সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
দেশে ডলার-সংকটের মধ্যে রপ্তানি আয়েও দেখা যাচ্ছে নেতিবাচক ধারা। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জন্য রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রায় ধাক্কা এসেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। একই সময়ে জার্মানি থেকে কমেছে ৬ শতাংশ। ১১ দশমিক ২২ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে ভারতের বাজারেও। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী জানুয়ারির আগে পোশাক রপ্তানির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬২ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯৮৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ১৬ শতাংশ কম।
এমন একসময়ে রপ্তানি আয় কমতে শুরু করেছে, যখন দেশে ডলারের মজুত কমছে। ডলারের পতন ঠেকাতে সরকার বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধ রাখা থেকে শুরু করে জ্বালানি পণ্যের আমদানি বিল পরিশোধেও দেরি করছে।
ইপিবির তথ্য থেকে দেখা যায়, একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি আয় এসেছিল ২ দশমিক ৩২৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ২৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে জার্মানি থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জার্মানিতে রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ৫৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। মোট রপ্তানি আয়ের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ এসেছে জার্মানি থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে এসেছে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ।
বাংলাদেশের বড় বাজারগুলোতে রপ্তানি কমে যাওয়া উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপের অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ায় পোশাকের চাহিদা কমে গেছে। জার্মানি আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। সেখানে মৃদু মন্দাভাব বিরাজ করায় রপ্তানি হোঁচট খেয়েছে।’
ওষুধ ও প্লাস্টিক-মেলামাইন পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, মাছ, কৃষিজাত পণ্য, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যসহ অধিকাংশ পণ্য রপ্তানির ধারা নেতিবাচক। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তৈরি পোশাকের অন্যতম উপ-খাত হোম টেক্সটাইল রপ্তানি কমেছে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বেড়ে চলেছে তেলের দাম। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এই যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, ‘সামার সিজনকে (গ্রীষ্ম মৌসুম) কেন্দ্র করে আমাদের প্রত্যাশা ছিল তৈরি পোশাক রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে সবকিছু মনে হয় একটু ওলট-পালট হয়ে গেছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়লে সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটবে না।’
দেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্থিরতার আশঙ্কায়ও বিদেশি ক্রেতারা আদেশ দিতে সময় নিচ্ছেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, বায়ারদের আশঙ্কা, অর্ডার দিলেও সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিসংতার কারণে হয়তো ঠিকমতো জাহাজীকরণ হবে না।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও এখনো মুদ্রাস্ফীতির চাপ আছে। এই জন্য ভোক্তারা তৈরি পোশাকের মতো নন-ফুড পণ্যে কম ব্যয় করছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশে রপ্তানি হোঁচট খাওয়ায় মনে হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে আমাদের অর্থনীতি খারাপের দিকেই যাবে।’
দেশে ডলার-সংকটের মধ্যে রপ্তানি আয়েও দেখা যাচ্ছে নেতিবাচক ধারা। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জন্য রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রায় ধাক্কা এসেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। একই সময়ে জার্মানি থেকে কমেছে ৬ শতাংশ। ১১ দশমিক ২২ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে ভারতের বাজারেও। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী জানুয়ারির আগে পোশাক রপ্তানির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬২ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯৮৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ১৬ শতাংশ কম।
এমন একসময়ে রপ্তানি আয় কমতে শুরু করেছে, যখন দেশে ডলারের মজুত কমছে। ডলারের পতন ঠেকাতে সরকার বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধ রাখা থেকে শুরু করে জ্বালানি পণ্যের আমদানি বিল পরিশোধেও দেরি করছে।
ইপিবির তথ্য থেকে দেখা যায়, একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানি আয় এসেছিল ২ দশমিক ৩২৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ২ দশমিক ২৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে জার্মানি থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জার্মানিতে রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ৫৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। মোট রপ্তানি আয়ের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ এসেছে জার্মানি থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে এসেছে মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ।
বাংলাদেশের বড় বাজারগুলোতে রপ্তানি কমে যাওয়া উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপের অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ায় পোশাকের চাহিদা কমে গেছে। জার্মানি আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। সেখানে মৃদু মন্দাভাব বিরাজ করায় রপ্তানি হোঁচট খেয়েছে।’
ওষুধ ও প্লাস্টিক-মেলামাইন পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, মাছ, কৃষিজাত পণ্য, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যসহ অধিকাংশ পণ্য রপ্তানির ধারা নেতিবাচক। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তৈরি পোশাকের অন্যতম উপ-খাত হোম টেক্সটাইল রপ্তানি কমেছে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বেড়ে চলেছে তেলের দাম। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এই যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, ‘সামার সিজনকে (গ্রীষ্ম মৌসুম) কেন্দ্র করে আমাদের প্রত্যাশা ছিল তৈরি পোশাক রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে সবকিছু মনে হয় একটু ওলট-পালট হয়ে গেছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়লে সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটবে না।’
দেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক অস্থিরতার আশঙ্কায়ও বিদেশি ক্রেতারা আদেশ দিতে সময় নিচ্ছেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, বায়ারদের আশঙ্কা, অর্ডার দিলেও সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিসংতার কারণে হয়তো ঠিকমতো জাহাজীকরণ হবে না।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও এখনো মুদ্রাস্ফীতির চাপ আছে। এই জন্য ভোক্তারা তৈরি পোশাকের মতো নন-ফুড পণ্যে কম ব্যয় করছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশে রপ্তানি হোঁচট খাওয়ায় মনে হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে আমাদের অর্থনীতি খারাপের দিকেই যাবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪