বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন খুব সাধারণ ঘটনা। গ্রিনল্যান্ডের বরফের বেলায়ও এটি খুব ভালোভাবে খাটে। তবে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন যে আশঙ্কাটি করছেন সেটা রীতিমতো ভীতিপ্রদ। তাঁদের ধারণা কোনো এক সময় গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বিছিয়ে থাকা বরফের পুরো চাদরটাই গলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে ২০ থেকে ২৫ ফুট।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১১ লাখ বছরের একটি উষ্ণ সময়ের মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের বিশাল বরফের চাদরের শুধু প্রান্ত নয় কেন্দ্র পর্যন্ত গলে যায়। এতে বহু প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান একটি শুষ্ক এবং অনুর্বর তুন্দ্রা অঞ্চল তলিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত এক নতুন গবেষণাপত্রে এ সব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।
শুরুর দিকের এই বরফ গলনের সময় এখনকার তুলনায় কম গ্রিনহাউস গ্যাস ছিল পরিবেশে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন বায়ুমণ্ডলে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড থাকায় আগের ধারণার চেয়ে বরফ গলার ঝুঁকি আরও বেশি।
‘গ্রিনল্যান্ডে এভাবে বরফে আচ্ছাদিত অবস্থায় আছে প্রায় ২৭ লাখ বছর ধরে। আর এখন আমাদের হাতে কিছু প্রমাণ এসেছে, যাতে মনে হয় বরফের এ চাদরটি ভঙ্গুর।’ বলেন ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিজ্ঞানী ও নতুন এই গবেষণায় যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া পল বিয়ারম্যান।
গবেষকেরা ২০১৪ সাল থেকে গ্রিনল্যান্ড বরফের চাদরের নিচের উপাদান নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁরা একটি বরফের তলদেশ থেকে পলি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। এর নাম দেওয়া হয় জিআইএসপি২। প্রায় ৩০ বছর আগে বরফের চাঁইয়ের কেন্দ্র থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়।
আর এক আউন্সের এই পলি নমুনাতে আছে গ্রিনল্যান্ডের অতীত কেমন ছিল তার সূত্র। যখন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রাখা হয় ছোট্ট এই কণাটিকে, তখন একটি পোকার চোখ, একটি আর্কটিক পপি বীজ, উইলো গাছের অংশ, ছত্রাক এবং শেওলার অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। বিয়ারম্যান একে উল্লেখ করেছেন, ‘বরফের নিচের হিমায়িত বাস্তুতন্ত্র’ বলে।
গবেষকদের ধারণা, এই জীবাশ্ম বা ফসিলগুলো নিশ্চিত করে গ্রিনল্যান্ড তার ৯০ শতাংশ বরফের চাদর হারিয়ে গিয়েছিল অতীতে।
‘বরফের চাদের মাঝখানে এই ফসিল পাওয়া হলো অতীতে গ্রিনল্যান্ডের বরফ অদৃশ্য হওয়ার নিশ্চিত প্রমাণ,’ বলেন বিয়ারম্যান, ‘আর বরফের চাদরের মাঝখানের অংশ হারানোর অর্থ এর পুরোটাই হারানো।’
তিনি বলেন, অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য ‘ভঙ্গুর গ্রিনল্যান্ড’ নামের তত্ত্বটিকে সমর্থন করে। এর অর্থ মানুষের প্রভাব ছাড়াই গঠনের পর প্রাকৃতিকভাবে অন্তত একবার বরফের এ চাদর গলেছে।’
ছয় লাখ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদর দ্বীপটির ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ে আছে।
গ্রিনল্যান্ডের বরফের ক্ষতির মানচিত্র তৈরি করা নাসা জানিয়েছে, বলেছে যে বরফের এই চাদর ‘গত কয়েক বছরে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে’ এবং বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর প্রায় ০.০৩ ইঞ্চি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বিয়ারম্যানের মতে বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রথম কারণ গ্রিনল্যান্ডের গলতে থাকা বরফ।
এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রাথমিক বছরগুলিতে, পর্বতের হিমবাহগুলি বেশিরভাগ বরফ গলা এবং মহাসাগরে পানি যোগ করার কারণ ছিল। তবে এখন এ কাজটি করছে গ্রিনল্যান্ড।’
যদিও পুরো গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে যাওয়ার জন্য কয়েক হাজার বছরও লাগতে পারে, তবে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে জানান। লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা হারাতে পারে। আমাদের পছন্দের এবং প্রিয় স্থানগুলি হারিয়ে যাবে।
‘এখন আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ? আমি বলব, আপনার প্রিয় সৈকতটি ২৫ ফুট জলের নিচে চলে গেছে, এটা একবার চিন্তা করুন তো!’ বলেন বিয়ারম্যান
বরফ গলার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন খুব সাধারণ ঘটনা। গ্রিনল্যান্ডের বরফের বেলায়ও এটি খুব ভালোভাবে খাটে। তবে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন যে আশঙ্কাটি করছেন সেটা রীতিমতো ভীতিপ্রদ। তাঁদের ধারণা কোনো এক সময় গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বিছিয়ে থাকা বরফের পুরো চাদরটাই গলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে ২০ থেকে ২৫ ফুট।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১১ লাখ বছরের একটি উষ্ণ সময়ের মধ্যে গ্রিনল্যান্ডের বিশাল বরফের চাদরের শুধু প্রান্ত নয় কেন্দ্র পর্যন্ত গলে যায়। এতে বহু প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান একটি শুষ্ক এবং অনুর্বর তুন্দ্রা অঞ্চল তলিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত এক নতুন গবেষণাপত্রে এ সব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।
শুরুর দিকের এই বরফ গলনের সময় এখনকার তুলনায় কম গ্রিনহাউস গ্যাস ছিল পরিবেশে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন বায়ুমণ্ডলে বেশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড থাকায় আগের ধারণার চেয়ে বরফ গলার ঝুঁকি আরও বেশি।
‘গ্রিনল্যান্ডে এভাবে বরফে আচ্ছাদিত অবস্থায় আছে প্রায় ২৭ লাখ বছর ধরে। আর এখন আমাদের হাতে কিছু প্রমাণ এসেছে, যাতে মনে হয় বরফের এ চাদরটি ভঙ্গুর।’ বলেন ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিজ্ঞানী ও নতুন এই গবেষণায় যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া পল বিয়ারম্যান।
গবেষকেরা ২০১৪ সাল থেকে গ্রিনল্যান্ড বরফের চাদরের নিচের উপাদান নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁরা একটি বরফের তলদেশ থেকে পলি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। এর নাম দেওয়া হয় জিআইএসপি২। প্রায় ৩০ বছর আগে বরফের চাঁইয়ের কেন্দ্র থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়।
আর এক আউন্সের এই পলি নমুনাতে আছে গ্রিনল্যান্ডের অতীত কেমন ছিল তার সূত্র। যখন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রাখা হয় ছোট্ট এই কণাটিকে, তখন একটি পোকার চোখ, একটি আর্কটিক পপি বীজ, উইলো গাছের অংশ, ছত্রাক এবং শেওলার অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। বিয়ারম্যান একে উল্লেখ করেছেন, ‘বরফের নিচের হিমায়িত বাস্তুতন্ত্র’ বলে।
গবেষকদের ধারণা, এই জীবাশ্ম বা ফসিলগুলো নিশ্চিত করে গ্রিনল্যান্ড তার ৯০ শতাংশ বরফের চাদর হারিয়ে গিয়েছিল অতীতে।
‘বরফের চাদের মাঝখানে এই ফসিল পাওয়া হলো অতীতে গ্রিনল্যান্ডের বরফ অদৃশ্য হওয়ার নিশ্চিত প্রমাণ,’ বলেন বিয়ারম্যান, ‘আর বরফের চাদরের মাঝখানের অংশ হারানোর অর্থ এর পুরোটাই হারানো।’
তিনি বলেন, অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য ‘ভঙ্গুর গ্রিনল্যান্ড’ নামের তত্ত্বটিকে সমর্থন করে। এর অর্থ মানুষের প্রভাব ছাড়াই গঠনের পর প্রাকৃতিকভাবে অন্তত একবার বরফের এ চাদর গলেছে।’
ছয় লাখ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদর দ্বীপটির ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ে আছে।
গ্রিনল্যান্ডের বরফের ক্ষতির মানচিত্র তৈরি করা নাসা জানিয়েছে, বলেছে যে বরফের এই চাদর ‘গত কয়েক বছরে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে’ এবং বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর প্রায় ০.০৩ ইঞ্চি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বিয়ারম্যানের মতে বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রথম কারণ গ্রিনল্যান্ডের গলতে থাকা বরফ।
এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রাথমিক বছরগুলিতে, পর্বতের হিমবাহগুলি বেশিরভাগ বরফ গলা এবং মহাসাগরে পানি যোগ করার কারণ ছিল। তবে এখন এ কাজটি করছে গ্রিনল্যান্ড।’
যদিও পুরো গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে যাওয়ার জন্য কয়েক হাজার বছরও লাগতে পারে, তবে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে জানান। লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা হারাতে পারে। আমাদের পছন্দের এবং প্রিয় স্থানগুলি হারিয়ে যাবে।
‘এখন আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ? আমি বলব, আপনার প্রিয় সৈকতটি ২৫ ফুট জলের নিচে চলে গেছে, এটা একবার চিন্তা করুন তো!’ বলেন বিয়ারম্যান
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকা আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টির ফলে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে।
২০ মিনিট আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭২। দূষিত শহরের বাতাসের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। গতকাল বুধবার ১৫৩ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৪র্থ স্থানে ছিল ঢাকা।
১ দিন আগেগঙ্গা (যা বাংলাদেশে পদ্মা নামেও পরিচিত) দক্ষিণ এশিয়ার কোটি মানুষের জীবনের অবলম্বন। কিন্তু এই অবলম্বনই ব্যাপক দ্রুত শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইতিহাসে এত দ্রুত কখনোই গঙ্গাকে শুকিয়ে যেতে দেখা যায়নি। তাঁরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বদলে যাওয়া মৌসুমি বৃষ্টি, লাগাতার পানি...
১ দিন আগেদুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পাশাপাশি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে