জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় ভাইবারে কল। কে হতে পারে? ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে চমকে উঠি! নীলিমা! নীলিমা আছে, চিনু আছে, আছে শিহাব, মঞ্জু, উজ্জ্বল, রূপা। এরা সবাই ১৯৮৬ সালে রাশিয়া বাপড়াশোনা করেছে। তখন দেশ ছিল একটাই, সোভিয়েত ইউনিয়ন।
নীলিমা পোল্যান্ডে ঢুকতে পেরেছে, জানতাম। কিন্তু কিয়েভ আর খারকিভে রুশ বাহিনীর তীব্র আক্রমণের কারণে আমাদের চোখ ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় দুটি শহরের দিকে। নীলিমাও আমাদের কোনো কথার জবাব দিচ্ছিল না। এখন আপাতত ও বিপদমুক্ত। তাই ওর সঙ্গে আমাদের কথোপকথনের একটা অংশ বলাই যেতে পারে।
নীলিমা বলছিল, ‘হঠাৎ করেই যুদ্ধ লেগে গেল। আমি তো বাসায়ই ঢুকতে পারিনি। ওইভাবেই ঘরের তালা খোলার আগেই গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেছি।’
ভাইবারে ক্যামেরাটা ওপেন করতে বলা হলো। নীলিমা বলল, ‘নারে, আমার এখন আধামরা অবস্থা।’
শিহাবের প্রশ্ন, ‘আজমল কি এসেছে তোর সঙ্গে?’
নীলিমা নির্জীব কণ্ঠে বলল, ‘তুই আগে কান ধরে ওঠবস কর। তুই বলেছিলি, কোনোভাবেই যুদ্ধ লাগবে না। এক পার্সেন্টও আশঙ্কা করছিস না যুদ্ধ লাগার। আর আমরা যুদ্ধে প্রায় মারা যাচ্ছিলাম! এখন খারকিভে আমাদের পাড়াতে যুদ্ধ হচ্ছে। শুনলাম। এই কদিন তো আমি কিছুই দেখতে পারিনি। এখন এখানে এসে দেখছি, বাপরে বাপ, কী
ভয়াবহ অবস্থা, বিশ্বাস করতে পারছি না। যুদ্ধ লাগবে, সেটা আশঙ্কা করেছিলাম। যখন বলেছি, কেউই আমার কথা শোনেনি। আমি তো পাঁচ শ মানুষকে বলেছি, তোমরা এখান থেকে সরে যাও। সবাই আমাকে বলত, মেয়েটা মনে হয় একটু প্যানিকড। কিচ্ছু হবে না। কেউ আমার কথা বিশ্বাসও করেনি।’
উজ্জ্বল জানায়, ‘খারকিভে একটা ইন্ডিয়ান ছেলে মারা গেছে।’
-কে?
-নাম শুনিনি।
আবার শিহাব, ‘আজমল কি বর্ডার ক্রস করতে পারছে না?’
আমার মনে হয়, অযথাই এ সব কথা বলা হচ্ছে নীলিমাকে। ও তো আবার ভয়ে আধমরা হয়ে যাবে। কিন্তু শান্তভাবেই উত্তর দিল সে, ‘না। ও বর্ডারের কাছে। আসতে পারবে কি না, কে জানে।’
উজ্জ্বল বলে, ‘ঘুষটুস দেওয়া যায় না?’
নীলিমা বলে, ‘ওখানে টাকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওখানে হাজার হাজার মানুষ। ঘুষ তো মানুষ খায় আড়ালে। চুপ করে নেবে। এখানে একজন মানুষের ঘাড়ের ওপর আরেকজন মানুষ। কে কোথায় ঘুষ নেবে আর দেবে?’
চিনু জিজ্ঞেস করে, ‘ছেলেদের কি সীমান্ত পার হতে দিচ্ছে?’ শোনা গিয়েছিল ৬০ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের সীমানা পার হতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। সীমান্তের ওপারে ৩০-৪০ কিলোমিটার জ্যাম লেগে আছে। গাড়িতে এলে জ্যামেই বসে থাকতে হয়। আমি তো বিদেশি খুব কম দেখতে পেলাম। ইউক্রেনীয়রা বেশি। এরা কেন যাচ্ছে তাহলে? তার মানে ইউক্রেনীয় পুরুষরাও ঢুকতে পারছে। আজমল বলেছে, সে গাড়িসহ চেষ্টা করবে আসতে। দেখি। চেষ্টা করতে চায়, করুক।’
‘ছেলেরা পার হচ্ছে না?’
‘হ্যাঁ, হচ্ছে তো! কিন্তু কার বয়স কত, সেটা জিজ্ঞেস করার মতো এনার্জি ছিল না।’
রূপা জিজ্ঞেস করে, ‘তোমরা কি পোল্যান্ডে থাকবে?’
‘না। থাকব না।’
উজ্জ্বল বলে, ‘পোল্যান্ডেও কিন্তু ঝুঁকি আছে। অ্যাটাক হতে পারে।’
নীলিমা সায় দেয়, ‘আমরা যে বাসায় আছি, তারাও খুব ভয়ে আছে।’
শিহাব আবার নিজের মত দেয়, ‘পোল্যান্ড আক্রমণ করবে না, কারণ পোল্যান্ড হচ্ছে ন্যাটোভুক্ত দেশ। পুতিন এত গাধা না।’
এবার হইচই শুরু হয়ে যায়। ‘পুতিন গাধা বলেই ইউক্রেন অ্যাটাক করেছে। গাধা না হলে অ্যাটাক করত না।’ সবাই এই কথাই বলতে থাকে নানাভাবে।
রুপা জানতে চায়, ‘বাংলাদেশ অ্যাম্বেসির সঙ্গে যোগাযোগ আছে তো?’
‘হ্যাঁ, সে তো আছেই। আমি সেখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজও করছি। অনলাইন কো-অর্ডিনেটর।’
‘তোমরা কি দেশে ফিরে আসবে?’
‘কিচ্ছু জানি না। এখনো আমরা প্যানিকড হয়ে আছি। কিছু খেতে পারছি না। ঘুম হচ্ছে না।’
‘নিকুঞ্জর অবস্থা কী?’
‘ও তে এখানে হিরো। একটা বাচ্চা ছেলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার হেঁটে এসে সীমান্ত পার হয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত ভাবতে পারছি না, আমরা বেঁচে আছি। আমি তো ভেবেছিলাম, পথেই মারা যাব। ওখানে কোনো আশ্রয় কেন্দ্র ধরনের কিছুই ছিল না।’
‘পথে পথে নাকি স্বেচ্ছাসেবীরা পানি আর খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল?’
‘সে রকম তথ্য আমাদের কাছেও ছিল। কিন্তু সেভাবে পাইনি। আর পুরো হাঁটা পথে বসার কোনো জায়গা নেই। শুধু দাঁড়ানো যাবে, বা হাঁটা যাবে। আর কিছুই নয়। শেষ ১৫ কিলোমিটারে কিছুই ছিল না। যারা সঙ্গে খাবার নিয়ে আসেনি, তারা খুবই অসহায় বোধ করেছে। বরফের মধ্যে হাঁটা, ঠান্ডা, অন্ধকার।’
শিহাব আবার বলে, ‘তোকে না সকাল সকাল বের হতে বলেছিলাম?’
‘আমরা সকাল সকালই বের হয়েছি। গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়েছি। গাড়ি অর্ধেক পথে গিয়ে জ্যামে আটকে গেছে। এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলাম। এক ইঞ্চিও নড়ল না। তখন ট্যাক্সিওয়ালা বলল, “না আমি আর অপেক্ষা করতে পারব না।” যদি ট্যাক্সিতে করে সীমান্তে পৌঁছাতে চাইতাম, তাহলে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগত। পায়ে হেঁটে এসেছি। অনেকে হাঁটতে হাঁটতে সীমান্তে পৌঁছেছে।’
‘আলমের খবর কী?’ আলম ওদের আত্মীয়।
‘আলমের ভাইবার অন করা আছে। কিন্তু উত্তর দিচ্ছে না। আমরা একসঙ্গে বর্ডার পার হয়েছি। এরপর ওর এক জায়গায় বাসা ঠিক করা ছিল। আমাদের আরেক পরিবার নিয়ে গেছে।’
‘তোমরা ওয়ারশ থেকে কত দূরে আছ?’
‘আমরা তো এখন ওয়ারশতেই আছি। বর্ডার ক্রস করার পর স্বেচ্ছাসেবী একটা পরিবার আমাদের ওয়ারশতে নিয়ে এল। ওদের দুটো ঘর। এক ঘরে আমরা, অন্য ঘরে ওরা আছে।’
আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘নিকুঞ্জের কথা বলো।’
নীলিমা ভাবলেশহীনভাবে বলল, ‘নিকুঞ্জ বলছে, মা, আমরা উদ্বাস্তু হয়ে গেলাম!’
যুদ্ধের বিভীষিকা আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু শেষের কথাটা বুঝিয়ে দিল যুদ্ধের ভয়াবহতা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় ভাইবারে কল। কে হতে পারে? ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে চমকে উঠি! নীলিমা! নীলিমা আছে, চিনু আছে, আছে শিহাব, মঞ্জু, উজ্জ্বল, রূপা। এরা সবাই ১৯৮৬ সালে রাশিয়া বাপড়াশোনা করেছে। তখন দেশ ছিল একটাই, সোভিয়েত ইউনিয়ন।
নীলিমা পোল্যান্ডে ঢুকতে পেরেছে, জানতাম। কিন্তু কিয়েভ আর খারকিভে রুশ বাহিনীর তীব্র আক্রমণের কারণে আমাদের চোখ ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় দুটি শহরের দিকে। নীলিমাও আমাদের কোনো কথার জবাব দিচ্ছিল না। এখন আপাতত ও বিপদমুক্ত। তাই ওর সঙ্গে আমাদের কথোপকথনের একটা অংশ বলাই যেতে পারে।
নীলিমা বলছিল, ‘হঠাৎ করেই যুদ্ধ লেগে গেল। আমি তো বাসায়ই ঢুকতে পারিনি। ওইভাবেই ঘরের তালা খোলার আগেই গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেছি।’
ভাইবারে ক্যামেরাটা ওপেন করতে বলা হলো। নীলিমা বলল, ‘নারে, আমার এখন আধামরা অবস্থা।’
শিহাবের প্রশ্ন, ‘আজমল কি এসেছে তোর সঙ্গে?’
নীলিমা নির্জীব কণ্ঠে বলল, ‘তুই আগে কান ধরে ওঠবস কর। তুই বলেছিলি, কোনোভাবেই যুদ্ধ লাগবে না। এক পার্সেন্টও আশঙ্কা করছিস না যুদ্ধ লাগার। আর আমরা যুদ্ধে প্রায় মারা যাচ্ছিলাম! এখন খারকিভে আমাদের পাড়াতে যুদ্ধ হচ্ছে। শুনলাম। এই কদিন তো আমি কিছুই দেখতে পারিনি। এখন এখানে এসে দেখছি, বাপরে বাপ, কী
ভয়াবহ অবস্থা, বিশ্বাস করতে পারছি না। যুদ্ধ লাগবে, সেটা আশঙ্কা করেছিলাম। যখন বলেছি, কেউই আমার কথা শোনেনি। আমি তো পাঁচ শ মানুষকে বলেছি, তোমরা এখান থেকে সরে যাও। সবাই আমাকে বলত, মেয়েটা মনে হয় একটু প্যানিকড। কিচ্ছু হবে না। কেউ আমার কথা বিশ্বাসও করেনি।’
উজ্জ্বল জানায়, ‘খারকিভে একটা ইন্ডিয়ান ছেলে মারা গেছে।’
-কে?
-নাম শুনিনি।
আবার শিহাব, ‘আজমল কি বর্ডার ক্রস করতে পারছে না?’
আমার মনে হয়, অযথাই এ সব কথা বলা হচ্ছে নীলিমাকে। ও তো আবার ভয়ে আধমরা হয়ে যাবে। কিন্তু শান্তভাবেই উত্তর দিল সে, ‘না। ও বর্ডারের কাছে। আসতে পারবে কি না, কে জানে।’
উজ্জ্বল বলে, ‘ঘুষটুস দেওয়া যায় না?’
নীলিমা বলে, ‘ওখানে টাকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওখানে হাজার হাজার মানুষ। ঘুষ তো মানুষ খায় আড়ালে। চুপ করে নেবে। এখানে একজন মানুষের ঘাড়ের ওপর আরেকজন মানুষ। কে কোথায় ঘুষ নেবে আর দেবে?’
চিনু জিজ্ঞেস করে, ‘ছেলেদের কি সীমান্ত পার হতে দিচ্ছে?’ শোনা গিয়েছিল ৬০ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের সীমানা পার হতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। সীমান্তের ওপারে ৩০-৪০ কিলোমিটার জ্যাম লেগে আছে। গাড়িতে এলে জ্যামেই বসে থাকতে হয়। আমি তো বিদেশি খুব কম দেখতে পেলাম। ইউক্রেনীয়রা বেশি। এরা কেন যাচ্ছে তাহলে? তার মানে ইউক্রেনীয় পুরুষরাও ঢুকতে পারছে। আজমল বলেছে, সে গাড়িসহ চেষ্টা করবে আসতে। দেখি। চেষ্টা করতে চায়, করুক।’
‘ছেলেরা পার হচ্ছে না?’
‘হ্যাঁ, হচ্ছে তো! কিন্তু কার বয়স কত, সেটা জিজ্ঞেস করার মতো এনার্জি ছিল না।’
রূপা জিজ্ঞেস করে, ‘তোমরা কি পোল্যান্ডে থাকবে?’
‘না। থাকব না।’
উজ্জ্বল বলে, ‘পোল্যান্ডেও কিন্তু ঝুঁকি আছে। অ্যাটাক হতে পারে।’
নীলিমা সায় দেয়, ‘আমরা যে বাসায় আছি, তারাও খুব ভয়ে আছে।’
শিহাব আবার নিজের মত দেয়, ‘পোল্যান্ড আক্রমণ করবে না, কারণ পোল্যান্ড হচ্ছে ন্যাটোভুক্ত দেশ। পুতিন এত গাধা না।’
এবার হইচই শুরু হয়ে যায়। ‘পুতিন গাধা বলেই ইউক্রেন অ্যাটাক করেছে। গাধা না হলে অ্যাটাক করত না।’ সবাই এই কথাই বলতে থাকে নানাভাবে।
রুপা জানতে চায়, ‘বাংলাদেশ অ্যাম্বেসির সঙ্গে যোগাযোগ আছে তো?’
‘হ্যাঁ, সে তো আছেই। আমি সেখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজও করছি। অনলাইন কো-অর্ডিনেটর।’
‘তোমরা কি দেশে ফিরে আসবে?’
‘কিচ্ছু জানি না। এখনো আমরা প্যানিকড হয়ে আছি। কিছু খেতে পারছি না। ঘুম হচ্ছে না।’
‘নিকুঞ্জর অবস্থা কী?’
‘ও তে এখানে হিরো। একটা বাচ্চা ছেলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার হেঁটে এসে সীমান্ত পার হয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত ভাবতে পারছি না, আমরা বেঁচে আছি। আমি তো ভেবেছিলাম, পথেই মারা যাব। ওখানে কোনো আশ্রয় কেন্দ্র ধরনের কিছুই ছিল না।’
‘পথে পথে নাকি স্বেচ্ছাসেবীরা পানি আর খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল?’
‘সে রকম তথ্য আমাদের কাছেও ছিল। কিন্তু সেভাবে পাইনি। আর পুরো হাঁটা পথে বসার কোনো জায়গা নেই। শুধু দাঁড়ানো যাবে, বা হাঁটা যাবে। আর কিছুই নয়। শেষ ১৫ কিলোমিটারে কিছুই ছিল না। যারা সঙ্গে খাবার নিয়ে আসেনি, তারা খুবই অসহায় বোধ করেছে। বরফের মধ্যে হাঁটা, ঠান্ডা, অন্ধকার।’
শিহাব আবার বলে, ‘তোকে না সকাল সকাল বের হতে বলেছিলাম?’
‘আমরা সকাল সকালই বের হয়েছি। গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়েছি। গাড়ি অর্ধেক পথে গিয়ে জ্যামে আটকে গেছে। এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলাম। এক ইঞ্চিও নড়ল না। তখন ট্যাক্সিওয়ালা বলল, “না আমি আর অপেক্ষা করতে পারব না।” যদি ট্যাক্সিতে করে সীমান্তে পৌঁছাতে চাইতাম, তাহলে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগত। পায়ে হেঁটে এসেছি। অনেকে হাঁটতে হাঁটতে সীমান্তে পৌঁছেছে।’
‘আলমের খবর কী?’ আলম ওদের আত্মীয়।
‘আলমের ভাইবার অন করা আছে। কিন্তু উত্তর দিচ্ছে না। আমরা একসঙ্গে বর্ডার পার হয়েছি। এরপর ওর এক জায়গায় বাসা ঠিক করা ছিল। আমাদের আরেক পরিবার নিয়ে গেছে।’
‘তোমরা ওয়ারশ থেকে কত দূরে আছ?’
‘আমরা তো এখন ওয়ারশতেই আছি। বর্ডার ক্রস করার পর স্বেচ্ছাসেবী একটা পরিবার আমাদের ওয়ারশতে নিয়ে এল। ওদের দুটো ঘর। এক ঘরে আমরা, অন্য ঘরে ওরা আছে।’
আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘নিকুঞ্জের কথা বলো।’
নীলিমা ভাবলেশহীনভাবে বলল, ‘নিকুঞ্জ বলছে, মা, আমরা উদ্বাস্তু হয়ে গেলাম!’
যুদ্ধের বিভীষিকা আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু শেষের কথাটা বুঝিয়ে দিল যুদ্ধের ভয়াবহতা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫