বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রায় প্রতিদিন লাইট, ক্যামেরা আর নির্মাতা-অভিনেতাদের উপস্থিতিতে মুখর থাকে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত লাবণী শুটিং হাউস। সম্প্রতি সেই বাড়িতে শুটিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি। নোটিশটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা।
২০ জুলাই ৪ নম্বর সেক্টর আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি ইস্যুকৃত এক নোটিশে জানিয়েছে, ওই বাড়িতে শুটিং ঘিরে এলাকায় জনসমাগম বাড়ছে, রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটছে। নোটিশে আরও বলা হয়, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে শুটিং হাউস পরিচালনা করা নীতিমালার পরিপন্থী। এর ফলে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেক্টরবাসীর ক্রমবর্ধমান অভিযোগ ও সবার নিরাপত্তা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কথা বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে শুটিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুটিং বন্ধের নোটিশটি ফেসবুকে শেয়ার করে অভিনেতা রওনক হাসান লেখেন, ‘উত্তরা সেক্টর ৪ কল্যাণ সমিতি থেকে শুটিং বন্ধের নোটিশ এসেছে। আবাসিক এলাকায় নানা রকম অফিস হয়। শত শত স্কুল হয়, মাল্টিটাইপ ব্যবসা হয়। শুধু শুটিংয়ে সমস্যা! আগেও এ ধরনের চেষ্টা হয়েছে। সেগুলো সংশ্লিষ্ট সংগঠন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসন মিলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে সমাধান করেছে। এবারও আশা করি তা-ই হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
নির্মাতা তপু খান লেখেন, ‘এটা শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশে বাধার শামিল। সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে অনুরোধ করছি জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের। যদি কোনো ত্রুটি বা ভুল-বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে। তাই বলে সরাসরি নিষেধাজ্ঞাকে ভালো চোখে দেখছি না। দেশের মূল জায়গায় সংস্কার বাদ দিয়ে, সংস্কারের শুরুই হয় শুধু শিল্প-সংস্কৃতির মানুষের ওপর দিয়ে। কেন?’
চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘এসবের মানে কী? এটা কেমন কথা! ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে কোনো দিন এমন কথা শুনিনি।’
নির্মাতা মাহমুদ দিদার লেখেন, ‘অনেক বছর ধরে উত্তরায় শুটিং হয়! কোনো কমপ্লেন ছিল না। এখন চলবে না এসব! ঘুমের ডিস্টার্ব হয়। আমার ধারণা, এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের যে শুটিং কালচার, এটা আর থাকবে না। এটা কেবল আলামত!’
শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম গণমাধ্যমে বলেন, ‘এভাবে হঠাৎ করে একটি চিঠির মাধ্যমে শুটিং বন্ধ করার নির্দেশনা কোনোভাবেই উচিত নয়। একটা সময় দিয়ে বন্ধের চিঠি দিতে পারত। আমরা ডিরেক্টর গিল্ড এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। আজকেই আমরা চিঠি দেব। হাউসের মালিকদের জানিয়েছি, আপনাদের পাশে আমরা আছি।’
অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু বলেন, ‘আগেও বহুবার এলাকার কিছু চক্র শুটিং হাউসটি উচ্ছেদ করতে চেয়েছে এবং প্রতিবারই আমাদের প্রতিবাদের মুখে তারা সরে এসেছে। আবার তারা একই কাজ করছে। তারা যে কারণটা দেখিয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের সংস্কৃতির ওপরে যে নানা ধরনের হামলা হচ্ছে, এই নোটিশ তারই একটা অংশ। যদি শুটিং হাউস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে শিল্পীরা কাজ করবেন কোথায়? এর বিরুদ্ধে আমরা লিগ্যাল অ্যাকশনেও যাব।’
প্রায় প্রতিদিন লাইট, ক্যামেরা আর নির্মাতা-অভিনেতাদের উপস্থিতিতে মুখর থাকে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত লাবণী শুটিং হাউস। সম্প্রতি সেই বাড়িতে শুটিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি। নোটিশটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা।
২০ জুলাই ৪ নম্বর সেক্টর আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি ইস্যুকৃত এক নোটিশে জানিয়েছে, ওই বাড়িতে শুটিং ঘিরে এলাকায় জনসমাগম বাড়ছে, রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটছে। নোটিশে আরও বলা হয়, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে শুটিং হাউস পরিচালনা করা নীতিমালার পরিপন্থী। এর ফলে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেক্টরবাসীর ক্রমবর্ধমান অভিযোগ ও সবার নিরাপত্তা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কথা বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে শুটিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুটিং বন্ধের নোটিশটি ফেসবুকে শেয়ার করে অভিনেতা রওনক হাসান লেখেন, ‘উত্তরা সেক্টর ৪ কল্যাণ সমিতি থেকে শুটিং বন্ধের নোটিশ এসেছে। আবাসিক এলাকায় নানা রকম অফিস হয়। শত শত স্কুল হয়, মাল্টিটাইপ ব্যবসা হয়। শুধু শুটিংয়ে সমস্যা! আগেও এ ধরনের চেষ্টা হয়েছে। সেগুলো সংশ্লিষ্ট সংগঠন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসন মিলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে সমাধান করেছে। এবারও আশা করি তা-ই হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
নির্মাতা তপু খান লেখেন, ‘এটা শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশে বাধার শামিল। সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে অনুরোধ করছি জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের। যদি কোনো ত্রুটি বা ভুল-বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে। তাই বলে সরাসরি নিষেধাজ্ঞাকে ভালো চোখে দেখছি না। দেশের মূল জায়গায় সংস্কার বাদ দিয়ে, সংস্কারের শুরুই হয় শুধু শিল্প-সংস্কৃতির মানুষের ওপর দিয়ে। কেন?’
চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘এসবের মানে কী? এটা কেমন কথা! ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে কোনো দিন এমন কথা শুনিনি।’
নির্মাতা মাহমুদ দিদার লেখেন, ‘অনেক বছর ধরে উত্তরায় শুটিং হয়! কোনো কমপ্লেন ছিল না। এখন চলবে না এসব! ঘুমের ডিস্টার্ব হয়। আমার ধারণা, এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের যে শুটিং কালচার, এটা আর থাকবে না। এটা কেবল আলামত!’
শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম গণমাধ্যমে বলেন, ‘এভাবে হঠাৎ করে একটি চিঠির মাধ্যমে শুটিং বন্ধ করার নির্দেশনা কোনোভাবেই উচিত নয়। একটা সময় দিয়ে বন্ধের চিঠি দিতে পারত। আমরা ডিরেক্টর গিল্ড এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। আজকেই আমরা চিঠি দেব। হাউসের মালিকদের জানিয়েছি, আপনাদের পাশে আমরা আছি।’
অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু বলেন, ‘আগেও বহুবার এলাকার কিছু চক্র শুটিং হাউসটি উচ্ছেদ করতে চেয়েছে এবং প্রতিবারই আমাদের প্রতিবাদের মুখে তারা সরে এসেছে। আবার তারা একই কাজ করছে। তারা যে কারণটা দেখিয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের সংস্কৃতির ওপরে যে নানা ধরনের হামলা হচ্ছে, এই নোটিশ তারই একটা অংশ। যদি শুটিং হাউস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে শিল্পীরা কাজ করবেন কোথায়? এর বিরুদ্ধে আমরা লিগ্যাল অ্যাকশনেও যাব।’
বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘কুরাক’ চলচ্চিত্রকে বাংলাদেশের জুলাই মেমোরিয়াল পদকে ভূষিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমার পরিচালক এর্কে জুমাকমাতোভার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
৫ ঘণ্টা আগেগত আগস্টে বঙ্গরঙ্গ নাট্যদল নিয়ে এসেছিল তাদের নতুন নাটক ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’। আবারও মঞ্চে উঠছে নাটকটি। আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে মৃত্যুহীন প্রাণ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
১০ ঘণ্টা আগেছন্দে ফিরেছে কোক স্টুডিও বাংলা। এক বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর হাশিম মাহমুদের ‘বাজি’ গান দিয়ে আবার শুরু হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের কার্যক্রম। এরপর প্রকাশ পেয়েছে অংকন কুমার ও শেখ মুমতাহিনা মেহজাবিনের গাওয়া ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’। এবার কোক স্টুডিওতে আসছেন সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ।
২০ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের দুষ্ট-মিষ্টি সময়ের গল্পের ওয়েব ফিল্ম ‘লিটল মিস ক্যাওস’। বানিয়েছেন মাহমুদা সুলতানা রীমা। এটি নির্মাতার প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদ সালমি নাওভী ও সাদনিমা বিনতে নোমান।
২০ ঘণ্টা আগে