Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

সংগীত এক মহাসমুদ্র সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি

নকীব খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান। তবু তিনি ভাবছেন, সংগীতসাগরের পাড় ধরে এত দিন হেঁটেছেন কেবল, কুড়িয়েছেন কিছু নুড়ি। ছোট্ট এই জীবনে আরও অনেক কিছুই করার বাকি। নকীব খানের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা

এম এস রানা

সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?

সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?

সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।

আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...

আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।

এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।

ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?

৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।

আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?

এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।

আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?

আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।

আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?

এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।

রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?

আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।

রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?

তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।

আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?

সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।

প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।

গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।

আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?

আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।

আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।

১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।

আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?

এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে তারকাবহুল ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার শুটিং

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।

হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের আয়োজন

৬ ইয়াং স্টারকে নিয়ে ৩ বিচারকের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।

আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।

কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’

সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’

কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রটারড্যাম উৎসবে ‘দেলুপি’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।

আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।

রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’

দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেখা হলো শাহরুখ-মেসির, সঙ্গে ছিল খানপুত্র আব্রাম

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৩
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।

মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।

মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।

জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত