নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের উপকূল থেকে মাত্র ২৯৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এটি আজ সকাল ৬টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে দেশের সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় জেলাগুলোতে সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১২০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হানে।
আজ রোববার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়। এর কেন্দ্র রাত ১২টায় উপকূল অতিক্রম করবে, পেছনের অংশ পার হতে রাত ৩টা বেজে যাবে। স্থলে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে। এরপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রিমাল সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল উপকূল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বীপগুলোর মাঝ দিয়ে অতিক্রম করতে পারে রিমাল। এ সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ দমকা হাওয়াসহ ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আর প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮৯ থেকে ১১৮ কিলোমিটারের মধ্যে। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে এটি উপকূলে আঘাত হানবে। তবে ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দুপুরের দিকেই উপকূলের জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাত বাড়বে।
অধিদপ্তর বলছে, রিমাল আজ সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
কোথায় কত সংকেত
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে
বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর,ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার থেকে অতিভারী ২৮৯ মিলিমিটার বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।
দেশের উপকূল থেকে মাত্র ২৯৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এটি আজ সকাল ৬টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে দেশের সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় জেলাগুলোতে সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১২০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হানে।
আজ রোববার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আজিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়। এর কেন্দ্র রাত ১২টায় উপকূল অতিক্রম করবে, পেছনের অংশ পার হতে রাত ৩টা বেজে যাবে। স্থলে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে। এরপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রিমাল সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল উপকূল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বীপগুলোর মাঝ দিয়ে অতিক্রম করতে পারে রিমাল। এ সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ দমকা হাওয়াসহ ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আর প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮৯ থেকে ১১৮ কিলোমিটারের মধ্যে। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে এটি উপকূলে আঘাত হানবে। তবে ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দুপুরের দিকেই উপকূলের জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাত বাড়বে।
অধিদপ্তর বলছে, রিমাল আজ সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
কোথায় কত সংকেত
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে
বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর,ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার থেকে অতিভারী ২৮৯ মিলিমিটার বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।
আজ সোমবার বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ৭৫, যা সহনীয় বাতাসের নির্দেশক। গতকাল রোববার সকাল ১১টা ২০ মিনিটের রেকর্ডে দেখা যায়, ঢাকার বায়ুমান ছিল ৯৭।
৩ ঘণ্টা আগেএদিকে, আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে উগান্ডার কাম্পালা। শহরটির বায়ুমান ১৮০, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা ও চিলির সান্তিয়াগো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৫২,১৫০, ১৩১ ও ১৩০।
১ দিন আগেআজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
২ দিন আগে