থাইল্যান্ডের লোপবুরি শহরের আলাদা নাম আছে এখানকার বানরদের জন্য। এরা পর্যটক টানতেও ভূমিকা রাখে। তবে একই সঙ্গে অন্তত এক দশক ধরে শহরটির অধিবাসী ও বানররা মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সংঘাতের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। বানরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। তাই থাইল্যান্ডের বন্য প্রাণী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন এটা কাজ করবে।
বানররা প্রায়ই মানুষের কাছ থেকে খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কখনো কখনো মানুষকে আঁচড়ে দেয়। কিন্তু মার্চ মাসে মানুষের ক্ষোভ বেড়ে যায় যখন একটি বানর খাবার দখলের প্রচেষ্টায় এক নারীর পা টেনে ধরলে তাঁর হাঁটুর হাড় স্থানচ্যুত হয়। এ ছাড়া কাছাকাছি সময়ে একজন একটি ক্ষুধার্ত বানর আক্রমণ করলে এক মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়ে আঘাত পান।
প্রায় আড়াই হাজার শহুরে বানরকে ধরে বিশাল এক খাঁচায় পুরার পরিকল্পনা করা হয়েছে, জানান ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড প্ল্যান কনজারভেশনের মহাপরিচালক আথাপল চারোয়েনশুনসা। বন্য প্রাণী গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে শহরে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো বানরের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে।
‘আমি চাই না, মানুষ বানরকে আঘাত করুক। তেমনি বানরের দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হোক এটাও চাই না।’ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনের রিপোর্টারদের বলেন তিনি।
আক্রমণাত্মক আলফা পুরুষ বানর ধরায় অগ্রাধিকার দিয়ে গত সপ্তাহে একটি আনুষ্ঠানিক বানর ধরার অভিযান শুরু করা হয়। কিছু বানর ধরাও পড়েছে। যাদের বেশির ভাগকে পার্শ্ববর্তী প্রদেশ সারাবুরিতে বন্য প্রাণী কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। কয়েকটিকে লোপবুরি চিড়িয়াখানায়ও পাঠানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘের বা এনক্লোজারের কাজ শেষ হলে বাকি বানরগুলোকে ধরার পরিকল্পনা করছেন। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার বানরগুলোকে এর আওতায় আনা হবে। বানরের বিভিন্ন দলের মধ্যে লড়াই এড়ানোর জন্য আলাদা খাঁচা তৈরি করা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
আথাপল বলেন, তিনি আশা করেন যে অপারেশনের প্রথম ধাপটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে বিশাল খাঁচাগুলোতে কয়েক হাজার বানরের জায়গা হয়ে যাবে এবং খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
এখানে বলে রাখা ভালো, ব্যাংককের প্রায় ১৪০ কিলোমিটার উত্তরের শহরটির প্রাচীন তিনটি বৌদ্ধমন্দির একটি বার্ষিক ‘মানকি বুফে’ উৎসবের আয়োজন করে। এতে বানরের জন্য বিশাল ভোজের আয়োজন করা হয়। সাধারণত শহরজুড়ে দেখা যায় বানরদের। থাইল্যান্ডের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের অধীনে এই মাকাউ বানরেরা একটি সংরক্ষিত প্রজাতি।
কেউ কেউ শহরটির বানরের সমস্যার জন্য পর্যটকদের এবং এর বাসিন্দাদের পশুদের খাওয়ানোর জন্য দায়ী করেছেন। এই খাবার বানরদের শহরে নিয়ে আসতে এবং তাদের সংখ্যা বাড়ানোয় ভূমিকা রেখেছে। মানুষের কাছ থেকে খাবার পেতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে তারা।
আথাপোল বলেছেন, তাঁরা বানর নিয়ে সমস্যায় রয়েছে থাইল্যান্ডের এমন অন্যান্য এলাকায়ও কাজ করছেন। যেমন প্রজুয়াব কিরি খান এবং ফেতচাবুরি। তিনি বলেন, দেশের ৭৭টি প্রদেশের মধ্যে ৫২টি বানরের কারণে নিয়মিত সমস্যায় পড়ছে।
থাইল্যান্ডের লোপবুরি শহরের আলাদা নাম আছে এখানকার বানরদের জন্য। এরা পর্যটক টানতেও ভূমিকা রাখে। তবে একই সঙ্গে অন্তত এক দশক ধরে শহরটির অধিবাসী ও বানররা মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সংঘাতের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। বানরের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। তাই থাইল্যান্ডের বন্য প্রাণী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন এটা কাজ করবে।
বানররা প্রায়ই মানুষের কাছ থেকে খাবার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কখনো কখনো মানুষকে আঁচড়ে দেয়। কিন্তু মার্চ মাসে মানুষের ক্ষোভ বেড়ে যায় যখন একটি বানর খাবার দখলের প্রচেষ্টায় এক নারীর পা টেনে ধরলে তাঁর হাঁটুর হাড় স্থানচ্যুত হয়। এ ছাড়া কাছাকাছি সময়ে একজন একটি ক্ষুধার্ত বানর আক্রমণ করলে এক মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়ে আঘাত পান।
প্রায় আড়াই হাজার শহুরে বানরকে ধরে বিশাল এক খাঁচায় পুরার পরিকল্পনা করা হয়েছে, জানান ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড প্ল্যান কনজারভেশনের মহাপরিচালক আথাপল চারোয়েনশুনসা। বন্য প্রাণী গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে শহরে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানো বানরের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে।
‘আমি চাই না, মানুষ বানরকে আঘাত করুক। তেমনি বানরের দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হোক এটাও চাই না।’ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনের রিপোর্টারদের বলেন তিনি।
আক্রমণাত্মক আলফা পুরুষ বানর ধরায় অগ্রাধিকার দিয়ে গত সপ্তাহে একটি আনুষ্ঠানিক বানর ধরার অভিযান শুরু করা হয়। কিছু বানর ধরাও পড়েছে। যাদের বেশির ভাগকে পার্শ্ববর্তী প্রদেশ সারাবুরিতে বন্য প্রাণী কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। কয়েকটিকে লোপবুরি চিড়িয়াখানায়ও পাঠানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘের বা এনক্লোজারের কাজ শেষ হলে বাকি বানরগুলোকে ধরার পরিকল্পনা করছেন। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার বানরগুলোকে এর আওতায় আনা হবে। বানরের বিভিন্ন দলের মধ্যে লড়াই এড়ানোর জন্য আলাদা খাঁচা তৈরি করা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
আথাপল বলেন, তিনি আশা করেন যে অপারেশনের প্রথম ধাপটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে বিশাল খাঁচাগুলোতে কয়েক হাজার বানরের জায়গা হয়ে যাবে এবং খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
এখানে বলে রাখা ভালো, ব্যাংককের প্রায় ১৪০ কিলোমিটার উত্তরের শহরটির প্রাচীন তিনটি বৌদ্ধমন্দির একটি বার্ষিক ‘মানকি বুফে’ উৎসবের আয়োজন করে। এতে বানরের জন্য বিশাল ভোজের আয়োজন করা হয়। সাধারণত শহরজুড়ে দেখা যায় বানরদের। থাইল্যান্ডের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের অধীনে এই মাকাউ বানরেরা একটি সংরক্ষিত প্রজাতি।
কেউ কেউ শহরটির বানরের সমস্যার জন্য পর্যটকদের এবং এর বাসিন্দাদের পশুদের খাওয়ানোর জন্য দায়ী করেছেন। এই খাবার বানরদের শহরে নিয়ে আসতে এবং তাদের সংখ্যা বাড়ানোয় ভূমিকা রেখেছে। মানুষের কাছ থেকে খাবার পেতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে তারা।
আথাপোল বলেছেন, তাঁরা বানর নিয়ে সমস্যায় রয়েছে থাইল্যান্ডের এমন অন্যান্য এলাকায়ও কাজ করছেন। যেমন প্রজুয়াব কিরি খান এবং ফেতচাবুরি। তিনি বলেন, দেশের ৭৭টি প্রদেশের মধ্যে ৫২টি বানরের কারণে নিয়মিত সমস্যায় পড়ছে।
এদিকে, আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে উগান্ডার কাম্পালা। শহরটির বায়ুমান ১৮০, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা ও চিলির সান্তিয়াগো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৫২,১৫০, ১৩১ ও ১৩০।
১৫ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
২ দিন আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মুহুরী, গোমতী, সোমেশ্বরী ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
২ দিন আগে