
গত মে মাসে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু সংস্থা ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)।
নোয়ার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মনুষ্যসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, সিমেন্ট উৎপাদন কিংবা বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
৩ জুন বিজ্ঞানীরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনা লাও আগ্নেয়গিরির ওপর স্থাপিত নোয়ার আবহওয়া স্টেশনে গত মে মাসে সর্বোচ্চ ৪২১ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম) কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিমাপ করা হয়। ২০২১ সালের মে মাসে এই হার ছিল ৪১৯ পিপিএম এবং ২০২০ সালের একই সময় ছিল ৪১৭ পিপিএম। এই স্টেশনটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় দূষণের প্রভাব থেকে প্রকৃত দূষণমাত্রা আলাদা করতে পারে।
নোয়া জানায়, শিল্পবিপ্লবের আগে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ছিল গড়ে প্রায় ২৮০ পিপিএম। শিল্পবিপ্লব শুরু হয় সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি। ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের কারণ ও ফলাফল— ইতিহাসে মোটামুটি ১৭৬০-১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালে কৃষি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থেকে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে গতি শুরু হয়। এ সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর সমুদ্র যাত্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পথ খুলে দেয়। এরপর পুঁজিবাদের উদ্ভব, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার, কয়লার খনি আর ইস্পাতের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক শিল্প শহর আর কারখানা গড়ে ওঠে। এ সময় থেকেই মূলত বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। 
বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীরা বলেন, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ৩৫০ পিপিএম থাকা উচিত।
কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘদিন শিল্পকারখানা বন্ধ এবং মানুষের তৎপরতা অত্যন্ত সীমিত থাকায় ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যায়।
কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহন, কলকারখানা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ব্যাপকভাবে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন শুরু হয়েছে। বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব ৪০ লাখ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন। মানব ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ।
এ ব্যাপারে নোয়ার প্রশাসক রিক স্পাইনার্ড বলেন, ‘বিজ্ঞান অস্বীকারের সুযোগ নেই। মানবজাতি যেভাবে জলবায়ুকে বদলে দিচ্ছে, সেটির সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি এবং অবকাঠামোকে অবশ্যই উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দৃশ্যমান। মৌনা লোয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের যে মাত্রা পরিমাপ করা গেছে তা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সতর্কবার্তা।’
বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি মানে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া। এর ফলে অতি বন্যা, দাবদাহ, ক্ষরা, দাবানল ইত্যাদি দুর্যোগ বেড়ে যাবে। সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ এরই মধ্যে এসব দুর্যোগের ভুক্তভোগী।

গত মে মাসে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু সংস্থা ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)।
নোয়ার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মনুষ্যসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, সিমেন্ট উৎপাদন কিংবা বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
৩ জুন বিজ্ঞানীরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনা লাও আগ্নেয়গিরির ওপর স্থাপিত নোয়ার আবহওয়া স্টেশনে গত মে মাসে সর্বোচ্চ ৪২১ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম) কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিমাপ করা হয়। ২০২১ সালের মে মাসে এই হার ছিল ৪১৯ পিপিএম এবং ২০২০ সালের একই সময় ছিল ৪১৭ পিপিএম। এই স্টেশনটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় দূষণের প্রভাব থেকে প্রকৃত দূষণমাত্রা আলাদা করতে পারে।
নোয়া জানায়, শিল্পবিপ্লবের আগে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ছিল গড়ে প্রায় ২৮০ পিপিএম। শিল্পবিপ্লব শুরু হয় সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি। ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের কারণ ও ফলাফল— ইতিহাসে মোটামুটি ১৭৬০-১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালে কৃষি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থেকে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে গতি শুরু হয়। এ সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর সমুদ্র যাত্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পথ খুলে দেয়। এরপর পুঁজিবাদের উদ্ভব, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার, কয়লার খনি আর ইস্পাতের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক শিল্প শহর আর কারখানা গড়ে ওঠে। এ সময় থেকেই মূলত বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। 
বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীরা বলেন, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ৩৫০ পিপিএম থাকা উচিত।
কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘদিন শিল্পকারখানা বন্ধ এবং মানুষের তৎপরতা অত্যন্ত সীমিত থাকায় ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যায়।
কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহন, কলকারখানা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ব্যাপকভাবে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন শুরু হয়েছে। বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব ৪০ লাখ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন। মানব ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ।
এ ব্যাপারে নোয়ার প্রশাসক রিক স্পাইনার্ড বলেন, ‘বিজ্ঞান অস্বীকারের সুযোগ নেই। মানবজাতি যেভাবে জলবায়ুকে বদলে দিচ্ছে, সেটির সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি এবং অবকাঠামোকে অবশ্যই উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দৃশ্যমান। মৌনা লোয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের যে মাত্রা পরিমাপ করা গেছে তা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সতর্কবার্তা।’
বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি মানে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া। এর ফলে অতি বন্যা, দাবদাহ, ক্ষরা, দাবানল ইত্যাদি দুর্যোগ বেড়ে যাবে। সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ এরই মধ্যে এসব দুর্যোগের ভুক্তভোগী।

গত মে মাসে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু সংস্থা ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)।
নোয়ার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মনুষ্যসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, সিমেন্ট উৎপাদন কিংবা বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
৩ জুন বিজ্ঞানীরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনা লাও আগ্নেয়গিরির ওপর স্থাপিত নোয়ার আবহওয়া স্টেশনে গত মে মাসে সর্বোচ্চ ৪২১ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম) কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিমাপ করা হয়। ২০২১ সালের মে মাসে এই হার ছিল ৪১৯ পিপিএম এবং ২০২০ সালের একই সময় ছিল ৪১৭ পিপিএম। এই স্টেশনটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় দূষণের প্রভাব থেকে প্রকৃত দূষণমাত্রা আলাদা করতে পারে।
নোয়া জানায়, শিল্পবিপ্লবের আগে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ছিল গড়ে প্রায় ২৮০ পিপিএম। শিল্পবিপ্লব শুরু হয় সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি। ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের কারণ ও ফলাফল— ইতিহাসে মোটামুটি ১৭৬০-১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালে কৃষি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থেকে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে গতি শুরু হয়। এ সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর সমুদ্র যাত্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পথ খুলে দেয়। এরপর পুঁজিবাদের উদ্ভব, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার, কয়লার খনি আর ইস্পাতের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক শিল্প শহর আর কারখানা গড়ে ওঠে। এ সময় থেকেই মূলত বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। 
বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীরা বলেন, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ৩৫০ পিপিএম থাকা উচিত।
কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘদিন শিল্পকারখানা বন্ধ এবং মানুষের তৎপরতা অত্যন্ত সীমিত থাকায় ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যায়।
কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহন, কলকারখানা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ব্যাপকভাবে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন শুরু হয়েছে। বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব ৪০ লাখ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন। মানব ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ।
এ ব্যাপারে নোয়ার প্রশাসক রিক স্পাইনার্ড বলেন, ‘বিজ্ঞান অস্বীকারের সুযোগ নেই। মানবজাতি যেভাবে জলবায়ুকে বদলে দিচ্ছে, সেটির সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি এবং অবকাঠামোকে অবশ্যই উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দৃশ্যমান। মৌনা লোয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের যে মাত্রা পরিমাপ করা গেছে তা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সতর্কবার্তা।’
বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি মানে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া। এর ফলে অতি বন্যা, দাবদাহ, ক্ষরা, দাবানল ইত্যাদি দুর্যোগ বেড়ে যাবে। সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ এরই মধ্যে এসব দুর্যোগের ভুক্তভোগী।

গত মে মাসে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু সংস্থা ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফিরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)।
নোয়ার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মনুষ্যসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, সিমেন্ট উৎপাদন কিংবা বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
৩ জুন বিজ্ঞানীরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনা লাও আগ্নেয়গিরির ওপর স্থাপিত নোয়ার আবহওয়া স্টেশনে গত মে মাসে সর্বোচ্চ ৪২১ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম) কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিমাপ করা হয়। ২০২১ সালের মে মাসে এই হার ছিল ৪১৯ পিপিএম এবং ২০২০ সালের একই সময় ছিল ৪১৭ পিপিএম। এই স্টেশনটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় দূষণের প্রভাব থেকে প্রকৃত দূষণমাত্রা আলাদা করতে পারে।
নোয়া জানায়, শিল্পবিপ্লবের আগে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ছিল গড়ে প্রায় ২৮০ পিপিএম। শিল্পবিপ্লব শুরু হয় সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি। ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের কারণ ও ফলাফল— ইতিহাসে মোটামুটি ১৭৬০-১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালে কৃষি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থেকে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে গতি শুরু হয়। এ সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর সমুদ্র যাত্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পথ খুলে দেয়। এরপর পুঁজিবাদের উদ্ভব, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার, কয়লার খনি আর ইস্পাতের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক শিল্প শহর আর কারখানা গড়ে ওঠে। এ সময় থেকেই মূলত বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। 
বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীরা বলেন, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ৩৫০ পিপিএম থাকা উচিত।
কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘদিন শিল্পকারখানা বন্ধ এবং মানুষের তৎপরতা অত্যন্ত সীমিত থাকায় ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যায়।
কিন্তু লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহন, কলকারখানা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ব্যাপকভাবে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন শুরু হয়েছে। বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব ৪০ লাখ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন। মানব ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ।
এ ব্যাপারে নোয়ার প্রশাসক রিক স্পাইনার্ড বলেন, ‘বিজ্ঞান অস্বীকারের সুযোগ নেই। মানবজাতি যেভাবে জলবায়ুকে বদলে দিচ্ছে, সেটির সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি এবং অবকাঠামোকে অবশ্যই উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দৃশ্যমান। মৌনা লোয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের যে মাত্রা পরিমাপ করা গেছে তা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সতর্কবার্তা।’
বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি মানে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া। এর ফলে অতি বন্যা, দাবদাহ, ক্ষরা, দাবানল ইত্যাদি দুর্যোগ বেড়ে যাবে। সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ এরই মধ্যে এসব দুর্যোগের ভুক্তভোগী।

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে এই লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাব কাটতে না কাটতেই বঙ্গোপসাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে এই লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

মানুষ্য সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, সিমেন্ট উৎপাদন কিংবা বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাধারণত প্রতি বছর মে মাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
০৪ জুন ২০২২
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। অন্যদিকে ঢাকার বাতাসেও দূষণের মাত্রা গতকালের তুলনায় বেড়েছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১০৫, যা গতকাল ছিল ৮০। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ১০ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ২২তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৩৫৯, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা ও দিল্লি, উগান্ডার কাম্পালা ও পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৮, ২৩১, ১৫৯ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। অন্যদিকে ঢাকার বাতাসেও দূষণের মাত্রা গতকালের তুলনায় বেড়েছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১০৫, যা গতকাল ছিল ৮০। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ১০ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ২২তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৩৫৯, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা ও দিল্লি, উগান্ডার কাম্পালা ও পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৮, ২৩১, ১৫৯ ও ১৫৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

মানুষ্য সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, সিমেন্ট উৎপাদন কিংবা বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাধারণত প্রতি বছর মে মাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
০৪ জুন ২০২২
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে আবারও সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত আংশিক মেঘলা থাকবে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৮ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৭ মিনিটে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
তবে শীতের দেখা মিলতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, ডিসেম্বর মাসের আগে সারা দেশে শীত না পড়ার সম্ভাবনা কম। এর আগে অবশ্য নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি উত্তরাঞ্চলে হালকা শীত পড়তে পারে।

বঙ্গোপসাগরে আবারও সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। লঘুচাপটি বর্তমানে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট ছাড়া লঘুচাপটির প্রভাব দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আজ বৃষ্টি হতে পারে। সিলেট বিভাগেও আগামীকাল বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত আংশিক মেঘলা থাকবে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৮ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৭ মিনিটে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
তবে শীতের দেখা মিলতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, ডিসেম্বর মাসের আগে সারা দেশে শীত না পড়ার সম্ভাবনা কম। এর আগে অবশ্য নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি উত্তরাঞ্চলে হালকা শীত পড়তে পারে।

মানুষ্য সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, সিমেন্ট উৎপাদন কিংবা বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাধারণত প্রতি বছর মে মাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
০৪ জুন ২০২২
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ২২তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৩তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৪১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ১৭৬, ১৫৯ ও ১৪২।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহর তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৮০, যা গতকাল ছিল ৯৭।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ২২তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৩তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৪১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ১৭৬, ১৫৯ ও ১৪২।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

মানুষ্য সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, সিমেন্ট উৎপাদন কিংবা বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব এমন মাত্রায় পৌঁছেছে। সাধারণত প্রতি বছর মে মাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বাড়ে।
০৪ জুন ২০২২
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের কাছে একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর অবস্থা বিপর্যস্ত। বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার শীর্ষ দশে প্রায় দেখা যাচ্ছে শহরগুলোকে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ।
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে