মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
নদীমাতৃক এই দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, বাউল, মুর্শিদি, জারি, সারি গান হলো সংস্কৃতির অংশ। এই গানে রয়েছে গ্রামবাংলার কথা। এমন একসময় ছিল, যখন এলাকাভেদে গ্রামগঞ্জে শোনা যেত এই গান।
শাহ আবদুল করিমের ‘গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান’ গানের একটি অংশ হলো–
‘হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইতো
নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম
জারি গান, বাউল গান
আনন্দের তুফান
গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম’…
সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। নৌকার ওপরের গান। এই গান এককভাবে গাওয়া হয় না। নৌকায় কয়েকজন মিলে এই গান করতে হয়। শ্রাবণ থেকে কার্তিক মাস হলো সারি গানের সময়।
গানের সাধক সাইদুর রহমান বয়াতি। মানিকগঞ্জের কোনো এক গ্রামে এই বয়াতির শৈশব কেটেছে। তিনি মানিকগঞ্জের এক কিংবদন্তি। জন্মেছিলেন ১৯৩২ সালে। ৯০ বছর বয়সেও তিনি ভরাট কণ্ঠে জারি, সারি ও বাউল গান শোনান। লোকসংগীতে অবদানের জন্য শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি নেপথ্য গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান।
এই সাধক তাঁর বাজানের (বাবা) কাছ থেকে দোতারা, সারিন্দা বাজিয়ে শেখেন গান। সময়টা ছিল ব্রিটিশ আমল। এরপর তিনি পাকিস্তান আমলে আর স্বাধীন বাংলাদেশে গান করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে গান লেখা শুরু করেন তিনি। ছোটবেলা থেকে গান তাঁকে অদ্ভুতভাবে কাছে টানত। এ পর্যন্ত আধ্যাত্মিক গানের ধারায় জারি, সারি, ভাটিয়ালি, বাউল, মারফতি, কবিগান, মুর্শিদি, গাজির গানসহ অনেক গান লিখেছেন।
সাইদুর রহমান বয়াতির একবার ব্যাংকে চাকরি হলো। সে সময় দেশে এল রূপবান গান। তিনি ছিলেন গানের মানুষ। ব্যাংকের হিসাবের খাতায় লিখলেন ‘সাগরপাড়ের নাইয়া’ গানের কয়েকটা লাইন। সে কারণে চাকরি হারান তিনি।
দীর্ঘসময় ধরে সারি গান করছেন সাইদুর রহমান বয়াতি। তিনি বলেন, ‘সারি গানের মর্মকথা হলো এই যে আমাদের দেহ, এটা হলো একটা নৌকা। আর যে কাঠের নৌকায় আমরা উঠি, তা হলো মানবতরি। পানিকে বলা হয় মা গঙ্গা। সেই গঙ্গাতে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। এ জন্য সারি গানের শুরুতে বলা হয় ‘মা গঙ্গির নামে কইরা সার, নৌকা ধরি ভব পার দেয়, নৌকা ছাড়িল ছাড়িল রে’। সারি গান একেক এলাকায় একেক সুরের হয়। তবে মানিকগঞ্জের সারি গানের সঙ্গে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার সারি গানের কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
যাঁরা গান করেন, তাঁদের বলা হয় গায়ক বা বয়াতি। গানের অর্থ হলো জ্ঞান লাভ করা। সাইদুর রহমান বয়াতি মনে করেন, ‘এখন নৌকা নাই, পানি নাই, নাই আগের দিনের মতো শৌখিন মানুষ। তাই সারি গানও নাই। এখন কেউ আর আগের মতো দল বেঁধে সারি গান করেন না। পাকিস্তান আমলে আমাকে সারি গান গাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। সারি গান কয়েক প্রকারের হয়। তার মধ্যে এক প্রকারের সারি গান হলো সারি বাঁধা। মানে সিরিয়াল ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ …। এর মধ্যে যদি বলি ১, ৫, ৩, ২—তাহলে তো সারিবদ্ধ হলো না।’
‘সারি গানের নৌকার নাম খান্জী নৌকা। এখন আর এই নৌকা দেখা যায় না। এই নৌকা মালিকের ঘাট থেকে মেলা বা বাজারের উদ্দেশে ছাড়ার আগে আমার কমপক্ষে ছয়জন মানুষের সারি দেওয়া লাগব। সামনের দুজন গায়ক। তাঁদের মধ্যে প্রধান একজন থাকেন। যেমন আমি। আর দোহার লাগব আরও চারজন। সারি গানে বাদ্যযন্ত্র থাকে বামা আর খঞ্জনি। আর কোনো বাদ্যযন্ত্র লাগে না। প্রথম যে গানটা আমাকে ওঠাতে হয়, সেটা হলো, “সাজাইয়া দেও মা তোমার গোপালরে। তোমার গোপাল যদি না যায় গোষ্ঠে, আমরা যাব না। গোপাল সাজাই দাও মা”।
‘এটা প্রথম গান। এই গান গাইলে পরে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা আবার গাইব “একা আসলা বড় নগরীতে, মাগো ভাগ্যবতী। একা আসলা বড় নগরীতে।” এরপর নৌকা কিছু দূর গেলে গাইব “নৌকা ছাড়িল, ছাড়িল রে। সোনার তরণি রণে ছাড়িল রে”। আরও কিছু দূর গেলে গাইব “উজান ছাড়িল, ছাড়িল রে। খোপের কবুতরগুইলা ছাড়িল ছাড়িল রে”। এভাবে নৌকা চলতে থাকল। তারপর আরও দূরে গেলে গাইব “যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া, সাত বন্ধুরে। যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া”। এভাবে সারিবদ্ধভাবে সারি গান চলতে থাকে। এরপর নৌকা যখন মেলা বা বাজারে গিয়ে পৌঁছায়, তখন “সাম্পান আইসাছে কদমতলে, ও ললিতে। সাম্পান আইসাছে কদমতলে। কীসে আমার রান্ধাবাড়া, কিসের হলুদ বাটা। আরে দুই নয়নের জলে আমার ভাইসা চলে পাতা। ও ললিতে সাম্পান আইসাছে কদমতলে”—এই গান গাইব।
‘এরপর বাইচের সময় আমরা যারা সারি গান করি, তারা নৌকা থেকে নেবে যাব। শুধু নৌকার মাঝিরা তখন নৌকায় উঠে বাইচে অংশগ্রহণ করবে। নৌকাবাইচ শেষ হলে জেতা না-জেতা সেটা তাদের ভাগ্যের বিষয়। এরপর আবার সারি গান দিয়ে শুরু হয় ফেরার পালা। শুরুতে করা হয় “মার কথা মনে পড়েছে এখন ভাইরে, চল এখন ঘরে ফিরে যাই”। ফেরার পথে কিছু দূর গিয়ে গাইব “দুধে–ভাত মাখাইয়া মা বসে আছে পথে, শোনো ভাইয়ে, চল যাই মার কোলে গিয়ে দুধ-ভাত খাই”। এ রকম গাইতে গাইতে যখন মালিকের ঘাটে নৌকা নিয়ে ফিরি, তখন গাইতে থাকি “তোমার গোপাল আনইয়া দিলাম জননী, তোমার গোপাল বুইঝা নাও ঘরে”। এখানে সারি গানের সমাপ্তি ঘটে। এরপর যে যার বাড়িতে ফিরে যায়।’
গানের সাধক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে অনেক সারি গান আছে, যা বাংলাদেশে আর কারও কাছে নাই। গান হলো দেশের সংস্কৃতি। সংস্কৃতি যদি হারিয়ে যায়, সে দেশের অঙ্গহানি হয়। বর্তমান সরকারের উচিত এসব গানের রক্ষণাবেক্ষণ করা। আমি মনে করি, আমি মরে যাওয়ার পর সারি গান এ দেশে থাকবে না। এখন তেমন কেউ জানেই না, সারি গান কী। ছোট একটা ঘটনা বলি, কোনো এক বছর ঢাকা থেকে ফোন দিল আমারে; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গান গাওয়ার জন্য আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি এক বয়াতি সারি গান বলে যা শুনাইল, তা সারি গানের মধ্যে পড়ে না। তিনি গাইলেন “নাও ছাড়িয়া দে, পাল উড়াইয়া দে”। এগুলো হলো সায়রের গান। আমি বললাম এগুলো সারি গান না। আমি সারি গান গাইতে পারব। তবে তার জন্য আমার কমপক্ষে চারজন লোক মানে দোহার লাগবে। কিন্তু পরে আমাকে আর সেখানে গাইতে দিল না। আমরা আর সারি গান শুনাইতে পারলাম না।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
নদীমাতৃক এই দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, বাউল, মুর্শিদি, জারি, সারি গান হলো সংস্কৃতির অংশ। এই গানে রয়েছে গ্রামবাংলার কথা। এমন একসময় ছিল, যখন এলাকাভেদে গ্রামগঞ্জে শোনা যেত এই গান।
শাহ আবদুল করিমের ‘গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান’ গানের একটি অংশ হলো–
‘হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইতো
নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম
জারি গান, বাউল গান
আনন্দের তুফান
গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম’…
সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। নৌকার ওপরের গান। এই গান এককভাবে গাওয়া হয় না। নৌকায় কয়েকজন মিলে এই গান করতে হয়। শ্রাবণ থেকে কার্তিক মাস হলো সারি গানের সময়।
গানের সাধক সাইদুর রহমান বয়াতি। মানিকগঞ্জের কোনো এক গ্রামে এই বয়াতির শৈশব কেটেছে। তিনি মানিকগঞ্জের এক কিংবদন্তি। জন্মেছিলেন ১৯৩২ সালে। ৯০ বছর বয়সেও তিনি ভরাট কণ্ঠে জারি, সারি ও বাউল গান শোনান। লোকসংগীতে অবদানের জন্য শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি নেপথ্য গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান।
এই সাধক তাঁর বাজানের (বাবা) কাছ থেকে দোতারা, সারিন্দা বাজিয়ে শেখেন গান। সময়টা ছিল ব্রিটিশ আমল। এরপর তিনি পাকিস্তান আমলে আর স্বাধীন বাংলাদেশে গান করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে গান লেখা শুরু করেন তিনি। ছোটবেলা থেকে গান তাঁকে অদ্ভুতভাবে কাছে টানত। এ পর্যন্ত আধ্যাত্মিক গানের ধারায় জারি, সারি, ভাটিয়ালি, বাউল, মারফতি, কবিগান, মুর্শিদি, গাজির গানসহ অনেক গান লিখেছেন।
সাইদুর রহমান বয়াতির একবার ব্যাংকে চাকরি হলো। সে সময় দেশে এল রূপবান গান। তিনি ছিলেন গানের মানুষ। ব্যাংকের হিসাবের খাতায় লিখলেন ‘সাগরপাড়ের নাইয়া’ গানের কয়েকটা লাইন। সে কারণে চাকরি হারান তিনি।
দীর্ঘসময় ধরে সারি গান করছেন সাইদুর রহমান বয়াতি। তিনি বলেন, ‘সারি গানের মর্মকথা হলো এই যে আমাদের দেহ, এটা হলো একটা নৌকা। আর যে কাঠের নৌকায় আমরা উঠি, তা হলো মানবতরি। পানিকে বলা হয় মা গঙ্গা। সেই গঙ্গাতে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। এ জন্য সারি গানের শুরুতে বলা হয় ‘মা গঙ্গির নামে কইরা সার, নৌকা ধরি ভব পার দেয়, নৌকা ছাড়িল ছাড়িল রে’। সারি গান একেক এলাকায় একেক সুরের হয়। তবে মানিকগঞ্জের সারি গানের সঙ্গে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার সারি গানের কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
যাঁরা গান করেন, তাঁদের বলা হয় গায়ক বা বয়াতি। গানের অর্থ হলো জ্ঞান লাভ করা। সাইদুর রহমান বয়াতি মনে করেন, ‘এখন নৌকা নাই, পানি নাই, নাই আগের দিনের মতো শৌখিন মানুষ। তাই সারি গানও নাই। এখন কেউ আর আগের মতো দল বেঁধে সারি গান করেন না। পাকিস্তান আমলে আমাকে সারি গান গাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। সারি গান কয়েক প্রকারের হয়। তার মধ্যে এক প্রকারের সারি গান হলো সারি বাঁধা। মানে সিরিয়াল ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ …। এর মধ্যে যদি বলি ১, ৫, ৩, ২—তাহলে তো সারিবদ্ধ হলো না।’
‘সারি গানের নৌকার নাম খান্জী নৌকা। এখন আর এই নৌকা দেখা যায় না। এই নৌকা মালিকের ঘাট থেকে মেলা বা বাজারের উদ্দেশে ছাড়ার আগে আমার কমপক্ষে ছয়জন মানুষের সারি দেওয়া লাগব। সামনের দুজন গায়ক। তাঁদের মধ্যে প্রধান একজন থাকেন। যেমন আমি। আর দোহার লাগব আরও চারজন। সারি গানে বাদ্যযন্ত্র থাকে বামা আর খঞ্জনি। আর কোনো বাদ্যযন্ত্র লাগে না। প্রথম যে গানটা আমাকে ওঠাতে হয়, সেটা হলো, “সাজাইয়া দেও মা তোমার গোপালরে। তোমার গোপাল যদি না যায় গোষ্ঠে, আমরা যাব না। গোপাল সাজাই দাও মা”।
‘এটা প্রথম গান। এই গান গাইলে পরে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা আবার গাইব “একা আসলা বড় নগরীতে, মাগো ভাগ্যবতী। একা আসলা বড় নগরীতে।” এরপর নৌকা কিছু দূর গেলে গাইব “নৌকা ছাড়িল, ছাড়িল রে। সোনার তরণি রণে ছাড়িল রে”। আরও কিছু দূর গেলে গাইব “উজান ছাড়িল, ছাড়িল রে। খোপের কবুতরগুইলা ছাড়িল ছাড়িল রে”। এভাবে নৌকা চলতে থাকল। তারপর আরও দূরে গেলে গাইব “যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া, সাত বন্ধুরে। যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া”। এভাবে সারিবদ্ধভাবে সারি গান চলতে থাকে। এরপর নৌকা যখন মেলা বা বাজারে গিয়ে পৌঁছায়, তখন “সাম্পান আইসাছে কদমতলে, ও ললিতে। সাম্পান আইসাছে কদমতলে। কীসে আমার রান্ধাবাড়া, কিসের হলুদ বাটা। আরে দুই নয়নের জলে আমার ভাইসা চলে পাতা। ও ললিতে সাম্পান আইসাছে কদমতলে”—এই গান গাইব।
‘এরপর বাইচের সময় আমরা যারা সারি গান করি, তারা নৌকা থেকে নেবে যাব। শুধু নৌকার মাঝিরা তখন নৌকায় উঠে বাইচে অংশগ্রহণ করবে। নৌকাবাইচ শেষ হলে জেতা না-জেতা সেটা তাদের ভাগ্যের বিষয়। এরপর আবার সারি গান দিয়ে শুরু হয় ফেরার পালা। শুরুতে করা হয় “মার কথা মনে পড়েছে এখন ভাইরে, চল এখন ঘরে ফিরে যাই”। ফেরার পথে কিছু দূর গিয়ে গাইব “দুধে–ভাত মাখাইয়া মা বসে আছে পথে, শোনো ভাইয়ে, চল যাই মার কোলে গিয়ে দুধ-ভাত খাই”। এ রকম গাইতে গাইতে যখন মালিকের ঘাটে নৌকা নিয়ে ফিরি, তখন গাইতে থাকি “তোমার গোপাল আনইয়া দিলাম জননী, তোমার গোপাল বুইঝা নাও ঘরে”। এখানে সারি গানের সমাপ্তি ঘটে। এরপর যে যার বাড়িতে ফিরে যায়।’
গানের সাধক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে অনেক সারি গান আছে, যা বাংলাদেশে আর কারও কাছে নাই। গান হলো দেশের সংস্কৃতি। সংস্কৃতি যদি হারিয়ে যায়, সে দেশের অঙ্গহানি হয়। বর্তমান সরকারের উচিত এসব গানের রক্ষণাবেক্ষণ করা। আমি মনে করি, আমি মরে যাওয়ার পর সারি গান এ দেশে থাকবে না। এখন তেমন কেউ জানেই না, সারি গান কী। ছোট একটা ঘটনা বলি, কোনো এক বছর ঢাকা থেকে ফোন দিল আমারে; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গান গাওয়ার জন্য আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি এক বয়াতি সারি গান বলে যা শুনাইল, তা সারি গানের মধ্যে পড়ে না। তিনি গাইলেন “নাও ছাড়িয়া দে, পাল উড়াইয়া দে”। এগুলো হলো সায়রের গান। আমি বললাম এগুলো সারি গান না। আমি সারি গান গাইতে পারব। তবে তার জন্য আমার কমপক্ষে চারজন লোক মানে দোহার লাগবে। কিন্তু পরে আমাকে আর সেখানে গাইতে দিল না। আমরা আর সারি গান শুনাইতে পারলাম না।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৪ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১১ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১৪ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১১ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১৪ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৪ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১৪ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৪ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১১ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৪ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১১ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১৪ ঘণ্টা আগে