সম্পাদকীয়
ক্যানসার, অপারেশন, নানা ধরনের চিকিৎসার কারণে চেহারা পরিবর্তিত হয়ে গেছে জাহানারা ইমামের। ঢাকায় ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। খাওয়া-দাওয়ার স্বাধীনতা কমেছে।
জিহ্বা খানিকটা বেরিয়ে থাকে মুখের বাইরে এসে। চুল হয়ে গেছে খাটো। তিনি এখন নিজের চেহারা নিয়ে লজ্জা পাচ্ছেন।
সে সময় ‘একাত্তরের দিনগুলি’ নিয়ে মানুষের খুব আগ্রহ। অনেক পাঠকই বইটা পড়ার পর তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে খুঁজে গেছেন। একনজর দেখতে চান জাহানারা ইমামকে। তিনি দেশে ফেরার পর অনেকেই দেখা করতে এলেন। প্রথমে যখন দেখা হয়, তাঁরা জাহানারা ইমামকে চিনে নিতে পারেন না। পরিচয় করিয়ে দিলে তাঁরা একটু ধাক্কা খান। এই মুখের সঙ্গে আগের মুখের কোনো মিল নেই। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সামলে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরাই বেশি আসেন। কেউ কেউ বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আসেন। কিন্তু ওই যে প্রথম দেখাতেই চমকে ওঠেন—সেটাই পীড়া দেয় জাহানারা ইমামকে। নিজেকে কুৎসিত ভাবতে ভালো লাগে না।
জাহানারা ইমামের এই কষ্ট দেখে একবার খেপে ওঠেন শামীম আজাদ। বলেন, ‘জানেন, জন্মের পর কত মেয়ে কুৎসিত চেহারা নিয়ে বেঁচে আছে? আপনি তো এতকাল সুন্দরীই ছিলেন, এখনো এত কাটাছেঁড়ার পর যেটুকু আপনার আছে, অনেক কুৎসিত মেয়ের তা-ও নেই।’ তাতে কিছুটা সান্ত্বনা আসে।
ডিসেম্বর মাসে সাংবাদিকদের আনাগোনা শুরু হয়। তাঁরা সাক্ষাৎকার নেবেন। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা ছবিও তুলতে চান। তাতে আঁতকে ওঠেন জাহানারা ইমাম। এই চেহারার ছবি তুলবেন কী করে? ছবি ছাড়া সাক্ষাৎকার ছাপতে বলেন। তাঁরা রাজি হন না। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, আগে তোলা কাছাকাছি সময়ের কোনো ছবি থাকলে সেটা দেওয়া যেতে পারে। আমেরিকায় যাওয়ার আগে সচিত্র সন্ধানীর জন্য নাসির আলী মামুন তুলেছিলেন একটি ছবি। সেটাই দেওয়া হলো। সেটা ছিল প্রথম অপারেশনের পরের ছবি। চুলগুলো তখনো অক্ষত ছিল। সেটা নিয়েই খুশি হলো সাংবাদিকের দল।
সূত্র: জাহানারা ইমাম, ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস, পৃষ্ঠা ৭৩-৭৫
ক্যানসার, অপারেশন, নানা ধরনের চিকিৎসার কারণে চেহারা পরিবর্তিত হয়ে গেছে জাহানারা ইমামের। ঢাকায় ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। খাওয়া-দাওয়ার স্বাধীনতা কমেছে।
জিহ্বা খানিকটা বেরিয়ে থাকে মুখের বাইরে এসে। চুল হয়ে গেছে খাটো। তিনি এখন নিজের চেহারা নিয়ে লজ্জা পাচ্ছেন।
সে সময় ‘একাত্তরের দিনগুলি’ নিয়ে মানুষের খুব আগ্রহ। অনেক পাঠকই বইটা পড়ার পর তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে খুঁজে গেছেন। একনজর দেখতে চান জাহানারা ইমামকে। তিনি দেশে ফেরার পর অনেকেই দেখা করতে এলেন। প্রথমে যখন দেখা হয়, তাঁরা জাহানারা ইমামকে চিনে নিতে পারেন না। পরিচয় করিয়ে দিলে তাঁরা একটু ধাক্কা খান। এই মুখের সঙ্গে আগের মুখের কোনো মিল নেই। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সামলে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরাই বেশি আসেন। কেউ কেউ বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আসেন। কিন্তু ওই যে প্রথম দেখাতেই চমকে ওঠেন—সেটাই পীড়া দেয় জাহানারা ইমামকে। নিজেকে কুৎসিত ভাবতে ভালো লাগে না।
জাহানারা ইমামের এই কষ্ট দেখে একবার খেপে ওঠেন শামীম আজাদ। বলেন, ‘জানেন, জন্মের পর কত মেয়ে কুৎসিত চেহারা নিয়ে বেঁচে আছে? আপনি তো এতকাল সুন্দরীই ছিলেন, এখনো এত কাটাছেঁড়ার পর যেটুকু আপনার আছে, অনেক কুৎসিত মেয়ের তা-ও নেই।’ তাতে কিছুটা সান্ত্বনা আসে।
ডিসেম্বর মাসে সাংবাদিকদের আনাগোনা শুরু হয়। তাঁরা সাক্ষাৎকার নেবেন। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা ছবিও তুলতে চান। তাতে আঁতকে ওঠেন জাহানারা ইমাম। এই চেহারার ছবি তুলবেন কী করে? ছবি ছাড়া সাক্ষাৎকার ছাপতে বলেন। তাঁরা রাজি হন না। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, আগে তোলা কাছাকাছি সময়ের কোনো ছবি থাকলে সেটা দেওয়া যেতে পারে। আমেরিকায় যাওয়ার আগে সচিত্র সন্ধানীর জন্য নাসির আলী মামুন তুলেছিলেন একটি ছবি। সেটাই দেওয়া হলো। সেটা ছিল প্রথম অপারেশনের পরের ছবি। চুলগুলো তখনো অক্ষত ছিল। সেটা নিয়েই খুশি হলো সাংবাদিকের দল।
সূত্র: জাহানারা ইমাম, ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস, পৃষ্ঠা ৭৩-৭৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫