অবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দাবানল, বন্যা, খরা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ভূমি ধসের মতো বিপর্যয়ের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর ঝুঁকির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো বার্ষিক গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে চরম আবহাওয়ার ঘটনা আরও তীব্র হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কার্বন নিঃসরণ দ্রুত কমিয়ে আনা, বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন সরানো এবং প্রকৃতিকে পুনরুদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে ২০৯০ সালের আগের দুই দশকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ আঘাত হবে।
যদি ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বৃদ্ধি পায়, তবে ৪০০ কোটি মানুষের মৃত্যু, রাজনৈতিক বিভাজন, রাষ্ট্রের পতন এবং অর্থনৈতিক সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি কিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকবে।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক স্যান্ডি ট্রাস্ট বলেন, ‘এই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কোনো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নেই।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক পূর্বাভাসগুলো ভুল, যেগুলো বলছে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক উৎপাদনের মাত্র ২ শতাংশ ক্ষতি হবে। এসব পূর্বাভাস রাজনৈতিক নেতাদের নীতির প্রকৃত ঝুঁকি সম্পর্কে অন্ধ করে রেখেছে।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত ঝুঁকি মূল্যায়ন পদ্ধতিগুলো ভুল। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর প্রভাব, যেমন সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অভিবাসন এবং সংঘর্ষের বিষয়গুলোকে যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ‘এসব ঝুঁকির সঠিক মূল্যায়ন না করায় পৃথিবী এমন এক অবস্থায় পৌঁছানোর ঝুঁকিতে আছে, যেখানে প্রকৃতির সেবা ব্যবস্থা এতটাই নষ্ট হয়ে যাবে যে, মানুষ আর তাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবা পাবে না।’
ট্রাস্ট আরও বলেন, ‘একটি সমাজ ছাড়া অর্থনীতি সম্ভব নয়, আর সমাজ টিকে থাকার জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ প্রয়োজন। প্রকৃতি আমাদের ভিত্তি, যা খাদ্য, পানি, বায়ু এবং অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও শক্তি সরবরাহ করে। এই ভিত্তির স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়লে ভবিষ্যৎ মানবসমাজের সমৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়বে।’
প্ল্যানেটারি সলভেন্সি—ফাইন্ডিং আওয়ার ব্যালান্স উইথ নেচার শীর্ষক এই প্রতিবেদনটিতে বর্তমান অর্থনৈতিক তত্ত্বের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তত্ত্ব কেবল মানুষের জন্য সম্পদ আহরণের ওপর জোর দেয়, প্রকৃতির ক্ষয়ক্ষতির ফলে সমাজ ও অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে তা বিবেচনা করে না।
প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক নেতাদের একটি নতুন নীতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের নেতাদের এই পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে। এই চরম ঝুঁকিগুলোই নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলা উচিত।’ এই প্রতিবেদনে ঝুঁকি পর্যালোচনার জন্য একটি নতুন ড্যাশবোর্ড তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে, যা নীতিনির্ধারকদের পৃথিবীর সীমানার মধ্যে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করবে।
ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের অধ্যাপক টিম লেন্টন ও প্রতিবেদনের সহ-লেখক বলেছেন, ‘বর্তমান পদ্ধতিগুলো ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্ল্যানেটারি সলভেন্সি ঝুঁকি পেশাদারদের পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের জীবনধারণ ব্যবস্থাকে বিশ্লেষণ করে এবং দেখায় তা বিপদের মুখে রয়েছে। এটি বৈশ্বিক ঝুঁকি বোঝার এবং পদক্ষেপ নেওয়ার একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়।’
অবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দাবানল, বন্যা, খরা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ভূমি ধসের মতো বিপর্যয়ের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর ঝুঁকির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো বার্ষিক গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে চরম আবহাওয়ার ঘটনা আরও তীব্র হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কার্বন নিঃসরণ দ্রুত কমিয়ে আনা, বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন সরানো এবং প্রকৃতিকে পুনরুদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে ২০৯০ সালের আগের দুই দশকে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ আঘাত হবে।
যদি ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বৃদ্ধি পায়, তবে ৪০০ কোটি মানুষের মৃত্যু, রাজনৈতিক বিভাজন, রাষ্ট্রের পতন এবং অর্থনৈতিক সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি কিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকবে।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক স্যান্ডি ট্রাস্ট বলেন, ‘এই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কোনো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নেই।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক পূর্বাভাসগুলো ভুল, যেগুলো বলছে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক উৎপাদনের মাত্র ২ শতাংশ ক্ষতি হবে। এসব পূর্বাভাস রাজনৈতিক নেতাদের নীতির প্রকৃত ঝুঁকি সম্পর্কে অন্ধ করে রেখেছে।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত ঝুঁকি মূল্যায়ন পদ্ধতিগুলো ভুল। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর প্রভাব, যেমন সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অভিবাসন এবং সংঘর্ষের বিষয়গুলোকে যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ‘এসব ঝুঁকির সঠিক মূল্যায়ন না করায় পৃথিবী এমন এক অবস্থায় পৌঁছানোর ঝুঁকিতে আছে, যেখানে প্রকৃতির সেবা ব্যবস্থা এতটাই নষ্ট হয়ে যাবে যে, মানুষ আর তাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবা পাবে না।’
ট্রাস্ট আরও বলেন, ‘একটি সমাজ ছাড়া অর্থনীতি সম্ভব নয়, আর সমাজ টিকে থাকার জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ প্রয়োজন। প্রকৃতি আমাদের ভিত্তি, যা খাদ্য, পানি, বায়ু এবং অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও শক্তি সরবরাহ করে। এই ভিত্তির স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়লে ভবিষ্যৎ মানবসমাজের সমৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়বে।’
প্ল্যানেটারি সলভেন্সি—ফাইন্ডিং আওয়ার ব্যালান্স উইথ নেচার শীর্ষক এই প্রতিবেদনটিতে বর্তমান অর্থনৈতিক তত্ত্বের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তত্ত্ব কেবল মানুষের জন্য সম্পদ আহরণের ওপর জোর দেয়, প্রকৃতির ক্ষয়ক্ষতির ফলে সমাজ ও অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে তা বিবেচনা করে না।
প্রতিবেদনটি রাজনৈতিক নেতাদের একটি নতুন নীতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের নেতাদের এই পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে। এই চরম ঝুঁকিগুলোই নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলা উচিত।’ এই প্রতিবেদনে ঝুঁকি পর্যালোচনার জন্য একটি নতুন ড্যাশবোর্ড তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে, যা নীতিনির্ধারকদের পৃথিবীর সীমানার মধ্যে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করবে।
ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের অধ্যাপক টিম লেন্টন ও প্রতিবেদনের সহ-লেখক বলেছেন, ‘বর্তমান পদ্ধতিগুলো ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্ল্যানেটারি সলভেন্সি ঝুঁকি পেশাদারদের পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের জীবনধারণ ব্যবস্থাকে বিশ্লেষণ করে এবং দেখায় তা বিপদের মুখে রয়েছে। এটি বৈশ্বিক ঝুঁকি বোঝার এবং পদক্ষেপ নেওয়ার একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়।’
আজ দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০ মিলিমিটার।
১৫ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৫ ঘণ্টা আগেদই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশের তাপমাত্রা আজ কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালের বুলেটিন অনুযায়ী, আজ আট বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে
১ দিন আগেআজ দিনের তাপমাত্রা গতকালের তুলনায় সামান্য কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকার কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি।
২ দিন আগে