অনলাইন ডেস্ক
পৌষের ১০ দিন পার হয়েছে। তবে শীত এখনো দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যেই সীমিত। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহীসহ ওই অঞ্চলে তীব্র শীতে জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে মাঝে শীতের কিছুটা অনুভূতি পাওয়া গেলেও তা এখন অনেকটাই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, নতুন বছরের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জানুয়ারির শুরুতে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। একই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতিও বাড়তে পারে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, পাবনা, নওগাঁ ও গাইবান্ধা অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। রাজধানীতেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। বিশেষ করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা বেড়ে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শীত আরও তীব্র হবে এবং এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, জানুয়ারি মাস বাংলাদেশে সবচেয়ে শীতলতম সময় হিসেবে পরিচিত। এ মাসে দিনের দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় সূর্যের আলো কম সময়ের জন্য পড়ে, যা তাপমাত্রা আরও কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাব দেশের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
তরিফুল নেওয়াজ বলেন, এ বছর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ এবং নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে কিছু মেঘ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ কারণে সাময়িকভাবে দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই এই প্রভাব কেটে যাবে এবং শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এখানে দুই সপ্তাহ ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ বলেন, ঢাকায় শীত সাধারণত একটু দেরিতে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জানুয়ারির শুরুতেই এখানে শীত বাড়তে শুরু করবে। ওই মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের দিকে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতির ফলে তাপমাত্রা কমে যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাব দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের ওপর পড়তে শুরু করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু এলাকায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের অন্যান্য অংশে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা আজ সামান্য বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী শনিবারের পর দেশের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে উত্তরাঞ্চলে শীত আরও তীব্র হতে পারে, দক্ষিণাঞ্চলেও বাড়বে শীতের প্রকোপ।
পৌষের ১০ দিন পার হয়েছে। তবে শীত এখনো দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যেই সীমিত। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহীসহ ওই অঞ্চলে তীব্র শীতে জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে মাঝে শীতের কিছুটা অনুভূতি পাওয়া গেলেও তা এখন অনেকটাই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, নতুন বছরের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জানুয়ারির শুরুতে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। একই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতিও বাড়তে পারে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, পাবনা, নওগাঁ ও গাইবান্ধা অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। রাজধানীতেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। বিশেষ করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা বেড়ে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শীত আরও তীব্র হবে এবং এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, জানুয়ারি মাস বাংলাদেশে সবচেয়ে শীতলতম সময় হিসেবে পরিচিত। এ মাসে দিনের দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় সূর্যের আলো কম সময়ের জন্য পড়ে, যা তাপমাত্রা আরও কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাব দেশের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
তরিফুল নেওয়াজ বলেন, এ বছর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ এবং নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে কিছু মেঘ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ কারণে সাময়িকভাবে দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই এই প্রভাব কেটে যাবে এবং শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এখানে দুই সপ্তাহ ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে। গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ বলেন, ঢাকায় শীত সাধারণত একটু দেরিতে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জানুয়ারির শুরুতেই এখানে শীত বাড়তে শুরু করবে। ওই মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের দিকে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতির ফলে তাপমাত্রা কমে যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাব দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের ওপর পড়তে শুরু করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু এলাকায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের অন্যান্য অংশে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা আজ সামান্য বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী শনিবারের পর দেশের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে উত্তরাঞ্চলে শীত আরও তীব্র হতে পারে, দক্ষিণাঞ্চলেও বাড়বে শীতের প্রকোপ।
আজ দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০ মিলিমিটার।
১৮ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১৯ ঘণ্টা আগেদই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশের তাপমাত্রা আজ কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালের বুলেটিন অনুযায়ী, আজ আট বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে
২ দিন আগেআজ দিনের তাপমাত্রা গতকালের তুলনায় সামান্য কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকার কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি।
২ দিন আগে