নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্যারিস চুক্তির পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের পরিবেশবাদীরা তাকিয়ে ছিলেন এই সম্মেলনের দিকে। আমেরিকা বা চীন এই সম্মেলনের ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটিও। এটিকে একটি আশার দিক হিসেবে বলছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু গবেষকেরা। তাঁদের মতে, শতভাগ প্রত্যাশা পূরণ না হলেও ব্যর্থ হয়নি এই সম্মেলন। স্কটল্যান্ড গ্লাসগোর একটানা ১৩ দিনের পর শেষ হয়েছে কপ ২৬ সম্মেলন।
গত বুধবার সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ হয়। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে থাকা বিশ্বকে নাড়া দিতে পেরেছে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। বিশেষ করে ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পেরেছে। বাংলাদেশ ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি তুলেছেন তা অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশও সমর্থন দিয়েছে।
পৃথিবীকে বাঁচাতে এই সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতারেসে বলেছেন, পরিবেশ ধ্বংস করে আমরাই নিজেদের কবর খুঁড়ছি। পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানো না গেলে বিশ্ব নেতাদের কখনো ক্ষমা করা হবে না।
বিশ্ব উষ্ণতা আর বাড়তে না দেওয়া, মিথেন গ্যাসের ব্যবহার কমানো, বনাঞ্চল ধ্বংস না করা, কয়লার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনাসহ নানা অর্জন এসেছে এই সম্মেলন থেকে। ১২ নভেম্বর শেষ হওয়া এই সম্মেলন নতুন করে পৃথিবীকে মনে করিয়ে দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা। জলবায়ু গবেষকেরা বলছেন, এমন এক সময় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো যখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবীবাসী নানাভাবে আক্রান্ত। দুনিয়ার এক প্রান্তে যখন তীব্র দাবদাহ অন্য দিকে তখন চলছে ঝড়, অতিবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশও আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। এই সময় এমন একটি সম্মেলন খুব দরকার ছিল বলে মনে করছেন তারা।
কয়েকটি যুক্তি দেখিয়ে এই সম্মেলনকে সফল বলছেন গবেষকেরা। কয়লা থেকে বিশ্বে মোট কার্বন নিঃসরণ হয় ৩৭ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো। আর উন্নয়নশীল দেশগুলো ২০৪০ এর মধ্যে এটি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কিছু দেশ এতে রাজি নন। এদিকে মিথেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের ১০৩টি দেশ। চুক্তিতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ মিথেন গ্যাস কমানোর উদ্যোগ নেবে দেশগুলো। কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি তাপ বাড়ায় মিথেন গ্যাস। এটি কার্যকর হলে বিশ্বের মোট তাপমাত্রার শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ কমে যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে এটির বাস্তবায়ন কতটুকু হবে তার ওপরে। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। এই সম্মেলনের পরিণতি তেমনটি হবে বলে আশা করছেন তিনি। পৃথিবীর সব নেতাদের এক মঞ্চে বসিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করতে পারাটাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিল দেওয়ার ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশগুলো কথা দিয়েছে-এটা বড় আশার দিক।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনসহ জলবায়ু পরিবর্তনে লিঙ্গবৈষম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতৃত্ব নারীর ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে।
এ ছাড়া ২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের নতুন প্রোগ্রামও ঘোষণা করেছেন জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক মন্ত্রী অলোক শর্মা। এই অর্থের মাধ্যমে অভিযোজন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ, দূষণ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু নেতা হিসেবে ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন জলবায়ু তহবিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রেখেছে। তহবিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে বছরে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল। এটি যেহেতু কার্যকর হয়নি। তাই আগামী ২০২৩ সাল থেকে এটি কার্যকর করা হবে সম্মেলনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা বলার মতো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকা জরুরি। এই সম্মেলন সেই সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। জলবায়ু তহবিল গঠনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আশাবাদী হয়েছে। এমন সম্মেলন বারবার হলে পৃথিবীর মানুষ আরও সচেতন হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধ করা হবে বলে রাজি হয়েছে বিশ্বের ১১০টি দেশ। এ জন্য ১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার তহবিলের অঙ্গীকার এসেছে। এটি করা গেলে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমবে। অক্সিজেন বাড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বাড়তে না দেওয়ার ব্যাপারে বেশির ভাগ দেশই একমত হয়েছে। যদিও এটি প্যারিস চুক্তিতে থাকার পরও বাস্তবায়ন হয়নি।
জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, সারা বিশ্বের পরিবেশবাদীরা অনেক আশাবাদী ছিল এই সম্মেলন নিয়ে। তার সবটুকু পূরণ হয়নি। তবে যতটুকু হয়েছে তাও কম নয়। আসলে এই সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে শিল্পোন্নত দেশের নেতাদের ওপর। তারা চাইলেই এই সম্মেলন সফল হবে। না চাইলে ব্যর্থ হবে।

প্যারিস চুক্তির পর এটি ছিল সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের পরিবেশবাদীরা তাকিয়ে ছিলেন এই সম্মেলনের দিকে। আমেরিকা বা চীন এই সম্মেলনের ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটিও। এটিকে একটি আশার দিক হিসেবে বলছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু গবেষকেরা। তাঁদের মতে, শতভাগ প্রত্যাশা পূরণ না হলেও ব্যর্থ হয়নি এই সম্মেলন। স্কটল্যান্ড গ্লাসগোর একটানা ১৩ দিনের পর শেষ হয়েছে কপ ২৬ সম্মেলন।
গত বুধবার সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ হয়। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে থাকা বিশ্বকে নাড়া দিতে পেরেছে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। বিশেষ করে ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পেরেছে। বাংলাদেশ ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি তুলেছেন তা অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশও সমর্থন দিয়েছে।
পৃথিবীকে বাঁচাতে এই সম্মেলনের সূচনা বক্তব্যে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতারেসে বলেছেন, পরিবেশ ধ্বংস করে আমরাই নিজেদের কবর খুঁড়ছি। পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানো না গেলে বিশ্ব নেতাদের কখনো ক্ষমা করা হবে না।
বিশ্ব উষ্ণতা আর বাড়তে না দেওয়া, মিথেন গ্যাসের ব্যবহার কমানো, বনাঞ্চল ধ্বংস না করা, কয়লার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনাসহ নানা অর্জন এসেছে এই সম্মেলন থেকে। ১২ নভেম্বর শেষ হওয়া এই সম্মেলন নতুন করে পৃথিবীকে মনে করিয়ে দিয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা। জলবায়ু গবেষকেরা বলছেন, এমন এক সময় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো যখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবীবাসী নানাভাবে আক্রান্ত। দুনিয়ার এক প্রান্তে যখন তীব্র দাবদাহ অন্য দিকে তখন চলছে ঝড়, অতিবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশও আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। এই সময় এমন একটি সম্মেলন খুব দরকার ছিল বলে মনে করছেন তারা।
কয়েকটি যুক্তি দেখিয়ে এই সম্মেলনকে সফল বলছেন গবেষকেরা। কয়লা থেকে বিশ্বে মোট কার্বন নিঃসরণ হয় ৩৭ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো। আর উন্নয়নশীল দেশগুলো ২০৪০ এর মধ্যে এটি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কিছু দেশ এতে রাজি নন। এদিকে মিথেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের ১০৩টি দেশ। চুক্তিতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ মিথেন গ্যাস কমানোর উদ্যোগ নেবে দেশগুলো। কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি তাপ বাড়ায় মিথেন গ্যাস। এটি কার্যকর হলে বিশ্বের মোট তাপমাত্রার শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ কমে যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে এটির বাস্তবায়ন কতটুকু হবে তার ওপরে। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। এই সম্মেলনের পরিণতি তেমনটি হবে বলে আশা করছেন তিনি। পৃথিবীর সব নেতাদের এক মঞ্চে বসিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করতে পারাটাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিল দেওয়ার ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশগুলো কথা দিয়েছে-এটা বড় আশার দিক।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনসহ জলবায়ু পরিবর্তনে লিঙ্গবৈষম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতৃত্ব নারীর ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে।
এ ছাড়া ২০২১ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের নতুন প্রোগ্রামও ঘোষণা করেছেন জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক মন্ত্রী অলোক শর্মা। এই অর্থের মাধ্যমে অভিযোজন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ, দূষণ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু নেতা হিসেবে ক্ষমতায়নে ব্যবহার করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন জলবায়ু তহবিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রেখেছে। তহবিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে বছরে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা ছিল। এটি যেহেতু কার্যকর হয়নি। তাই আগামী ২০২৩ সাল থেকে এটি কার্যকর করা হবে সম্মেলনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা বলার মতো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকা জরুরি। এই সম্মেলন সেই সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। জলবায়ু তহবিল গঠনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আশাবাদী হয়েছে। এমন সম্মেলন বারবার হলে পৃথিবীর মানুষ আরও সচেতন হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধ করা হবে বলে রাজি হয়েছে বিশ্বের ১১০টি দেশ। এ জন্য ১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার তহবিলের অঙ্গীকার এসেছে। এটি করা গেলে বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমবে। অক্সিজেন বাড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বাড়তে না দেওয়ার ব্যাপারে বেশির ভাগ দেশই একমত হয়েছে। যদিও এটি প্যারিস চুক্তিতে থাকার পরও বাস্তবায়ন হয়নি।
জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, সারা বিশ্বের পরিবেশবাদীরা অনেক আশাবাদী ছিল এই সম্মেলন নিয়ে। তার সবটুকু পূরণ হয়নি। তবে যতটুকু হয়েছে তাও কম নয়। আসলে এই সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে শিল্পোন্নত দেশের নেতাদের ওপর। তারা চাইলেই এই সম্মেলন সফল হবে। না চাইলে ব্যর্থ হবে।

রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৬ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
১ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ একই সময় এটি ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশে শীতের আমেজ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কয়েক দিন ধরেই দ্রুত কমছে। আজ বুধবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু পঞ্চগড় নয়, পুরো রংপুর বিভাগেই শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা রংপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজও রাজধানী ঢাকার আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজ দিনের প্রথমার্ধে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১২ মিনিটে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশ কমেছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে প্রতিদিনই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো কমেছে। ঢাকায়ও হালকা শীত পড়েছে। তবে আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

সারা দেশে শীতের আমেজ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কয়েক দিন ধরেই দ্রুত কমছে। আজ বুধবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু পঞ্চগড় নয়, পুরো রংপুর বিভাগেই শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা রংপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজও রাজধানী ঢাকার আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজ দিনের প্রথমার্ধে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১২ মিনিটে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশ কমেছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে প্রতিদিনই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো কমেছে। ঢাকায়ও হালকা শীত পড়েছে। তবে আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আমেরিকা বা চীন এই সম্মেলনের ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটিও। এটিকে একটি আশার দিক হিসেবে বলছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু গবেষকেরা
১৩ নভেম্বর ২০২১
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
১ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ একই সময় এটি ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই জলবায়ু অর্থায়নের জোর দাবি জানান।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম হলেও, অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তার তুলনায় প্রাপ্ত অর্থ অত্যন্ত সীমিত। প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হলেও বর্তমানে পাচ্ছে এর ১১ শতাংশেরও কম। এই ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামোর অভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও দায়ভার সবচেয়ে বেশি পড়ছে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর।
আন্তর্জাতিক অর্থায়নের ঘাটতির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ টেকসই অর্থায়ন ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হতাশাজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১৫ শতাংশ টেকসই অর্থায়নে বরাদ্দের কথা থাকলেও, অধিকাংশ ব্যাংক এই নির্দেশনা যথাযথভাবে কার্যকর করছে না।
কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি মুরাদ হোসেন রাজু বলেন, 'ধনী দেশগুলোর শিল্পায়নের কারণে সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের ভয়াবহ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ, বিশেষ করে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী। অথচ তারা ন্যায্য অর্থায়ন ও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। কপ-৩০-এ আমাদের দাবি স্পষ্ট—ন্যায্য জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।'
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর উম্মে সালমা পপি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'যে সংকট বাংলাদেশের সৃষ্টি নয়, তার আর্থিক দায়ভার এই দেশের জনগণের উপর বর্তানো অন্যায়। একইভাবে টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরই ঘাটতি রয়েছে। ২০২৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো টেকসই ও সবুজ শিল্পে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—যা হতাশাজনক।'
ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি পথনাটিকা পরিবেশিত হয়।
'অভিযোজন ফান্ডের টাকা নিয়া তালবাহানা চলবে না'—এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক – প্রান, ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (কোয়েন) যৌথভাবে এই ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করে।

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই জলবায়ু অর্থায়নের জোর দাবি জানান।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম হলেও, অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তার তুলনায় প্রাপ্ত অর্থ অত্যন্ত সীমিত। প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হলেও বর্তমানে পাচ্ছে এর ১১ শতাংশেরও কম। এই ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামোর অভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও দায়ভার সবচেয়ে বেশি পড়ছে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর।
আন্তর্জাতিক অর্থায়নের ঘাটতির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ টেকসই অর্থায়ন ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হতাশাজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১৫ শতাংশ টেকসই অর্থায়নে বরাদ্দের কথা থাকলেও, অধিকাংশ ব্যাংক এই নির্দেশনা যথাযথভাবে কার্যকর করছে না।
কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি মুরাদ হোসেন রাজু বলেন, 'ধনী দেশগুলোর শিল্পায়নের কারণে সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের ভয়াবহ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ, বিশেষ করে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী। অথচ তারা ন্যায্য অর্থায়ন ও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। কপ-৩০-এ আমাদের দাবি স্পষ্ট—ন্যায্য জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।'
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর উম্মে সালমা পপি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'যে সংকট বাংলাদেশের সৃষ্টি নয়, তার আর্থিক দায়ভার এই দেশের জনগণের উপর বর্তানো অন্যায়। একইভাবে টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরই ঘাটতি রয়েছে। ২০২৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো টেকসই ও সবুজ শিল্পে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—যা হতাশাজনক।'
ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি পথনাটিকা পরিবেশিত হয়।
'অভিযোজন ফান্ডের টাকা নিয়া তালবাহানা চলবে না'—এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক – প্রান, ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (কোয়েন) যৌথভাবে এই ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করে।

আমেরিকা বা চীন এই সম্মেলনের ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটিও। এটিকে একটি আশার দিক হিসেবে বলছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু গবেষকেরা
১৩ নভেম্বর ২০২১
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৬ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ একই সময় এটি ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। গতকালের মতো আজও বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২২১। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৭৩৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৪৩৬), উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (২০৮) ও ভারতের কলকাতা (১৯২)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। গতকালের মতো আজও বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২২১। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৭৩৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৪৩৬), উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (২০৮) ও ভারতের কলকাতা (১৯২)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

আমেরিকা বা চীন এই সম্মেলনের ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটিও। এটিকে একটি আশার দিক হিসেবে বলছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু গবেষকেরা
১৩ নভেম্বর ২০২১
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৬ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ একই সময় এটি ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের কাঁপন লেগেছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। কার্তিক মাসের বিদায় বেলায় সারা দেশেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ একই সময় এটি ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সূর্যের তাপ কমে এসেছে। দিনের ব্যাপ্তিও কমছে। উত্তর দিক থেকে হিমেল হাওয়া বইছে। স্বাভাবিকভাবেই এ সময় শীত পড়তে শুরু করেছে।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১২ মিনিটে।

শীতের কাঁপন লেগেছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। কার্তিক মাসের বিদায় বেলায় সারা দেশেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজ একই সময় এটি ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সূর্যের তাপ কমে এসেছে। দিনের ব্যাপ্তিও কমছে। উত্তর দিক থেকে হিমেল হাওয়া বইছে। স্বাভাবিকভাবেই এ সময় শীত পড়তে শুরু করেছে।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১২ মিনিটে।

আমেরিকা বা চীন এই সম্মেলনের ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটিও। এটিকে একটি আশার দিক হিসেবে বলছেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জলবায়ু গবেষকেরা
১৩ নভেম্বর ২০২১
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৬ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
১ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২ দিন আগে