রাজন চন্দ, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
সুন্দরবনের পরেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রামসার সাইট খ্যাত মিঠাপানির জলাভূমি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার, ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি হত্যা, হিজল-করছ গাছ কেটে উজাড়, ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অবাধ বিচরণ ও যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা এসব নানান কারণে হাওরের জীববৈচিত্র্য দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে।
স্থানীয়দের দাবি, টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় অচিরেই সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটক ভাড়ায় চালিত ইঞ্জিন নৌকায় টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রবেশ করেন। হাওরে গিয়ে পর্যটকেরা কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন প্লাস্টিক পানির বোতল, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক গ্লাস, চিপস-চানাচুরের প্যাকেটসহ অসংখ্য প্লাস্টিক সামগ্রী নির্দ্বিধায় হাওরের পানিতে ফেলছেন। অপরদিকে টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের লোকজন রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরছেন, কেউ আবার জ্বালানির জন্য হিজল-করছ গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন, অনেকেই আবার শীতকালে আসা অতিথি পাখি শিকার করে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য।
টাঙ্গুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির বলেন, 'আমাদের ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজনকে ফাঁকি দিয়েই হাওরের মাছ ও পাখি শিকার করা হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের লোকজন অনেক সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জাল ও পাখি শিকারিদের জরিমানা করেন।'
টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দা শিক্ষক নীহার রঞ্জন তালুকদার জানান, ছোট বেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরে অনেক বড় বড় মাছ দেখতাম, শীতকালে পাখির কলতানে ঘুম ভাঙলেও বর্তমানে এসবের কিছুই এখন নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টাঙ্গুয়ার হাওরের এক জেলে জানান, অন্য কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় আমরা টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছ ধরি, শীতের সময় পাখি শিকার করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি।
তাহিরপুর উপজেলা হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক গোলাম সারোয়ার লিটন বলেন, 'নানান কারণে দিন দিন টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।'
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, 'টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে হাওরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দেওয়া হয়। খুব শিগগিরই টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
সুন্দরবনের পরেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রামসার সাইট খ্যাত মিঠাপানির জলাভূমি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার, ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি হত্যা, হিজল-করছ গাছ কেটে উজাড়, ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অবাধ বিচরণ ও যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা এসব নানান কারণে হাওরের জীববৈচিত্র্য দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে।
স্থানীয়দের দাবি, টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় অচিরেই সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটক ভাড়ায় চালিত ইঞ্জিন নৌকায় টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রবেশ করেন। হাওরে গিয়ে পর্যটকেরা কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন প্লাস্টিক পানির বোতল, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক গ্লাস, চিপস-চানাচুরের প্যাকেটসহ অসংখ্য প্লাস্টিক সামগ্রী নির্দ্বিধায় হাওরের পানিতে ফেলছেন। অপরদিকে টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের লোকজন রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরছেন, কেউ আবার জ্বালানির জন্য হিজল-করছ গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন, অনেকেই আবার শীতকালে আসা অতিথি পাখি শিকার করে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য।
টাঙ্গুয়ার হাওর ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির বলেন, 'আমাদের ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজনকে ফাঁকি দিয়েই হাওরের মাছ ও পাখি শিকার করা হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের লোকজন অনেক সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জাল ও পাখি শিকারিদের জরিমানা করেন।'
টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দা শিক্ষক নীহার রঞ্জন তালুকদার জানান, ছোট বেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরে অনেক বড় বড় মাছ দেখতাম, শীতকালে পাখির কলতানে ঘুম ভাঙলেও বর্তমানে এসবের কিছুই এখন নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টাঙ্গুয়ার হাওরের এক জেলে জানান, অন্য কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় আমরা টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছ ধরি, শীতের সময় পাখি শিকার করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি।
তাহিরপুর উপজেলা হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক গোলাম সারোয়ার লিটন বলেন, 'নানান কারণে দিন দিন টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।'
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, 'টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে হাওরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দেওয়া হয়। খুব শিগগিরই টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স—একিউআইয়ের আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ১৭১, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২য়। গতকাল সোমবার একই সময়ের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৩১, অবস্থান ছিল ৭ম।
১৬ ঘণ্টা আগেআজ দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০ মিলিমিটার।
২ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
২ দিন আগেদই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশের তাপমাত্রা আজ কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালের বুলেটিন অনুযায়ী, আজ আট বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে
২ দিন আগে