Ajker Patrika

ওপেনহাইমার: নায়কের মহাকাব্যিক আখ্যান নাকি আমেরিকার আদিপাপের স্বাভাবিকীকরণ

জাহাঙ্গীর আলম
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১৯: ৫২
ওপেনহাইমার: নায়কের মহাকাব্যিক আখ্যান নাকি আমেরিকার আদিপাপের স্বাভাবিকীকরণ

যদি আকাশে সহস্র সূর্যের প্রভা যুগপৎ উদিত হয়, তাহলে সেই মহাত্মা বিশ্বরূপের প্রভার কিঞ্চিৎ তুল্য হতে পারে—গীতার এই শ্লোক আউরে নিজ হাতে গড়া মারণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা উদ্‌যাপন করেছিলেন ওপেনহাইমার। তাঁর মতো মৃদুভাষি চাপা স্বভাবের জ্ঞানী মানুষ আনন্দিত হলেও নিজের সৃষ্ট তেজস্ক্রিয় বোমার মতো ফেটে পড়েননি। পরক্ষণেই অবশ্য তাঁকে ঘিরে ফেলে অবসাদ, অপরাধবোধে বিদ্ধ বিষণ্ন একা মানুষ হিসেবে বাকি জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘটনার কয়েক বছর পর তিনি বলেছিলেন, ওই সময় গীতার আরেকটি শ্লোক তাঁর মনে পড়েছিল—আমিই মৃত্যু, পৃথিবী ধ্বংসের কারণ! এটি হয়তো তাঁর পরবর্তী উপলব্ধির প্রকাশ। 

সে অর্থে ওপেনহাইমার তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা মেধাবী এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন। যদিও তাঁর হাতে গড়া মারণাস্ত্রেই বিশ্ববাসী প্রথম পারমাণবিক বোমার অভূতপূর্ব বিধ্বংসী রূপ দেখেছে। এ নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমাটির উপস্থাপন কৌশলের গুণে ওপেনহাইমারকে চাইলে দুভাবেই বিচার করা যেতে পারে। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ওপেনহাইমার তাঁর অবদানের কারণে প্রশংসিত, পরবর্তীতে মার্কিন রাজনীতিকদের সন্দেহবাতিকতার কারণে অপমানিত একজন হিরো। আবার হলিউডের ‘দায়মুক্তি প্রকল্পের’ অংশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে এই সিনেমাকে। 

নৈতিক বিচারের আগে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার একটি সাধারণ পর্যালোচনা করা যাক: 

ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। 

কিন্তু নোলানের এই দুঃসাহসী মহাকাব্যের সম্ভবত সবচেয়ে বিস্ময়কর উপাদানটি হলো—রাজনৈতিক খেলার যে উত্তেজনাকর দৃশ্যায়ন, শেষ পর্যন্ত সেটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিধ্বংসী প্রকৃতিকে আড়াল করে ফেলেছে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম উজ্জ্বল বৈজ্ঞানিক মানস বলা হয় যাকে সেই ওপেনহাইমার শেষ জীবনে আমেরিকার সমর আকাঙ্ক্ষী চিন্তাধারার বিরুদ্ধে নিজের উচ্চকিত কণ্ঠের কারণে সেই সময়ই রাজনীতিকদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছেন। 

চিসেলিং কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরম্যান রচিত ওপেনহাইমারের জীবনী ‘আমেরিকান প্রমিথিউস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে. রবার্ট ওপেনহাইমার’ অবলম্বনেই এই সিনেমা বানিয়েছেন নোলান। অবশ্য ৭০০–এর বেশি পৃষ্ঠার বইটি থেকে ৩ ঘণ্টার চিত্রনাট্য বানাতে গিয়ে নোলান পুরো প্লটটিকে দর্শকদের সামনে হাজির করতে পারেননি। 

সিনেমাটি প্রথমে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার মতো জটিল বিষয় নিয়ে গভীর কথাবার্তায় ঠাসা বলে মনে হতে পারে। যেখানে দেখা যায়, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের ব্যবসায়িক লেবাসের কিছু পুরুষ অফিস এবং ল্যাবে দাঁড়িয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আলোচনা করছেন। পদার্থবিদ্যায় যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য সেটি দুর্বোধ্যই। তবে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে দর্শকদের স্বস্তি দেওয়ার মতো দৃশ্য দেখানো হয়েছে— যখন ফিউশন বোমার উপাদান হিসেবে ইউরেনিয়াম এবং প্লুটোনিয়ামের মধ্যে পার্থক্য দেখানোর জন্য কাচের পাত্রে মার্বেল রেখে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়। 

নোলানের অবশ্য ঘটনা বর্ণনার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে—তাঁর সিনেমার জটিল উপাদানগুলো ক্রমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ সিনেমাতেও তাই হয়েছে। ওয়াশিংটনে ওপেনহাইমারের বিরুদ্ধে শুনানিও এখানে মূল উপজীব্য। পুরো আখ্যানে ছেদ ঘটনায় শুরুর দৃশ্য। অবশ্য শেষ ঘণ্টার পুরোটাই দখল করে আছে সেই শুনানিগুলো। 

জে. রবার্ট ওপেনহাইমার হিসেবে কিলিয়ান মারফি এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের ভূমিকায় টম কন্টির মধ্যে একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন দুর্দান্তভাবে এই দুই মহান বিজ্ঞানীর দৃষ্টিভঙ্গিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এই দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, দুই মেধাবী মানুষের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের নিজ নিজ শাখার বিজ্ঞানের ব্যাপারে কতটা আলাদা ছিল—সেটিরই এক আবেগঘন দৃশ্যায়ন সেটি। 

ফোর–অ্যাক্ট কাঠামোর সিনেমা দেখে যারা অভ্যস্ত তাঁদের জন্য নোলানের ওপেনহাইমার শুরুতে কিছুটা হতাশ করতে পারে। অবশ্য ধৈর্যশীল ও একাগ্র দর্শকদের জন্য পুরস্কার হিসেবে একটি টানটান উত্তেজনার দৃশ্য রাখা হয়েছে— নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে ১৯৪৫ সালের পরমাণু বোমার প্রথম পরীক্ষা। ওপেনহাইমার যেটির নাম দিয়েছিলেন ‘ট্রিনিটি’। এই বোমায় জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছিল। 

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যগতভাবে সিনেমার থ্রি-অ্যাক্ট কাঠামোই বেশি অনুসরণ করা হয়। তবে ১. সেটআপ, ২. দ্বন্দ্ব, ৩. রেজুলেশন বা সমাধান –এর পাশাপাশি ফোর–অ্যাক্ট কাঠামোতে তৃতীয় পর্বে থাকে ‘সংকট’। 

OPPENHEIMER-_CHRISTOPHER_NOLAN১৯৪৫ সালের সেই ঘটনা আধুনিক মানব ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। আমেরিকান নায়ক হিসেবে ওপেনহাইমারকে সেই সাফল্যের মুকুট দেওয়া হয়। কিন্তু একই সঙ্গে সিনেমায় কিলিয়ান মারফির অভিব্যক্তিপূর্ণ মুখমণ্ডলজুড়ে নৈতিক পরাজয়ের ক্ষোভ ও বিব্রতবোধ ফুটে উঠেছে অসাধারণ মহিমায়। এরপরেই দর্শকদের সামনে হাজির হয় গা হিম করা উইচ হান্ট—কমিউনিস্ট ধরার অভিযান। যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাকার্থি যুগের সবচেয়ে জঘন্য কলাকৌশলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে এই ঘটনা। 

ক্রিস্টোফার নোলান স্বভাবসুলভ দক্ষতায় ওপেনহাইমার এবং তাঁর সপ্রতিভ স্ত্রী কিটির (অভিনয়ে এমিলি ব্লান্ট) সেই সময়ের বেদনা এবং অপমানকে দৃশ্যায়িত করেছেন। পাঁচ বছর পর আইজেনহাওয়ার প্রশাসনের বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে লুইস স্ট্রসকে (অভিনয়ে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র) নিয়োগের সিনেট শুনানিতে আবার উঠে আসে ওপেনহাইমারের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ। আবার শুরু হয় শুনানি। 

লুইস স্ট্রসের চরিত্রে রাবর্ট ডাউনি অসাধারণ অভিনয় করেছেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পরে চেয়ারম্যান হন স্ট্রস। তাঁর চরিত্রকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন রবার্ট ডাউনি। স্ট্রসের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অহংকারী ওপেনহাইমারের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলেছিল। এমন একটি চরিত্রে আয়রন ম্যানের টনি স্টার্ক তাঁর মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। 

একজন জুতার বিক্রয়কর্মী হিসেবে স্ট্রসের উত্থানকে রবার্ট ডাউনি নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই চরিত্র চিত্রায়ণের যে উদ্দেশ্য ছিল নির্মাতার তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সিনেমার শেষের দিকে। সম্পর্কের ক্ষত এবং ক্রোধের তিক্ত স্রোতে ভেসে যাওয়া একটি চরিত্রকে ডাউনি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা আজকালকার বড় বাজেটের চোখ ধাঁধানো সুপারহিরোদের কসরত দেখে উল্লাস করা দর্শকেরা বুঝবেন না! 

এই সিনেমা আপনাকে ধীরে ধীরে উত্তেজিত করবে। তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যার দুর্বোধ্য আলাপে ধৈর্যচ্যুতি না ঘটলে ক্রমেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে—আধো আলোর ক্যাপিটল হিল কনফারেন্স রুম এবং সিনেট চেম্বারের শীতল বৈঠক থেকে শুরু করে প্রতিটি নতুন মোড়, বিশ্বাসঘাতকতা, আনুগত্য, ঘৃণা, ঈর্ষা আপনাকে বাকিটা সময় শ্বাসরুদ্ধ করে রাখবে। 

মানুষ এবং বিজ্ঞান, যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সুবিধাবাদী চরিত্র—এসবের একটি বুদ্ধিদীপ্ত গল্পের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে কিলিয়ান মারফি নিখুঁতভাবে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। মৃদুভাষী ওপেনহাইমারের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জটিলতাগুলো দৃশ্যত চাপা স্বভাবের সংযমী একজন মানুষ হয়ে শুধু মুখভঙ্গিতে ফুটিয়ে তোলা সহজ কথা নয়! 

মারফির তীক্ষ্ণ ফ্যাকাশে নীল চোখ পদার্থবিজ্ঞানীর বুদ্ধির দীপ্তি, দৃঢ় সংকল্প এবং যন্ত্রণার একটি জানালা হয়ে উঠেছে। সেটি স্পষ্ট হয়েছে যখন (পৃথিবী ধ্বংসের অস্ত্র বানিয়ে) নিজের নির্বুদ্ধিতা স্বীকার করেন এবং দ্রুতই এর প্রভাব চাক্ষুষ করতে থাকেন। এত বড় একটি কাজ করে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে ভয়ানক রকম উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। তিনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তখনই যেমনটি কল্পনা করেছিলেন—জাপানে বোমা বিস্ফোরণ কেবল স্নায়ুযুদ্ধের দরজাই খুলে দেয়নি, আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার ক্রমবর্ধমান হুমকির দিকে পৃথিবীকে ঠেলে দিয়েছে—আজকের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি তাঁকে আলোড়িত করেছিল। 

science-photo-libraryমেজর লেসলি গ্রোভস (অভিনয়ে ম্যাট ডেমন) যিনি ওপেনহাইমারকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। একটি অত্যন্ত গোপন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা এবং সরকার ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থা করার মতো গুরুদায়িত্ব কাঁধে বহন করা একজন সামরিক কর্মকর্তাকে রাশভারী হিসেবেই দেখে অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু লেসলি গ্রোভসের চরিত্রটিও দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরেছে। সরকারের হয়ে যুদ্ধের পক্ষে কাজ নিঃসন্দেহে একটি ঘৃণ্য পেশা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁকে অনেক সময় কঠোর হতে হয়েছে। কিন্তু ওপেনহাইমারের প্রতিভাকে মনে মনে শ্রদ্ধা করতেন। সেটি ১৯৫৪ সালের শুনানিতে এসে স্পষ্ট হয়। এমন একটি চরিত্রে ম্যাট ডেমন দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। 

স্ত্রীর চরিত্রে এমিলি ব্লান্ট, পরীক্ষামূলক পদার্থবিদ চরিত্রে রামি মালেকসহ ছোটখাটো আরও কিছু চরিত্রকে কখনোই অপ্রয়োজনীয় মনে হবে না। আইনস্টাইন, নিলস বোরের মতো বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিও চোখে লেগে থাকার মতো। 

সেই সঙ্গে নোলানের অসাধারণ পরিমিতিবোধ, জেনিফার লেমের চতুর সম্পাদনা এবং লুডভিগ গোরানসনের সংগীতায়োজন—ওপেনহাইমারের উপাখ্যানটি অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। 

এবার এই সিনেমার আরেকটি দিক বিবেচনা করা যাক: 
সাধারণত ভূরাজনীতির খেলায় যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অপরাধ সম্পর্কে জনপরিসরের ধারণা পরিবর্তনের কৌশল হিসেবে হলিউডে এ ধরনের সিনেমা বানানো হয়। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ‘র‍্যাম্বো’ সিরিজ। এ ধরনের সিনেমা কখনোই ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ কিংবা বিশুদ্ধ হত্যার বিরুদ্ধে সচেতন আপত্তি বা বিরোধিতা নয়’। যুদ্ধফেরত ‘কিলিং মেশিনদের’ প্রতি মানুষের সমবেদনা তৈরির প্রকল্প এগুলো। 

এ ধরনের সিনেমায় প্রত্যক্ষ খুনিদেরই যুদ্ধের ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যেন তাঁদের নিজস্ব সত্তা বলতে কিছু নেই। খুবই সুকৌশলে এসব সিনেমায় কখনোই আমেরিকার মারণাস্ত্রের শিকার মানুষদের ভোগান্তির দৃশ্য দেখানো হয় না। যেমনটি হয়নি ওপেনহাইমারেও। যুদ্ধ–বিরোধী কোনো বার্তা দেয় না এসব সিনেমা। বরং যুদ্ধে পরাজয়ের দায় নীতিনির্ধারক বা রাজনীতিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে হত্যাকারীদের অপরাধ লঘূকরণের দায়িত্ব নেয় হলিউড। নতুন যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করতে খুনিদের প্রতি সহানুভূতি উৎপাদন করা হয়। শেষ পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্বের বিপরীতে তুচ্ছ ক্ষমতাহীন নাগরিককে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে যুদ্ধের আসল ভুক্তভোগীদের থেকে দৃষ্টি ফেরানো হয়। 

ওপেনহাইমারের গল্প বলার যে কৌশল সেখানেও ক্রিস্টোফার নোলান যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ স্বাভাবিকীকরণ ফরমুলাতেই হেঁটেছেন। অবশ্য একজন গল্পকার, নির্মাতা হিসেবে তিনি তাঁর মুনশিয়ানার পুরোটাই যে আবারও দেখিয়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬ বছর পর প্রকাশ্যে এল অপু-মোমরেনাজের বিচ্ছেদের খবর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
রাশেদ মামুন অপু। ছবি: সংগৃহীত
রাশেদ মামুন অপু। ছবি: সংগৃহীত

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।

রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’

মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

মোমরেনাজ মোম। ছবি: সংগৃহীত
মোমরেনাজ মোম। ছবি: সংগৃহীত

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।

রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে তারকাবহুল ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার শুটিং

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।

হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের আয়োজন

৬ ইয়াং স্টারকে নিয়ে ৩ বিচারকের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।

আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।

কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’

সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’

কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রটারড্যাম উৎসবে ‘দেলুপি’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।

আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।

রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’

দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত