Ajker Patrika

ফজরের পর ঘুমানো অনুচিত

মুহাম্মাদ ইমরান মুস্তফা
ফজরের পর ঘুমানো অনুচিত

দিনের ব্যস্ততার পর রাতে একটি ভালো ঘুম মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজন। রাত ১০টা থেকে ফজর পর্যন্ত সময়টা ঘুমের জন্য স্বাস্থসম্মত সময়। ফজরের সময় থেকে মানুষের দেহের কোষগুলো সচল হয়ে ওঠে। এ সময় অলস শুয়ে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে সুখকর নয়। তবে আমাদের জীবনবাস্তবতায় এ সময়টাই হয়ে উঠেছে ঘুমমগ্নতার সময়।

ইসলাম এ সময়কে বিশেষ বরকতময় সময় হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ফজরের নামাজ শেষ করে সূর্যোদয় পর্যন্ত দোয়া-দরুদ-জিকিরে মশগুল থাকতে উৎসাহিত করেছে। ঘুমিয়ে থাকতে বারণ করেছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাজের স্থানে বসে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকে, এরপর দুই রাকাত (ইশরাক) নামাজ আদায় করে, তাঁর জন্য একটি হজ ও ওমরাহর পূর্ণ সওয়াব, একদম পূর্ণ সওয়াব।’ (তিরিমিজি: ৫৮৬)

ফাতেমা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তখন সকাল, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। তিনি পা দিয়ে আমাকে নাড়া দিলেন এবং বললেন, ‘মেয়ে আমার, ওঠো।

তোমার রবের রিজিক বণ্টন দেখো। অলসতায় থেকো না। কারণ আল্লাহ তাআলা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের রিজিক বণ্টন করেন।’ (শুআবুল ইমান: ৪৪০৫)

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতদের ভোরে বরকত দাও।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো সৈন্য দল পাঠাতেন, তখন দিনের প্রথম প্রহরেই পাঠাতেন। সাখর গামেদি (রা.) ও একজন ব্যবসায়ী। তিনি নিজের ব্যবসায়িক যেকোনো কার্যক্রম ভোরে পরিচালনা করতেন। ফলে তিনি নেহাত লাভবান হয়েছেন এবং প্রচুর সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৬০৬)

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত