নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে চলমান কোটা আন্দোলনে সহিংসতা নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। তিনি চলমান আন্দোলনে সহিসংতা বন্ধে সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা-হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম, শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন।’
ভারতীয় সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয়-আশয়ে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই বা কেন?’
কবীর সুমন লিখেছেন, ‘ছবি দেখছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। একটু আগেই দেখলাম। মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। নেপথ্যে শোনা যাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের “কারার ঐ লৌহকপাট/ভেঙে ফেল্ কর রে লোপাট”! মনে হচ্ছে গানটি এডিট করে বসানো হয়েছে ভিডিওর সঙ্গে। ঠিক কাজই করা হয়েছে। কত সময়ে দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আমার গানের লাইন লিখে দিয়েছেন দেওয়ালে। পশ্চিমবঙ্গে সে তুলনায় কিছুই দেখিনি। বলতে দ্বিধা নেই, মনে মনে আমি বাংলাদেশেরও নাগরিক।’
বাংলা গানের প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী বলেন, ‘আমার জীবনসায়াহ্ন কাটছে মাভাষায় খেয়াল রচনা করে, গেয়ে, শিখিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার আমার বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, যদিও তাঁদের পেটোয়া এক শিল্পী বাংলা খেয়াল নিয়ে এবং সেই সঙ্গে আমায় বিদ্রূপ করেছেন এবং এই রাজ্যের সরকারঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা সেই বিদ্রূপ ও মগজহীন উদ্ভট বক্তব্য ঘটা করে ছাপিয়েছেন—আমার একটি ব্যঙ্গচিত্রসমেত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার জীবনের সেরা কাজ এবং আমার জীবনসায়াহ্নের প্রধান কাজ বাংলা খেয়াল বাংলাদেশে চর্চা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিল্পী মরহুম আজাদ রহমান বেশ কিছু বাংলা খেয়াল রচনা করে গিয়েছেন বিভিন্ন রাগে। বাংলা ভাষা আর বাংলা খেয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি বাঁধা ভালোবাসার বন্ধনে। গতবার ঢাকায় গানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যে সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি, তা ভারতে পেয়েছি ক’বার?’
এই পর্যায়ে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে সহিংসতাকে ইঙ্গিত করে কবীর সুমন লেখেন, ‘এহেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তা-ও তো ঠিকমতো জানি না। তা-ও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাংলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা-হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম, শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন। আর কী বলি! আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তি রক্ষার জন্য আহ্বান করতাম।’
ফেসবুক পোস্টের শেষ দিকে সুমন লিখেন:
‘হানাহানি বন্ধ হোক।
বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ।
বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।
জয় বাংলাদেশ
জয় মুক্তিযুদ্ধ
জয় অসংখ্য বাংলাদেশির শাহাদাত ও অপূরণীয় ক্ষতিস্বীকার
জয় বীরাঙ্গনারা
জয় বাংলা ভাষা!’
বাংলাদেশে চলমান কোটা আন্দোলনে সহিংসতা নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। তিনি চলমান আন্দোলনে সহিসংতা বন্ধে সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা-হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম, শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন।’
ভারতীয় সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। তার বিষয়-আশয়ে নাক গলানোর অধিকার আমার নেই। সেটা করতে চাইও না। তবু বাংলাদেশের অনেকের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা ভুলে থাকতেও পারছি না। ভুলবই বা কেন?’
কবীর সুমন লিখেছেন, ‘ছবি দেখছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। একটু আগেই দেখলাম। মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। নেপথ্যে শোনা যাচ্ছে কাজী নজরুল ইসলামের “কারার ঐ লৌহকপাট/ভেঙে ফেল্ কর রে লোপাট”! মনে হচ্ছে গানটি এডিট করে বসানো হয়েছে ভিডিওর সঙ্গে। ঠিক কাজই করা হয়েছে। কত সময়ে দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আমার গানের লাইন লিখে দিয়েছেন দেওয়ালে। পশ্চিমবঙ্গে সে তুলনায় কিছুই দেখিনি। বলতে দ্বিধা নেই, মনে মনে আমি বাংলাদেশেরও নাগরিক।’
বাংলা গানের প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী বলেন, ‘আমার জীবনসায়াহ্ন কাটছে মাভাষায় খেয়াল রচনা করে, গেয়ে, শিখিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের সরকার আমার বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, যদিও তাঁদের পেটোয়া এক শিল্পী বাংলা খেয়াল নিয়ে এবং সেই সঙ্গে আমায় বিদ্রূপ করেছেন এবং এই রাজ্যের সরকারঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা সেই বিদ্রূপ ও মগজহীন উদ্ভট বক্তব্য ঘটা করে ছাপিয়েছেন—আমার একটি ব্যঙ্গচিত্রসমেত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার জীবনের সেরা কাজ এবং আমার জীবনসায়াহ্নের প্রধান কাজ বাংলা খেয়াল বাংলাদেশে চর্চা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিল্পী মরহুম আজাদ রহমান বেশ কিছু বাংলা খেয়াল রচনা করে গিয়েছেন বিভিন্ন রাগে। বাংলা ভাষা আর বাংলা খেয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আমি বাঁধা ভালোবাসার বন্ধনে। গতবার ঢাকায় গানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যে সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি, তা ভারতে পেয়েছি ক’বার?’
এই পর্যায়ে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে সহিংসতাকে ইঙ্গিত করে কবীর সুমন লেখেন, ‘এহেন আমি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারি না। থেকেছি কয়েক দিন। আর পারছি না। কিন্তু অবস্থাটা যে ঠিক কী, কী কী কারণে যে এমন হলো এবং হচ্ছে, কারা যে এতে জড়িত তা-ও তো ঠিকমতো জানি না। তা-ও পঁচাত্তর উত্তীর্ণ এই বাংলাভাষী করজোড়ে সব পক্ষকে মিনতি করছি: অনুগ্রহ করে হিংসা-হানাহানি বন্ধ করুন। ঢাকা সরকারকে অনুরোধ করছি: বাংলা ভাষার কসম, শান্তি রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আপনাদের ছাত্রবাহিনী যেন হিংসার আশ্রয় না নেন। আর কী বলি! আমি তো সশরীরে যেতে পারছি না ঢাকায়। পারলে যেতাম। রাস্তায় বসে পড়ে সকলকে শান্তি রক্ষার জন্য আহ্বান করতাম।’
ফেসবুক পোস্টের শেষ দিকে সুমন লিখেন:
‘হানাহানি বন্ধ হোক।
বন্ধ হোক উল্টোপাল্টা কথা বলে দেওয়া। বাঁচুক বাংলাদেশ।
বাঁচুন বাংলাদেশের সকলে।
জয় বাংলাদেশ
জয় মুক্তিযুদ্ধ
জয় অসংখ্য বাংলাদেশির শাহাদাত ও অপূরণীয় ক্ষতিস্বীকার
জয় বীরাঙ্গনারা
জয় বাংলা ভাষা!’
ফেসবুকে শাকিব খান লেখেন, ’দিন-রাত পর্দার আড়ালে থেকে শুটিং স্পটে নিরলসভাবে কাজ করে যান কিছু মানুষ। তারা ক্যামেরার সামনে থাকেন না, কিন্তু প্রত্যেকটি দৃশ্যের পেছনে থাকে তাদের নিঃশব্দ শ্রম।
৯ ঘণ্টা আগেনব্বইয়ের দশকের শেষভাগে উপমহাদেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঢেউ বয়ে যাচ্ছিল। সেই অস্থির সময়ে বেড়ে ওঠা এক তরুণের জীবনের খণ্ডচিত্র নিয়ে নির্মিত হয়েছে ২৫ মিনিট ব্যপ্তির এই স্বল্পদৈর্ঘ্যটি।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালে শোবিজ তারকাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয় আয়োজন। দুই বছর পর আবারও ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মাঠে নামছেন তারকারা। চারটি দলের অংশগ্রহণে বসুন্ধরা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ মে শুরু হচ্ছে ‘সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’
১৪ ঘণ্টা আগেআজ পয়লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ১৯৮১ সাল থেকে মহান মে দিবস পালন করে আসছে নাট্যদল আরণ্যক। প্রতিবছরের মতো এ বছরেও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিনটি আরণ্যক স্মরণ করবে গান, আবৃত্তি, নাটক, আলোচনাসহ নানা আয়োজনে।
১৪ ঘণ্টা আগে