Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

আমাকে সেখানেই পাওয়া যাবে, যেখানে চরিত্রের গুরুত্ব থাকবে: সুনেরাহ বিনতে কামাল

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি প্রচার শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। বানিয়েছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এতে সায়রা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। এটি সুনেরাহ অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক। নতুন এই ধারাবাহিকসহ নানা বিষয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ১১

এ মাসে প্রচার শুরু হয়েছে আপনার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। নাটকটি সম্পর্কে জানতে চাই।

এই নাটকে পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। ভিন্নধর্মী কিছু করার প্রয়াস থেকেই এই নাটকে যুক্ত হওয়া। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এটি পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। আমি অভিনয় করছি সায়রা চরিত্রে। ধারাবাহিকটি প্রচার করা হচ্ছে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে।

প্রচারের শুরুতেই দর্শকের আগ্রহ সৃষ্টি করেছে ধারাবাহিকটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাটকটি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। আপনার অনুভূতি কী?

দর্শকদের ভালো লাগার কথা মাথায় রেখে কাজ করি আমি। সব সময় চেষ্টা করি মন দিয়ে অভিনয় করার। যখন দর্শকের পছন্দ হয় সেটাই একজন শিল্পীর জন্য বড় পাওয়া হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুটিং করতে হয়, একবারের জন্য বিরক্ত হওয়া যায় না, ঠিকঠাকভাবে এক্সপ্রেশন দিতে হয়। গল্পটি সঠিকভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হয়। প্রচারের পর দর্শকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেলে সেই আনন্দটা হয় অন্য রকম।

এর আগে কোনো ধারাবাহিকে কাজ করেননি। এই ধারাবাহিকে কাজ করার বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?

প্রথমবার ধারাবাহিক করছি—এভাবে চিন্তা করিনি। এর আগে ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আমার আছে। নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ভাই যখন গল্পটি শোনালেন, তখন খুব ভালো লাগল। সায়রা চরিত্রটি শুনে মজা লাগল, খুব ইন্টারেস্টিং। এ ছাড়া আমি এখন চেষ্টা করছি ভিন্ন ভিন্ন কাজের মাধ্যমে সব শ্রেণির দর্শকের কাছে পৌঁছাতে। আমার মনে হয়, এই ধারাবাহিকটি দিয়ে ভিন্ন একটা ঘরানার দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারব। ওইদিক থেকে ভাবলে মনে হয় আমার সিদ্ধান্তটা সঠিক। এ মাসেই প্রচার শুরু হয়েছে। আমার বিশ্বাস, সামনে আরও ভালো লাগবে দর্শকদের।

সাধারণত সিনেমা এবং ওটিটিতে পাওয়া যেত আপনাকে। গত বছর থেকে নাটকে নিয়মিত হয়েছেন। নাটকে যুক্ত হওয়ার পেছনে কী কারণ?

বিশেষ কোনো কারণ নেই। আমি সব সময় শিখি। নতুন কিছু শিখতে পছন্দ করি। সিনিয়ররা পরামর্শ বা বুদ্ধি দিলেন নাটকে অভিনয়ের চেষ্টা করো, এই অঙ্গনে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নেওয়ার দরকার আছে। আমিও চেষ্টা করলাম নতুন কিছু শিখতে। এ ছাড়া আমাদের এখানে ওয়েবের কাজ কম হয়। সিনেমা আরও কম হয়। নাটকটাই বেশি হয়। তবে শুধু যে নাটক নিয়েই আমার ব্যস্ততা, তা কিন্তু নয়। সব মাধ্যমেই কাজ করা হচ্ছে। গল্প ভালো লাগলে নতুন কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি, সেটা যে প্ল্যাটফর্মেই হোক।

নাটকে চরিত্র ধারণের জন্য সময় কম পাওয়া যায়। এই বিষয়টা কতটা চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে?

চ্যালেঞ্জ বলব না, এই বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। প্রতিটি বিভাগের কাজ আলাদা ধরনের। অনেক সময় ধরে একটি চরিত্রে প্রবেশে যেমন আনন্দ পাই, তেমনি হুট করে যে করতে পারছি, এটাও একধরনের তৃপ্তি দেয়।

নাটকে কি নিয়মিত পাওয়া যাবে, নাকি ভিন্ন পরিকল্পনা আছে?

আমি আসলে খুব পরিকল্পনা করে কাজ করি না। তাই নিয়মিত দেখা যেতে পারে, আবার নাও হতে পারে। সিনেমায় ঢুকে পড়লে নাটকে বিরতি পড়তে পারে। যেখানে যতটুকু সময় দিতে হয় ততটুকু সময় তো দিতে হবে। প্রতিটি প্রজেক্টেই প্রয়োজন অনুসারে সময় দিতে চাই। সেভাবেই সবকিছু ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।

নতুন একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছেন। সিরিজটি নিয়ে কিছু বলুন।

রাবা খানের গল্পে এটি পরিচালনা করেছেন আরাফাত মহসিন নিধি। এখন এটা নিয়ে কথা বলতে চাইছি না। সিরিজটি আমার কাছে স্পেশাল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলে এ নিয়ে কথা বলব।

‘দাগি’ ও ‘উৎসব’ সিনেমায় আপনাকে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে। স্বল্প উপস্থিতির চরিত্রগুলোতে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত কতটুকু প্রভাব ফেলেছে ক্যারিয়ারে?

এই সিদ্ধান্ত আমার ক্যারিয়ারে অনেক প্রভাব পড়েছে। স্বল্প সময়ের স্ক্রিন প্রেজেন্স হলেও দুটি সিনেমাতেই আমার চরিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমন কাজই করতে চাই যেটা ইমপ্যাক্টফুল হবে আমার জন্য। আমাকে সেখানেই পাওয়া যাবে যেখানে চরিত্রের গুরুত্ব থাকবে। আমি কতটুকু স্ক্রিনে থাকছি সেটা বিষয় না, আমার অভিনীত চরিত্রটি গল্পে কতটুকু প্রভাব ফেলছে, সেটাই বড় কথা। আমি চাই দর্শক যেন আমাকে না দেখে চরিত্রটাকে দেখে। অভিনয় আমার কাছে আত্মার ভাষা, যেখানে আমি প্রতিবার ভাঙি, আবার নতুন হয়ে গড়ি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...