মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) দেরিতে ডিম ছেড়েছে অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা কচ্ছপ। সামুদ্রিক এ জাতের কচ্ছপ এ বছর অন্তত দেড় মাস পর ডিম দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকতের বালিয়াড়িতে তিনটি মা কচ্ছপ ৩৬৯টি ডিম দিয়ে সাগরে ফিরেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার উপকূলের সোনাদিয়া থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত কচ্ছপের প্রজননক্ষেত্র হলেও এই দুই স্থান ছাড়া অন্য কোথাও ডিম ছাড়ার খবর পাওয়া যায়নি। অথচ গত বছর ১০ নভেম্বর সেন্টমার্টিনের শিলবুনিয়া এলাকায় মৌসুমের প্রথম ডিম ছেড়েছিল অলিভ রিডলি।
সমুদ্রবিজ্ঞানী ও গবেষকেরা বলছেন, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্র উপকূলে কচ্ছপের প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ ও ধ্বংস হয়ে পড়ায় ডিম পাড়ার হার কমছে। এ ক্ষেত্রে কচ্ছপগুলো অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে অন্য দেশের সমুদ্র উপকূলে চলে যাচ্ছে। অলিভ রিডলি জাতের মা কচ্ছপ এ সময়ে দল বেঁধে বালিয়াড়িতে বাসা বেঁধে ডিম ছাড়ার কথা; কিন্তু প্রজননের দীর্ঘ সময় পরেও তেমন কচ্ছপের দেখা মিলছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সৈকতে একটি মা কচ্ছপ ১২০টি ডিম পাড়ে। পরদিন শনিবার সেন্টমার্টিন দ্বীপের শিলবুনিয়া সৈকতে ১০৫টি ডিম দেয় আরও একটি কচ্ছপ। রোববার গভীর রাতে সেন্টমার্টিনের একই সৈকতের বালিয়াড়িতে উঠে আরও একটি মা কচ্ছপ ১৪৪টি ডিম দেয়। তিনটি কচ্ছপই অলিভ রিডলি প্রজাতির।
সাত প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তিন থেকে পাঁচ প্রজাতির কচ্ছপের দেখা মেলে। এর মধ্যে অলিভ রিডলি ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়া গ্রিন টার্টল বা সবুজরঙা কচ্ছপ ও হক্সবিল বা ভূত কচ্ছপ মাঝেমধ্যে দেখা যায়। তবে গত ৬-৭ বছর ধরে কেবল অলিভ রিডলিই ডিম পাড়তে আসার তথ্য রয়েছে সংশ্লিষ্টদের কাছে।
গত মৌসুমে ডিম পাড়তে এসে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে দুই শতাধিক মা কচ্ছপ মারা পড়েছিল। এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি একদিনেই ২৪টি কচ্ছপ মারা যায়। এসব কচ্ছপের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও জাল জড়ানো ছিল। ডিম ছিল বেশির ভাগের কচ্ছপের পেটে। সে সময় বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) একদল বিজ্ঞানী মৃত্যুর কারণ পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করে মারা যাওয়ার নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছিলেন।
কক্সবাজার উপকূলে দুই দশক ধরে কচ্ছপ সংরক্ষণ ও প্রজননে কাজ করছে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)। নেকমের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক আবদুল কাইয়ুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর কচ্ছপের ৩০ হাজারের মতো ডিম সংগ্রহ করে প্রাকৃতিক হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর পর সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক আহমদ গিয়াস। তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুমে অলিভ রিডলি একই সময়ে ও স্থানে দলে দলে এসে বাসা বাঁধে এবং ডিম পেড়ে সাগরে ফিরে যায়। হাজারো মাইল সাগর পাড়ি দিয়ে এ জাতের স্ত্রী কচ্ছপ ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে ডিম পাড়তে আসে। যে সৈকতে জন্ম নেয়, সেখানেই ডিম পাড়তে আসে অলিভ রিডলি।

এক-দেড় যুগ ধরে এই জাতসহ অন্য প্রজাতির কচ্ছপের ডিম পাড়ার হারও কমছে জানিয়ে আহমদ গিয়াস বলেন, ‘কচ্ছপ সাগরের পঁচাগলা খেয়ে সাগরকে দূষণমুক্ত রাখে। একটি স্বাস্থ্যকর সৈকতের জন্য কচ্ছপের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ উপকারী এই সামুদ্রিক প্রাণী কেন কমছে তার কোনো সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।’
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ডিম ছাড়তে আসা মা কচ্ছপগুলো বিপাকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক (সেন্ট মার্টিনে দায়িত্বপ্রাপ্ত) আওসাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ডিম ছাড়ার স্থানে শত শত কুকুরের উপদ্রব, সৈকতে গড়ে ওঠা রিসোর্টের লাইটিং এবং পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়ের কারণে কচ্ছপগুলো বালিয়াড়িতে উঠতে বাধা পাচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে এনে মা কচ্ছপ যাতে নিরাপদে ডিম পাড়ার সুযোগ পায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।’

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরিকল্পিত পর্যটন ও স্থাপনা, বনায়ন, কুকুর-শিয়ালের আক্রমণ, বালিয়াড়ি ধ্বংস, সমুদ্র তীরে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহারসহ মানুষের নানা অসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে কচ্ছপের নিরাপদ ডিম পাড়ার স্থান বিনষ্ট ও হুমকির মুখোমুখি হয়েছে। তা ছাড়া সাগরে জেলেদের ফেলা বিভিন্ন ধরনের জাল এবং পরিত্যক্ত জালের কারণে প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। অলিভ রিডলিকে প্রাকৃতিক কারণেই নিজ জন্মভূমিতে ডিম পাড়তে আসতে হয় বলেই সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে এই উপকূলে এসে ডিম পাড়ে।’

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) দেরিতে ডিম ছেড়েছে অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা কচ্ছপ। সামুদ্রিক এ জাতের কচ্ছপ এ বছর অন্তত দেড় মাস পর ডিম দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকতের বালিয়াড়িতে তিনটি মা কচ্ছপ ৩৬৯টি ডিম দিয়ে সাগরে ফিরেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার উপকূলের সোনাদিয়া থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত কচ্ছপের প্রজননক্ষেত্র হলেও এই দুই স্থান ছাড়া অন্য কোথাও ডিম ছাড়ার খবর পাওয়া যায়নি। অথচ গত বছর ১০ নভেম্বর সেন্টমার্টিনের শিলবুনিয়া এলাকায় মৌসুমের প্রথম ডিম ছেড়েছিল অলিভ রিডলি।
সমুদ্রবিজ্ঞানী ও গবেষকেরা বলছেন, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্র উপকূলে কচ্ছপের প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ ও ধ্বংস হয়ে পড়ায় ডিম পাড়ার হার কমছে। এ ক্ষেত্রে কচ্ছপগুলো অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে অন্য দেশের সমুদ্র উপকূলে চলে যাচ্ছে। অলিভ রিডলি জাতের মা কচ্ছপ এ সময়ে দল বেঁধে বালিয়াড়িতে বাসা বেঁধে ডিম ছাড়ার কথা; কিন্তু প্রজননের দীর্ঘ সময় পরেও তেমন কচ্ছপের দেখা মিলছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সৈকতে একটি মা কচ্ছপ ১২০টি ডিম পাড়ে। পরদিন শনিবার সেন্টমার্টিন দ্বীপের শিলবুনিয়া সৈকতে ১০৫টি ডিম দেয় আরও একটি কচ্ছপ। রোববার গভীর রাতে সেন্টমার্টিনের একই সৈকতের বালিয়াড়িতে উঠে আরও একটি মা কচ্ছপ ১৪৪টি ডিম দেয়। তিনটি কচ্ছপই অলিভ রিডলি প্রজাতির।
সাত প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তিন থেকে পাঁচ প্রজাতির কচ্ছপের দেখা মেলে। এর মধ্যে অলিভ রিডলি ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়া গ্রিন টার্টল বা সবুজরঙা কচ্ছপ ও হক্সবিল বা ভূত কচ্ছপ মাঝেমধ্যে দেখা যায়। তবে গত ৬-৭ বছর ধরে কেবল অলিভ রিডলিই ডিম পাড়তে আসার তথ্য রয়েছে সংশ্লিষ্টদের কাছে।
গত মৌসুমে ডিম পাড়তে এসে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে দুই শতাধিক মা কচ্ছপ মারা পড়েছিল। এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি একদিনেই ২৪টি কচ্ছপ মারা যায়। এসব কচ্ছপের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও জাল জড়ানো ছিল। ডিম ছিল বেশির ভাগের কচ্ছপের পেটে। সে সময় বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) একদল বিজ্ঞানী মৃত্যুর কারণ পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করে মারা যাওয়ার নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছিলেন।
কক্সবাজার উপকূলে দুই দশক ধরে কচ্ছপ সংরক্ষণ ও প্রজননে কাজ করছে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)। নেকমের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক আবদুল কাইয়ুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর কচ্ছপের ৩০ হাজারের মতো ডিম সংগ্রহ করে প্রাকৃতিক হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর পর সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক আহমদ গিয়াস। তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুমে অলিভ রিডলি একই সময়ে ও স্থানে দলে দলে এসে বাসা বাঁধে এবং ডিম পেড়ে সাগরে ফিরে যায়। হাজারো মাইল সাগর পাড়ি দিয়ে এ জাতের স্ত্রী কচ্ছপ ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে ডিম পাড়তে আসে। যে সৈকতে জন্ম নেয়, সেখানেই ডিম পাড়তে আসে অলিভ রিডলি।

এক-দেড় যুগ ধরে এই জাতসহ অন্য প্রজাতির কচ্ছপের ডিম পাড়ার হারও কমছে জানিয়ে আহমদ গিয়াস বলেন, ‘কচ্ছপ সাগরের পঁচাগলা খেয়ে সাগরকে দূষণমুক্ত রাখে। একটি স্বাস্থ্যকর সৈকতের জন্য কচ্ছপের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ উপকারী এই সামুদ্রিক প্রাণী কেন কমছে তার কোনো সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।’
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ডিম ছাড়তে আসা মা কচ্ছপগুলো বিপাকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক (সেন্ট মার্টিনে দায়িত্বপ্রাপ্ত) আওসাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ডিম ছাড়ার স্থানে শত শত কুকুরের উপদ্রব, সৈকতে গড়ে ওঠা রিসোর্টের লাইটিং এবং পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়ের কারণে কচ্ছপগুলো বালিয়াড়িতে উঠতে বাধা পাচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে এনে মা কচ্ছপ যাতে নিরাপদে ডিম পাড়ার সুযোগ পায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।’

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরিকল্পিত পর্যটন ও স্থাপনা, বনায়ন, কুকুর-শিয়ালের আক্রমণ, বালিয়াড়ি ধ্বংস, সমুদ্র তীরে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহারসহ মানুষের নানা অসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে কচ্ছপের নিরাপদ ডিম পাড়ার স্থান বিনষ্ট ও হুমকির মুখোমুখি হয়েছে। তা ছাড়া সাগরে জেলেদের ফেলা বিভিন্ন ধরনের জাল এবং পরিত্যক্ত জালের কারণে প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। অলিভ রিডলিকে প্রাকৃতিক কারণেই নিজ জন্মভূমিতে ডিম পাড়তে আসতে হয় বলেই সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে এই উপকূলে এসে ডিম পাড়ে।’
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) দেরিতে ডিম ছেড়েছে অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা কচ্ছপ। সামুদ্রিক এ জাতের কচ্ছপ এ বছর অন্তত দেড় মাস পর ডিম দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকতের বালিয়াড়িতে তিনটি মা কচ্ছপ ৩৬৯টি ডিম দিয়ে সাগরে ফিরেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার উপকূলের সোনাদিয়া থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত কচ্ছপের প্রজননক্ষেত্র হলেও এই দুই স্থান ছাড়া অন্য কোথাও ডিম ছাড়ার খবর পাওয়া যায়নি। অথচ গত বছর ১০ নভেম্বর সেন্টমার্টিনের শিলবুনিয়া এলাকায় মৌসুমের প্রথম ডিম ছেড়েছিল অলিভ রিডলি।
সমুদ্রবিজ্ঞানী ও গবেষকেরা বলছেন, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্র উপকূলে কচ্ছপের প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ ও ধ্বংস হয়ে পড়ায় ডিম পাড়ার হার কমছে। এ ক্ষেত্রে কচ্ছপগুলো অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে অন্য দেশের সমুদ্র উপকূলে চলে যাচ্ছে। অলিভ রিডলি জাতের মা কচ্ছপ এ সময়ে দল বেঁধে বালিয়াড়িতে বাসা বেঁধে ডিম ছাড়ার কথা; কিন্তু প্রজননের দীর্ঘ সময় পরেও তেমন কচ্ছপের দেখা মিলছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সৈকতে একটি মা কচ্ছপ ১২০টি ডিম পাড়ে। পরদিন শনিবার সেন্টমার্টিন দ্বীপের শিলবুনিয়া সৈকতে ১০৫টি ডিম দেয় আরও একটি কচ্ছপ। রোববার গভীর রাতে সেন্টমার্টিনের একই সৈকতের বালিয়াড়িতে উঠে আরও একটি মা কচ্ছপ ১৪৪টি ডিম দেয়। তিনটি কচ্ছপই অলিভ রিডলি প্রজাতির।
সাত প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তিন থেকে পাঁচ প্রজাতির কচ্ছপের দেখা মেলে। এর মধ্যে অলিভ রিডলি ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়া গ্রিন টার্টল বা সবুজরঙা কচ্ছপ ও হক্সবিল বা ভূত কচ্ছপ মাঝেমধ্যে দেখা যায়। তবে গত ৬-৭ বছর ধরে কেবল অলিভ রিডলিই ডিম পাড়তে আসার তথ্য রয়েছে সংশ্লিষ্টদের কাছে।
গত মৌসুমে ডিম পাড়তে এসে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে দুই শতাধিক মা কচ্ছপ মারা পড়েছিল। এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি একদিনেই ২৪টি কচ্ছপ মারা যায়। এসব কচ্ছপের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও জাল জড়ানো ছিল। ডিম ছিল বেশির ভাগের কচ্ছপের পেটে। সে সময় বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) একদল বিজ্ঞানী মৃত্যুর কারণ পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করে মারা যাওয়ার নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছিলেন।
কক্সবাজার উপকূলে দুই দশক ধরে কচ্ছপ সংরক্ষণ ও প্রজননে কাজ করছে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)। নেকমের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক আবদুল কাইয়ুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর কচ্ছপের ৩০ হাজারের মতো ডিম সংগ্রহ করে প্রাকৃতিক হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর পর সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক আহমদ গিয়াস। তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুমে অলিভ রিডলি একই সময়ে ও স্থানে দলে দলে এসে বাসা বাঁধে এবং ডিম পেড়ে সাগরে ফিরে যায়। হাজারো মাইল সাগর পাড়ি দিয়ে এ জাতের স্ত্রী কচ্ছপ ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে ডিম পাড়তে আসে। যে সৈকতে জন্ম নেয়, সেখানেই ডিম পাড়তে আসে অলিভ রিডলি।

এক-দেড় যুগ ধরে এই জাতসহ অন্য প্রজাতির কচ্ছপের ডিম পাড়ার হারও কমছে জানিয়ে আহমদ গিয়াস বলেন, ‘কচ্ছপ সাগরের পঁচাগলা খেয়ে সাগরকে দূষণমুক্ত রাখে। একটি স্বাস্থ্যকর সৈকতের জন্য কচ্ছপের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ উপকারী এই সামুদ্রিক প্রাণী কেন কমছে তার কোনো সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।’
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ডিম ছাড়তে আসা মা কচ্ছপগুলো বিপাকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক (সেন্ট মার্টিনে দায়িত্বপ্রাপ্ত) আওসাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ডিম ছাড়ার স্থানে শত শত কুকুরের উপদ্রব, সৈকতে গড়ে ওঠা রিসোর্টের লাইটিং এবং পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়ের কারণে কচ্ছপগুলো বালিয়াড়িতে উঠতে বাধা পাচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে এনে মা কচ্ছপ যাতে নিরাপদে ডিম পাড়ার সুযোগ পায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।’

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরিকল্পিত পর্যটন ও স্থাপনা, বনায়ন, কুকুর-শিয়ালের আক্রমণ, বালিয়াড়ি ধ্বংস, সমুদ্র তীরে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহারসহ মানুষের নানা অসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে কচ্ছপের নিরাপদ ডিম পাড়ার স্থান বিনষ্ট ও হুমকির মুখোমুখি হয়েছে। তা ছাড়া সাগরে জেলেদের ফেলা বিভিন্ন ধরনের জাল এবং পরিত্যক্ত জালের কারণে প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। অলিভ রিডলিকে প্রাকৃতিক কারণেই নিজ জন্মভূমিতে ডিম পাড়তে আসতে হয় বলেই সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে এই উপকূলে এসে ডিম পাড়ে।’

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) দেরিতে ডিম ছেড়েছে অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা কচ্ছপ। সামুদ্রিক এ জাতের কচ্ছপ এ বছর অন্তত দেড় মাস পর ডিম দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকতের বালিয়াড়িতে তিনটি মা কচ্ছপ ৩৬৯টি ডিম দিয়ে সাগরে ফিরেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার উপকূলের সোনাদিয়া থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত কচ্ছপের প্রজননক্ষেত্র হলেও এই দুই স্থান ছাড়া অন্য কোথাও ডিম ছাড়ার খবর পাওয়া যায়নি। অথচ গত বছর ১০ নভেম্বর সেন্টমার্টিনের শিলবুনিয়া এলাকায় মৌসুমের প্রথম ডিম ছেড়েছিল অলিভ রিডলি।
সমুদ্রবিজ্ঞানী ও গবেষকেরা বলছেন, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্র উপকূলে কচ্ছপের প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ ও ধ্বংস হয়ে পড়ায় ডিম পাড়ার হার কমছে। এ ক্ষেত্রে কচ্ছপগুলো অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে অন্য দেশের সমুদ্র উপকূলে চলে যাচ্ছে। অলিভ রিডলি জাতের মা কচ্ছপ এ সময়ে দল বেঁধে বালিয়াড়িতে বাসা বেঁধে ডিম ছাড়ার কথা; কিন্তু প্রজননের দীর্ঘ সময় পরেও তেমন কচ্ছপের দেখা মিলছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সৈকতে একটি মা কচ্ছপ ১২০টি ডিম পাড়ে। পরদিন শনিবার সেন্টমার্টিন দ্বীপের শিলবুনিয়া সৈকতে ১০৫টি ডিম দেয় আরও একটি কচ্ছপ। রোববার গভীর রাতে সেন্টমার্টিনের একই সৈকতের বালিয়াড়িতে উঠে আরও একটি মা কচ্ছপ ১৪৪টি ডিম দেয়। তিনটি কচ্ছপই অলিভ রিডলি প্রজাতির।
সাত প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তিন থেকে পাঁচ প্রজাতির কচ্ছপের দেখা মেলে। এর মধ্যে অলিভ রিডলি ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়া গ্রিন টার্টল বা সবুজরঙা কচ্ছপ ও হক্সবিল বা ভূত কচ্ছপ মাঝেমধ্যে দেখা যায়। তবে গত ৬-৭ বছর ধরে কেবল অলিভ রিডলিই ডিম পাড়তে আসার তথ্য রয়েছে সংশ্লিষ্টদের কাছে।
গত মৌসুমে ডিম পাড়তে এসে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে দুই শতাধিক মা কচ্ছপ মারা পড়েছিল। এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি একদিনেই ২৪টি কচ্ছপ মারা যায়। এসব কচ্ছপের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও জাল জড়ানো ছিল। ডিম ছিল বেশির ভাগের কচ্ছপের পেটে। সে সময় বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) একদল বিজ্ঞানী মৃত্যুর কারণ পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করে মারা যাওয়ার নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছিলেন।
কক্সবাজার উপকূলে দুই দশক ধরে কচ্ছপ সংরক্ষণ ও প্রজননে কাজ করছে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)। নেকমের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক আবদুল কাইয়ুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর কচ্ছপের ৩০ হাজারের মতো ডিম সংগ্রহ করে প্রাকৃতিক হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর পর সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাংবাদিক আহমদ গিয়াস। তিনি বলেন, প্রজনন মৌসুমে অলিভ রিডলি একই সময়ে ও স্থানে দলে দলে এসে বাসা বাঁধে এবং ডিম পেড়ে সাগরে ফিরে যায়। হাজারো মাইল সাগর পাড়ি দিয়ে এ জাতের স্ত্রী কচ্ছপ ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে ডিম পাড়তে আসে। যে সৈকতে জন্ম নেয়, সেখানেই ডিম পাড়তে আসে অলিভ রিডলি।

এক-দেড় যুগ ধরে এই জাতসহ অন্য প্রজাতির কচ্ছপের ডিম পাড়ার হারও কমছে জানিয়ে আহমদ গিয়াস বলেন, ‘কচ্ছপ সাগরের পঁচাগলা খেয়ে সাগরকে দূষণমুক্ত রাখে। একটি স্বাস্থ্যকর সৈকতের জন্য কচ্ছপের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ উপকারী এই সামুদ্রিক প্রাণী কেন কমছে তার কোনো সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।’
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ডিম ছাড়তে আসা মা কচ্ছপগুলো বিপাকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক (সেন্ট মার্টিনে দায়িত্বপ্রাপ্ত) আওসাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ডিম ছাড়ার স্থানে শত শত কুকুরের উপদ্রব, সৈকতে গড়ে ওঠা রিসোর্টের লাইটিং এবং পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়ের কারণে কচ্ছপগুলো বালিয়াড়িতে উঠতে বাধা পাচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে এনে মা কচ্ছপ যাতে নিরাপদে ডিম পাড়ার সুযোগ পায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।’

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরিকল্পিত পর্যটন ও স্থাপনা, বনায়ন, কুকুর-শিয়ালের আক্রমণ, বালিয়াড়ি ধ্বংস, সমুদ্র তীরে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহারসহ মানুষের নানা অসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে কচ্ছপের নিরাপদ ডিম পাড়ার স্থান বিনষ্ট ও হুমকির মুখোমুখি হয়েছে। তা ছাড়া সাগরে জেলেদের ফেলা বিভিন্ন ধরনের জাল এবং পরিত্যক্ত জালের কারণে প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। অলিভ রিডলিকে প্রাকৃতিক কারণেই নিজ জন্মভূমিতে ডিম পাড়তে আসতে হয় বলেই সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে এই উপকূলে এসে ডিম পাড়ে।’

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার তালিকার প্রথম পাঁচের মধ্যেই আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগে
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
২ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার তালিকার প্রথম পাঁচের মধ্যেই আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের চতুর্থ দূষিত শহর আজ ঢাকা। যদিও আজ রাস্তায় গণপরিবহন অনেকটা কম। অবশ্য শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) দৈনিক গড় প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল সাড়ে ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৫৫। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬২৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (২৫৯), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৫৭) ও ভারতের কলকাতা (২৩০)।
এ ছাড়া ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর মধ্যে আছে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে—আজিমপুরে ১৫৬, পল্টনে ১৫৫, নারায়ণগঞ্জে ১৫৪, কিশোরগঞ্জে ১৪৪ এবং মানিকগঞ্জে ১৫৮।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়:
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার তালিকার প্রথম পাঁচের মধ্যেই আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের চতুর্থ দূষিত শহর আজ ঢাকা। যদিও আজ রাস্তায় গণপরিবহন অনেকটা কম। অবশ্য শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) দৈনিক গড় প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল সাড়ে ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৫৫। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬২৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (২৫৯), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৫৭) ও ভারতের কলকাতা (২৩০)।
এ ছাড়া ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর মধ্যে আছে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে—আজিমপুরে ১৫৬, পল্টনে ১৫৫, নারায়ণগঞ্জে ১৫৪, কিশোরগঞ্জে ১৪৪ এবং মানিকগঞ্জে ১৫৮।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়:
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) দেরিতে ডিম ছেড়েছে অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা কচ্ছপ। সামুদ্রিক এ জাতের কচ্ছপ এ বছর অন্তত দেড় মাস পর ডিম দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকতের বালিয়াড়িতে তিনটি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগে
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
২ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশে শীতের আমেজ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কয়েক দিন ধরেই দ্রুত কমছে। আজ বুধবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু পঞ্চগড় নয়, পুরো রংপুর বিভাগেই শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা রংপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজও রাজধানী ঢাকার আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজ দিনের প্রথমার্ধে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১২ মিনিটে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশ কমেছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে প্রতিদিনই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো কমেছে। ঢাকায়ও হালকা শীত পড়েছে। তবে আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

সারা দেশে শীতের আমেজ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কয়েক দিন ধরেই দ্রুত কমছে। আজ বুধবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু পঞ্চগড় নয়, পুরো রংপুর বিভাগেই শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের জেলা রংপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজও রাজধানী ঢাকার আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজ দিনের প্রথমার্ধে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১২ মিনিটে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশ কমেছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে প্রতিদিনই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো কমেছে। ঢাকায়ও হালকা শীত পড়েছে। তবে আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) দেরিতে ডিম ছেড়েছে অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা কচ্ছপ। সামুদ্রিক এ জাতের কচ্ছপ এ বছর অন্তত দেড় মাস পর ডিম দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকতের বালিয়াড়িতে তিনটি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার তালিকার প্রথম পাঁচের মধ্যেই আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১২ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
২ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই জলবায়ু অর্থায়নের জোর দাবি জানান।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম হলেও, অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তার তুলনায় প্রাপ্ত অর্থ অত্যন্ত সীমিত। প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হলেও বর্তমানে পাচ্ছে এর ১১ শতাংশেরও কম। এই ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামোর অভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও দায়ভার সবচেয়ে বেশি পড়ছে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর।
আন্তর্জাতিক অর্থায়নের ঘাটতির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ টেকসই অর্থায়ন ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হতাশাজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১৫ শতাংশ টেকসই অর্থায়নে বরাদ্দের কথা থাকলেও, অধিকাংশ ব্যাংক এই নির্দেশনা যথাযথভাবে কার্যকর করছে না।
কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি মুরাদ হোসেন রাজু বলেন, 'ধনী দেশগুলোর শিল্পায়নের কারণে সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের ভয়াবহ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ, বিশেষ করে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী। অথচ তারা ন্যায্য অর্থায়ন ও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। কপ-৩০-এ আমাদের দাবি স্পষ্ট—ন্যায্য জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।'
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর উম্মে সালমা পপি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'যে সংকট বাংলাদেশের সৃষ্টি নয়, তার আর্থিক দায়ভার এই দেশের জনগণের উপর বর্তানো অন্যায়। একইভাবে টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরই ঘাটতি রয়েছে। ২০২৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো টেকসই ও সবুজ শিল্পে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—যা হতাশাজনক।'
ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি পথনাটিকা পরিবেশিত হয়।
'অভিযোজন ফান্ডের টাকা নিয়া তালবাহানা চলবে না'—এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক – প্রান, ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (কোয়েন) যৌথভাবে এই ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করে।

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই জলবায়ু অর্থায়নের জোর দাবি জানান।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম হলেও, অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তার তুলনায় প্রাপ্ত অর্থ অত্যন্ত সীমিত। প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হলেও বর্তমানে পাচ্ছে এর ১১ শতাংশেরও কম। এই ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামোর অভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও দায়ভার সবচেয়ে বেশি পড়ছে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর।
আন্তর্জাতিক অর্থায়নের ঘাটতির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ টেকসই অর্থায়ন ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হতাশাজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১৫ শতাংশ টেকসই অর্থায়নে বরাদ্দের কথা থাকলেও, অধিকাংশ ব্যাংক এই নির্দেশনা যথাযথভাবে কার্যকর করছে না।
কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি মুরাদ হোসেন রাজু বলেন, 'ধনী দেশগুলোর শিল্পায়নের কারণে সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের ভয়াবহ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ, বিশেষ করে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী। অথচ তারা ন্যায্য অর্থায়ন ও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। কপ-৩০-এ আমাদের দাবি স্পষ্ট—ন্যায্য জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।'
পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর উম্মে সালমা পপি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'যে সংকট বাংলাদেশের সৃষ্টি নয়, তার আর্থিক দায়ভার এই দেশের জনগণের উপর বর্তানো অন্যায়। একইভাবে টেকসই অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরই ঘাটতি রয়েছে। ২০২৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো টেকসই ও সবুজ শিল্পে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে—যা হতাশাজনক।'
ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি পথনাটিকা পরিবেশিত হয়।
'অভিযোজন ফান্ডের টাকা নিয়া তালবাহানা চলবে না'—এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক – প্রান, ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং কোস্টাল এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (কোয়েন) যৌথভাবে এই ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করে।

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) দেরিতে ডিম ছেড়েছে অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা কচ্ছপ। সামুদ্রিক এ জাতের কচ্ছপ এ বছর অন্তত দেড় মাস পর ডিম দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকতের বালিয়াড়িতে তিনটি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার তালিকার প্রথম পাঁচের মধ্যেই আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। গতকালের মতো আজও বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২২১। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৭৩৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৪৩৬), উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (২০৮) ও ভারতের কলকাতা (১৯২)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। গতকালের মতো আজও বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২২১। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৭৩৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৪৩৬), উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (২০৮) ও ভারতের কলকাতা (১৯২)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) দেরিতে ডিম ছেড়েছে অলিভ রিডলি বা জলপাইরঙা কচ্ছপ। সামুদ্রিক এ জাতের কচ্ছপ এ বছর অন্তত দেড় মাস পর ডিম দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ সৈকতের বালিয়াড়িতে তিনটি
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার তালিকার প্রথম পাঁচের মধ্যেই আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৪, আজ সেটি কমে হয়েছে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগে
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০-এর সঙ্গে সংগতি রেখে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ইয়ুথ কল ফর ফেয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন।
২ দিন আগে