ঢাকা: বিশ্বে জলবায়ু সংকটের পেছনে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। প্রত্যাশা করা হয়, তারাই এই সংকটের সমাধানে সবসময় অগ্রগামী থাকবে। কিন্তু এই দেশগুলো কখনোই প্রত্যাশার পুরোটা দিতে পারেনি। সম্প্রতি শেষ হওয়া জি৭ সম্মেলনেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে জি-৭ সম্মেলনের পর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কয়লা নির্ভরতা থেকে বের করে আনতে সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ধনী দেশগুলোর নেতারা। তবে এবারও এটি প্রতিশ্রুতিই থেকে গেল। সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা প্রকাশ করা হয়নি। যেখানে এর আগেও বহুবার জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোর জন্য প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েই গেছে।
এটা সত্য যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে সহায়তা নিয়ে ধনী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হচ্ছে। তবে আমরা সেটি এখনো দেখিনি। ওই চুক্তি যে ১০০তে ১০০ পাবে কি–না সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলছে, ডিসেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় কোপ–২৬ সম্মেলনে এই অর্থের নিশ্চয়তা না দিতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্ভব নয়।
এ নিয়ে অ্যাকশন এইডের জলবায়ু নীতির সমন্বয়ক তেরেসা এন্ডারসন বলেন, জি৭ গ্রুপের বছরে দশ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এই সংকট মোকাবিলার গুরুত্বের কাছে পৌঁছায়নি। ধনী দেশগুলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অর্থ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা দেওয়া হয়েছে তা ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা দেশগুলোকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এটি দেশগুলোকে ঋণের বোঝা এবং দরিদ্রতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো অর্থায়নের বিষয়টি। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা মহামারির মধ্যে দরিদ্র দেশগুলোর কোভিড সাহায্যের দাবি।
তবে এই সব ইস্যু ছায়ায় ঢেকে গেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়লা নির্ভরতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে কখন বের হবে কীভাবে বের হবে তা নিয়ে বাইডেন কিছুই বলেননি। জার্মানি এবং জাপানের বিদ্যুৎখাতের কয়লা নির্ভরতা থেকে বের হয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দরিদ্র দেশগুলোর কয়লা শিল্পে অর্থায়ন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি চীনের ওপর চাপ বাড়াবে।
ফ্রান্সের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ লরেন্স তুবিয়ানা বলেন, জি৭ দেশগুলো এগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এগিয়ে এলে বাকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা এই তালিকায় রাখতে পারি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোকে। আর হ্যাঁ চীনকেও। এসব দেশ যখন দেখবে ধনী দেশগুলো এগিয়ে আসছে তখন তারাও জলবায়ু ইস্যুতে আরও সক্রিয় হবে।
ঢাকা: বিশ্বে জলবায়ু সংকটের পেছনে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। প্রত্যাশা করা হয়, তারাই এই সংকটের সমাধানে সবসময় অগ্রগামী থাকবে। কিন্তু এই দেশগুলো কখনোই প্রত্যাশার পুরোটা দিতে পারেনি। সম্প্রতি শেষ হওয়া জি৭ সম্মেলনেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে জি-৭ সম্মেলনের পর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কয়লা নির্ভরতা থেকে বের করে আনতে সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ধনী দেশগুলোর নেতারা। তবে এবারও এটি প্রতিশ্রুতিই থেকে গেল। সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা প্রকাশ করা হয়নি। যেখানে এর আগেও বহুবার জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোর জন্য প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি ডলার সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েই গেছে।
এটা সত্য যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে সহায়তা নিয়ে ধনী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হচ্ছে। তবে আমরা সেটি এখনো দেখিনি। ওই চুক্তি যে ১০০তে ১০০ পাবে কি–না সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলছে, ডিসেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় কোপ–২৬ সম্মেলনে এই অর্থের নিশ্চয়তা না দিতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্ভব নয়।
এ নিয়ে অ্যাকশন এইডের জলবায়ু নীতির সমন্বয়ক তেরেসা এন্ডারসন বলেন, জি৭ গ্রুপের বছরে দশ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এই সংকট মোকাবিলার গুরুত্বের কাছে পৌঁছায়নি। ধনী দেশগুলো জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অর্থ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা দেওয়া হয়েছে তা ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা দেশগুলোকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এটি দেশগুলোকে ঋণের বোঝা এবং দরিদ্রতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো অর্থায়নের বিষয়টি। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা মহামারির মধ্যে দরিদ্র দেশগুলোর কোভিড সাহায্যের দাবি।
তবে এই সব ইস্যু ছায়ায় ঢেকে গেছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়লা নির্ভরতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে কখন বের হবে কীভাবে বের হবে তা নিয়ে বাইডেন কিছুই বলেননি। জার্মানি এবং জাপানের বিদ্যুৎখাতের কয়লা নির্ভরতা থেকে বের হয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দরিদ্র দেশগুলোর কয়লা শিল্পে অর্থায়ন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি চীনের ওপর চাপ বাড়াবে।
ফ্রান্সের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ লরেন্স তুবিয়ানা বলেন, জি৭ দেশগুলো এগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এগিয়ে এলে বাকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা এই তালিকায় রাখতে পারি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোকে। আর হ্যাঁ চীনকেও। এসব দেশ যখন দেখবে ধনী দেশগুলো এগিয়ে আসছে তখন তারাও জলবায়ু ইস্যুতে আরও সক্রিয় হবে।
আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৬ ঘণ্টা আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
১৬ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মুহুরী, গোমতী, সোমেশ্বরী ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
১ দিন আগেআজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
২ দিন আগে