
ঢাকা: বাংলা গানের এক বিস্ময়কর প্রতিভা আজম খান। বলা চলে, তিনি নিজেই একটা গান। নিজেই একটা ইতিহাস। পপ গানের এই জাদুকরের প্রস্থানের এক দশক পূর্ণ হলো। বাংলা গানে এখনো আজম খান সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ।
গান দিয়েই পরিচয়
১৯৭৩ সালের কথা। বাংলা গান গাওয়া তখনো শুরু করিনি। আমরা কয়েকজন বন্ধু একসঙ্গে গান করতাম। একটা ব্যান্ড ছিল আমাদের। দলে ছিল ইশতিয়াক, ল্যারি, ইদুসহ বেশ কয়েকজন। হোটেল কন্টিনেন্টালে ইংরেজি গান করতাম আমরা। ফিরোজ সাঁই, বিখ্যাত গায়ক, আমার বন্ধু। ফিরোজের মুখেই প্রথম আজম খানের নাম শুনি। একদিন সে বলল, আমার পরিচিত এক ছেলে আছে। আজম নাম। ভালো গান। তাঁকে নিয়ে বাংলা গান করা যেতে পারে।
কিন্তু আমাদের দলে তখন কেউ বাংলা গান করার পক্ষে ছিল না। তারপরও আমি ফিরোজ সাঁইকে বললাম, তুমি আজমকে নিয়ে আসো। একদিন ফিরোজের সঙ্গে আজম খান এল। পরিচয় হলো। গান হলো। প্রথম দিনেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হলো আমার। তাঁর গান খুব ভালো লাগল। বিশেষ করে তাঁর পরিবেশনার ধরন। পরিকল্পনা করলাম, গান রেকর্ড করার।
তৈরি হলো গান
ইন্দিরা রোডে তখন একটি স্টুডিও ছিল। আড়াই শ টাকা দিয়ে আমরা এক শিফট ভাড়া করলাম। ওই দিন আজম খান ও আমি দুজন মিলে চারটি গান রেকর্ড করলাম। আজম খান গাইল–‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’ এবং ‘হাইকোর্টের মাজারে’।
আমি গাইলাম–‘চাঁদ জাগে তারা জাগে’ আর ‘দুনিয়াটা কত যে মজার’। স্টুডিওর মালিক যিনি ছিলেন, তাঁর খুব ভালো লাগল গানগুলো। এতটাই ভালো লাগল যে তিনি আমাদের গানগুলো রেকর্ড আকারে বের করার দায়িত্ব নিয়ে নিলেন। সুপারভিশন করে দিলেন আজম খানের বড় ভাই আলম খান।
স্টুডিওর মালিক কথা রেখেছিলেন। চারটি গানই প্রকাশ হয়। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে গানগুলো। বিশেষ করে আজম খানের গান দুটো তো মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায়। এ জনপ্রিয়তার রেশ ধরেই পরে তৈরি হলো ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড।
দুটি ঘটনা
আজম খানকে আমি দুভাবেই দেখেছি। বন্ধু হিসেবে আর শিল্পী হিসেবে। আমাদের সঙ্গে সে কখনো তারকার মতো ব্যবহার করত না। হাসি-আড্ডায় জমিয়ে রাখত। প্রচণ্ড ছেলেমানুষি করত। তাঁর দুষ্টুমির দুটো ঘটনা বলি।
ঘটনা এক
এক শোতে আমরা কয়েকজন শিল্পী অংশ নিয়েছি। দর্শক আজম খানের নাম ধরে আওয়াজ তুলছে। এটা দেখে আমি ওকে বললাম মঞ্চে উঠে যেতে। ও হেসে বলল, ‘তোরা আগে গান শোনাতে থাক। আমি ততক্ষণ ঘুমিয়ে আসি। ঘুম ভাঙলে তারপর গান শোনাব।’
ঘটনা দুই
১৯৭৪ সাল। তখন সিনেমা হলেও টিকিট কেটে গানের অনুষ্ঠান হতো। জোনাকি সিনেমায় আমাদের একটা অনুষ্ঠান হবে। সবাই অনুষ্ঠানে যাব। ঠিক আগমুহূর্তে আজম হাসতে হাসতে বলল, ‘আমার শরীর ভালো লাগছে না। আমি যামু না। আমারে অন্যভাবে নেওয়ার ব্যবস্থা কর।’
এরপর ওর জন্য গাড়ি আনা হলো। গেল না। রিকশা ডাকা হলো। তা–ও গেল না। সবাই মিলে ভাবলাম, একটা ভ্যানগাড়ি পাঠাই। ভ্যানগাড়ি দেখে আজমের ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল, এবার ঠিক আছে। সত্যি সত্যিই সে ভ্যানগাড়িতে চড়ে অনুষ্ঠানের জন্য বের হয়।
এই হলো আজম খান। পরিস্থিতি যেমনই হোক, সবকিছু সহজভাবে নিতে পারত। অনেকে যখন তারকাখ্যাতির অহমে অন্ধ, তখনো সে নিজেকে আলাদা ভাবত না। এতটাই সাদাসিধে মানুষ ছিল আজম খান।
শেষ আলাপ
আজম খানের বিদায়ের পাঁচ দিন আগের কথা। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল তাঁকে। যেহেতু জানি, ও সিঙ্গাপুর যাচ্ছে, তাই ফোন দিলাম। কথা হলো কিছুক্ষণ। একপর্যায়ে বলল, ‘ফেরদৌস, আমি এখন আর কাউকে বিশ্বাস করি না। মানুষগুলা জানি কেমন। গানের মাঠের অবস্থাও ভালো না। আমারও আর ফেরা হবে না। তুই রাগ করে গানবাজনা বন্ধ করে দিস না বন্ধু। গান চালিয়ে যা।’
জানি না, তাঁর এই কথার মধ্যে কোনো অভিমান লুকিয়ে ছিল কি না। কাউকে বিশ্বাস না করার রহস্য আজও জানা হয়ে ওঠেনি। তারপরও ভেবেছিলাম, যে অভিমান থেকে এ কথা বলুক না কেন, গানে আজম ঠিকই ফিরবে। কিন্তু সেদিনের সেই কথাই যে শেষ আলাপ হবে, তা বুঝতে পারিনি।

ঢাকা: বাংলা গানের এক বিস্ময়কর প্রতিভা আজম খান। বলা চলে, তিনি নিজেই একটা গান। নিজেই একটা ইতিহাস। পপ গানের এই জাদুকরের প্রস্থানের এক দশক পূর্ণ হলো। বাংলা গানে এখনো আজম খান সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ।
গান দিয়েই পরিচয়
১৯৭৩ সালের কথা। বাংলা গান গাওয়া তখনো শুরু করিনি। আমরা কয়েকজন বন্ধু একসঙ্গে গান করতাম। একটা ব্যান্ড ছিল আমাদের। দলে ছিল ইশতিয়াক, ল্যারি, ইদুসহ বেশ কয়েকজন। হোটেল কন্টিনেন্টালে ইংরেজি গান করতাম আমরা। ফিরোজ সাঁই, বিখ্যাত গায়ক, আমার বন্ধু। ফিরোজের মুখেই প্রথম আজম খানের নাম শুনি। একদিন সে বলল, আমার পরিচিত এক ছেলে আছে। আজম নাম। ভালো গান। তাঁকে নিয়ে বাংলা গান করা যেতে পারে।
কিন্তু আমাদের দলে তখন কেউ বাংলা গান করার পক্ষে ছিল না। তারপরও আমি ফিরোজ সাঁইকে বললাম, তুমি আজমকে নিয়ে আসো। একদিন ফিরোজের সঙ্গে আজম খান এল। পরিচয় হলো। গান হলো। প্রথম দিনেই তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হলো আমার। তাঁর গান খুব ভালো লাগল। বিশেষ করে তাঁর পরিবেশনার ধরন। পরিকল্পনা করলাম, গান রেকর্ড করার।
তৈরি হলো গান
ইন্দিরা রোডে তখন একটি স্টুডিও ছিল। আড়াই শ টাকা দিয়ে আমরা এক শিফট ভাড়া করলাম। ওই দিন আজম খান ও আমি দুজন মিলে চারটি গান রেকর্ড করলাম। আজম খান গাইল–‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’ এবং ‘হাইকোর্টের মাজারে’।
আমি গাইলাম–‘চাঁদ জাগে তারা জাগে’ আর ‘দুনিয়াটা কত যে মজার’। স্টুডিওর মালিক যিনি ছিলেন, তাঁর খুব ভালো লাগল গানগুলো। এতটাই ভালো লাগল যে তিনি আমাদের গানগুলো রেকর্ড আকারে বের করার দায়িত্ব নিয়ে নিলেন। সুপারভিশন করে দিলেন আজম খানের বড় ভাই আলম খান।
স্টুডিওর মালিক কথা রেখেছিলেন। চারটি গানই প্রকাশ হয়। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে গানগুলো। বিশেষ করে আজম খানের গান দুটো তো মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায়। এ জনপ্রিয়তার রেশ ধরেই পরে তৈরি হলো ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড।
দুটি ঘটনা
আজম খানকে আমি দুভাবেই দেখেছি। বন্ধু হিসেবে আর শিল্পী হিসেবে। আমাদের সঙ্গে সে কখনো তারকার মতো ব্যবহার করত না। হাসি-আড্ডায় জমিয়ে রাখত। প্রচণ্ড ছেলেমানুষি করত। তাঁর দুষ্টুমির দুটো ঘটনা বলি।
ঘটনা এক
এক শোতে আমরা কয়েকজন শিল্পী অংশ নিয়েছি। দর্শক আজম খানের নাম ধরে আওয়াজ তুলছে। এটা দেখে আমি ওকে বললাম মঞ্চে উঠে যেতে। ও হেসে বলল, ‘তোরা আগে গান শোনাতে থাক। আমি ততক্ষণ ঘুমিয়ে আসি। ঘুম ভাঙলে তারপর গান শোনাব।’
ঘটনা দুই
১৯৭৪ সাল। তখন সিনেমা হলেও টিকিট কেটে গানের অনুষ্ঠান হতো। জোনাকি সিনেমায় আমাদের একটা অনুষ্ঠান হবে। সবাই অনুষ্ঠানে যাব। ঠিক আগমুহূর্তে আজম হাসতে হাসতে বলল, ‘আমার শরীর ভালো লাগছে না। আমি যামু না। আমারে অন্যভাবে নেওয়ার ব্যবস্থা কর।’
এরপর ওর জন্য গাড়ি আনা হলো। গেল না। রিকশা ডাকা হলো। তা–ও গেল না। সবাই মিলে ভাবলাম, একটা ভ্যানগাড়ি পাঠাই। ভ্যানগাড়ি দেখে আজমের ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল, এবার ঠিক আছে। সত্যি সত্যিই সে ভ্যানগাড়িতে চড়ে অনুষ্ঠানের জন্য বের হয়।
এই হলো আজম খান। পরিস্থিতি যেমনই হোক, সবকিছু সহজভাবে নিতে পারত। অনেকে যখন তারকাখ্যাতির অহমে অন্ধ, তখনো সে নিজেকে আলাদা ভাবত না। এতটাই সাদাসিধে মানুষ ছিল আজম খান।
শেষ আলাপ
আজম খানের বিদায়ের পাঁচ দিন আগের কথা। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল তাঁকে। যেহেতু জানি, ও সিঙ্গাপুর যাচ্ছে, তাই ফোন দিলাম। কথা হলো কিছুক্ষণ। একপর্যায়ে বলল, ‘ফেরদৌস, আমি এখন আর কাউকে বিশ্বাস করি না। মানুষগুলা জানি কেমন। গানের মাঠের অবস্থাও ভালো না। আমারও আর ফেরা হবে না। তুই রাগ করে গানবাজনা বন্ধ করে দিস না বন্ধু। গান চালিয়ে যা।’
জানি না, তাঁর এই কথার মধ্যে কোনো অভিমান লুকিয়ে ছিল কি না। কাউকে বিশ্বাস না করার রহস্য আজও জানা হয়ে ওঠেনি। তারপরও ভেবেছিলাম, যে অভিমান থেকে এ কথা বলুক না কেন, গানে আজম ঠিকই ফিরবে। কিন্তু সেদিনের সেই কথাই যে শেষ আলাপ হবে, তা বুঝতে পারিনি।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১১ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১ দিন আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

বাংলা গানের এক বিস্ময়কর প্রতিভা আজম খান। বলা চলে, তিনি নিজেই একটা গান। নিজেই একটা ইতিহাস। পপ গানের এই জাদুকরের প্রস্থানের এক দশক পূর্ণ হলো। বাংলা গানে এখনো আজম খান সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ।
০৫ জুন ২০২১
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১ দিন আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

বাংলা গানের এক বিস্ময়কর প্রতিভা আজম খান। বলা চলে, তিনি নিজেই একটা গান। নিজেই একটা ইতিহাস। পপ গানের এই জাদুকরের প্রস্থানের এক দশক পূর্ণ হলো। বাংলা গানে এখনো আজম খান সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ।
০৫ জুন ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১১ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১ দিন আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

বাংলা গানের এক বিস্ময়কর প্রতিভা আজম খান। বলা চলে, তিনি নিজেই একটা গান। নিজেই একটা ইতিহাস। পপ গানের এই জাদুকরের প্রস্থানের এক দশক পূর্ণ হলো। বাংলা গানে এখনো আজম খান সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ।
০৫ জুন ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১১ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

বাংলা গানের এক বিস্ময়কর প্রতিভা আজম খান। বলা চলে, তিনি নিজেই একটা গান। নিজেই একটা ইতিহাস। পপ গানের এই জাদুকরের প্রস্থানের এক দশক পূর্ণ হলো। বাংলা গানে এখনো আজম খান সমান প্রাসঙ্গিক। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ।
০৫ জুন ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
১১ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৯ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১ দিন আগে