
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে যেখানে ছিল ৪১টি, ২০২৩ সালের জরিপে তা বেড়ে হয়েছে ১৪৩।
ওয়েফকমের মধ্যে আছে ১১টি জাতীয় উদ্যান ও ছয়টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এই অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির অসাধারণ এই তথ্য জানা যায়, থাইল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কস (ডিএনপি) এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) মিলিত এক সমীক্ষায়। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল গ্লোবাল ইকোলজি ও জার্নালে প্রকাশিত হয় সমীক্ষা নিয়ে প্রতিবেদনটি।
বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের পাশাপাশি প্রকাশিত অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এলাকাটির অন্তর্ভুক্ত প্রধান তিনটি সংরক্ষিত এলাকার একটি হুয়াই খা খায়েং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হরিণসহ বিভিন্ন খুরযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। অপর দুটি সংরক্ষিত এলাকা হলো থাং ইয়াই ইস্ট এবং থাং ইয়াই ওয়েস্ট।
ডব্লিউসিএস, থাইল্যান্ডের পরিচালক ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক জীববিদ পর্নকমল জর্নবুরম বলেন, এই সংখ্যা বৃদ্ধি বনের আরও কার্যকর ব্যবস্থাপনাকে প্রতিফলিত করছে। এটি এক দশকেরও বেশি সংরক্ষণ প্রচেষ্টার ফলাফল।
‘এই অরণ্য এলাকা অনেক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাসস্থান’ বলেন তিনি। জর্নবুরম আশা করেন, ওয়েফকম সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণীর সংখ্যা পুনরুদ্ধারে একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
ওয়েফকমের সংরক্ষণ প্রকল্পে ২০০৫ সাল থেকে কাজ করা এই নারী জানান, এই অরণ্যের ভূপ্রকৃতিতে নাটকীয় পরিবর্তন দেখেছেন তিনি।
অঞ্চলটির বন্যপ্রাণীর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি চোরা শিকার। বন রক্ষায় কাজ করা রেঞ্জারদের টহল ও নজরদারির মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০৫ সালে এমন টহল সংখ্যায় সীমিত এবং সুবিন্যস্ত ছিল না বলে জানান জর্নবুরম।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বাঘ সংরক্ষণ করব, এটি আরও নানা প্রজাতি সংরক্ষণে সাহায্য করে। শুধু তাদের শিকার নয়, আবাসস্থলও এর মধ্যে পড়ে।’
ডব্লিওসিএসের দেওয়া তথ্য বলছে, ওয়েফকম শুধু থাইল্যান্ড নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূমির সবচেয়ে বড় অরণ্যাঞ্চল। এটি কেবল বাঘের বসবাসের এলাকা নয়। বুনো হাতি, ধনেশ, বান্টেংসহ (এক ধরনের বন গরু) ১৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৪৯০ প্রজাতির পাখি এবং ৯০ প্রজাতির সরীসৃপের বাস এখানে।
এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
বেশির ভাগ বাঘ সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় ছোট, বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলো রক্ষা করায় দৃষ্টি দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েফকম বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বন করিডরের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষিত এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। বাঘের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি বাঘের বিচরণের এলাকা ৩০০ বর্গকিলোমিটার বা ১১৫ বর্গমাইল পর্যন্ত হতে পারে।
নতুন গবেষণায় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৬৭টি বাঘ শাবকের ছবির সন্ধান মিলেছে। এটি প্রমাণ করে এখানকার বাঘেরা বংশবিস্তার করছে এবং সংখ্যায় বাড়ছে।
জর্নবুরম জানান, ডিএনপি ডব্লিউসিএসের সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সংরক্ষণব্যবস্থা গড়তে ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।
টহল দলগুলো বিভিন্ন জায়গার অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে জিপিএস ব্যবহার করা শুরু হয়। তথ্য সংগ্রহের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করায় টহল পথ, বন্যপ্রাণী বিচরণ এবং অবৈধ কার্যকলাপের স্থানগুলো শনাক্ত করা সহজ হয়।
২০০৭ সালে গবেষকেরা ক্যামেরা ট্র্যাপ বসানো শুরু করেন অরণ্য এলাকায়। এতে পাওয়া ফলাফল একটি তথ্যের ভান্ডার হিসেবে কাজ করছে এবং বর্তমান গবেষণায় তিনটি প্রধান সংরক্ষিত এলাকায় বাঘের সংখ্যা যাচাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।
এখানে বলে রাখা ভালো, আঙুলের ছাপের মাধ্যমে যেমন মানুষ শনাক্ত করা সম্ভব, তেমনি প্রতিটি বাঘকে তাদের অনন্য ডোরা দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা যায়।
থাইল্যান্ডের এই সাফল্য আশা জাগালেও গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি মোটেই আশাব্যাঞ্জক নয়। একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বাঘের বিচরণ থাকলেও বিশ শতকে সিঙ্গাপুর, জাভা ও বালি থেকে হারিয়ে গেছে বাঘ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুনো বাঘ হারিয়ে গেছে ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়ার অরণ্য থেকে।
ফলে এখন বিচ্ছিন্নভাবে বাঘের ছোট ছোট বসতি আছে মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও মালয়েশিয়ায়। এর মধ্যে সম্প্রতি কয়েকটি বাঘের মৃত্যু মালয়েশিয়ার বাঘেদের নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে।
ডিএনপির সবচেয়ে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডে বুনো বাঘের বর্তমান সংখ্যা ১৭৯ থেকে ২২৩। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৪৮ থেকে ১৮৯।
জর্নবুরম আশাবাদী যে টহল ও তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হলে ওয়েফকম এলাকার বাঘের জনসংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি অন্যান্য জাতীয় উদ্যানেও তাদের বাঘের সংখ্যা বাঁচাতে মডেলটি গ্রহণ করবে।
‘আমি মনে করি, এটি অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকার জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক মডেল। শুধু থাইল্যান্ডে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও এটি কাজে লাগাতে পারে।’ বলেন তিনি।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে যেখানে ছিল ৪১টি, ২০২৩ সালের জরিপে তা বেড়ে হয়েছে ১৪৩।
ওয়েফকমের মধ্যে আছে ১১টি জাতীয় উদ্যান ও ছয়টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এই অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির অসাধারণ এই তথ্য জানা যায়, থাইল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কস (ডিএনপি) এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) মিলিত এক সমীক্ষায়। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল গ্লোবাল ইকোলজি ও জার্নালে প্রকাশিত হয় সমীক্ষা নিয়ে প্রতিবেদনটি।
বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের পাশাপাশি প্রকাশিত অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এলাকাটির অন্তর্ভুক্ত প্রধান তিনটি সংরক্ষিত এলাকার একটি হুয়াই খা খায়েং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হরিণসহ বিভিন্ন খুরযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। অপর দুটি সংরক্ষিত এলাকা হলো থাং ইয়াই ইস্ট এবং থাং ইয়াই ওয়েস্ট।
ডব্লিউসিএস, থাইল্যান্ডের পরিচালক ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক জীববিদ পর্নকমল জর্নবুরম বলেন, এই সংখ্যা বৃদ্ধি বনের আরও কার্যকর ব্যবস্থাপনাকে প্রতিফলিত করছে। এটি এক দশকেরও বেশি সংরক্ষণ প্রচেষ্টার ফলাফল।
‘এই অরণ্য এলাকা অনেক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাসস্থান’ বলেন তিনি। জর্নবুরম আশা করেন, ওয়েফকম সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণীর সংখ্যা পুনরুদ্ধারে একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
ওয়েফকমের সংরক্ষণ প্রকল্পে ২০০৫ সাল থেকে কাজ করা এই নারী জানান, এই অরণ্যের ভূপ্রকৃতিতে নাটকীয় পরিবর্তন দেখেছেন তিনি।
অঞ্চলটির বন্যপ্রাণীর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি চোরা শিকার। বন রক্ষায় কাজ করা রেঞ্জারদের টহল ও নজরদারির মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০৫ সালে এমন টহল সংখ্যায় সীমিত এবং সুবিন্যস্ত ছিল না বলে জানান জর্নবুরম।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বাঘ সংরক্ষণ করব, এটি আরও নানা প্রজাতি সংরক্ষণে সাহায্য করে। শুধু তাদের শিকার নয়, আবাসস্থলও এর মধ্যে পড়ে।’
ডব্লিওসিএসের দেওয়া তথ্য বলছে, ওয়েফকম শুধু থাইল্যান্ড নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূমির সবচেয়ে বড় অরণ্যাঞ্চল। এটি কেবল বাঘের বসবাসের এলাকা নয়। বুনো হাতি, ধনেশ, বান্টেংসহ (এক ধরনের বন গরু) ১৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৪৯০ প্রজাতির পাখি এবং ৯০ প্রজাতির সরীসৃপের বাস এখানে।
এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
বেশির ভাগ বাঘ সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় ছোট, বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলো রক্ষা করায় দৃষ্টি দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েফকম বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বন করিডরের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষিত এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। বাঘের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি বাঘের বিচরণের এলাকা ৩০০ বর্গকিলোমিটার বা ১১৫ বর্গমাইল পর্যন্ত হতে পারে।
নতুন গবেষণায় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৬৭টি বাঘ শাবকের ছবির সন্ধান মিলেছে। এটি প্রমাণ করে এখানকার বাঘেরা বংশবিস্তার করছে এবং সংখ্যায় বাড়ছে।
জর্নবুরম জানান, ডিএনপি ডব্লিউসিএসের সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সংরক্ষণব্যবস্থা গড়তে ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।
টহল দলগুলো বিভিন্ন জায়গার অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে জিপিএস ব্যবহার করা শুরু হয়। তথ্য সংগ্রহের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করায় টহল পথ, বন্যপ্রাণী বিচরণ এবং অবৈধ কার্যকলাপের স্থানগুলো শনাক্ত করা সহজ হয়।
২০০৭ সালে গবেষকেরা ক্যামেরা ট্র্যাপ বসানো শুরু করেন অরণ্য এলাকায়। এতে পাওয়া ফলাফল একটি তথ্যের ভান্ডার হিসেবে কাজ করছে এবং বর্তমান গবেষণায় তিনটি প্রধান সংরক্ষিত এলাকায় বাঘের সংখ্যা যাচাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।
এখানে বলে রাখা ভালো, আঙুলের ছাপের মাধ্যমে যেমন মানুষ শনাক্ত করা সম্ভব, তেমনি প্রতিটি বাঘকে তাদের অনন্য ডোরা দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা যায়।
থাইল্যান্ডের এই সাফল্য আশা জাগালেও গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি মোটেই আশাব্যাঞ্জক নয়। একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বাঘের বিচরণ থাকলেও বিশ শতকে সিঙ্গাপুর, জাভা ও বালি থেকে হারিয়ে গেছে বাঘ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুনো বাঘ হারিয়ে গেছে ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়ার অরণ্য থেকে।
ফলে এখন বিচ্ছিন্নভাবে বাঘের ছোট ছোট বসতি আছে মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও মালয়েশিয়ায়। এর মধ্যে সম্প্রতি কয়েকটি বাঘের মৃত্যু মালয়েশিয়ার বাঘেদের নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে।
ডিএনপির সবচেয়ে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডে বুনো বাঘের বর্তমান সংখ্যা ১৭৯ থেকে ২২৩। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৪৮ থেকে ১৮৯।
জর্নবুরম আশাবাদী যে টহল ও তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হলে ওয়েফকম এলাকার বাঘের জনসংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি অন্যান্য জাতীয় উদ্যানেও তাদের বাঘের সংখ্যা বাঁচাতে মডেলটি গ্রহণ করবে।
‘আমি মনে করি, এটি অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকার জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক মডেল। শুধু থাইল্যান্ডে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও এটি কাজে লাগাতে পারে।’ বলেন তিনি।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে যেখানে ছিল ৪১টি, ২০২৩ সালের জরিপে তা বেড়ে হয়েছে ১৪৩।
ওয়েফকমের মধ্যে আছে ১১টি জাতীয় উদ্যান ও ছয়টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এই অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির অসাধারণ এই তথ্য জানা যায়, থাইল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কস (ডিএনপি) এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) মিলিত এক সমীক্ষায়। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল গ্লোবাল ইকোলজি ও জার্নালে প্রকাশিত হয় সমীক্ষা নিয়ে প্রতিবেদনটি।
বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের পাশাপাশি প্রকাশিত অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এলাকাটির অন্তর্ভুক্ত প্রধান তিনটি সংরক্ষিত এলাকার একটি হুয়াই খা খায়েং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হরিণসহ বিভিন্ন খুরযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। অপর দুটি সংরক্ষিত এলাকা হলো থাং ইয়াই ইস্ট এবং থাং ইয়াই ওয়েস্ট।
ডব্লিউসিএস, থাইল্যান্ডের পরিচালক ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক জীববিদ পর্নকমল জর্নবুরম বলেন, এই সংখ্যা বৃদ্ধি বনের আরও কার্যকর ব্যবস্থাপনাকে প্রতিফলিত করছে। এটি এক দশকেরও বেশি সংরক্ষণ প্রচেষ্টার ফলাফল।
‘এই অরণ্য এলাকা অনেক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাসস্থান’ বলেন তিনি। জর্নবুরম আশা করেন, ওয়েফকম সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণীর সংখ্যা পুনরুদ্ধারে একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
ওয়েফকমের সংরক্ষণ প্রকল্পে ২০০৫ সাল থেকে কাজ করা এই নারী জানান, এই অরণ্যের ভূপ্রকৃতিতে নাটকীয় পরিবর্তন দেখেছেন তিনি।
অঞ্চলটির বন্যপ্রাণীর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি চোরা শিকার। বন রক্ষায় কাজ করা রেঞ্জারদের টহল ও নজরদারির মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০৫ সালে এমন টহল সংখ্যায় সীমিত এবং সুবিন্যস্ত ছিল না বলে জানান জর্নবুরম।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বাঘ সংরক্ষণ করব, এটি আরও নানা প্রজাতি সংরক্ষণে সাহায্য করে। শুধু তাদের শিকার নয়, আবাসস্থলও এর মধ্যে পড়ে।’
ডব্লিওসিএসের দেওয়া তথ্য বলছে, ওয়েফকম শুধু থাইল্যান্ড নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূমির সবচেয়ে বড় অরণ্যাঞ্চল। এটি কেবল বাঘের বসবাসের এলাকা নয়। বুনো হাতি, ধনেশ, বান্টেংসহ (এক ধরনের বন গরু) ১৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৪৯০ প্রজাতির পাখি এবং ৯০ প্রজাতির সরীসৃপের বাস এখানে।
এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
বেশির ভাগ বাঘ সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় ছোট, বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলো রক্ষা করায় দৃষ্টি দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েফকম বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বন করিডরের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষিত এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। বাঘের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি বাঘের বিচরণের এলাকা ৩০০ বর্গকিলোমিটার বা ১১৫ বর্গমাইল পর্যন্ত হতে পারে।
নতুন গবেষণায় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৬৭টি বাঘ শাবকের ছবির সন্ধান মিলেছে। এটি প্রমাণ করে এখানকার বাঘেরা বংশবিস্তার করছে এবং সংখ্যায় বাড়ছে।
জর্নবুরম জানান, ডিএনপি ডব্লিউসিএসের সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সংরক্ষণব্যবস্থা গড়তে ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।
টহল দলগুলো বিভিন্ন জায়গার অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে জিপিএস ব্যবহার করা শুরু হয়। তথ্য সংগ্রহের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করায় টহল পথ, বন্যপ্রাণী বিচরণ এবং অবৈধ কার্যকলাপের স্থানগুলো শনাক্ত করা সহজ হয়।
২০০৭ সালে গবেষকেরা ক্যামেরা ট্র্যাপ বসানো শুরু করেন অরণ্য এলাকায়। এতে পাওয়া ফলাফল একটি তথ্যের ভান্ডার হিসেবে কাজ করছে এবং বর্তমান গবেষণায় তিনটি প্রধান সংরক্ষিত এলাকায় বাঘের সংখ্যা যাচাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।
এখানে বলে রাখা ভালো, আঙুলের ছাপের মাধ্যমে যেমন মানুষ শনাক্ত করা সম্ভব, তেমনি প্রতিটি বাঘকে তাদের অনন্য ডোরা দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা যায়।
থাইল্যান্ডের এই সাফল্য আশা জাগালেও গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি মোটেই আশাব্যাঞ্জক নয়। একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বাঘের বিচরণ থাকলেও বিশ শতকে সিঙ্গাপুর, জাভা ও বালি থেকে হারিয়ে গেছে বাঘ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুনো বাঘ হারিয়ে গেছে ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়ার অরণ্য থেকে।
ফলে এখন বিচ্ছিন্নভাবে বাঘের ছোট ছোট বসতি আছে মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও মালয়েশিয়ায়। এর মধ্যে সম্প্রতি কয়েকটি বাঘের মৃত্যু মালয়েশিয়ার বাঘেদের নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে।
ডিএনপির সবচেয়ে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডে বুনো বাঘের বর্তমান সংখ্যা ১৭৯ থেকে ২২৩। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৪৮ থেকে ১৮৯।
জর্নবুরম আশাবাদী যে টহল ও তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হলে ওয়েফকম এলাকার বাঘের জনসংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি অন্যান্য জাতীয় উদ্যানেও তাদের বাঘের সংখ্যা বাঁচাতে মডেলটি গ্রহণ করবে।
‘আমি মনে করি, এটি অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকার জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক মডেল। শুধু থাইল্যান্ডে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও এটি কাজে লাগাতে পারে।’ বলেন তিনি।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে যেখানে ছিল ৪১টি, ২০২৩ সালের জরিপে তা বেড়ে হয়েছে ১৪৩।
ওয়েফকমের মধ্যে আছে ১১টি জাতীয় উদ্যান ও ছয়টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এই অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির অসাধারণ এই তথ্য জানা যায়, থাইল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কস (ডিএনপি) এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) মিলিত এক সমীক্ষায়। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল গ্লোবাল ইকোলজি ও জার্নালে প্রকাশিত হয় সমীক্ষা নিয়ে প্রতিবেদনটি।
বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের পাশাপাশি প্রকাশিত অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এলাকাটির অন্তর্ভুক্ত প্রধান তিনটি সংরক্ষিত এলাকার একটি হুয়াই খা খায়েং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হরিণসহ বিভিন্ন খুরযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। অপর দুটি সংরক্ষিত এলাকা হলো থাং ইয়াই ইস্ট এবং থাং ইয়াই ওয়েস্ট।
ডব্লিউসিএস, থাইল্যান্ডের পরিচালক ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক জীববিদ পর্নকমল জর্নবুরম বলেন, এই সংখ্যা বৃদ্ধি বনের আরও কার্যকর ব্যবস্থাপনাকে প্রতিফলিত করছে। এটি এক দশকেরও বেশি সংরক্ষণ প্রচেষ্টার ফলাফল।
‘এই অরণ্য এলাকা অনেক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাসস্থান’ বলেন তিনি। জর্নবুরম আশা করেন, ওয়েফকম সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণীর সংখ্যা পুনরুদ্ধারে একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে।
ওয়েফকমের সংরক্ষণ প্রকল্পে ২০০৫ সাল থেকে কাজ করা এই নারী জানান, এই অরণ্যের ভূপ্রকৃতিতে নাটকীয় পরিবর্তন দেখেছেন তিনি।
অঞ্চলটির বন্যপ্রাণীর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি চোরা শিকার। বন রক্ষায় কাজ করা রেঞ্জারদের টহল ও নজরদারির মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০৫ সালে এমন টহল সংখ্যায় সীমিত এবং সুবিন্যস্ত ছিল না বলে জানান জর্নবুরম।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বাঘ সংরক্ষণ করব, এটি আরও নানা প্রজাতি সংরক্ষণে সাহায্য করে। শুধু তাদের শিকার নয়, আবাসস্থলও এর মধ্যে পড়ে।’
ডব্লিওসিএসের দেওয়া তথ্য বলছে, ওয়েফকম শুধু থাইল্যান্ড নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলভূমির সবচেয়ে বড় অরণ্যাঞ্চল। এটি কেবল বাঘের বসবাসের এলাকা নয়। বুনো হাতি, ধনেশ, বান্টেংসহ (এক ধরনের বন গরু) ১৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৪৯০ প্রজাতির পাখি এবং ৯০ প্রজাতির সরীসৃপের বাস এখানে।
এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
বেশির ভাগ বাঘ সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় ছোট, বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলো রক্ষা করায় দৃষ্টি দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েফকম বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বন করিডরের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষিত এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। বাঘের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি বাঘের বিচরণের এলাকা ৩০০ বর্গকিলোমিটার বা ১১৫ বর্গমাইল পর্যন্ত হতে পারে।
নতুন গবেষণায় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৬৭টি বাঘ শাবকের ছবির সন্ধান মিলেছে। এটি প্রমাণ করে এখানকার বাঘেরা বংশবিস্তার করছে এবং সংখ্যায় বাড়ছে।
জর্নবুরম জানান, ডিএনপি ডব্লিউসিএসের সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সংরক্ষণব্যবস্থা গড়তে ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।
টহল দলগুলো বিভিন্ন জায়গার অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করতে জিপিএস ব্যবহার করা শুরু হয়। তথ্য সংগ্রহের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করায় টহল পথ, বন্যপ্রাণী বিচরণ এবং অবৈধ কার্যকলাপের স্থানগুলো শনাক্ত করা সহজ হয়।
২০০৭ সালে গবেষকেরা ক্যামেরা ট্র্যাপ বসানো শুরু করেন অরণ্য এলাকায়। এতে পাওয়া ফলাফল একটি তথ্যের ভান্ডার হিসেবে কাজ করছে এবং বর্তমান গবেষণায় তিনটি প্রধান সংরক্ষিত এলাকায় বাঘের সংখ্যা যাচাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।
এখানে বলে রাখা ভালো, আঙুলের ছাপের মাধ্যমে যেমন মানুষ শনাক্ত করা সম্ভব, তেমনি প্রতিটি বাঘকে তাদের অনন্য ডোরা দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা যায়।
থাইল্যান্ডের এই সাফল্য আশা জাগালেও গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি মোটেই আশাব্যাঞ্জক নয়। একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বাঘের বিচরণ থাকলেও বিশ শতকে সিঙ্গাপুর, জাভা ও বালি থেকে হারিয়ে গেছে বাঘ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুনো বাঘ হারিয়ে গেছে ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়ার অরণ্য থেকে।
ফলে এখন বিচ্ছিন্নভাবে বাঘের ছোট ছোট বসতি আছে মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও মালয়েশিয়ায়। এর মধ্যে সম্প্রতি কয়েকটি বাঘের মৃত্যু মালয়েশিয়ার বাঘেদের নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে।
ডিএনপির সবচেয়ে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডে বুনো বাঘের বর্তমান সংখ্যা ১৭৯ থেকে ২২৩। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৪৮ থেকে ১৮৯।
জর্নবুরম আশাবাদী যে টহল ও তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হলে ওয়েফকম এলাকার বাঘের জনসংখ্যা আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি অন্যান্য জাতীয় উদ্যানেও তাদের বাঘের সংখ্যা বাঁচাতে মডেলটি গ্রহণ করবে।
‘আমি মনে করি, এটি অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকার জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক মডেল। শুধু থাইল্যান্ডে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও এটি কাজে লাগাতে পারে।’ বলেন তিনি।

দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
২ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কার্তিক মাস বিদায় নিতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। এরপর আসবে হেমন্তকাল। প্রকৃতিতেও লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। দেশের কোথাও কোথাও পড়ছে হালকা শীত। কোথাওবা পড়েছে হালকা কুয়াশা। আজ শুক্রবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও সারা দেশে কুয়াশা পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে গরমের অনুভূতিও আগের মতো থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ৬টা ৯ মিনিটে।

কার্তিক মাস বিদায় নিতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। এরপর আসবে হেমন্তকাল। প্রকৃতিতেও লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। দেশের কোথাও কোথাও পড়ছে হালকা শীত। কোথাওবা পড়েছে হালকা কুয়াশা। আজ শুক্রবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও সারা দেশে কুয়াশা পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে গরমের অনুভূতিও আগের মতো থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ৬টা ৯ মিনিটে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গে
২৯ জুলাই ২০২৪
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
২ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গে
২৯ জুলাই ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
২ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গে
২৯ জুলাই ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গে
২৯ জুলাই ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
২ দিন আগে