আফতাব আহমেদ
টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিযান কাগজে-কলমে গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে বটে। তবে আমি বলব, অনেক আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিল ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের খেলা দেখে মনে হলো, কীভাবে বিশ্বকাপটা শেষ করবে ওদের মধ্যে শুধু সেই চিন্তাটাই ছিল। যেন খেলাটা কোনোভাবে শেষ করতে পারলে বাঁচে।
ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে একেবারেই ভালো নেই। এ রকম কিছু একটা যে হবে সেটিই অনুমিত ছিল। ঘরের মাঠে মন্থর উইকেটে খেলে ওরা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়েছে, আর বিশ্বকাপে খেলতে হলো দ্রুতগতির উইকেটে। এখানে ক্রিকেটারদের দোষ দিয়ে কী লাভ? তাদের তো বিনা অস্ত্রে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে। আবার আমরা প্রত্যাশা করছি জিততে হবে। ওটা তো সম্ভব না।
গতকাল দুবাইয়ে দ্রুত উইকেটেই খেলা হয়েছে। এটা ১৬০–১৭০ রানের উইকেটই ছিল। সেখানে কিনা আমরা ৭৩ রানে অলআউট হলাম। উইকেট একটু দ্রুতগতির হলেই আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে।
অস্ট্রেলিয়াকে আমরা ঘরের মাঠে হারিয়েছিলাম বলে, অনেকে হয়তো গতকালও তেমন ফলের আশায় ছিলেন। কিন্তু এটা কি মিরপুরের উইকেট? কদিন আগে অ্যাডাম জাম্পা বলেছিল, মিরপুরের উইকেট সবচেয়ে জঘন্য। এর চেয়ে বড় ‘সনদ’ কি হতে পারে? আগস্টের সেই সিরিজে মিচেল স্টার্কের মতো বোলারকে অস্ট্রেলিয়া নিয়মিত খেলাতে পারেনি শুধু উইকেটের কারণে। ওর মতো এত বড় বোলার একটি–দুটি ম্যাচ খেলেই বসে থাকতে হয়েছে–ভাবা যায়?
আমি বলব, উইকেট নিয়ে চিন্তা করার সময় এখনই। জাতীয় ক্রিকেট লিগে আমি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলকে কোচিং করাচ্ছি। তৃতীয় রাউন্ডে আমরা এমন একটা উইকেটে খেললাম যে উইকেটে পেস বোলাররা বোলিং করে সুযোগই তৈরি করতে পারল না। দুই–তিন ওভার বোলিং করেই স্পিনারদের হাতে বল তুলে দিতে হয়েছে। আমি তিনটা পেসার খেলালাম। কিন্তু তাদের কেউ দুই–তিন ওভারের বেশি বোলিং করার সুযোগ পেল না। কেননা উইকেট স্পিনবান্ধব। আমার দল আর ঢাকা–দুই দলই রানের পাহাড় গড়েছে। শেষমেশ ম্যাচটা ড্র হয়েছে। তাতে লাভটা কি হলো?
আমাদের স্পোর্টিং উইকেট বানানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে এখনই। বাউন্সি উইকেটে ক্রিকেটারদের খেলার প্রবণতা বাড়াতে হবে। তাতে যেমন পেস বোলাররা ধারালো হবে, ব্যাটারদেরও উন্নতি হবে, শট খেলাও ভালোভাবে শিখতে পারবে।
সামনে ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজ। হয়তো সেখানে ভালো খেললে আমরা সব ভুলে যাব। কিন্তু এভাবে ভালো খেলে আখেরে লাভ কী? আমরা যদি এমন মন্থর উইকেটে একটা–দুটো সিরিজ জিতে উৎসবে মাতি, তাহলে আমি বলব সামনের বিশ্বকাপেও একই দৃশ্যই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে যারা আছেন তাদের ভালোভাবে চিন্তা করার সময়টা চলে আসছে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানেও খেলা হবে দ্রুতগতির উইকেটে। আমি চাইব সময় নিয়ে একটা দল হয়ে গড়ে উঠুক বাংলাদেশ। যে দলের ব্যাটাররা সব উইকেটে খেলতে পারবে। সেটি প্রয়োজনে দুই–তিন বছরের পরিকল্পনায় হোক। হারুক সমস্যা নেই। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে খেলতে খেলতে একটা দল তো গড়ে উঠবে। এরপর কিন্তু সেই দলটি দীর্ঘ সময় সাফল্য এনে দেবে।
বিশ্বের কাছে ক্রিকেটটাই আমাদের বড় সম্মানের জায়গা। সেটিতে আমাদের মাথা নিচু হোক, আর চাই না।
টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিযান কাগজে-কলমে গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে বটে। তবে আমি বলব, অনেক আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিল ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের খেলা দেখে মনে হলো, কীভাবে বিশ্বকাপটা শেষ করবে ওদের মধ্যে শুধু সেই চিন্তাটাই ছিল। যেন খেলাটা কোনোভাবে শেষ করতে পারলে বাঁচে।
ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে একেবারেই ভালো নেই। এ রকম কিছু একটা যে হবে সেটিই অনুমিত ছিল। ঘরের মাঠে মন্থর উইকেটে খেলে ওরা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়েছে, আর বিশ্বকাপে খেলতে হলো দ্রুতগতির উইকেটে। এখানে ক্রিকেটারদের দোষ দিয়ে কী লাভ? তাদের তো বিনা অস্ত্রে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে। আবার আমরা প্রত্যাশা করছি জিততে হবে। ওটা তো সম্ভব না।
গতকাল দুবাইয়ে দ্রুত উইকেটেই খেলা হয়েছে। এটা ১৬০–১৭০ রানের উইকেটই ছিল। সেখানে কিনা আমরা ৭৩ রানে অলআউট হলাম। উইকেট একটু দ্রুতগতির হলেই আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে।
অস্ট্রেলিয়াকে আমরা ঘরের মাঠে হারিয়েছিলাম বলে, অনেকে হয়তো গতকালও তেমন ফলের আশায় ছিলেন। কিন্তু এটা কি মিরপুরের উইকেট? কদিন আগে অ্যাডাম জাম্পা বলেছিল, মিরপুরের উইকেট সবচেয়ে জঘন্য। এর চেয়ে বড় ‘সনদ’ কি হতে পারে? আগস্টের সেই সিরিজে মিচেল স্টার্কের মতো বোলারকে অস্ট্রেলিয়া নিয়মিত খেলাতে পারেনি শুধু উইকেটের কারণে। ওর মতো এত বড় বোলার একটি–দুটি ম্যাচ খেলেই বসে থাকতে হয়েছে–ভাবা যায়?
আমি বলব, উইকেট নিয়ে চিন্তা করার সময় এখনই। জাতীয় ক্রিকেট লিগে আমি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলকে কোচিং করাচ্ছি। তৃতীয় রাউন্ডে আমরা এমন একটা উইকেটে খেললাম যে উইকেটে পেস বোলাররা বোলিং করে সুযোগই তৈরি করতে পারল না। দুই–তিন ওভার বোলিং করেই স্পিনারদের হাতে বল তুলে দিতে হয়েছে। আমি তিনটা পেসার খেলালাম। কিন্তু তাদের কেউ দুই–তিন ওভারের বেশি বোলিং করার সুযোগ পেল না। কেননা উইকেট স্পিনবান্ধব। আমার দল আর ঢাকা–দুই দলই রানের পাহাড় গড়েছে। শেষমেশ ম্যাচটা ড্র হয়েছে। তাতে লাভটা কি হলো?
আমাদের স্পোর্টিং উইকেট বানানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে এখনই। বাউন্সি উইকেটে ক্রিকেটারদের খেলার প্রবণতা বাড়াতে হবে। তাতে যেমন পেস বোলাররা ধারালো হবে, ব্যাটারদেরও উন্নতি হবে, শট খেলাও ভালোভাবে শিখতে পারবে।
সামনে ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজ। হয়তো সেখানে ভালো খেললে আমরা সব ভুলে যাব। কিন্তু এভাবে ভালো খেলে আখেরে লাভ কী? আমরা যদি এমন মন্থর উইকেটে একটা–দুটো সিরিজ জিতে উৎসবে মাতি, তাহলে আমি বলব সামনের বিশ্বকাপেও একই দৃশ্যই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে যারা আছেন তাদের ভালোভাবে চিন্তা করার সময়টা চলে আসছে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানেও খেলা হবে দ্রুতগতির উইকেটে। আমি চাইব সময় নিয়ে একটা দল হয়ে গড়ে উঠুক বাংলাদেশ। যে দলের ব্যাটাররা সব উইকেটে খেলতে পারবে। সেটি প্রয়োজনে দুই–তিন বছরের পরিকল্পনায় হোক। হারুক সমস্যা নেই। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে খেলতে খেলতে একটা দল তো গড়ে উঠবে। এরপর কিন্তু সেই দলটি দীর্ঘ সময় সাফল্য এনে দেবে।
বিশ্বের কাছে ক্রিকেটটাই আমাদের বড় সম্মানের জায়গা। সেটিতে আমাদের মাথা নিচু হোক, আর চাই না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫