আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দিল্লির বাতাসে দূষণ কমাতে আজ মঙ্গলবার থেকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে ১৫ বছরের বেশি পুরোনো পেট্রল চালিত এবং ১০ বছরের বেশি পুরোনো ডিজেল চালিত যানবাহনের জন্য জ্বালানি দেওয়া হবে না। দিল্লির পেট্রল পাম্পগুলোতে শিগগিরই এই নির্দেশ সংবলিত পোস্টার দেখা যাবে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই)-এর একটি বিশ্লেষণ অনুসারে, রাজধানী নয়াদিল্লিতে যানবাহনের ধোঁয়া মোট স্থানীয় দূষণ উৎসের অর্ধেকেরও বেশির (৫১ শতাংশ) জন্য দায়ী। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম) ‘স্ট্যাটিউটরি ডিরেকশন নং ৮৯’ জারি করেছে। এর আওতায় দিল্লিতে জুড়ে সমস্ত ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের (পণ্যবাহী, বাণিজ্যিক, ভিন্টেজ, দুই চাকার) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপের কারণে শুধু দিল্লিতেই প্রায় ৬২ লাখ (৬১ লাখ ১৪ হাজার ৭২৮ টি) যানবাহন অচল হয়ে পড়বে। যেখানে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, হরিয়ানায় ২৭ দশমিক ৫ লাখ, উত্তর প্রদেশে ১২ দশমিক ৬৯ লাখ এবং রাজস্থানে ৬ দশমিক ২ লাখ মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন রয়েছে।
দিল্লি পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ এবং দিল্লি পৌর করপোরেশন কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মাঠে নামবে। দিল্লি পুলিশ প্রথম ১০০টি পেট্রল পাম্পে মোতায়েন থাকবে এবং পরিবহন বিভাগ ১০১ থেকে ১৫৯ নম্বর পেট্রল পাম্পগুলোতে ৫৯টি বিশেষ দল মোতায়েন করবে। প্রতিটি চিহ্নিত ৩৫৯টি পেট্রল পাম্পে একজন করে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা পুরোনো যানবাহনে জ্বালানি ভরা রোধে নজরদারি করবেন। এ ছাড়া, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি পেট্রল পাম্পে অতিরিক্ত দুজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রিকগনিশন (এএনপিআর) ক্যামেরা ব্যবহার করে ‘অকেজো’ যানবাহন শনাক্ত করা হবে। ৪৯৮টি জ্বালানি স্টেশনে এই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলো ‘বাহন’ (VAHAN) ডেটাবেসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং গাড়ির নম্বর প্লেট যাচাই করে পেট্রল পাম্প অপারেটরকে সতর্ক করবে। এই তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গেও শেয়ার করা হবে যাতে পুরোনো যানবাহন বাজেয়াপ্ত ও স্ক্র্যাপ করা যায়।
তবে দিল্লির একজন পেট্রল ডিলার নিশাল সিংহানিয়া মনে করেন, এত বড় একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে একটি ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক প্রয়োগ) চালানো উচিত ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট টিম কত দিন থাকবে? ৩০ দিন, ৬০ দিন, ৯০ দিন? এরপর আমরা পরিস্থিতি কীভাবে সামলাব? একটি গাড়ি বাদ পড়ারও ভয় আছে, কারণ তখন আমাদের জরিমানা করা হবে। এই পরিকল্পনাটি এনসিআর জুড়ে একই সঙ্গে শুরু করা উচিত।’
একই ধরনের মতামত যাত্রীদেরও। তাঁদের মতে, ১৫ থেকে ৩০ দিনের একটি ট্রায়াল রান চালানো উচিত ছিল। যারা এই পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন নন, তাঁদের জন্য এটি একটি সমস্যা হতে পারে। এক সপ্তাহের একটি ট্রায়াল সাহায্য করত। জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে অশিক্ষিত মানুষদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য কিছুই করা হয়নি। যারা দিল্লির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
দেখা গেছে, অনেক পেট্রল পাম্পের কর্মীরা এই পদক্ষেপ কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে বা কীভাবে নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের জ্বালানি দিতে অস্বীকার করতে হবে, সে বিষয়ে তাঁরা কোনো প্রশিক্ষণ পাননি।
আবার যানবাহনের মালিকদের অভিযোগ, অনেক পুরোনো যানবাহন আছে যা ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নাও হতে পারে। তাদের কী হবে? একটি সঠিক যাচাই প্রক্রিয়া থাকা উচিত, অন্যথায় এটি মানুষের পকেট কাটবে। এ ছাড়া, সব চালকের একটি বৈধ পিইউসিসি (পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল সার্টিফিকেট) থাকা উচিত বলে মনে করেন চালকেরা।
দিল্লির বাতাসে দূষণ কমাতে আজ মঙ্গলবার থেকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে ১৫ বছরের বেশি পুরোনো পেট্রল চালিত এবং ১০ বছরের বেশি পুরোনো ডিজেল চালিত যানবাহনের জন্য জ্বালানি দেওয়া হবে না। দিল্লির পেট্রল পাম্পগুলোতে শিগগিরই এই নির্দেশ সংবলিত পোস্টার দেখা যাবে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই)-এর একটি বিশ্লেষণ অনুসারে, রাজধানী নয়াদিল্লিতে যানবাহনের ধোঁয়া মোট স্থানীয় দূষণ উৎসের অর্ধেকেরও বেশির (৫১ শতাংশ) জন্য দায়ী। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম) ‘স্ট্যাটিউটরি ডিরেকশন নং ৮৯’ জারি করেছে। এর আওতায় দিল্লিতে জুড়ে সমস্ত ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের (পণ্যবাহী, বাণিজ্যিক, ভিন্টেজ, দুই চাকার) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপের কারণে শুধু দিল্লিতেই প্রায় ৬২ লাখ (৬১ লাখ ১৪ হাজার ৭২৮ টি) যানবাহন অচল হয়ে পড়বে। যেখানে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, হরিয়ানায় ২৭ দশমিক ৫ লাখ, উত্তর প্রদেশে ১২ দশমিক ৬৯ লাখ এবং রাজস্থানে ৬ দশমিক ২ লাখ মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন রয়েছে।
দিল্লি পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ এবং দিল্লি পৌর করপোরেশন কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মাঠে নামবে। দিল্লি পুলিশ প্রথম ১০০টি পেট্রল পাম্পে মোতায়েন থাকবে এবং পরিবহন বিভাগ ১০১ থেকে ১৫৯ নম্বর পেট্রল পাম্পগুলোতে ৫৯টি বিশেষ দল মোতায়েন করবে। প্রতিটি চিহ্নিত ৩৫৯টি পেট্রল পাম্পে একজন করে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা পুরোনো যানবাহনে জ্বালানি ভরা রোধে নজরদারি করবেন। এ ছাড়া, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি পেট্রল পাম্পে অতিরিক্ত দুজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রিকগনিশন (এএনপিআর) ক্যামেরা ব্যবহার করে ‘অকেজো’ যানবাহন শনাক্ত করা হবে। ৪৯৮টি জ্বালানি স্টেশনে এই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলো ‘বাহন’ (VAHAN) ডেটাবেসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং গাড়ির নম্বর প্লেট যাচাই করে পেট্রল পাম্প অপারেটরকে সতর্ক করবে। এই তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গেও শেয়ার করা হবে যাতে পুরোনো যানবাহন বাজেয়াপ্ত ও স্ক্র্যাপ করা যায়।
তবে দিল্লির একজন পেট্রল ডিলার নিশাল সিংহানিয়া মনে করেন, এত বড় একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে একটি ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক প্রয়োগ) চালানো উচিত ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট টিম কত দিন থাকবে? ৩০ দিন, ৬০ দিন, ৯০ দিন? এরপর আমরা পরিস্থিতি কীভাবে সামলাব? একটি গাড়ি বাদ পড়ারও ভয় আছে, কারণ তখন আমাদের জরিমানা করা হবে। এই পরিকল্পনাটি এনসিআর জুড়ে একই সঙ্গে শুরু করা উচিত।’
একই ধরনের মতামত যাত্রীদেরও। তাঁদের মতে, ১৫ থেকে ৩০ দিনের একটি ট্রায়াল রান চালানো উচিত ছিল। যারা এই পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন নন, তাঁদের জন্য এটি একটি সমস্যা হতে পারে। এক সপ্তাহের একটি ট্রায়াল সাহায্য করত। জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে অশিক্ষিত মানুষদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য কিছুই করা হয়নি। যারা দিল্লির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
দেখা গেছে, অনেক পেট্রল পাম্পের কর্মীরা এই পদক্ষেপ কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে বা কীভাবে নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের জ্বালানি দিতে অস্বীকার করতে হবে, সে বিষয়ে তাঁরা কোনো প্রশিক্ষণ পাননি।
আবার যানবাহনের মালিকদের অভিযোগ, অনেক পুরোনো যানবাহন আছে যা ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নাও হতে পারে। তাদের কী হবে? একটি সঠিক যাচাই প্রক্রিয়া থাকা উচিত, অন্যথায় এটি মানুষের পকেট কাটবে। এ ছাড়া, সব চালকের একটি বৈধ পিইউসিসি (পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল সার্টিফিকেট) থাকা উচিত বলে মনে করেন চালকেরা।
রাজধানীর নদী ও খাল দূষণমুক্ত করা কঠিন হলেও তা অসম্ভব নয়। এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং উৎস থেকে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। শুধু ড্রেজিং করে কিংবা দায় এড়িয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
৭ ঘণ্টা আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ বুধবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৩। দূষিত শহরের বাতাসের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪র্থ। গতকাল মঙ্গলবার ১০৭ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের তালিকায় ৯ম স্থানে ছিল ঢাকা।
১৪ ঘণ্টা আগেসকাল সকালই ঢাকায় বেশ তপ্ত রোদ উঠেছে। তবে, আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেমৌসুমি বায়ুর বিদায় বেলায় ফুঁসে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
১ দিন আগে