ডয়েচে ভেলে
শুনতে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি মনে হলেও, একদল গবেষক বিশ্বাস করেন সূর্যের আলোকে পৃথিবীর বুকে আসা থেকে আটকে দিতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করা সম্ভব। তবে এই সম্ভাবনার বিপরীত পিঠও রয়েছে। অনেক বিজ্ঞানীই মনে করেন এটি পুরোপুরি জুয়া খেলার মতো। তাঁরা এটিকে সমাধান হিসেবে মানতে নারাজ।
সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করা গবেষকেরা বলছেন, এটি পদার্থবিজ্ঞানের খুবই সাধারণ একটি তত্ত্ব। আমরা যদি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে দীর্ঘ সময় ধরে সালফার ডাই-অক্সাইডের ছোট ছোট কণা স্প্রে করি, তাহলে একটা সময় সেই কণাগুলো সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করবে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিপরীতেও কাজ করবে।
তবে এই গবেষণার অনেক বিরোধীও রয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, এ ধরনের পরিবর্তন একটি ভয়ানক বাজি। যার পরিণতি হবে খুবই ভয়াবহ। তাঁরা এই ব্যবস্থাকে বিকল্প হিসেবে মানতেও নারাজ।
ক্রমাগত কয়েক বছর গবেষণার পর সোলার ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সৌর ভূপ্রকৌশল বিষয়টি বর্তমানে শিক্ষাবিদ, আইনপ্রণেতা এমনকি জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সংস্থার (আইপিসিসি) আলোচনার টেবিলে প্রাধান্য পাচ্ছে। কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করা গেলে, এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, সোলার রেডিয়েশন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করলেও সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এই মুহূর্তে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। অপর দিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সোলার রেডিয়েশন ম্যানেজমেন্টের সম্ভাব্য কাঠামো তৈরি এবং ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক মিত্রদের আহ্বান জানিয়েছে।
যেভাবে এটি কাজ করে?
এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি হলো—বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে সালফার ডাই-অক্সাইডের ছোট কণা স্প্রে করা। ১৯৯১ সালে ফিলিপাইনের পিনাতুবোর আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে এই তত্ত্বটি প্রমাণিত হয়। এই বিস্ফোরণটির শক্তির মাত্রা এত বেশি ছিল যে, সেখান থেকে প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন সালফার ডাই-অক্সাইড স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ঢুকে যায়। যার কারণে বিস্ফোরণের ২ বছর পর পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা গড়ে অর্ধ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডগলাস ম্যাক মার্টিন বলেছেন, সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং মডেলিং অনুযায়ী পৃথিবীতে পৌঁছানো সূর্যালোকের শতকরা এক ভাগও প্রতিফলিত করা গেলে তা পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক শিল্প যুগে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনার বার্ষিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার।
এর খারাপ দিকগুলো কী কী?
সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিকগুলোর একটি হচ্ছে—স্প্রে করা কণা থেকে অ্যাসিড বৃষ্টি সরাসরি ওজোনস্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি এটি পৃথিবীর বৃষ্টিপাতের ধরনকেও প্রভাবিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত আবহাওয়া আরও খারাপ হবে।
ম্যাক মার্টিন মন্তব্য করেন, ‘কার্বন নিঃসরণের মাত্রা দ্রুত কমিয়ে আনা না হলে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এই সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং কিছু না করার চেয়ে অন্তত ভালো ফল বয়ে আনবে।’
শুনতে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি মনে হলেও, একদল গবেষক বিশ্বাস করেন সূর্যের আলোকে পৃথিবীর বুকে আসা থেকে আটকে দিতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করা সম্ভব। তবে এই সম্ভাবনার বিপরীত পিঠও রয়েছে। অনেক বিজ্ঞানীই মনে করেন এটি পুরোপুরি জুয়া খেলার মতো। তাঁরা এটিকে সমাধান হিসেবে মানতে নারাজ।
সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করা গবেষকেরা বলছেন, এটি পদার্থবিজ্ঞানের খুবই সাধারণ একটি তত্ত্ব। আমরা যদি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে দীর্ঘ সময় ধরে সালফার ডাই-অক্সাইডের ছোট ছোট কণা স্প্রে করি, তাহলে একটা সময় সেই কণাগুলো সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করবে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিপরীতেও কাজ করবে।
তবে এই গবেষণার অনেক বিরোধীও রয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, এ ধরনের পরিবর্তন একটি ভয়ানক বাজি। যার পরিণতি হবে খুবই ভয়াবহ। তাঁরা এই ব্যবস্থাকে বিকল্প হিসেবে মানতেও নারাজ।
ক্রমাগত কয়েক বছর গবেষণার পর সোলার ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সৌর ভূপ্রকৌশল বিষয়টি বর্তমানে শিক্ষাবিদ, আইনপ্রণেতা এমনকি জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সংস্থার (আইপিসিসি) আলোচনার টেবিলে প্রাধান্য পাচ্ছে। কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করা গেলে, এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, সোলার রেডিয়েশন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করলেও সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে এই মুহূর্তে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। অপর দিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সোলার রেডিয়েশন ম্যানেজমেন্টের সম্ভাব্য কাঠামো তৈরি এবং ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক মিত্রদের আহ্বান জানিয়েছে।
যেভাবে এটি কাজ করে?
এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি হলো—বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে সালফার ডাই-অক্সাইডের ছোট কণা স্প্রে করা। ১৯৯১ সালে ফিলিপাইনের পিনাতুবোর আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে এই তত্ত্বটি প্রমাণিত হয়। এই বিস্ফোরণটির শক্তির মাত্রা এত বেশি ছিল যে, সেখান থেকে প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন সালফার ডাই-অক্সাইড স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ঢুকে যায়। যার কারণে বিস্ফোরণের ২ বছর পর পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা গড়ে অর্ধ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডগলাস ম্যাক মার্টিন বলেছেন, সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং মডেলিং অনুযায়ী পৃথিবীতে পৌঁছানো সূর্যালোকের শতকরা এক ভাগও প্রতিফলিত করা গেলে তা পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক শিল্প যুগে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনার বার্ষিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার।
এর খারাপ দিকগুলো কী কী?
সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিকগুলোর একটি হচ্ছে—স্প্রে করা কণা থেকে অ্যাসিড বৃষ্টি সরাসরি ওজোনস্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি এটি পৃথিবীর বৃষ্টিপাতের ধরনকেও প্রভাবিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত আবহাওয়া আরও খারাপ হবে।
ম্যাক মার্টিন মন্তব্য করেন, ‘কার্বন নিঃসরণের মাত্রা দ্রুত কমিয়ে আনা না হলে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এই সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং কিছু না করার চেয়ে অন্তত ভালো ফল বয়ে আনবে।’
আজ সোমবার বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ৭৫, যা সহনীয় বাতাসের নির্দেশক। গতকাল রোববার সকাল ১১টা ২০ মিনিটের রেকর্ডে দেখা যায়, ঢাকার বায়ুমান ছিল ৯৭।
৬ ঘণ্টা আগেএদিকে, আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে উগান্ডার কাম্পালা। শহরটির বায়ুমান ১৮০, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা ও চিলির সান্তিয়াগো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৫২,১৫০, ১৩১ ও ১৩০।
১ দিন আগেআজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
২ দিন আগে