দিতি আহমেদ
‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’—কিশোর কুমার গাইছেন। আর একটা হাহাকার যেন জন্ম নিচ্ছে চারপাশে। গানের এই কথার সঙ্গে মিল রেখে কিশোর কুমার নিজেও চলে গেছেন না ফেরার কোনো এক আকাশে। কিন্তু এই না ফেরাটা মোটাদাগে, সশরীরে। সশরীরে তাঁর ফেরা না হলেও তাঁর কণ্ঠ ফিরে ফিরে আসে; বারবার।
উপমহাদেশে যে কয়েকজন শিল্পী সেরা শিল্পীর মুকুট মাথায় পরেছেন, তার মধ্যে কিশোর কুমার অন্যতম। আজ এই গুণী শিল্পীর জন্মদিন। ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে এক বাঙালি পরিবারে কিশোর কুমারের জন্ম।
আভাস কুমার থেকে কিশোর কুমার
মধ্যপ্রদেশের খান্ডোওয়াতে কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি, আর গৌরী দেবির ঘরে জন্ম নেওয়া ছেলেটির নাম কিন্তু ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। ডাক নাম ছিল কিশোর। কিন্তু বড় হয়ে এই ডাকনামের সঙ্গেই মূল নামের কুমার জুড়ে তিনি হয়ে ওঠেন কিশোর কুমার। বাবা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ছিলেন আইনজীবী; আর মা গৌরী দেবী গৃহবধূ। চার ভাইবোনের মধ্যে কিশোরই ছিলেন সবার ছোট। সবচেয়ে বড় অশোক কুমার‚ তারপর দিদি সতী দেবী, আরেক দাদা অনুপ কুমার।
আভাস কুমার থেকে কিশোর কুমার হয়ে ওঠা কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই গানের জন্য। ‘বোম্বে টকিজে’ দাদা অশোক কুমারের সঙ্গে কোরাস গাওয়ার সময় ‘আভাস’ নাম বদলে করে নেন ‘কিশোর’। পরে কিশোর নামেই পান পরিচিতি ও খ্যাতি।
কণ্ঠ নিয়ে বিড়ম্বনা
যে গান তাঁকে এত খ্যাতি এনে দিয়েছে, সেই গানে তিনি কিন্তু ছোট থেকে মোটেই ভালো ছিলেন না। অনেকে একে কর্কশ ও হেঁড়ে গলা হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তা সেই হেঁড়ে গলা কীভাবে এমন মনকাড়া হলো? এ নিয়েও রয়েছে মজার গল্প—ছোটবেলায় পায়ের পাতায় একবার চোট লাগার পর প্রায় এক মাস ধরে চেঁচিয়ে কান্নাকাটি করেছিলেন কিশোর। আর তারপরই নাকি ভোল পাল্টে যায় গলার। এক সময়ের হেঁড়ে গলাটি পুরোদস্তুর সুমিষ্ট কণ্ঠে পরিণত হয়। সে যা–ই হোক, কিশোরের কণ্ঠ কী করে এতটা মধুর হলো, তা নিয়ে পড়ে থেকে কাজ নেই। আমাদের কাছে তো আছে তাঁর অসাধারণ গায়কি।
কিশোর গুরু বলে মানতেন তিনজনকে। কে এল সায়গল‚ হলিউডের গায়ক-অভিনেতা ড্যানি কে ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তাঁর বাড়িতে ঝোলানো ছিল এই তিনজনের বড় বড় পোর্ট্রেট। রোজ সকালে উঠে এই তিনজনকে প্রণাম করতেন কিশোর কুমার।
কিশোরের জীবনে অদ্ভুত চার
কিংবদন্তি এই শিল্পীর জীবনের চার সংখ্যা নিয়ে অদ্ভুত কিছু কাহিনি রয়েছে। একটু চোখ বোলালেই বোঝা যাবে কিশোর কুমার ৪ আগস্ট ৪টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জীবনে বিয়ে করেছিলেন চারটি। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন চার সন্তানের বাবা।
অভিনয়, গান এবং...
দাদা অশোক কুমারের মতো অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল কিশোর কুমারের। আর এই স্বপ্ন নিয়েই মূলত ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন কিশোর কুমার। সাধারণত গায়ক হিসেবে তাঁকে দেখা হলেও তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাও ছিলেন। তাঁর অভিনীত বিখ্যাত কয়েকটি কমেডি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘বাপ রে বাপ’ (১৯৫৫), ‘পড়োশন’ (১৯৬৮), ‘হাঙ্গামা’ (১৯৭১), ‘পেয়ার দিওয়ানা’ (১৯৭৩), ‘বাড়তি কা নাম দাড়ি’ (১৯৭৪), ‘চলতি কা নাম গাড়ি’ (১৯৫৮), ‘হাফ টিকিট’ (১৯৬২) প্রভৃতি। কিন্তু কিশোর অভিনীত এই সিনেমাগুলো সাফল্য পায়নি। তাঁর অভিনীত ছবিতে কণ্ঠ দিতেন মোহাম্মদ রফি। শুধু অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পী নন, কিশোর কুমার ছিলেন একাধারে তীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, অসমিয়া, কন্নড়, ভোজপুরি, উর্দু, মালায়লমসহ বিভিন্ন ভাষায় ২ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন কিশোর কুমার। এতগুলো ভাষায়, এত গান গাইলেও কিশোর কুমারের ঝুলিতে মাত্র আটটি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড রয়েছে।
উদ্ভট কাণ্ডকীর্তি
উদ্ভট কাণ্ডের জন্য কিশোর কুমারের খ্যাতি কিছু কম ছিল না। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ওয়ার্ডেন রোডে তাঁর ফ্ল্যাটের বাইরে যে বোর্ড ঝোলানো থাকত, তাতে লেখা থাকত—‘Beware Of Kishore Kumar’। একবার এক প্রযোজক তাঁর প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর হ্যান্ডশেক করতে চাইলে তাঁর হাত নিজের মুখের মধ্যে নিয়ে কামড়ে দিয়েছিলেন কিশোর। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন বাইরে টানানো বোর্ডের কথা। আবার একবার এক প্রযোজক বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর টাকা বাকি রেখে দিয়েছিলেন। সিনেমার নায়ক-গায়ক ছিলেন কিশোর কুমার। তাই রোজ খানিকটা করে গোঁফ, আর চুল কামাতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়াতে ক্ষান্ত হন কিশোর। আরেকবার একটি দৃশ্যে তাঁর গাড়ি চালিয়ে ফ্রেম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। সেই মতো ফ্রেম থেকে তো বেরিয়ে গেলেন কিশোর‚ কিন্তু গাড়ি না থামিয়ে সোজা পানভেল অবধি চলে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ডিরেক্টর তো ‘কাট’ বলেননি।
‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’—কিশোর কুমার গাইছেন। আর একটা হাহাকার যেন জন্ম নিচ্ছে চারপাশে। গানের এই কথার সঙ্গে মিল রেখে কিশোর কুমার নিজেও চলে গেছেন না ফেরার কোনো এক আকাশে। কিন্তু এই না ফেরাটা মোটাদাগে, সশরীরে। সশরীরে তাঁর ফেরা না হলেও তাঁর কণ্ঠ ফিরে ফিরে আসে; বারবার।
উপমহাদেশে যে কয়েকজন শিল্পী সেরা শিল্পীর মুকুট মাথায় পরেছেন, তার মধ্যে কিশোর কুমার অন্যতম। আজ এই গুণী শিল্পীর জন্মদিন। ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে এক বাঙালি পরিবারে কিশোর কুমারের জন্ম।
আভাস কুমার থেকে কিশোর কুমার
মধ্যপ্রদেশের খান্ডোওয়াতে কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি, আর গৌরী দেবির ঘরে জন্ম নেওয়া ছেলেটির নাম কিন্তু ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। ডাক নাম ছিল কিশোর। কিন্তু বড় হয়ে এই ডাকনামের সঙ্গেই মূল নামের কুমার জুড়ে তিনি হয়ে ওঠেন কিশোর কুমার। বাবা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ছিলেন আইনজীবী; আর মা গৌরী দেবী গৃহবধূ। চার ভাইবোনের মধ্যে কিশোরই ছিলেন সবার ছোট। সবচেয়ে বড় অশোক কুমার‚ তারপর দিদি সতী দেবী, আরেক দাদা অনুপ কুমার।
আভাস কুমার থেকে কিশোর কুমার হয়ে ওঠা কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই গানের জন্য। ‘বোম্বে টকিজে’ দাদা অশোক কুমারের সঙ্গে কোরাস গাওয়ার সময় ‘আভাস’ নাম বদলে করে নেন ‘কিশোর’। পরে কিশোর নামেই পান পরিচিতি ও খ্যাতি।
কণ্ঠ নিয়ে বিড়ম্বনা
যে গান তাঁকে এত খ্যাতি এনে দিয়েছে, সেই গানে তিনি কিন্তু ছোট থেকে মোটেই ভালো ছিলেন না। অনেকে একে কর্কশ ও হেঁড়ে গলা হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তা সেই হেঁড়ে গলা কীভাবে এমন মনকাড়া হলো? এ নিয়েও রয়েছে মজার গল্প—ছোটবেলায় পায়ের পাতায় একবার চোট লাগার পর প্রায় এক মাস ধরে চেঁচিয়ে কান্নাকাটি করেছিলেন কিশোর। আর তারপরই নাকি ভোল পাল্টে যায় গলার। এক সময়ের হেঁড়ে গলাটি পুরোদস্তুর সুমিষ্ট কণ্ঠে পরিণত হয়। সে যা–ই হোক, কিশোরের কণ্ঠ কী করে এতটা মধুর হলো, তা নিয়ে পড়ে থেকে কাজ নেই। আমাদের কাছে তো আছে তাঁর অসাধারণ গায়কি।
কিশোর গুরু বলে মানতেন তিনজনকে। কে এল সায়গল‚ হলিউডের গায়ক-অভিনেতা ড্যানি কে ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তাঁর বাড়িতে ঝোলানো ছিল এই তিনজনের বড় বড় পোর্ট্রেট। রোজ সকালে উঠে এই তিনজনকে প্রণাম করতেন কিশোর কুমার।
কিশোরের জীবনে অদ্ভুত চার
কিংবদন্তি এই শিল্পীর জীবনের চার সংখ্যা নিয়ে অদ্ভুত কিছু কাহিনি রয়েছে। একটু চোখ বোলালেই বোঝা যাবে কিশোর কুমার ৪ আগস্ট ৪টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জীবনে বিয়ে করেছিলেন চারটি। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন চার সন্তানের বাবা।
অভিনয়, গান এবং...
দাদা অশোক কুমারের মতো অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন ছিল কিশোর কুমারের। আর এই স্বপ্ন নিয়েই মূলত ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন কিশোর কুমার। সাধারণত গায়ক হিসেবে তাঁকে দেখা হলেও তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাও ছিলেন। তাঁর অভিনীত বিখ্যাত কয়েকটি কমেডি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘বাপ রে বাপ’ (১৯৫৫), ‘পড়োশন’ (১৯৬৮), ‘হাঙ্গামা’ (১৯৭১), ‘পেয়ার দিওয়ানা’ (১৯৭৩), ‘বাড়তি কা নাম দাড়ি’ (১৯৭৪), ‘চলতি কা নাম গাড়ি’ (১৯৫৮), ‘হাফ টিকিট’ (১৯৬২) প্রভৃতি। কিন্তু কিশোর অভিনীত এই সিনেমাগুলো সাফল্য পায়নি। তাঁর অভিনীত ছবিতে কণ্ঠ দিতেন মোহাম্মদ রফি। শুধু অভিনয় ও কণ্ঠশিল্পী নন, কিশোর কুমার ছিলেন একাধারে তীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, অসমিয়া, কন্নড়, ভোজপুরি, উর্দু, মালায়লমসহ বিভিন্ন ভাষায় ২ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন কিশোর কুমার। এতগুলো ভাষায়, এত গান গাইলেও কিশোর কুমারের ঝুলিতে মাত্র আটটি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড রয়েছে।
উদ্ভট কাণ্ডকীর্তি
উদ্ভট কাণ্ডের জন্য কিশোর কুমারের খ্যাতি কিছু কম ছিল না। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ওয়ার্ডেন রোডে তাঁর ফ্ল্যাটের বাইরে যে বোর্ড ঝোলানো থাকত, তাতে লেখা থাকত—‘Beware Of Kishore Kumar’। একবার এক প্রযোজক তাঁর প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর হ্যান্ডশেক করতে চাইলে তাঁর হাত নিজের মুখের মধ্যে নিয়ে কামড়ে দিয়েছিলেন কিশোর। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন বাইরে টানানো বোর্ডের কথা। আবার একবার এক প্রযোজক বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর টাকা বাকি রেখে দিয়েছিলেন। সিনেমার নায়ক-গায়ক ছিলেন কিশোর কুমার। তাই রোজ খানিকটা করে গোঁফ, আর চুল কামাতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়াতে ক্ষান্ত হন কিশোর। আরেকবার একটি দৃশ্যে তাঁর গাড়ি চালিয়ে ফ্রেম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। সেই মতো ফ্রেম থেকে তো বেরিয়ে গেলেন কিশোর‚ কিন্তু গাড়ি না থামিয়ে সোজা পানভেল অবধি চলে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ডিরেক্টর তো ‘কাট’ বলেননি।
‘মেলোডি আনলিশড’ শিরোনামের কনসার্টে গান শোনাতে গত মাসে ঢাকায় এসেছিলেন পাকিস্তানের শিল্পী মুস্তাফা জাহিদ। তবে কনসার্ট শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে হঠাৎ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কনসার্ট স্থগিতের ঘোষণা দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেলোডি অ্যান্ড মাইন্ড কমিউনিকেশন। ঢাকায় এসেও গাইতে না...
৪০ মিনিট আগেগত মাসে অনুষ্ঠিত মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছে মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের সিনেমা ‘মাস্তুল’। উৎসবে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির স্পেশাল মেনশন অ্যাওয়ার্ড (জুরি) জিতেছে সিনেমাটি। এবার স্পেনের এক চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনয়ন পেল মাস্তুল।
৪৪ মিনিট আগেছোটবেলা থেকে হৃতিক রোশন বেশ মেধাবী ছিলেন। তবে একটি সমস্যা তাঁকে ভুগিয়েছে অনেক। স্পষ্ট কথা বলতে পারতেন না। ছিল তোতলামির সমস্যা। অন্তর্মুখী চরিত্রের হৃতিককে আরও চুপসে দিয়েছিল সমস্যাটি। স্কুলে সারাক্ষণ হয়রানির শিকার হতে হতো হৃতিককে। বন্ধুরা তাঁকে ভ্যাঙাত, হেয় করত।
১ ঘণ্টা আগেকে-ড্রামা বা কোরিয়ান ভাষার সিরিজ জনপ্রিয় সারা বিশ্বে। বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকারের দারুণ পছন্দ কোরিয়ান ড্রামা। বোম্বে টাইমসকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কোন দুই কে-ড্রামা বেশি পছন্দ তাঁর। কী দেখবেন—সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না যাঁরা, তাঁরা নজর রাখতে পারেন ভূমির ওয়াচলিস্টে।
১ ঘণ্টা আগে