Ajker Patrika

যুদ্ধ চান না কবীর সুমন, নচিকেতা বললেন সবই মুনাফার খেলা

বিনোদন ডেস্ক
সংগীতশিল্পী কবীর সুমন ও নচিকেতা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত
সংগীতশিল্পী কবীর সুমন ও নচিকেতা চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন বেশ পুরোনো। গত মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর দুই দেশের উত্তেজনা গড়িয়েছে যুদ্ধে। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানও দিচ্ছে জবাব। পাকিস্তানে হামলার সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের বেশির ভাগ শোবিজ তারকা। তবে পশ্চিমবঙ্গের দুই সংগীতশিল্পী কবীর সুমন ও নচিকেতা চক্রবর্তী জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। কিছুতেই যুদ্ধ চান না কবীর সুমন। আর নচিকেতা বললেন, সব মুনাফার খেলা।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে কবীর সুমন বলেন, ‘যারাই যুদ্ধ করুক, যে যুদ্ধ করুক, যে কারণে, যেভাবে যুদ্ধ করুক, আমি যুদ্ধের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। যুদ্ধবিরোধী মানুষ আমি।’ গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধের বিরোধিতা করে পোস্ট করেছেন তিনি। ফেসবুকে কবীর সুমন লেখেন, ‘আমি তো লিখেছিলাম আমার গানে গানে এই যুদ্ধ বন্ধের কথা। সেই গান আজ সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মনে পড়বে। এই দেশ যখন ভাগ হয়েছিল, তখন কেউ আমার অনুমতি নিয়েছিল? কোনো দেশের মানুষের সম্মতি নিয়েছিল? আমি তো ১৯৪৯ সালে জন্মেছি, তখন তো আমার কোনো পছন্দ ছিল না! দেশপ্রেম আমার কাছে একটা বুজরুকি। যেখানে মানবপ্রেম নেই, প্রাণীদের জন্য ভালোবাসা নেই, সেই দেশপ্রেম দিয়ে কী হবে?’

কবীর সুমনের মতে, যুদ্ধে শুধু মানুষ নয়, প্রকৃতির বিশাল ক্ষতি হচ্ছে। তবে এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। তিনি লেখেন, ‘একটা যুদ্ধ হচ্ছে, গুলি চালানো হচ্ছে, বোমা ফেলা হচ্ছে—কতগুলো গাছ পুড়ে যাচ্ছে, প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ প্রাণী, পাখি, পোকামাকড়। কেউ এসব নিয়ে কথা বলে না। পানি বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু দেশের নেতাদের এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই।’

এদিকে নচিকেতা চক্রবর্তীর মতে, পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে, যত হিংসা ছড়িয়েছে—সব কটির নেপথ্যে বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে। ইতিহাস থেকেই গায়কের উপলব্ধি, যুদ্ধ মানেই মুনাফার খেলা। নচিকেতা বলেন, ‘যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। এই একটা কারণে আমি যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কিত। সারা পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে, যত হিংসা ছড়িয়েছে, সব কটির নেপথ্যে বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে। সব যুদ্ধ স্পনসর করা! আমি প্রমাণ করে দেব।’

নচিকেতার মতে, এত যুদ্ধের কারণে একশ্রেণি লাভবান হচ্ছে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, রকফেলারদের তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা সেই সময় জার্মানি ও ইতালি, দুই দেশকেই পেট্রল সরবরাহ করেছিল। এই সরবরাহ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিছু ঐতিহাসিকের মতে, এটি শুধুই ব্যবসা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে এই টক্বর

আবদুল হামিদের দেশত্যাগে এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার

একটি দলের ওপর ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব: মাহফুজ আলম

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ, খুলনায় পত্রিকা অফিসে আগুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত