Ajker Patrika

জুবিন গার্গের মৃত্যুর পর প্রথমবার মুখ খুললেন স্ত্রী গরিমা

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৭
প্রয়াত গায়ক জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ। ছবি: সংগৃহীত
প্রয়াত গায়ক জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ। ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত শুক্রবার মৃত্যু হয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের। গতকাল শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে তাঁর মরদেহ ভারতে পৌঁছায়। গায়কের মরদেহ আজ সকালে নেওয়া হয় তাঁর জন্মস্থান আসামে। জুবিনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে জড়ো হন হাজারো ভক্ত।

ফুলে ফুলে শোভিত জুবিনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স যখন গায়কের গুয়াহাটির বাসভবনের দিকে রওনা হয়, সেই যাত্রায় সঙ্গী ছিলেন ভক্তরা। আসামের সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন জুবিনকে শ্রদ্ধা জানাতে। পুরো শহর যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিকেলে জুবিনের মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর গুয়াহাটির বাসায়। সেখানে তাঁর প্রতি অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা।

জুবিনের মৃত্যুতে শোকাহত পুরো আসাম। ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে আসামে। স্থগিত রাখা হয়েছে সব সরকারি অনুষ্ঠান। জুবিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের দাবিও উঠেছে জোরেশোরে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘোষণা দিয়েছেন, যে অনুষ্ঠানে গাইতে জুবিন সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন, সেই নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের আয়োজক শ্যামকানু মহান্ত ও জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর করা হয়েছে।

আসামের সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন জুবিনকে শ্রদ্ধা জানাতে। ছবি: সংগৃহীত
আসামের সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন জুবিনকে শ্রদ্ধা জানাতে। ছবি: সংগৃহীত

ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন জুবিন-ভক্তরা। মৃত্যুসংবাদ পেয়ে জুবিনের বাড়ির বাইরে জড়ো হন শত শত ভক্ত। সিদ্ধার্থ শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা। তবে এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গার্গ।

জুবিনের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি ভিডিও পোস্ট দিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে হাত জোড় করে গরিমা অনুরোধ করেছেন, সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে করা এফআইআর যেন প্রত্যাহার করা হয়। গরিমা বলেছেন, জুবিনের অনেক কাজ অসম্পূর্ণ এবং একা সেগুলো শেষ করা সম্ভব নয়। এ মুহূর্তে সিদ্ধার্থকে খুব দরকার জুবিনের পরিবারের।

গরিমা বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, দয়া করে সিদ্ধার্থর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলবেন না। সিদ্ধার্থ সব সময় জুবিনের খেয়াল রাখত। করোনার সময় যখন জুবিনের স্ট্রোক হয়েছিল, তখন সিদ্ধার্থ জীবন বাজি রেখে আমার স্বামীকে মুম্বাই নিয়ে গিয়েছিল চিকিৎসার জন্য। ২০ বছর ধরে সিদ্ধার্থ আমার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। সে আমার ভাইয়ের মতো। তার বিরুদ্ধে আপনারা এমন কিছু বলবেন না। এ মুহূর্তে আমাদের পরিবারে তাকে প্রয়োজন। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, জুবিনের শেষযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে হতে দিন। আপনারা আইন মেনে চলুন। প্রশাসনকেও সাহায্য করুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত