জয়নাল আবেদীন খান
আজকের পত্রিকা: দেশের জ্বালানি পরিস্থিতি কীভাবে দেখছেন?
এজাজ হোসেন: নানামুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। ফলে বিশ্ববাজারে লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি), কয়লা ও জ্বালানি তেলের দামও দিনদিন বাড়ছে। আগামী দিনেও সেই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এর নেতিবাচক প্রভাব সাধারণ ভোক্তার ওপরেও পড়বে। আর জ্বালানির নতুন উৎস বের করতে না পারলে শত চেষ্টা করেও জ্বালানির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবে না। জ্বালানির উৎপাদন, ব্যবহার ও দামের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বিশেষ করে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে নজর দিতে হবে। আর সংকট মোকাবিলায় পরিকল্পিত জ্বালানিব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। নয়তো এই খাতে সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দেবে।
আজকের পত্রিকা: দুর্ভোগ কমাতে কী প্রস্তুতি নেওয়া দরকার?
এজাজ হোসেন: দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। এখন রান্নার কাজে লাকড়ির ব্যবহার কমেছে। কেরোসিনের ব্যবহার কমেছে। এমনকি এখন গ্রামের মানুষ সিলিন্ডার গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে। স্বল্প আয়ের মানুষ ছাড়া কেউ রান্নার কাজে লাকড়ি বা কেরোসিন ব্যবহার করছে না। তারা রান্নায় এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করছে। যাঁর আয় নিতান্তই কম, তিনিও সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে এক হাজার টাকা ব্যয় করছেন। একসময় মানুষ আর লাকড়ি ব্যবহার করবে না। তখন জ্বালানির ওপর চাপ বাড়বে। আর বাড়তি চাপ মেটাতে আমদানি আরও বাড়াবে সরকার।
আজকের পত্রিকা: গ্যাসের ব্যবহার বাড়লে কি ভবিষ্যতে ঘাটতি হতে পারে?
এজাজ হোসেন: দেশের গ্যাস রান্নার চেয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে বিদ্যুৎ ও শিল্প উৎপাদনে। এ দুই খাতে গ্যাস সরবরাহে এখনই ঘাটতি দেখা গেছে। চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর শিল্প ও বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে আমদানি ছাড়া কোনো উপায় আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা কতটা বেড়েছে?
এজাজ হোসেন: দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা বেশি। তবে এই হিসাবের পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন থাকলেও চাহিদার তুলনায় যে উৎপাদন বেশি হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এর মূল সমস্যা হচ্ছে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের অভাব। আর এ ক্ষেত্রে বাইরের কোনো বিনিয়োগ হয় না বলে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন বৃদ্ধি করা হয় না। এটা নিয়ে তেমন একটা মাথাব্যথা নেই কারোর।
আজকের পত্রিকা: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বারবার বাড়ার কারণ কী?
এজাজ হোসেন: বিদ্যুৎ ও গ্যাসে নিয়ে সরকার কয়েক বছর খুব কঠিন সময় পার করেছে। আর দাম বাড়াতে বেসরকারি পর্যায়ে চাপ রয়েছে। কার্যকর ব্যবস্থাপনা না থাকায় ঘন ঘন দাম বাড়ানোতে একটা গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। আর সরকার যেহেতু বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করে, সে কারণে সরকার চাইলেও দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে না। তবে একসময় উন্নত বিশ্বের মতো ভর্তুকি উঠে গেলে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম সমান হবে। আর তার প্রস্তুতি ২০৩০ সালের মধ্যে নিতে হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষ বাড়তি দামের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হিমশিম খাবে।
আজকের পত্রিকা: দেশে জ্বালানি আমদানি কি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে?
এজাজ হোসেন: আমদানি থেকে দেশের জ্বালানির অধিকাংশ চাহিদা মেটানো হয়। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করতে হতে পারে। মানে আমদানিনির্ভর হবে দেশ।
আজকের পত্রিকা: গ্যাস ও বিদ্যুতের বিকল্প সমাধান কী?
এজাজ হোসেন: দেশে গ্যাসের মজুত কমে যাচ্ছে। চলমান গ্যাস অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে। আরও ঝুঁকিপূর্ণ, পরিকল্পিত ও উন্নত প্রক্রিয়ায় গ্যাস অনুসন্ধান করতে হবে। কিন্তু সরকার তা না করে আমদানিতে ঝুঁকছে। যেটা কোনো যুক্তিসংগত বিষয় হতে পারে না। মূল কথা, সংকট দূর করতে পরিকল্পিত জ্বালানিব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দেশের জ্বালানি পরিস্থিতি কীভাবে দেখছেন?
এজাজ হোসেন: নানামুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। ফলে বিশ্ববাজারে লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি), কয়লা ও জ্বালানি তেলের দামও দিনদিন বাড়ছে। আগামী দিনেও সেই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এর নেতিবাচক প্রভাব সাধারণ ভোক্তার ওপরেও পড়বে। আর জ্বালানির নতুন উৎস বের করতে না পারলে শত চেষ্টা করেও জ্বালানির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবে না। জ্বালানির উৎপাদন, ব্যবহার ও দামের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বিশেষ করে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে নজর দিতে হবে। আর সংকট মোকাবিলায় পরিকল্পিত জ্বালানিব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। নয়তো এই খাতে সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দেবে।
আজকের পত্রিকা: দুর্ভোগ কমাতে কী প্রস্তুতি নেওয়া দরকার?
এজাজ হোসেন: দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। এখন রান্নার কাজে লাকড়ির ব্যবহার কমেছে। কেরোসিনের ব্যবহার কমেছে। এমনকি এখন গ্রামের মানুষ সিলিন্ডার গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে। স্বল্প আয়ের মানুষ ছাড়া কেউ রান্নার কাজে লাকড়ি বা কেরোসিন ব্যবহার করছে না। তারা রান্নায় এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করছে। যাঁর আয় নিতান্তই কম, তিনিও সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে এক হাজার টাকা ব্যয় করছেন। একসময় মানুষ আর লাকড়ি ব্যবহার করবে না। তখন জ্বালানির ওপর চাপ বাড়বে। আর বাড়তি চাপ মেটাতে আমদানি আরও বাড়াবে সরকার।
আজকের পত্রিকা: গ্যাসের ব্যবহার বাড়লে কি ভবিষ্যতে ঘাটতি হতে পারে?
এজাজ হোসেন: দেশের গ্যাস রান্নার চেয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে বিদ্যুৎ ও শিল্প উৎপাদনে। এ দুই খাতে গ্যাস সরবরাহে এখনই ঘাটতি দেখা গেছে। চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর শিল্প ও বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে আমদানি ছাড়া কোনো উপায় আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা কতটা বেড়েছে?
এজাজ হোসেন: দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা বেশি। তবে এই হিসাবের পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন থাকলেও চাহিদার তুলনায় যে উৎপাদন বেশি হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এর মূল সমস্যা হচ্ছে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের অভাব। আর এ ক্ষেত্রে বাইরের কোনো বিনিয়োগ হয় না বলে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন বৃদ্ধি করা হয় না। এটা নিয়ে তেমন একটা মাথাব্যথা নেই কারোর।
আজকের পত্রিকা: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বারবার বাড়ার কারণ কী?
এজাজ হোসেন: বিদ্যুৎ ও গ্যাসে নিয়ে সরকার কয়েক বছর খুব কঠিন সময় পার করেছে। আর দাম বাড়াতে বেসরকারি পর্যায়ে চাপ রয়েছে। কার্যকর ব্যবস্থাপনা না থাকায় ঘন ঘন দাম বাড়ানোতে একটা গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। আর সরকার যেহেতু বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করে, সে কারণে সরকার চাইলেও দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে না। তবে একসময় উন্নত বিশ্বের মতো ভর্তুকি উঠে গেলে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম সমান হবে। আর তার প্রস্তুতি ২০৩০ সালের মধ্যে নিতে হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষ বাড়তি দামের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হিমশিম খাবে।
আজকের পত্রিকা: দেশে জ্বালানি আমদানি কি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে?
এজাজ হোসেন: আমদানি থেকে দেশের জ্বালানির অধিকাংশ চাহিদা মেটানো হয়। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করতে হতে পারে। মানে আমদানিনির্ভর হবে দেশ।
আজকের পত্রিকা: গ্যাস ও বিদ্যুতের বিকল্প সমাধান কী?
এজাজ হোসেন: দেশে গ্যাসের মজুত কমে যাচ্ছে। চলমান গ্যাস অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে। আরও ঝুঁকিপূর্ণ, পরিকল্পিত ও উন্নত প্রক্রিয়ায় গ্যাস অনুসন্ধান করতে হবে। কিন্তু সরকার তা না করে আমদানিতে ঝুঁকছে। যেটা কোনো যুক্তিসংগত বিষয় হতে পারে না। মূল কথা, সংকট দূর করতে পরিকল্পিত জ্বালানিব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪