সম্পাদকীয়
আমাদের দেশে রাজনীতিতে কখন যে কোন ইস্যু সামনে আসে, তা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা না-করার ইস্যুটি বিএনপি সামনে আনেনি, এনেছে আওয়ামী লীগ। গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতা শেখ সেলিম জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তখন মুচলেকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছিল।
এর কয়েক দিন পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করায় কোনো অসুবিধা নেই, তবে তিনি দণ্ডিত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য বিএনপি খুব গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ না করে বরং এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার পেছনে সরকার ও সরকারি দলের বিশেষ কোনো মতলব আছে বলে মনে করা হয়।
এরপর কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকও খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি জেলে থেকেও রাজনীতি করতে পারবেন, দলকে নির্দেশনা দিতে পারেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন সম্পূর্ণ বিপরীত কথা। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দণ্ডিত হিসেবে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নেই। অসুস্থ না হলে তিনি কারাগারে থাকতেন। হাছান মাহমুদও প্রায় একই কথা বলেছেন। তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য: শারীরিক অবস্থা ও বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে কারাগারের বাইরে ঘরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই শর্ত অনুযায়ী তিনি রাজনীতিও করতে পারেন না।
প্রশ্ন হলো, সরকারের মন্ত্রীরা কেন ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন? এতে কি সরকারের অবস্থান বা মনোভাব সম্পর্কে মানুষের মনে সংশয় তৈরি হবে না? বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য যদি খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারা না-পারার বিষয়টি সামনে আনা হয়, তাহলে তো সরকারের পক্ষ থেকে সবার এক সুরে কথা বলা উচিত।
খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারার বিষয়টি যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলা হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্ন আসে, কী সেই উদ্দেশ্য? অসুস্থতার কারণে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে দণ্ড স্থগিত রেখে জামিন দেওয়া হয়েছে।
সেই জামিনের মেয়াদও ছয় মাস পর পরই বাড়ানো হচ্ছে। প্রায় দুই বছর হতে চলল। এই সময়ে রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য দেননি। এখন রাজনীতিতে সক্রিয় হলে কি তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে? খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে রাজনীতি, তারই-বা শেষ কোথায়? খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান যদি বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার ক্ষেত্র বড় অন্তরায় হয়ে থাকে, তাহলে তা দূর করার উপায় কী? সরকার পতনের আন্দোলন বিএনপিকে কী সাফল্য দেবে?
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা না হওয়া দেশের জন্য বিপজ্জনক বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল মন্তব্য করেছেন। কিন্তু দুই পক্ষের অনড় অবস্থান কীভাবে কাটবে, সেটা কেউ বলছেন না।
আমাদের দেশে রাজনীতিতে কখন যে কোন ইস্যু সামনে আসে, তা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা না-করার ইস্যুটি বিএনপি সামনে আনেনি, এনেছে আওয়ামী লীগ। গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতা শেখ সেলিম জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তখন মুচলেকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছিল।
এর কয়েক দিন পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করায় কোনো অসুবিধা নেই, তবে তিনি দণ্ডিত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য বিএনপি খুব গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ না করে বরং এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার পেছনে সরকার ও সরকারি দলের বিশেষ কোনো মতলব আছে বলে মনে করা হয়।
এরপর কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকও খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি জেলে থেকেও রাজনীতি করতে পারবেন, দলকে নির্দেশনা দিতে পারেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন সম্পূর্ণ বিপরীত কথা। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দণ্ডিত হিসেবে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নেই। অসুস্থ না হলে তিনি কারাগারে থাকতেন। হাছান মাহমুদও প্রায় একই কথা বলেছেন। তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য: শারীরিক অবস্থা ও বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে কারাগারের বাইরে ঘরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই শর্ত অনুযায়ী তিনি রাজনীতিও করতে পারেন না।
প্রশ্ন হলো, সরকারের মন্ত্রীরা কেন ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন? এতে কি সরকারের অবস্থান বা মনোভাব সম্পর্কে মানুষের মনে সংশয় তৈরি হবে না? বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য যদি খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারা না-পারার বিষয়টি সামনে আনা হয়, তাহলে তো সরকারের পক্ষ থেকে সবার এক সুরে কথা বলা উচিত।
খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারার বিষয়টি যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলা হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্ন আসে, কী সেই উদ্দেশ্য? অসুস্থতার কারণে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে দণ্ড স্থগিত রেখে জামিন দেওয়া হয়েছে।
সেই জামিনের মেয়াদও ছয় মাস পর পরই বাড়ানো হচ্ছে। প্রায় দুই বছর হতে চলল। এই সময়ে রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য দেননি। এখন রাজনীতিতে সক্রিয় হলে কি তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে? খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে রাজনীতি, তারই-বা শেষ কোথায়? খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমান যদি বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার ক্ষেত্র বড় অন্তরায় হয়ে থাকে, তাহলে তা দূর করার উপায় কী? সরকার পতনের আন্দোলন বিএনপিকে কী সাফল্য দেবে?
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা না হওয়া দেশের জন্য বিপজ্জনক বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল মন্তব্য করেছেন। কিন্তু দুই পক্ষের অনড় অবস্থান কীভাবে কাটবে, সেটা কেউ বলছেন না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫