নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল (ক্যাবি)।
কর্মশালায় ‘পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড সেইফ হ্যান্ডলিং ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ক্যাবির প্রকল্প সমন্বয়ক দিলরুবা শারমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ১৯৯৭ সালে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৬৭ টনে। আর ২০২২ সালে তা ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে উন্নীত হয়।
দেশে গত পাঁচ বছরে বালাইনাশকের ব্যবহার ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে।
অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এতে ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটি, প্রজননক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া, স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে গেছে।
এখন ঘরে ঘরে ক্যানসারের রোগী রয়েছে উল্লেখ করে দিলরুবা শারমিন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে মাছ চাষেও কীটনাশকের ব্যবহার হচ্ছে; বিশেষ করে শুঁটকিতে প্রচুর প্রয়োগ হচ্ছে।
বায়ো-পেস্টিসাইড সম্পর্কে দিলরুবা শারমিন বলেন, দেশে ১১০টি বায়ো-পেস্টিসাইড নিবন্ধিত আছে। সরকার ৪০টি কীটনাশককে বন্ধ করে দিয়েছে।
বালাইনাশক ব্যবহারের সৃষ্ট বিষক্রিয়া সম্পর্কে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পোকা দমনে ব্যবহৃত বালাইনাশকের মধ্যে ৯৫ শতাংশই বিষক্রিয়া ঘটায়।
ক্যাবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে রেজিস্টার্ড বালাইনাশক রয়েছে ৮ হাজার ১৩টি, অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট রয়েছে ৩৬৩টি, আর বায়ো-পেস্টিসাইড আছে ১১০টি। দেশে বালাইনাশকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৭৫৪টি প্রতিষ্ঠান এবং বালাইনাশকের বাজার এখন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ফসলে কীটনাশক প্রয়োগে অসচেতনতার কথা তুলে ধরে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬০ শতাংশ কৃষকেরই নিরাপদ উপায়ে কীটনাশক প্রয়োগ নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই। ফলে ২৭ শতাংশ কৃষক কীটনাশক প্রয়োগের পর অসুস্থতা বোধ করেন। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশের তাদের বিক্রি করা বালাইনাশক নিয়ে জানাশোনা আছে, বাকিদের তা নেই।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ বলেন, কীটনাশকের ব্যবহার পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের জন্য হলেও এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অনেক রোগবালাইয়ের জন্ম হচ্ছে। তাই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখতে হবে। কৃষি খাতে উন্নতির ফলে সারা বছর শাকসবজি পাওয়া গেলেও সেগুলো কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেননা ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৪ শতাংশই কৃষক। তাঁরা কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আব্দুল মুঈদ আরও বলেন, ১৯৫৩ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়। তখন রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিরা ভাবত ‘বোকার ফসল পোকা খায়’। সেটি কমানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি হচ্ছে। আর সে জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে বিশ্ব মনোযোগ দিচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন বাড়েনি। ২০৫০ সালের মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের কারণে ফসলে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এখন কীটনাশক ব্যবহারের আগে তারা চিন্তা করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা কীটনাশকের অযথা ব্যবহার কমাচ্ছে।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন ক্যাবির এশিয়াবিষয়ক ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সালেহ আহমেদ ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. দিলরুবা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল (ক্যাবি)।
কর্মশালায় ‘পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড সেইফ হ্যান্ডলিং ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ক্যাবির প্রকল্প সমন্বয়ক দিলরুবা শারমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ১৯৯৭ সালে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৬৭ টনে। আর ২০২২ সালে তা ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে উন্নীত হয়।
দেশে গত পাঁচ বছরে বালাইনাশকের ব্যবহার ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে।
অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এতে ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটি, প্রজননক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া, স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে গেছে।
এখন ঘরে ঘরে ক্যানসারের রোগী রয়েছে উল্লেখ করে দিলরুবা শারমিন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে মাছ চাষেও কীটনাশকের ব্যবহার হচ্ছে; বিশেষ করে শুঁটকিতে প্রচুর প্রয়োগ হচ্ছে।
বায়ো-পেস্টিসাইড সম্পর্কে দিলরুবা শারমিন বলেন, দেশে ১১০টি বায়ো-পেস্টিসাইড নিবন্ধিত আছে। সরকার ৪০টি কীটনাশককে বন্ধ করে দিয়েছে।
বালাইনাশক ব্যবহারের সৃষ্ট বিষক্রিয়া সম্পর্কে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পোকা দমনে ব্যবহৃত বালাইনাশকের মধ্যে ৯৫ শতাংশই বিষক্রিয়া ঘটায়।
ক্যাবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে রেজিস্টার্ড বালাইনাশক রয়েছে ৮ হাজার ১৩টি, অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট রয়েছে ৩৬৩টি, আর বায়ো-পেস্টিসাইড আছে ১১০টি। দেশে বালাইনাশকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৭৫৪টি প্রতিষ্ঠান এবং বালাইনাশকের বাজার এখন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ফসলে কীটনাশক প্রয়োগে অসচেতনতার কথা তুলে ধরে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬০ শতাংশ কৃষকেরই নিরাপদ উপায়ে কীটনাশক প্রয়োগ নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই। ফলে ২৭ শতাংশ কৃষক কীটনাশক প্রয়োগের পর অসুস্থতা বোধ করেন। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশের তাদের বিক্রি করা বালাইনাশক নিয়ে জানাশোনা আছে, বাকিদের তা নেই।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ বলেন, কীটনাশকের ব্যবহার পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের জন্য হলেও এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অনেক রোগবালাইয়ের জন্ম হচ্ছে। তাই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখতে হবে। কৃষি খাতে উন্নতির ফলে সারা বছর শাকসবজি পাওয়া গেলেও সেগুলো কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেননা ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৪ শতাংশই কৃষক। তাঁরা কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আব্দুল মুঈদ আরও বলেন, ১৯৫৩ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়। তখন রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিরা ভাবত ‘বোকার ফসল পোকা খায়’। সেটি কমানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি হচ্ছে। আর সে জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে বিশ্ব মনোযোগ দিচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন বাড়েনি। ২০৫০ সালের মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের কারণে ফসলে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এখন কীটনাশক ব্যবহারের আগে তারা চিন্তা করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা কীটনাশকের অযথা ব্যবহার কমাচ্ছে।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন ক্যাবির এশিয়াবিষয়ক ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সালেহ আহমেদ ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. দিলরুবা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল (ক্যাবি)।
কর্মশালায় ‘পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড সেইফ হ্যান্ডলিং ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ক্যাবির প্রকল্প সমন্বয়ক দিলরুবা শারমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ১৯৯৭ সালে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৬৭ টনে। আর ২০২২ সালে তা ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে উন্নীত হয়।
দেশে গত পাঁচ বছরে বালাইনাশকের ব্যবহার ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে।
অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এতে ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটি, প্রজননক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া, স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে গেছে।
এখন ঘরে ঘরে ক্যানসারের রোগী রয়েছে উল্লেখ করে দিলরুবা শারমিন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে মাছ চাষেও কীটনাশকের ব্যবহার হচ্ছে; বিশেষ করে শুঁটকিতে প্রচুর প্রয়োগ হচ্ছে।
বায়ো-পেস্টিসাইড সম্পর্কে দিলরুবা শারমিন বলেন, দেশে ১১০টি বায়ো-পেস্টিসাইড নিবন্ধিত আছে। সরকার ৪০টি কীটনাশককে বন্ধ করে দিয়েছে।
বালাইনাশক ব্যবহারের সৃষ্ট বিষক্রিয়া সম্পর্কে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পোকা দমনে ব্যবহৃত বালাইনাশকের মধ্যে ৯৫ শতাংশই বিষক্রিয়া ঘটায়।
ক্যাবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে রেজিস্টার্ড বালাইনাশক রয়েছে ৮ হাজার ১৩টি, অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট রয়েছে ৩৬৩টি, আর বায়ো-পেস্টিসাইড আছে ১১০টি। দেশে বালাইনাশকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৭৫৪টি প্রতিষ্ঠান এবং বালাইনাশকের বাজার এখন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ফসলে কীটনাশক প্রয়োগে অসচেতনতার কথা তুলে ধরে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬০ শতাংশ কৃষকেরই নিরাপদ উপায়ে কীটনাশক প্রয়োগ নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই। ফলে ২৭ শতাংশ কৃষক কীটনাশক প্রয়োগের পর অসুস্থতা বোধ করেন। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশের তাদের বিক্রি করা বালাইনাশক নিয়ে জানাশোনা আছে, বাকিদের তা নেই।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ বলেন, কীটনাশকের ব্যবহার পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের জন্য হলেও এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অনেক রোগবালাইয়ের জন্ম হচ্ছে। তাই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখতে হবে। কৃষি খাতে উন্নতির ফলে সারা বছর শাকসবজি পাওয়া গেলেও সেগুলো কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেননা ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৪ শতাংশই কৃষক। তাঁরা কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আব্দুল মুঈদ আরও বলেন, ১৯৫৩ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়। তখন রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিরা ভাবত ‘বোকার ফসল পোকা খায়’। সেটি কমানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি হচ্ছে। আর সে জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে বিশ্ব মনোযোগ দিচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন বাড়েনি। ২০৫০ সালের মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের কারণে ফসলে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এখন কীটনাশক ব্যবহারের আগে তারা চিন্তা করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা কীটনাশকের অযথা ব্যবহার কমাচ্ছে।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন ক্যাবির এশিয়াবিষয়ক ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সালেহ আহমেদ ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. দিলরুবা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
‘জার্নালিস্ট ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল (ক্যাবি)।
কর্মশালায় ‘পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড সেইফ হ্যান্ডলিং ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ক্যাবির প্রকল্প সমন্বয়ক দিলরুবা শারমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ১৯৯৭ সালে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩৬৭ টনে। আর ২০২২ সালে তা ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে উন্নীত হয়।
দেশে গত পাঁচ বছরে বালাইনাশকের ব্যবহার ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধান, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনে এসব কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে।
অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এতে ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটি, প্রজননক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া, স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে গেছে।
এখন ঘরে ঘরে ক্যানসারের রোগী রয়েছে উল্লেখ করে দিলরুবা শারমিন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে মাছ চাষেও কীটনাশকের ব্যবহার হচ্ছে; বিশেষ করে শুঁটকিতে প্রচুর প্রয়োগ হচ্ছে।
বায়ো-পেস্টিসাইড সম্পর্কে দিলরুবা শারমিন বলেন, দেশে ১১০টি বায়ো-পেস্টিসাইড নিবন্ধিত আছে। সরকার ৪০টি কীটনাশককে বন্ধ করে দিয়েছে।
বালাইনাশক ব্যবহারের সৃষ্ট বিষক্রিয়া সম্পর্কে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পোকা দমনে ব্যবহৃত বালাইনাশকের মধ্যে ৯৫ শতাংশই বিষক্রিয়া ঘটায়।
ক্যাবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে রেজিস্টার্ড বালাইনাশক রয়েছে ৮ হাজার ১৩টি, অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট রয়েছে ৩৬৩টি, আর বায়ো-পেস্টিসাইড আছে ১১০টি। দেশে বালাইনাশকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৭৫৪টি প্রতিষ্ঠান এবং বালাইনাশকের বাজার এখন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ফসলে কীটনাশক প্রয়োগে অসচেতনতার কথা তুলে ধরে ক্যাবির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬০ শতাংশ কৃষকেরই নিরাপদ উপায়ে কীটনাশক প্রয়োগ নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই। ফলে ২৭ শতাংশ কৃষক কীটনাশক প্রয়োগের পর অসুস্থতা বোধ করেন। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশের তাদের বিক্রি করা বালাইনাশক নিয়ে জানাশোনা আছে, বাকিদের তা নেই।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুঈদ বলেন, কীটনাশকের ব্যবহার পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের জন্য হলেও এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কেননা কীটনাশক ব্যবহারের কারণে অনেক রোগবালাইয়ের জন্ম হচ্ছে। তাই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে স্বাস্থ্যের বিষয়টিও দেখতে হবে। কৃষি খাতে উন্নতির ফলে সারা বছর শাকসবজি পাওয়া গেলেও সেগুলো কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেননা ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৪ শতাংশই কৃষক। তাঁরা কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আব্দুল মুঈদ আরও বলেন, ১৯৫৩ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়। তখন রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিরা ভাবত ‘বোকার ফসল পোকা খায়’। সেটি কমানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি হচ্ছে। আর সে জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে বিশ্ব মনোযোগ দিচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ছাইফুল আলম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন বাড়েনি। ২০৫০ সালের মধ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের কারণে ফসলে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এখন কীটনাশক ব্যবহারের আগে তারা চিন্তা করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা কীটনাশকের অযথা ব্যবহার কমাচ্ছে।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন ক্যাবির এশিয়াবিষয়ক ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন ম্যানেজার আজমত আব্বাস, বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. সালেহ আহমেদ ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. দিলরুবা শারমিন। উপস্থিত ছিলেন সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়
১ দিন আগে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়
১ দিন আগে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে আজ দুপুরের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই অঞ্চলের নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার সময় বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে দুর্বল হয়ে যাবে। অবশ্য এর প্রভাবে গতকাল রাত থেকেই চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আজ সিলেট অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। সুস্পষ্ট লঘুচাপ চলে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে হবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে হবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৮ মিনিটে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে আজ দুপুরের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই অঞ্চলের নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার সময় বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে দুর্বল হয়ে যাবে। অবশ্য এর প্রভাবে গতকাল রাত থেকেই চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া আজ সিলেট অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। সুস্পষ্ট লঘুচাপ চলে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে হবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে হবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় সকাল ৬টা ৮ মিনিটে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়
১ দিন আগে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে বাস্তবায়িত ৮৯১টি প্রকল্পে অনিয়মের আনুমানিক পরিমাণ বলা হয়েছে ২৪৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ হাজার ১১০ কোটি টাকা)।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) টিআইবির ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. মাহফুজুল হক এবং রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মো. সহিদুল ইসলাম। এ সময় সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও ছিলেন।
প্রতিবেদনে ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত ১২টি তহবিলের আওতায় ৯৪২টি প্রকল্পের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রণীত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। অর্থের চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যপূর্ণ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব প্রকট।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবচেয়ে বিপদাপন্ন অঞ্চলে বরাদ্দের অগ্রাধিকার কম এবং অনেক প্রকল্প বাস্তবে জলবায়ু অভিযোজনের সঙ্গে সম্পর্কহীন। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, জলবায়ু তহবিলের অর্থে সাফারি পার্ক ও ইকোপার্ক নির্মাণের মতো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেখানে নিম্নমানের কাজ, অর্থ আত্মসাৎ ও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং ব্যর্থতার প্রকটতাও গবেষণায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির (৬১ দশমিক ৬ শতাংশ) মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গড়ে প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বেড়ে ১ হাজার ৫১৫ দিনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ১৩৩ শতাংশের বেশি সময় লেগেছে। কোনো কোনো প্রকল্পে চার বছরের পরিবর্তে ১৪ বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে।
টিআইবির অভিযোগ, জলবায়ু অর্থায়নে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিবছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা পেয়েছি মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা অত্যন্ত নগণ্য।’
গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করেছে টিআইবি। সেগুলো হলো—
১. বিসিসিএসএপি ২০০৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ হালনাগাদ করে যুগোপযোগী করতে হবে। জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নে ট্রাস্ট ফান্ড এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতার জলবায়ু-সংশ্লিষ্ট অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
২. জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ সংশোধন করতে হবে। আইনে ট্রাস্টের জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ক ধারা সংযোজন করতে হবে। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিধান যুক্ত করতে হবে। ট্রাস্ট থেকে কমপক্ষে একজন বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাকে প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল অর্জনে সক্ষম বা ট্রান্সফর্মেটিভ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তহবিলের আওতায় অর্থ বরাদ্দের সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত এবং অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশে প্রচলিত আইন, যেগুলো ট্রাস্টের জন্য প্রযোজ্য, তা সুনির্দিষ্ট করে ট্রাস্ট আইনে উল্লেখ করতে হবে। আর্থিক ও কারিগরি ব্যবস্থাপক হিসেবে বিসিসিটির কর্মকর্তাদের প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন, প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি ও শর্তাবলি নির্ধারণ, প্রকল্প অনুমোদন, প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও অর্থ ছাড়, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প তদারকি, প্রকল্প পরিবীক্ষণ এবং নথি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। দুর্নীতি ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ, অংশীজনের অংশগ্রহণ, তহবিল ও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট তথ্য উন্মুক্তকরণ, পরিবেশ ও সামাজিক মূল্যায়ন এবং নিয়মিত নিরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয় নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩. রাজস্ব বাজেটের বাইরে বিসিসিটিকে উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম, যেমন—আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল, কার্বন ট্রেডিং, ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজমসহ বেসরকারি অর্থায়ন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৪. থিমভিত্তিক, বিপদাপন্নতা ও ঝুঁকির ভৌগোলিক বিন্যাসভিত্তিক এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে বিসিসিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি সমন্বিত পথ নকশা প্রস্তুত করতে হবে। পথ নকশায় মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করে সেই অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ, প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. বিসিসিটির আওতায় স্বল্পমেয়াদি এবং টাকার অঙ্ক ক্ষুদ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিহার করতে হবে। প্রান্তিক, দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ জেলা, উপজেলা এবং স্থান যেখানে সাধারণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় এমন স্থানে বিসিসিটি থেকে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৬. বাংলাদেশে বাস্তবায়িত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলের প্রকল্প নিয়মিত তদারকি ও নিরীক্ষা করার জন্য একটি পৃথক স্বাধীন তদারকি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৭. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে প্রকল্প অনুমোদন এবং বাস্তবায়নসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে জলবায়ু তহবিল কার্যকরভাবে পৌঁছানো নিশ্চিতে বিপদাপন্নতার সূচক এবং ভৌগোলিক বা স্থানিক ঝুঁকিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৮. জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ের জন্য ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনাসহ অংশীজন সমন্বয় ও আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. তহবিলসমূহের প্রকল্প বাস্তবায়নে বিবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, অবকাঠামো ও সৌর সড়কবাতি-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত করতে হবে।

বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে বাস্তবায়িত ৮৯১টি প্রকল্পে অনিয়মের আনুমানিক পরিমাণ বলা হয়েছে ২৪৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ হাজার ১১০ কোটি টাকা)।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) টিআইবির ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. মাহফুজুল হক এবং রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মো. সহিদুল ইসলাম। এ সময় সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও ছিলেন।
প্রতিবেদনে ২০০৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত ১২টি তহবিলের আওতায় ৯৪২টি প্রকল্পের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রণীত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। অর্থের চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যপূর্ণ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব প্রকট।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবচেয়ে বিপদাপন্ন অঞ্চলে বরাদ্দের অগ্রাধিকার কম এবং অনেক প্রকল্প বাস্তবে জলবায়ু অভিযোজনের সঙ্গে সম্পর্কহীন। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, জলবায়ু তহবিলের অর্থে সাফারি পার্ক ও ইকোপার্ক নির্মাণের মতো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেখানে নিম্নমানের কাজ, অর্থ আত্মসাৎ ও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং ব্যর্থতার প্রকটতাও গবেষণায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির (৬১ দশমিক ৬ শতাংশ) মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গড়ে প্রকল্পের মেয়াদ ৬৪৮ দিন থেকে বেড়ে ১ হাজার ৫১৫ দিনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ১৩৩ শতাংশের বেশি সময় লেগেছে। কোনো কোনো প্রকল্পে চার বছরের পরিবর্তে ১৪ বছর পর্যন্ত সময় লেগেছে।
টিআইবির অভিযোগ, জলবায়ু অর্থায়নে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিবছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা পেয়েছি মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা অত্যন্ত নগণ্য।’
গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করেছে টিআইবি। সেগুলো হলো—
১. বিসিসিএসএপি ২০০৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ হালনাগাদ করে যুগোপযোগী করতে হবে। জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নে ট্রাস্ট ফান্ড এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতার জলবায়ু-সংশ্লিষ্ট অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
২. জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ সংশোধন করতে হবে। আইনে ট্রাস্টের জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ক ধারা সংযোজন করতে হবে। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিধান যুক্ত করতে হবে। ট্রাস্ট থেকে কমপক্ষে একজন বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাকে প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল অর্জনে সক্ষম বা ট্রান্সফর্মেটিভ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তহবিলের আওতায় অর্থ বরাদ্দের সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত এবং অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশে প্রচলিত আইন, যেগুলো ট্রাস্টের জন্য প্রযোজ্য, তা সুনির্দিষ্ট করে ট্রাস্ট আইনে উল্লেখ করতে হবে। আর্থিক ও কারিগরি ব্যবস্থাপক হিসেবে বিসিসিটির কর্মকর্তাদের প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন, প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি ও শর্তাবলি নির্ধারণ, প্রকল্প অনুমোদন, প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও অর্থ ছাড়, মাঠপর্যায়ে প্রকল্প তদারকি, প্রকল্প পরিবীক্ষণ এবং নথি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। দুর্নীতি ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধ, অংশীজনের অংশগ্রহণ, তহবিল ও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট তথ্য উন্মুক্তকরণ, পরিবেশ ও সামাজিক মূল্যায়ন এবং নিয়মিত নিরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয় নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩. রাজস্ব বাজেটের বাইরে বিসিসিটিকে উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম, যেমন—আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল, কার্বন ট্রেডিং, ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজমসহ বেসরকারি অর্থায়ন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৪. থিমভিত্তিক, বিপদাপন্নতা ও ঝুঁকির ভৌগোলিক বিন্যাসভিত্তিক এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে বিসিসিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি সমন্বিত পথ নকশা প্রস্তুত করতে হবে। পথ নকশায় মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করে সেই অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ, প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. বিসিসিটির আওতায় স্বল্পমেয়াদি এবং টাকার অঙ্ক ক্ষুদ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিহার করতে হবে। প্রান্তিক, দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ জেলা, উপজেলা এবং স্থান যেখানে সাধারণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় এমন স্থানে বিসিসিটি থেকে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৬. বাংলাদেশে বাস্তবায়িত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলের প্রকল্প নিয়মিত তদারকি ও নিরীক্ষা করার জন্য একটি পৃথক স্বাধীন তদারকি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৭. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে প্রকল্প অনুমোদন এবং বাস্তবায়নসহ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে জলবায়ু তহবিল কার্যকরভাবে পৌঁছানো নিশ্চিতে বিপদাপন্নতার সূচক এবং ভৌগোলিক বা স্থানিক ঝুঁকিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৮. জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ের জন্য ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে। সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনাসহ অংশীজন সমন্বয় ও আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. তহবিলসমূহের প্রকল্প বাস্তবায়নে বিবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, অবকাঠামো ও সৌর সড়কবাতি-সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত করতে হবে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে এই লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে এই লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কীটনাশকের ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার টন। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৩ টনে। অর্থাৎ, পাঁচ দশকের ব্যবধানে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণ। কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ার এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায়।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের জলবায়ু তহবিলের বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জলবায়ু তহবিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) বরাদ্দের ৫৪ শতাংশেই দুর্নীতি হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়
১ দিন আগে