাল কিনেছি ৭০ টাকায়। এই সপ্তাহে কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকায়। বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে দাম জিজ্ঞাসা করে দাম শুনে মাছ না কিনেই চলে এসেছি।

বাজারের মুরগি বিক্রেতা মকবুল হোসেন বলেন, মুরগির আমদানি কম, চাহিদা অনেক বেশি। তাই মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগি ৩০ টাকা বেড়ে ৩৩০, ব্রয়লার ১৪৫, লেয়ার ৩০ টাকা বেড়ে ৩৩০, সাদা কক ২০ টাকা বেড়ে ২৭০, দেশি মুরগি ৫০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মোজাম্মেল মিয়া নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ৪০, দেশি রসুন ১০০, আদা ৭০, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়েছে।

মাংস বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, খাসির মাংস ৯০০, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও, ফার্মের ডিম ৪০, হাঁসের ডিম ৫৫, দেশি মুরগির ডিম ৬০ হালি বিক্রি হচ্ছে।

মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা আন্নাস মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব মাছের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা বা তারও বেশি বেড়েছে। কারণ একটাই চাহিদার চাইতে উৎপাদন কম। তিনি আরও বলেন বাজারে কেজিপ্রতি শিং মাছ ৩৫০, পাঙাশ ১৬০, তেলাপিয়া ১৮০, রুই মাছ ৪০০, সিলভার ১৮০, কাতল ২৫০, বাউস ৩২০, মাসুল মাছ ৩৫০, গ্রাস কার্প ৩০০, কই মাছ ২৫০, ট্যাংরা ৪৪০, পাবদা ৩৩০, গুতুম ৫০০, বাইন ৫৫০, বাতাসি ৬০০, গুলশা ৫০০, চিকরা মাছ ৪০০, বড় চান্দা মাছ ৪০০, কারপিও ২৫০, মৃগেল ২০০, মাগুর ৬০০, দেশি চিংড়ি ৮০০, ডিমা চিংড়ি ১০০০, রাজপুঁটি ২২০, দেশি পুঁটি মাছ ২৫০, শোল মাছ ৭০০, টাকি মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছি। বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত