গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এতে ঢাকার বাতাসে দূষণ কমেনি। বরং রাত পোহাতেই আগের দিনের তুলনায় দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে সকালে ঢাকার বাতাসে সর্বোচ্চ দূষণ লক্ষ করা যাচ্ছে। সকালের রেকর্ড অনুযায়ী আজ বিশ্বের ১২৫টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষণ ঢাকায়। বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৫, যেখানে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। যেখানে গতকাল একই সময় ছিল ১৮৪। ঢাকার আগেই শীর্ষ দূষণের শহর হিসেবে উঠে এসেছে সেনেগালের ডাকার, শহরটির বায়ুমান ২৭৮।
আজ রোববার সকাল ৬টার রেকর্ড অনুযায়ী ডাকার ও ঢাকার পরই শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে—চীনের উহান (১৮১), ভারতের দিল্লি (১৮০), উগান্ডার কাম্পালা (১৭৪), পাকিস্তানের লাহোর (১৭৩) এবং পোল্যান্ডের কারকাউ (১৭২)।
বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে বায়ু পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে—ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছরের নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস।
গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এতে ঢাকার বাতাসে দূষণ কমেনি। বরং রাত পোহাতেই আগের দিনের তুলনায় দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে সকালে ঢাকার বাতাসে সর্বোচ্চ দূষণ লক্ষ করা যাচ্ছে। সকালের রেকর্ড অনুযায়ী আজ বিশ্বের ১২৫টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষণ ঢাকায়। বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৫, যেখানে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। যেখানে গতকাল একই সময় ছিল ১৮৪। ঢাকার আগেই শীর্ষ দূষণের শহর হিসেবে উঠে এসেছে সেনেগালের ডাকার, শহরটির বায়ুমান ২৭৮।
আজ রোববার সকাল ৬টার রেকর্ড অনুযায়ী ডাকার ও ঢাকার পরই শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে—চীনের উহান (১৮১), ভারতের দিল্লি (১৮০), উগান্ডার কাম্পালা (১৭৪), পাকিস্তানের লাহোর (১৭৩) এবং পোল্যান্ডের কারকাউ (১৭২)।
বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে বায়ু পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে—ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছর থেকে এ বছরের নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস।
এদিকে, আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে উগান্ডার কাম্পালা। শহরটির বায়ুমান ১৮০, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা ও চিলির সান্তিয়াগো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৫২,১৫০, ১৩১ ও ১৩০।
২ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
১ দিন আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মুহুরী, গোমতী, সোমেশ্বরী ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
২ দিন আগে