Ajker Patrika

বদল এল চলচ্চিত্র অনুদানের নীতিমালায়

  • বাড়ানো হয়েছে অনুদানের সিনেমার সংখ্যা।
  • অগ্রাধিকার পাবেন পেশাদার নির্মাতারা।
  • সিনেমা বানানোর জন্য দ্বিগুণ সময় দেওয়া হবে।
  • গল্প লেখক ২ লাখ ও চিত্রনাট্যকার পাবেন ৩ লাখ টাকা উৎসাহ পুরস্কার।
  • সিনেমা হলে অগ্রাধিকার পাবে অনুদানের সিনেমা।
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বদল এল চলচ্চিত্র অনুদানের নীতিমালায়

প্রতিবছর সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হলেও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় না বেশির ভাগ সিনেমার কাজ। নির্মাতারা অভিযোগ করেন, সিনেমা নির্মাণের জন্য যে সময় বেঁধে দেয় সরকার, তা যথেষ্ট নয়। সে কারণে সময়মতো সিনেমা মুক্তি দিতে পারেন না তাঁরা। এত দিনে নির্মাতাদের সেই সমস্যার একটা সমাধান হলো। এখন থেকে অনুদানের সিনেমা বানানোর জন্য দ্বিগুণ সময় পাবেন নির্মাতারা। সময়, চেক প্রদান, মুক্তির নিয়মসহ অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণে আরও বেশ কিছু নিয়মে বদল এনেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

৬ মার্চ ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার জন্য বিবেচনা করা হবে। এর আগের নীতিমালায় এ সংখ্যা ছিল ১০। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে এখন থেকে প্রতিবছর ১০টির পরিবর্তে অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে ২০টি চলচ্চিত্র।

আগের নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হলেও নতুন নীতিমালায় উপেক্ষিত এই বিভাগ। নতুন নীতিমালায় প্রস্তাবিত শাখায় আছে অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে কমপক্ষে প্রামাণ্যচিত্র একটি, শিশুতোষ ন্যূনতম একটি; রাজনৈতিক ইতিহাস তথা আবহমান বাংলার সকল রাজনৈতিক অভ্যুত্থান, আন্দোলন ও বিপ্লব; যা এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের নিয়ামকসংক্রান্ত কমপক্ষে একটি এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস তথা বাংলার ঐতিহ্য, মিথ ও ফোকলোর-সংক্রান্ত কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

নতুন নীতিমালায় বেড়েছে লেখক ও চিত্রনাট্যকারদের সম্মানী। গল্প লেখককে ২ লাখ এবং চিত্রনাট্যকারকে ৩ লাখ টাকা উৎসাহ পুরস্কার দেওয়া হবে। আগে গল্প লেখক ও চিত্রনাট্যকারকে দেওয়া হতো ৫০ হাজার টাকা করে। পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য—দুই বিভাগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নির্মাতা/পরিচালকের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা। প্রস্তাবকারী পরিচালককে পূর্ব নির্মিত কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্র অথবা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক চলচ্চিত্রে তাঁর ভূমিকা থাকতে হবে।

আগের নীতিমালায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে সময় বেঁধে দেওয়া হতো ৯ মাস। এখন অনুদানের প্রথম চেক পাওয়ার পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এ সময় বেড়েছে ১৮ মাস। সময় বেড়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও। স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণে ১২ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ২৪ মাস সময় পাবেন নির্মাতারা। তবে যৌক্তিক বিবেচনায় পূর্ণদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ছয় মাস ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে তিন মাস করে সর্বোচ্চ দুবার সময় বাড়ানো যাবে।

পরিবর্তন এসেছে অর্থ প্রদানের নিয়মেও। এখন প্রথম কিস্তি হিসেবে দেওয়া হবে অনুদানের ২০ শতাংশ। এই অর্থ প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে শুটিং শিডিউল, প্রোডাকশন প্ল্যান, লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি, শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি জমা দিতে হবে। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি সন্তুষ্ট হলে দেওয়া হবে অনুদানের ৫০ শতাংশ অর্থ। অনুদানের সিনেমার পারিশ্রমিক নিয়ে অনেক শিল্পী অভিযোগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী চিত্রায়িত অংশের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাফকাট এবং শিল্পীদের সম্মানী প্রাপ্তির প্রমাণপত্র দেখানোর পর মিলবে আরও ২০ শতাংশ অর্থ। সিনেমা মুক্তির পর মিলবে বাকি ১০ শতাংশ অর্থ।

অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের চিত্রায়ণ, এডিটিং, ডাবিং ইত্যাদি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন এবং এর অধীন প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে বিএফডিসি সার্ভিস চার্জের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রযোজক/নির্মাতা/আবেদনকারীর কোনো সমিতির সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলে নতুন নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সিনেমা মুক্তির ক্ষেত্রেও এসেছে নতুন নিয়ম। কমপক্ষে দেশের পাঁচটি হলে অথবা কমপক্ষে ১০টি জেলা তথ্য কমপ্লেক্স/শিল্পকলা একাডেমি/পাবলিক অডিটরিয়াম/ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া অনুদানের সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য চলচ্চিত্রের চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সিনেমা হলের মালিককে কর রেয়াতসহ অন্যান্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করবে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চলচ্চিত্র জমা দিতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সরকার। নির্মীয়মাণ বা মুক্তিপ্রাপ্ত কোনো সিনেমার চিত্রনাট্য জমা দেওয়া যাবে না। অনুদান পাওয়া কোনো চলচ্চিত্র যদি মৌলিক নয় বলে প্রমাণিত হয় অথবা নির্মাতা চুক্তি ভঙ্গ করেন, তাহলে অনুদানের টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে।

এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। অনুদান পেতে আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টার মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

দয়া করে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল

স্কুলছাত্রীর মৃত্যুতে স্তব্ধ মালয়েশিয়া, কাঠগড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভিলেনকে কাছে পেয়ে সিনেমার শেষ দৃশ্য ক্রিয়েট করলেন চার নায়ক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) আলেক জেন্ডার বো, আমিন খান, আহমেদ শরীফ, জায়েদ খান ও ইমন। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) আলেক জেন্ডার বো, আমিন খান, আহমেদ শরীফ, জায়েদ খান ও ইমন। ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, ভিলেনকে মেরে কুপোকাত করছেন নায়ক। ভিলেনকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে নায়কের বিজয় দেখিয়ে শেষ হয় সিনেমা। সম্প্রতি বাংলা সিনেমার খ্যাতিমান ভিলেন আহমেদ শরীফকে কাছে পেয়ে সিনেমার শেষ দৃশ্য ক্রিয়েট করলেন চার নায়ক আলেকজান্ডার বো, আমিন খান, জায়েদ খান ও মামনুন ইমন।

বাংলা চলচ্চিত্রের অনেক শিল্পী এখন যুক্তরাষ্ট্রে। কেউ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, কেউ কাজের প্রয়োজনে গিয়েছেন। সম্প্রতি নিউইয়র্কে আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন আহমেদ শরীফ, আলেকজান্ডার বো, আমিন খান, জায়েদ খান ও মামনুন ইমন। সেখানে ভিলেনকে কাছে পেয়ে সিনেমার শেষ দৃশ্যের মতো পোজ দিয়ে ছবি তোলেন তাঁরা। যেখানে দেখা যায়, চার নায়ক মিলে কুপোকাত করছেন ভিলেন আহমেদ শরীফকে। সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে জায়েদ খান লেখেন, ‘ছবির শেষ দৃশ্য’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা জায়েদ খান জানান, নিউইয়র্কে বেলরোজ নামের একটি রেস্তোরাঁয় আড্ডা জমিয়েছিলেন তাঁরা। সেই আড্ডার পুরোটায় ছিল বাংলাদেশ ও সিনেমা।

জায়েদ খান বলেন, ‘আড্ডার পুরোটায় আমরা আহমেদ শরীফ ভাইয়ের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের নানা গল্প শুনেছি। ৯০০ সিনেমা করার অভিজ্ঞতা তাঁর। এরসঙ্গে আমিন ভাইসহ বাকিরাও নিজ নিজ অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করছিলাম। শরীফ ভাইয়ের চোখে পানি চলে এসেছে আমাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে। আড্ডার শেষে যখন সবাই উঠব, তখন আমি বললাম, সিনেমার শেষ দৃশ্য হবে এখন। এরপর ভিলেনকে নায়কেরা ঘিরে ধরে এই ছবিটা তুলি; যাতে বোঝাতে চেয়েছি, ভিলেনকে কুপোকাত করে ঘিরে রেখেছে নায়কেরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

দয়া করে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল

স্কুলছাত্রীর মৃত্যুতে স্তব্ধ মালয়েশিয়া, কাঠগড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলকাতায় ‘শেকড়’ সিনেমার শুটিং শুরু করলেন চঞ্চল চৌধুরী

বিনোদন ডেস্ক
‘শেকড়’ সিনেমার শুটিংয়ে চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
‘শেকড়’ সিনেমার শুটিংয়ে চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গত আগস্টে জানা গিয়েছিল ব্রাত্য বসুর নতুন টালিউড সিনেমায় অভিনয় করবেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সম্প্রতি শুরু হয়েছে সিনেমার শুটিং। গত সোমবার থেকে ‘শেকড়’ নামের এই সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন চঞ্চল।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের ‘দ্রবময়ীর কাশীবাস’ ও ‘দাদু’ ছোটগল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে শেকড়। দুই গ্রামের বয়স্ক নারী-পুরুষের চরিত্রকে ঘিরে এগিয়ে যাবে সিনেমার গল্প। বৃদ্ধের চরিত্রে আছেন অভিনেতা লোকনাথ দে, বৃদ্ধার চরিত্রে সীমা বিশ্বাস। লোকনাথের ছেলের চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরী আর তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে পৌলমী বসুকে।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘এখানে বাবা-ছেলের একটা সুন্দর সম্পর্ক দেখা যাবে। আমার বাবার চরিত্রটার সঙ্গে আমার ব্যক্তিজীবনের বহু মিল। কারণ, এই চরিত্র ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। যে সমস্ত কিছু মুহূর্তের মধ্যে ভুলে যায়। আমার বাবাও শেষ জীবনে এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই সিনেমা করার আরও একটি কারণ হচ্ছে ব্রাত্যদা (ব্রাত্য বসু)। তাঁর সঙ্গে সিনেমা করার একটা আরাম আছে। সেটা আমায় ভীষণভাবে টানে।’

‘শেকড়’ সিনেমার শুটিংয়ে পরিচালক ব্রাত্য বসুর সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
‘শেকড়’ সিনেমার শুটিংয়ে পরিচালক ব্রাত্য বসুর সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

শুটিং হচ্ছে কলকাতার বীরভূমে। শুটিং এলাকা দারুণ পছন্দ হয়েছে চঞ্চলের। তিনি বলেন, ‘গ্রাম আমায় বরাবর টানে। একটা টান অনুভব করি। বর্তমানে ঢাকায় থাকলেও আমি তো আসলে গ্রামেরই ছেলে। যখন সিনেমায় মেঠো পথ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছি, কত পুরোনো ছবি মনে ভেসে উঠছে। এই সিনেমা করতে গিয়ে আমি বারবার পেছনে ফিরে যাচ্ছি।’

শেকড় সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য, ঋদ্ধি সেন, অঙ্গনা রায়, অনসূয়া মজুমদার, অনুজয় চট্টোপাধ‌্যায়, নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ। প্রযোজনা করেছেন ফিরদৌসুল হাসান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মার্চে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

দয়া করে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল

স্কুলছাত্রীর মৃত্যুতে স্তব্ধ মালয়েশিয়া, কাঠগড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন বেবী নাজনীন, পূর্ণিমা ও কাজী জেসিন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বেবী নাজনীন, পূর্ণিমা ও কাজী জেসিন। ছবি: সংগৃহীত
বেবী নাজনীন, পূর্ণিমা ও কাজী জেসিন। ছবি: সংগৃহীত

সংগীত, চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২৪তম সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড-এ বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন বেবী নাজনীন (সংগীত), পূর্ণিমা (চলচ্চিত্র) ও কাজী জেসিন (সাংবাদিকতা)। 

১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারের হল অব ফেমে অনুষ্ঠিত হবে সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর আয়োজন। অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালে টেলিভিশন, ওটিটি, সিনেমা ও সংগীতের সেরা শিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সম্মাননা। আয়োজনের শুরুতে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে বেবী নাজনীন, পূর্ণিমা ও কাজী জেসিনকে।

এটি সংগঠনটির ২৪তম পুরস্কার বিতরণী আসর। অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ফাঁকে ফাঁকে থাকবে জনপ্রিয় তারকাদের পারফরম্যান্স।

উল্লেখ্য, দেশের প্রধান জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের মিডিয়া সংশ্লিষ্টদের দিয়ে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

দয়া করে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল

স্কুলছাত্রীর মৃত্যুতে স্তব্ধ মালয়েশিয়া, কাঠগড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইয়ুব বাচ্চু ও সালমান শাহকে নিয়ে নোবেলের স্মৃতিচারণা

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫৩
আইয়ুব বাচ্চু, সালমান শাহ ও নোবেল। ছবি: সংগৃহীত
আইয়ুব বাচ্চু, সালমান শাহ ও নোবেল। ছবি: সংগৃহীত

১৮ অক্টোবর ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। অন্যদিকে ২০ অক্টোবর সালমান শাহ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত। এই দুই তারকার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল মডেল আদিল হোসেন নোবেলের। আইয়ুব বাচ্চু ও সালমান শাহকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি।

বাচ্চু ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি

আজাদ বল পয়েন্টের বিজ্ঞাপন দিয়ে পরিচিতি পান নোবেল। এই বিজ্ঞাপনের ‘লোনলি ডে, লোনলি নাইট’ শিরোনামের জিঙ্গেলটি গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর নোবেলের করা অনেক বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে পাওয়া গেছে আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠ। কাজের বাইরেও তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল দারুণ। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে তাই ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন নোবেল। সেই কথা জানিয়ে নোবেল বলেন, ‘সেদিন আমি একা বাসায় ছিলাম, তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে নিজেকে আটকে রাখতে পারি নাই। হাউমাউ করে কান্না করেছি।’

আইয়ুব বাচ্চুর কথা স্মরণ করে নোবেল বলেন, ‘ওনাকে আমি ছোটবেলা থেকে চিনতাম। বাচ্চু ভাই তখন চট্টগ্রামে একটা ব্যান্ডে বাজাতেন। ভার্সাটাইল একজন মিউজিশিয়ান ছিলেন। আমি যখন ঢাকায় প্রথম আসি, তখন আমাদের বাসা ছিল মগবাজার। বাসা থেকে বের হলেই বাউন্ডারি দেওয়া বড় একটা গেট। একদিন দেখি, ওই গেটের ভেতর থেকে উনি বের হচ্ছেন। আমি ছুটে যাই তাঁর কাছে। জানতে পারলাম, উনি সেই বাসাতেই থাকেন। এর পর আমাদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। আমার কাজের ক্ষেত্রেও তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল অনেক। আমার বেশির ভাগ জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল তাঁর করা। কখনো কোনো বিজ্ঞাপনের গান পছন্দ না হলে আমাকে বলতেন, তোর এই বিজ্ঞাপনের কাজ কে করেছে। আমাকে বললেই তো আমি করে দিতাম। প্রায়ই ওনার এবি কিচেনে যেতাম। কত স্মৃতি সেখানে আমাদের।’

সিনেমা দেখার পর ইমনকে ভালো লাগার কথা জানিয়েছিলাম

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে অভিষেকেই মাত করে দিয়েছিলেন সালমান শাহ। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সালমানকে। প্রথমে এই সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব গিয়েছিল নোবেলের কাছে। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এ নিয়ে আফসোস নেই তাঁর। নোবেল বলেন, ‘আফসোসের উল্টোটা লেগেছে আমার কাছে। সিনেমাটি দেখার পর মনে হয়েছে, মাই গড, বেঁচে গেছি, আমি করি নাই। আমারটা কোনো দিন এত সুন্দর হতো না। ইমনের (সালমান শাহ) লুক, অভিনয়—সব মিলিয়ে পুরো সিনেমাটি খুবই সুন্দর লেগেছে। আমি করলে এটা নষ্ট হয়ে যেত—আমার কাছে এটা মনে হয়েছে। সিনেমা দেখার পর ইমনকে আমার ভালো লাগার কথা জানিয়েছিলাম।’

শুধু সিনেমা নয়, বিজ্ঞাপনেও তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সালমান শাহর নাম। এইআরসি চায়ের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে নোবেলের যাত্রা শুরু। তারও আগে কোমল পানীয় স্প্রাইটের একটি বিজ্ঞাপন করেছিলেন নোবেল, আর সালমান করেছিলেন ফান্টার বিজ্ঞাপন। সালমানের করা বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হলেও, নোবেলের করা বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হয়নি। এ নিয়েও আফসোস নেই নোবেলের। তিনি বলেন, ‘আমি, ইমন ও ইমরান তিনজন তিনটি বিজ্ঞাপন করেছিলাম। শুটিং শেষে ইমরান ও ইমনের কাজ দেখে দারুণ লেগেছিল। আমাকে যখন ডাকা হলো, তখন খুব ক্লান্ত ছিলাম। রেকর্ডিংয়ের সময়ই কাজটি দেখে খুব আপসেট হয়ে পড়েছিলাম। ভাবছিলাম, আমাকে দিয়ে আর মডেলিং হবে না। তাই খুব খুশি হয়েছিলাম যখন আমাকে জানানো হলো, আমার বিজ্ঞাপনটি অ্যাপ্রুভ হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

দয়া করে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, দেশকে বাঁচান: মির্জা ফখরুল

স্কুলছাত্রীর মৃত্যুতে স্তব্ধ মালয়েশিয়া, কাঠগড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত