খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এত দিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
সেই কণ্ঠ, সেই সুর, সেই গান প্রতিধ্বনির পাখায় চেপে ছড়িয়ে গেল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের আকাশে-বাতাসে। কীভাবে সুমন উত্তাল করে দেন ভেতরের শান্ত নদী? কোন মন্ত্রে তাতে জাগে এমন ঢেউ? হাজারো প্রশ্ন আর বিস্ময় উসকে দিয়ে মঞ্চে বসে আছেন স্বয়ং সুমন! গাইছেন, কথা বলছেন, হাসছেন, হাসাচ্ছেন।
কবীর সুমনকে একনজর দেখার জন্য, তাঁর গান শোনার জন্য ১৫ অক্টোবর দিনভর ছিল অপেক্ষার উত্তেজনা। বিকেল ৪টায় গেট খোলা হবে জেনেও দুপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জড়ো হচ্ছিলেন সুমনভক্তরা। গুমোট আবহাওয়ার অস্বস্তি পাশ কাটিয়ে, এঁকেবেঁকে চলা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, তাঁরা ধীর পায়ে প্রবেশ করছিলেন অডিটোরিয়ামে। অনেক অপেক্ষার শেষে বিকেল ৫টার খানিক পরে মঞ্চে এলেন কবীর সুমন। করজোড়ে প্রণাম করলেন উপস্থিত দর্শকদের। অডিটোরিয়ামের কোণে কোণে পৌঁছে দিলেন উড়ন্ত চুমুর আশীর্বাদ।
গোটা মিলনায়তন তখন উঠে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফারিত চোখে দেখছে গানওয়ালাকে। শত করতালির শব্দে মুখর। সবুজাভ ফতুয়া আর ধুতি পরিহিত ৭৩ বছর বয়সী মানুষটা এত দর্শকের উপস্থিতি দেখে কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়লেন। মাইক্রোফোনের সামনে ঈষৎ ঝুঁকে করলেন কৃতজ্ঞতার উচ্চারণ, ‘আমি ভারতের নাগরিক, আমার মাতৃভাষা বাংলা। সে ভাষাটি এ দেশের রাষ্ট্রভাষা। এর চেয়ে গর্বের আর কী হতে পারে!’
শনিবার সন্ধ্যায় কবীর সুমনের গান যাঁরা শুনতে এসেছিলেন, তাঁরা বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। যাঁদের জন্ম নব্বইয়ের দশকের আশপাশে। সুমনের ‘তোমাকে চাই’ ততদিনে বেরিয়ে গেছে, ধীর পায়ে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামে, পাড়া থেকে গলিতে। ততদিনে এসব দর্শকের অনেকের জন্মই হয়নি। তবুও দিনে দিনে সুমনের গানের সঙ্গে তাঁরা বেঁধে নিয়েছেন প্রাণ। তাঁর গানে খুঁজে পেয়েছেন বেঁচে থাকার প্রেরণা, স্বপ্ন দেখতে শিখেছেন নতুনভাবে। গানওয়ালাকে দেখার তৃষ্ণা তাই সবার চোখেই।
এর আগে সুমন যতবার ঢাকায় গাইতে এসেছেন, প্রতিবারই প্রতি অনুষ্ঠানে ছুটে গেছেন এমন অনেককেও পাওয়া গেল দর্শকের ভিড়ে। চোখেমুখে সবার গভীর বিস্ময়ের রেখা। কবীর সুমনের সঙ্গে আবার দেখা হবে, এই প্রচণ্ড প্রতিবাদী একইসঙ্গে বিনয়ে মোড়া মানুষটির কণ্ঠে শোনা যাবে ‘খিধের কিন্তু সীমান্ত নেই, নেই চিতা, নেই কবরটাও, যুদ্ধটাকেই চিতায় তোলো, যুদ্ধটাকেই কবর দাও’ কিংবা ‘আগুন দেখেছি আমি কত জানালায়’ কিংবা ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’ অথবা ‘ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল’; ভাবতেই পারেননি কেউ। তাই সুমনের এবারের ঢাকা সফর যেন না চাইতেই অনেক কিছু!
গান শুরুর আগে কিছুক্ষণ স্মৃতিচারণ করলেন কবীর সুমন। বললেন, ‘আমাকে প্রথম বাংলাদেশে গান গাইতে নিয়ে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালকেরা। তখন আমার ৪৬-৪৭ বছর বয়স। আমার প্রথম স্বরচিত, স্বসুরারোপিত গানের অ্যালবাম “তোমাকে চাই” বেরিয়েছিল, যখন আমার ৪৩ বছর বয়স। আমার প্রথম রবীন্দ্রনাথের গানের গ্রামোফোন রেকর্ড যখন বেরিয়েছিল, তখন আমার ২৩ বছর বয়স। আর আমার যখন ১৭ বছর বয়স, তখন আমি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক গানের একটু উঁচুর দিকের শ্রেণির একজন গায়ক হিসেবে যোগ দিই। আর নজরুল গীতিটা আমি অডিশনে ভালো গাইনি। প্রিয় হলেও ভালো গাইতে পারিনি। তাই বি গ্রেড পেয়েছিলাম। এই হচ্ছে মোটামুটি আমার গানের ক্যারিয়ার।’
এরপর সুমন ডেকে নিলেন তাঁর সফরসঙ্গীদের। একে একে মঞ্চে আসন নিলেন ধ্রুব বসু রায়, ইন্দ্রজিৎ প্রধান, রাকা ভট্টাচার্য। তাঁরা সুমনের সঙ্গে বাজাবেন। এর আগে যত জায়গায় যতবারই গাইতে গিয়েছেন সুমন, গিয়েছেন একাই। একাই গলায় ঝুলিয়ে গিটার ময়দানে ঝড় তুলেছেন। তবে এখন শরীরে পড়েছে বয়সের ছাপ। কারো সাহায্য ছাড়া নড়েচড়ে বসতেও পারেন না। চেপে বসেছে স্নায়ুর অসুখ। গিটারের বদলে তাই সঙ্গী হয়েছে কি-বোর্ড। তবুও এই তিয়াত্তরের সুমন, মস্তিষ্কে নিয়ে হাজারো গানের স্বরলিপি আর শত বছরের বাংলা গানের ইতিহাস, সেই পুরোনো মেজাজেই ধরা দিলেন। সেই বজ্রকণ্ঠ, সেই দ্বিধাহীন উচ্চারণ!
প্রথম গানটি ধরলেন সুমন ‘এক একটা দিন মসৃণ, ভোর থেকে শুরু করে রাতের শয্যায়।’ মিলনায়তন জুড়ে নেমে এল গভীর রাতের নিস্তব্ধতা। এই বিস্ময়, এই নীরবতা হাজির ছিল সুমনের শেষ পরিবেশনা ‘তোমাকে চাই’ পর্যন্ত। প্রায় তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে ‘সবুজ দ্বীপের মতো মাঝখানে সুফিয়া কামাল’, ‘প্রতিদিন সূর্য ওঠে, ‘মন খারাপ করা বিকেল’, ‘বয়স আমার মুখের রেখায়’, ‘জাতিস্মর’, ‘ও গানওয়ালা’, ‘বিদায় পরিচিতা’, ‘কাঙালপনা’, ‘বিসমিল্লাহর পাগল সানাই’, ‘ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল’, ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’সহ ২১টি গান গেয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ করলেন কবীর সুমন। ১৮ ও ২১ অক্টোবর আবারো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে উঠবেন তিনি। সৃষ্টি করবেন আরও কতশত মুহূর্ত, যার সাক্ষী হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসবেন গানওয়ালার অনুরাগীরা।

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এত দিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
সেই কণ্ঠ, সেই সুর, সেই গান প্রতিধ্বনির পাখায় চেপে ছড়িয়ে গেল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের আকাশে-বাতাসে। কীভাবে সুমন উত্তাল করে দেন ভেতরের শান্ত নদী? কোন মন্ত্রে তাতে জাগে এমন ঢেউ? হাজারো প্রশ্ন আর বিস্ময় উসকে দিয়ে মঞ্চে বসে আছেন স্বয়ং সুমন! গাইছেন, কথা বলছেন, হাসছেন, হাসাচ্ছেন।
কবীর সুমনকে একনজর দেখার জন্য, তাঁর গান শোনার জন্য ১৫ অক্টোবর দিনভর ছিল অপেক্ষার উত্তেজনা। বিকেল ৪টায় গেট খোলা হবে জেনেও দুপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জড়ো হচ্ছিলেন সুমনভক্তরা। গুমোট আবহাওয়ার অস্বস্তি পাশ কাটিয়ে, এঁকেবেঁকে চলা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, তাঁরা ধীর পায়ে প্রবেশ করছিলেন অডিটোরিয়ামে। অনেক অপেক্ষার শেষে বিকেল ৫টার খানিক পরে মঞ্চে এলেন কবীর সুমন। করজোড়ে প্রণাম করলেন উপস্থিত দর্শকদের। অডিটোরিয়ামের কোণে কোণে পৌঁছে দিলেন উড়ন্ত চুমুর আশীর্বাদ।
গোটা মিলনায়তন তখন উঠে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফারিত চোখে দেখছে গানওয়ালাকে। শত করতালির শব্দে মুখর। সবুজাভ ফতুয়া আর ধুতি পরিহিত ৭৩ বছর বয়সী মানুষটা এত দর্শকের উপস্থিতি দেখে কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়লেন। মাইক্রোফোনের সামনে ঈষৎ ঝুঁকে করলেন কৃতজ্ঞতার উচ্চারণ, ‘আমি ভারতের নাগরিক, আমার মাতৃভাষা বাংলা। সে ভাষাটি এ দেশের রাষ্ট্রভাষা। এর চেয়ে গর্বের আর কী হতে পারে!’
শনিবার সন্ধ্যায় কবীর সুমনের গান যাঁরা শুনতে এসেছিলেন, তাঁরা বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। যাঁদের জন্ম নব্বইয়ের দশকের আশপাশে। সুমনের ‘তোমাকে চাই’ ততদিনে বেরিয়ে গেছে, ধীর পায়ে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামে, পাড়া থেকে গলিতে। ততদিনে এসব দর্শকের অনেকের জন্মই হয়নি। তবুও দিনে দিনে সুমনের গানের সঙ্গে তাঁরা বেঁধে নিয়েছেন প্রাণ। তাঁর গানে খুঁজে পেয়েছেন বেঁচে থাকার প্রেরণা, স্বপ্ন দেখতে শিখেছেন নতুনভাবে। গানওয়ালাকে দেখার তৃষ্ণা তাই সবার চোখেই।
এর আগে সুমন যতবার ঢাকায় গাইতে এসেছেন, প্রতিবারই প্রতি অনুষ্ঠানে ছুটে গেছেন এমন অনেককেও পাওয়া গেল দর্শকের ভিড়ে। চোখেমুখে সবার গভীর বিস্ময়ের রেখা। কবীর সুমনের সঙ্গে আবার দেখা হবে, এই প্রচণ্ড প্রতিবাদী একইসঙ্গে বিনয়ে মোড়া মানুষটির কণ্ঠে শোনা যাবে ‘খিধের কিন্তু সীমান্ত নেই, নেই চিতা, নেই কবরটাও, যুদ্ধটাকেই চিতায় তোলো, যুদ্ধটাকেই কবর দাও’ কিংবা ‘আগুন দেখেছি আমি কত জানালায়’ কিংবা ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’ অথবা ‘ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল’; ভাবতেই পারেননি কেউ। তাই সুমনের এবারের ঢাকা সফর যেন না চাইতেই অনেক কিছু!
গান শুরুর আগে কিছুক্ষণ স্মৃতিচারণ করলেন কবীর সুমন। বললেন, ‘আমাকে প্রথম বাংলাদেশে গান গাইতে নিয়ে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালকেরা। তখন আমার ৪৬-৪৭ বছর বয়স। আমার প্রথম স্বরচিত, স্বসুরারোপিত গানের অ্যালবাম “তোমাকে চাই” বেরিয়েছিল, যখন আমার ৪৩ বছর বয়স। আমার প্রথম রবীন্দ্রনাথের গানের গ্রামোফোন রেকর্ড যখন বেরিয়েছিল, তখন আমার ২৩ বছর বয়স। আর আমার যখন ১৭ বছর বয়স, তখন আমি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক গানের একটু উঁচুর দিকের শ্রেণির একজন গায়ক হিসেবে যোগ দিই। আর নজরুল গীতিটা আমি অডিশনে ভালো গাইনি। প্রিয় হলেও ভালো গাইতে পারিনি। তাই বি গ্রেড পেয়েছিলাম। এই হচ্ছে মোটামুটি আমার গানের ক্যারিয়ার।’
এরপর সুমন ডেকে নিলেন তাঁর সফরসঙ্গীদের। একে একে মঞ্চে আসন নিলেন ধ্রুব বসু রায়, ইন্দ্রজিৎ প্রধান, রাকা ভট্টাচার্য। তাঁরা সুমনের সঙ্গে বাজাবেন। এর আগে যত জায়গায় যতবারই গাইতে গিয়েছেন সুমন, গিয়েছেন একাই। একাই গলায় ঝুলিয়ে গিটার ময়দানে ঝড় তুলেছেন। তবে এখন শরীরে পড়েছে বয়সের ছাপ। কারো সাহায্য ছাড়া নড়েচড়ে বসতেও পারেন না। চেপে বসেছে স্নায়ুর অসুখ। গিটারের বদলে তাই সঙ্গী হয়েছে কি-বোর্ড। তবুও এই তিয়াত্তরের সুমন, মস্তিষ্কে নিয়ে হাজারো গানের স্বরলিপি আর শত বছরের বাংলা গানের ইতিহাস, সেই পুরোনো মেজাজেই ধরা দিলেন। সেই বজ্রকণ্ঠ, সেই দ্বিধাহীন উচ্চারণ!
প্রথম গানটি ধরলেন সুমন ‘এক একটা দিন মসৃণ, ভোর থেকে শুরু করে রাতের শয্যায়।’ মিলনায়তন জুড়ে নেমে এল গভীর রাতের নিস্তব্ধতা। এই বিস্ময়, এই নীরবতা হাজির ছিল সুমনের শেষ পরিবেশনা ‘তোমাকে চাই’ পর্যন্ত। প্রায় তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে ‘সবুজ দ্বীপের মতো মাঝখানে সুফিয়া কামাল’, ‘প্রতিদিন সূর্য ওঠে, ‘মন খারাপ করা বিকেল’, ‘বয়স আমার মুখের রেখায়’, ‘জাতিস্মর’, ‘ও গানওয়ালা’, ‘বিদায় পরিচিতা’, ‘কাঙালপনা’, ‘বিসমিল্লাহর পাগল সানাই’, ‘ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল’, ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’সহ ২১টি গান গেয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ করলেন কবীর সুমন। ১৮ ও ২১ অক্টোবর আবারো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে উঠবেন তিনি। সৃষ্টি করবেন আরও কতশত মুহূর্ত, যার সাক্ষী হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসবেন গানওয়ালার অনুরাগীরা।

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৪ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।
রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’
মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।
রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এতদিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
১৫ অক্টোবর ২০২২
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এতদিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
১৫ অক্টোবর ২০২২
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৪ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এতদিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
১৫ অক্টোবর ২০২২
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৪ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এতদিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
১৫ অক্টোবর ২০২২
ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার।
৪ ঘণ্টা আগে
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে