
কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৯ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৯ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৯ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে