Ajker Patrika

‘তিন মাসের মধ্যে আবার ফিরব দেশে’

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২১, ১৫: ০৭
‘তিন মাসের মধ্যে আবার ফিরব দেশে’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ ১৯৯৫ সালে। গত বছর অভিনয় ক্যারিয়ারের রজতজয়ন্তী পূর্ণ হয়েছে তাঁর। আর এ বছর মডেলিংয়ে তাঁর পূর্তি হলো ত্রিশ। ক্যারিয়ারের দীর্ঘ যাত্রায় এখন পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সময়টু্কুর রেখেই বাকিটুকু দিতে চান মিডিয়ায়।

আজকের পত্রিকা: পর্দায় আপনার উপস্থিতি আগের চেয়ে কম। শুনেছি দেশের বাইরেই বেশি থাকছেন?

তানিয়া আহমেদ: হ্যাঁ। বাচ্চাদের জন্যই দেশের বাইরে মানে যুক্তরাষ্ট্রে বেশি থাকা হচ্ছে। বড় ছেলে শ্রেয়াসের গ্রিন কার্ড হলো। এখন আমার আর আমার ছোট ছেলে আরশের জন্য আবার যাব কিছুদিনের মধ্যেই। এভাবে যাওয়া–আসার মধ্যে থাকতে হবে। আমার গ্রিন কার্ড হলে হয়তো সেখানেই বেশি সময় থাকা হবে। তবে পর্দা উপস্থিতি কমে গেলেও থেমে যাবে না। নাটক তো বটেই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আমাকে পাবেন দর্শকেরা।

আজকের পত্রিকা: তার মানে, প্রবাসেই স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছা?

তানিয়া আহমেদ: এমনও না। কারণ, একটা বয়সের পর বাচ্চাদের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া। বাচ্চারা বড় হচ্ছে। আমি চাই ওরাই সিদ্ধান্ত নেবে ওরা কোথায় থাকবে। একটা সেকেন্ড হোম করে রাখলাম। যাদের সুযোগ আছে অনেকেই এটা করে।

আজকের পত্রিকা: আবার কবে যাচ্ছেন?

তানিয়া আহমেদ: এ মাসেই যাব। যদি লকডাউনে ঝামেলা না হয়। করোনাভাইরাস তো সবকিছুই এলোমেলো করে দিচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে আবার ফিরব দেশে।

আজকের পত্রিকা: তাহলে অভিনয়-নির্দেশনা থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছেন?

তানিয়া আহমেদ: লকডাউনে তো এখন সবই বন্ধ। আমি দেশে ফিরে কিছু কাজ করব। পরিকল্পনা হয়েছে। শিল্পীদের সঙ্গে কথাও হয়ে আছে। লকডাউন শেষে সময় সুযোগ বুঝে তাঁদের শিডিউল নিয়ে শুটিং শুরু করব। সময়–সুযোগ হলেই আমি নির্দেশনা দিচ্ছি, অভিনয়েও সময় দিচ্ছি। এখন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়াটা জরুরি।

আজকের পত্রিকা: ঈদের বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে থাকছেন?

তানিয়া আহমেদতানিয়া আহমেদ: গত সপ্তাহে মাছরাঙা টেলিভিশনের ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানের শুটিং করলাম। এখানে জীবনের অনেক স্মৃতি শেয়ার করেছি। যেমন প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্রের প্রথম শট এক টেকেই ‘ওকে’ করেছিলেন নির্মাতা আফজাল হোসেন। কাজকে ভালোবাসি বলে প্রথম সন্তান জন্মের আগের দিনও শুটিং করেছি। এমনকি ছেলে শ্রেয়াস ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৪০ দিন পরও শুটিং করতে হয়েছিল। ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের চতুর্থ দিন সকাল ৭টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে।

আজকের পত্রিকা: ঈদের কোনো নাটকে অভিনয় করেননি?

তানিয়া আহমেদ: কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। তবে এখন তো আর আগের মতো অনেক কাজের খোঁজ দিতে পারব না। একটা সময় ছিল দিনরাত শুটিং করেছি। ঈদে ১৫-২০টা কাজ করতাম। ওভাবে টানা কাজ করা হয় না অনেক দিন। সন্তানদের সময় দিতে হয়। এখন তো লুতুপুতু প্রেম করার বয়স নয়, আবার মা–খালার চরিত্রগুলোও ওভাবে করা শুরু করিনি। আমাদের যে বয়স সেটা টার্গেট করে বাইরের দেশগুলোতে অসাধারণ সব কাজ হয়। কিন্তু আমাদের দেশে কেবল ছকে বাঁধা কাজ। একটা বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমি-তুমি প্রেমের সম্পর্ক, তারপর মা-খালা হয়ে শুধু মূল ক্যারেক্টারকে সাপোর্ট দেওয়া। আমাদের বয়সের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়েও যে অসাধারণ কাজ হতে পারে, গল্প হতে পারে, সেটা কেউ ভাবে না।

আজকের পত্রিকা: একটি অনুষ্ঠানের সঞ্চালনাও করছেন নিয়মিত।

তানিয়া আহমেদ: জিটিভিতে ‘আজকের অনন্যা’ নামে অনুষ্ঠানটা অনেক দিন ধরেই সঞ্চালনা করছি। যেহেতু আমি মাস তিনেক দেশে থাকব না, তাই বেশ কয়েক পর্বের শুটিং করে রেখেছি। টানা ১২ দিন শুটিং করলাম।

আজকের পত্রিকা: অবসর সময়ে কী করেন?

তানিয়া আহমেদ: মাঝে মাঝে কবিতা লিখি আর সুযোগ পেলেই সিনেমা দেখি। নিজেকে আপডেট রাখার জন্য নিয়মিত সিনেমা দেখতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত