আবির হাকিম, ঢাকা
ওপরে গতি বাড়লেও নিচে ঠিক বিপরীত চিত্র। পাবলিক টয়লেট, ময়লার ভাগাড়, ভাতের হোটেল, দোকানপাট—কী নেই এখানে! অথচ নিচের এই অংশে সৌন্দর্যবর্ধনের পরিকল্পনা ছিল মূল নকশায়। ছিল ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনাও। উদ্বোধনের আট বছর পরও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশ ঘিরে সেই পরিকল্পনার ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টো আবর্জনা আর দখলের কারণে নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়েছে জায়গাটি।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের অক্টোবরে ফ্লাইওভারটি চালু হয়। চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভারটির শনির আখড়া থেকে নিমতলী পর্যন্ত নিচের অংশে উঁচু বিভাজকে সৌন্দর্যবর্ধনের পরিকল্পনা ছিল মূল নকশায়। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে এ সবুজায়নের দায়িত্ব ছিল সিটি করপোরেশনের।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনির আখড়া থেকে নিমতলী পর্যন্ত পুরোটাই আবর্জনা আর দখলে জর্জরিত। টিকাটুলীর রাজধানী মার্কেট এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচেই ঘর বানিয়ে বাস করছে ছিন্নমূল মানুষেরা। কাপ্তান বাজার অংশে গড়ে উঠেছে কয়েকটি মুরগির দোকান। ফুলবাড়িয়া অংশে রয়েছে জুতা আর ফলের দোকান, রয়েছে পাবলিক টয়লেট। আর ফ্লাইওভারের প্রতিটি পিলারের নিচেই শামিয়ানা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাতের হোটেল। এ রকম ভাতের হোটেল রয়েছে অন্তত ৪০টি। এ ছাড়া ফ্লাইওভারের নিচে বিভিন্ন জায়গায় সিটি করপোরেশনের ময়লার কনটেইনারও পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এর বাইরে ওয়ারী বিসিসি রোড অংশে অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে দেওয়া হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কয়েক শ পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে। ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে রিকশা-ভ্যান স্ট্যান্ড। গুলিস্তান থেকে চানখাঁরপুল অংশের নিচে রয়েছে ঘোড়ার আস্তাবল।
কাপ্তান বাজারের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, ফ্লাইওভার হওয়াতে ওপর দিয়ে দ্রুত গাড়ি যেতে পারছে। তবে নিচের এই দুর্দশার কথা যেন কেউই জানে না! প্রতিদিন নিচের অংশে যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়। চলতে অসুবিধা হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সিতওয়াত নাঈম বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে প্রতি সপ্তাহেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিছুদিন পর আবার ময়লা জমে। তা ছাড়া মাদকসেবী ও হকারদের হটিয়ে কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছিল। তবে কিছু কিছু জায়গায় বেড়া নষ্ট হয়েছে। সেগুলো সংস্কার করা হবে।
এ প্রসঙ্গে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বরাবরই চেয়েছিলাম ফ্লাইওভারের নিচের অংশগুলো যেন ক্রাইম জোন অথবা ভাগাড়ে পরিণত না হয়। আমরা চেয়েছি সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে এটাকে যেন গণপরিসর হিসেবে গড়ে তোলা হয়। সাবেক মেয়রসহ এ ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আমরা অনেকবার বলেছি এ বিষয়ে।’
সার্বিক বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ বলেন, ‘ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা দখলমুক্ত করতে অভিযান হচ্ছে নিয়মিত। নতুন করে কোনো দোকান বসছে না। সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হলে বর্তমান সমস্যাগুলোরও সমাধান হবে।’
সবুজায়ন প্রকল্প নিয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে।’
ওপরে গতি বাড়লেও নিচে ঠিক বিপরীত চিত্র। পাবলিক টয়লেট, ময়লার ভাগাড়, ভাতের হোটেল, দোকানপাট—কী নেই এখানে! অথচ নিচের এই অংশে সৌন্দর্যবর্ধনের পরিকল্পনা ছিল মূল নকশায়। ছিল ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনাও। উদ্বোধনের আট বছর পরও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশ ঘিরে সেই পরিকল্পনার ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টো আবর্জনা আর দখলের কারণে নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়েছে জায়গাটি।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের অক্টোবরে ফ্লাইওভারটি চালু হয়। চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভারটির শনির আখড়া থেকে নিমতলী পর্যন্ত নিচের অংশে উঁচু বিভাজকে সৌন্দর্যবর্ধনের পরিকল্পনা ছিল মূল নকশায়। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে এ সবুজায়নের দায়িত্ব ছিল সিটি করপোরেশনের।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনির আখড়া থেকে নিমতলী পর্যন্ত পুরোটাই আবর্জনা আর দখলে জর্জরিত। টিকাটুলীর রাজধানী মার্কেট এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচেই ঘর বানিয়ে বাস করছে ছিন্নমূল মানুষেরা। কাপ্তান বাজার অংশে গড়ে উঠেছে কয়েকটি মুরগির দোকান। ফুলবাড়িয়া অংশে রয়েছে জুতা আর ফলের দোকান, রয়েছে পাবলিক টয়লেট। আর ফ্লাইওভারের প্রতিটি পিলারের নিচেই শামিয়ানা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাতের হোটেল। এ রকম ভাতের হোটেল রয়েছে অন্তত ৪০টি। এ ছাড়া ফ্লাইওভারের নিচে বিভিন্ন জায়গায় সিটি করপোরেশনের ময়লার কনটেইনারও পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এর বাইরে ওয়ারী বিসিসি রোড অংশে অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে দেওয়া হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কয়েক শ পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে। ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে রিকশা-ভ্যান স্ট্যান্ড। গুলিস্তান থেকে চানখাঁরপুল অংশের নিচে রয়েছে ঘোড়ার আস্তাবল।
কাপ্তান বাজারের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, ফ্লাইওভার হওয়াতে ওপর দিয়ে দ্রুত গাড়ি যেতে পারছে। তবে নিচের এই দুর্দশার কথা যেন কেউই জানে না! প্রতিদিন নিচের অংশে যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়। চলতে অসুবিধা হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সিতওয়াত নাঈম বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে প্রতি সপ্তাহেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিছুদিন পর আবার ময়লা জমে। তা ছাড়া মাদকসেবী ও হকারদের হটিয়ে কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছিল। তবে কিছু কিছু জায়গায় বেড়া নষ্ট হয়েছে। সেগুলো সংস্কার করা হবে।
এ প্রসঙ্গে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বরাবরই চেয়েছিলাম ফ্লাইওভারের নিচের অংশগুলো যেন ক্রাইম জোন অথবা ভাগাড়ে পরিণত না হয়। আমরা চেয়েছি সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে এটাকে যেন গণপরিসর হিসেবে গড়ে তোলা হয়। সাবেক মেয়রসহ এ ফ্লাইওভারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আমরা অনেকবার বলেছি এ বিষয়ে।’
সার্বিক বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ বলেন, ‘ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা দখলমুক্ত করতে অভিযান হচ্ছে নিয়মিত। নতুন করে কোনো দোকান বসছে না। সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হলে বর্তমান সমস্যাগুলোরও সমাধান হবে।’
সবুজায়ন প্রকল্প নিয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪