Ajker Patrika

জানুয়ারিতে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

জানুয়ারিতে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

সিনেমা প্রেমীদের জন্য সুখবর ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষিত হল ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দিন। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের অনেক সিনেমা প্রেমীরাও এই উৎসবে অংশ নেন। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। একইসঙ্গে পালিত হবে বাংলার গর্ব সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী। সুতরাং তাঁকে স্মরণ করেই এবারে উৎসবের উদ্বোধন হবে ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবিটি দিয়ে। সত্যজিতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর আরও ছয়টি ছবি দেখানো হবে এই উৎসবে।

একই সঙ্গে হাঙ্গেরির বিখ্যাত পরিচালক মিকলোস ইয়াঁচর স্মরণে দেখানো হবে ‘ইলেকট্রো’। প্রয়াত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে স্মরণ করা হবে তাঁর চারটি ছবি দেখিয়ে। ট্রিবিউট এবং হোমেজ বিভাগে থাকবে প্রয়াত দিলীপ কুমার, জ্যঁ ক্লুদ কারিয়ের, জন পল বেলমন্ডো, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, সুমিত্রা ভাবের একটি করে ছবি।

এবার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় থাকছে দশটি ছবি। তার মধ্যে বাংলা ছবি থাকছে দুইটি। তরুণ পরিচালক ঈশান ঘোষের ‘ঝিল্লি’ ও মধুজা মুখোপাধ্যায়ের ‘দ্বীপ৬’। তবে ভারতীয় ছবির প্রতিযোগিতায় কিন্তু একটিও বাংলা ছবি ঠাই পায়নি। এবার বাংলা প্যানোরমা বিভাগে থাকছে দশটি ছবি। উৎসবের সভাপতি রাজ চক্রবর্তীর নতুন ছবি ‘ধর্মযুদ্ধ’ দেখানো হবে প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উদযাপন উপলক্ষেও নতুন পুরনো মিলিয়ে দেশাত্মবোধক অন্তত সাতটি ছবি দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে জ্যুরি সদস্যদের মধ্যে থেকে কয়েকজন বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এবার আন্তর্জাতিক ছবির জুরি সভাপতি হচ্ছেন ফিলিপাইনের বিখ্যাত পরিচালক লাভ ডিয়াজ। সঙ্গে থাকছেন মরক্কো এবং তিউনিশিয়ার দুইজন। এবার ভারতীয় ছবির সেরা বাছাই করবেনও বিদেশেরাই। তিনজন বিদেশি নাকি থাকছেন এই দলে।

পরিচালক রাজ চক্রবর্তী গত বছরের মতোই টালিগঞ্জের নামি-দামি, ছোট-বড় সব শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে উৎসবের দিনগুলো আলোচনায়-আড্ডায় উৎসব চত্বর জমজমাট রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেই বলছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছেলের বিজয়ে উচ্ছ্বসিত মীরা নায়ার

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৪০
ছেলে জোহরান মামদানির সঙ্গে মীরা নায়ার। ছবি: সংগৃহীত
ছেলে জোহরান মামদানির সঙ্গে মীরা নায়ার। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী পারিবারিক আবহ। জোহরানের মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা মীরা নায়ার, বিশ্ব সিনেমার এক সাহসী নাম। তাঁর সিনেমায় নেই বাণিজ্যিক ঝলকানি, আছে মানুষ, সমাজ, বেদনা, দেশান্তর আর আত্মসংগ্রামের গল্প। ‘সালাম বম্বে’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মিসিসিপি মাসালা’র মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সিনেমার নির্মাতা তিনি। জোহরানের বাবা প্রখ্যাত গুজরাটি লেখক অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি উগান্ডা থেকে আগত ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিন্তাবিদ।

মায়ের কারণে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা জোহরানের। ছোটবেলা থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন মায়ের চলচ্চিত্র জগৎ। মীরার জন্ম ভারতের ওডিশায় বাঙালি-অধ্যুষিত রাউরকেল্লাতে। তাঁর জীবন ও কর্মে তাই রয়েছে বাংলা ও বাঙালিয়ানার প্রভাব। ছেলে জোহরান মামদানিকেও বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন তিনি। পরিচয় করিয়েছেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে। এমনকি বাঙালি পরিবারের আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার গল্পে নির্মিত মীরা নায়ারের ‘নেমসেক’ সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্তেও ছিল ছেলের ভূমিকা। ২০০৭ সালে যখন মীরার কাছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স’ পরিচালনার প্রস্তাব আসে, দ্বিধায় পড়ে যান তিনি। ওই সময় কিশোর জোহরান নিজে হ্যারি পটারের ভক্ত হয়েও মাকে বলেছিলেন ‘নেমসেক’ বানাতে।

ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি শেয়ার করে মীরা লিখেছেন, ‘সে শুধু আমার ছেলে নয়, সে আমাদের সময়ের আশার প্রতীক।’

ভোটের প্রচারের সময় জোহরান জীবনধারণের খরচ কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি, দীর্ঘদিন যাঁরা শহরে ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের ভাড়া মওকুফের কথাও বলেছেন। ছেলেকে নিয়ে মীরা বলেন, ‘আমার ছেলের সাহস ও বাচনভঙ্গি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওর যেটা আমার ভালো লাগে, তা হলো ও এই বিশ্বের বিভিন্নতাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে গ্রহণ করেছে। ও যে আশা দেখিয়েছে, তাতে আশাবাদী আমি। এই বিশ্বকে দেখার একটা দূরদৃষ্টি রয়েছে ওর মধ্যে। আর সেটা ক্ষমতার লোভ নয়। সে সব সময় সাম্য, ন্যায়বিচার এবং খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে থেকেছে।’

১৯৮৮ সালে মীরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সালাম বোম্বে!’ জিতে নেয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যামেরা দ’র। অস্কারেও মনোনয়ন পায় সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে। মুম্বাইয়ের পথশিশুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতা হিসেবে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন (২০০১), ভারত সরকারের পদ্মভূষণসহ (২০১২) অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন মীরা নায়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘আন্ধার’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মুক্তি আগামী বছর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) তুষি, মিমি, রাফী, চঞ্চল ও সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) তুষি, মিমি, রাফী, চঞ্চল ও সিয়াম। ছবি: সংগৃহীত

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা বানাচ্ছেন রায়হান রাফী। ‘আন্ধার’ নামের সিনেমাটি তৈরি হবে দুই ব্যান্ড তারকা অর্থহীনের সাইদুস সালেহীন সুমন এবং ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর গল্পে। গত আগস্টে প্রকাশ পেয়েছিল এমন খবর। সে সময় জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ ও নাজিফা তুষি। তবে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি নির্মাতারা। অবশেষে গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আন্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল। সিয়াম, তুষির সঙ্গে এই সিনেমায় আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, গাজী রাকায়েত, মোস্তফা মনওয়ার প্রমুখ। এ ছাড়া আন্ধার দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ফররুখ আহমেদ রেহান ও স্বর্ণালী চৈতির।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আড্ডায় একত্র হন সিনেমার কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার ও প্রযোজক শাকিব চৌধুরী, নির্মাতা রায়হান রাফী, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, মোস্তফা মনওয়ার, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, নাজিফা তুষি ও চিত্রনাট্যকার আদনান আদিব খান। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। নির্মাতা জানান, ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আন্ধারের শুটিং।

রায়হান রাফী বলেন, ‘কখনো ভাবিনি, আমি অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করব। এই প্রথম অন্য কারও গল্প নিয়ে কাজ করলাম। মুগ্ধ হয়ে কাজ করলাম, চিত্রনাট্য পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা আমি বানাতে চাই। দুই বছর ধরে সেই স্বপ্ন লালন করে সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। টিমের ভাষ্যমতে, এটা আমার বানানো সবচেয়ে ভালো সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাকিটা দর্শক সিনেমা দেখার পর বলবেন।’

সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি যত সিনেমায় কাজ করেছি, সেগুলোর মধ্যে এটা আমার শোনা গল্পের সবচেয়ে ডিটেইল চিত্রনাট্য। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় এই সিনেমার ন্যারেশন শুনেছিলাম। আমি একটুও বিরক্ত হইনি। তার মানে, পুরো গল্প আমাকে ধরে রেখেছিল। আশা করি, হলেও দর্শকদের ধরে রাখবে।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পীরা সব সময় চাই নতুন কিছু করতে; একই ধারার কাজ বারবার না করে ভিন্ন জনরা সৃষ্টি করতে। অনেক নির্মাতা এই ঝুঁকি নিতে চান না। ট্রেন্ডি গল্পে কাজ করতে পছন্দ করেন। আন্ধার সেই ধরনের সিনেমা, যেখানে আমরা সবাই নিজেদের দেখতে চাই। এ ধরনের কাজ নিজের আয়ু বাড়িয়ে দেয়। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে এক্সাইটিং বিষয় ছিল। আশা করি, এ ধরনের কাজ আরও হবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে।’

আফসানা মিমি বলেন, ‘এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ, চরিত্রটি আমাকে টেনেছে। একটা গল্পের মধ্যে আমি কোথায় কতটুকু আছি, এটা আমাকে ভাবায় না। গল্পের আঙ্গিকে আমার চরিত্রটি কীভাবে আছে, সেটা আমাকে খুব টানে। সিনেমার শুটিংয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি।’

এ সময় প্রযোজক বলেন, আন্ধার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। শোনা গিয়েছিল, এ বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আন্ধার। তবে নির্মাতা জানালেন, পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। রাফী বলেন, ‘শুটিং শেষ হলেও আমাদের সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ করতে ৮-৯ মাস লাগবে। এটা শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমাই নয়, এটি দুই বাংলার অর্থাৎ বাংলা ভাষার সবচেয়ে বেশি ভিএফএক্স-নির্ভর সিনেমা। এটা এমন সিনেমা না যে শুটিং করলাম, এরপর রিলিজ করে দিলাম। সিনেমাটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। তাই সব কাজ গুছিয়ে আগামী বছর মুক্তি দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থিয়েটার হান্টের প্রথম নাটক ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ক্যাফে দ্য ভলতে’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘ক্যাফে দ্য ভলতে’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

মঞ্চে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা নিয়ে আসছে নাটকের দল হান্ট থিয়েটার। নাম ‘ক্যাফে দ্য ভলতে’। নাটকটির মূল ভাবনা, গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন ডায়না ম্যারিলিন। চিত্রনাট্য করেছেন আবিদ হাসান ও সংলাপ যোজনায় তানভীর চৌধুরী। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। পরদিন একই স্থান ও সময়ে মঞ্চস্থ হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।

ক্যাফে দ্য ভলতে নাটকের গল্প একজন সফল শেফ ম্যাক্স ডি রোজারিওকে নিয়ে। সে বাঙালি ক্রিশ্চিয়ান। রেস্টুরেন্ট খুলেছে সে, নাম ক্যাফে দ্য ভলতে। সেটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিঞ্জিরা শহরের চার সুশীল নাগরিকের ভাগ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাক্স। সে বদলা চায় না; চায় না ইনসাফ কায়েম করতে। তবে কেন এই সশস্ত্র ক্যু? গল্প এগিয়ে যায় আরও নাটকীয়তার দিকে।

থিয়েটার হান্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রদর্শনীতে শিশুদের সঙ্গে না আনার। নাটকে অভিনয় করছেন মো. শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল জাদিদ, প্রিয়ম মজুমদার, ইয়াদ খোরশিদ ঈশান, মালিহা ফাইরুজ ফারিন মেলিসা, নূর এ জান্নাত ওরিশা, শাহিন সাঈদুর, সুপ্রিয় ঘোষ, প্রজ্ঞা চন্দ, ডায়না ম্যারিলিন ও শুভাশিস হালদার। আলোক পরিকল্পনায় মো. মোখলেছুর রহমান, সংগীত চার্লস চৌধুরী, ব্যবস্থাপনায় জেরোম মধু ও রূপসজ্জায় যোহানা সূচনা দাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নেই শিল্পীদের নাম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বেবী নাজনীন, মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত
বেবী নাজনীন, মনির খান ও কনকচাঁপা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেককে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে শোনা গিয়েছিল অনেকের নাম। তালিকায় ছিলেন সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। শোনা গিয়েছিল আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্‌সি, হেলাল খান, শিবা সানুর নামও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি কেউ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এবার ওই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল গফুর সরকার।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সংগীতশিল্পী মনির খান। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন একসময়। ঝিনাইদহ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না এই গায়ক। তাঁর পরিবর্তে আসনটির প্রার্থী তালিকায় এসেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানের নাম। ২০১৮ সালে প্রার্থী হতে না পেরে অভিমান করে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মনির খান। তবে এবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফেসবুকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে মনির খান লেখেন, ‘অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি। ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।’

সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। অন্য কারও নামও ঘোষণা করা হয়নি। তাই এখনো কনকচাঁপার আশা বেঁচে আছে খানিকটা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তালিকায় নিজের নাম না দেখলেও হতাশা প্রকাশ করেননি কনকচাঁপা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনো ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন, আমার জন্য কী ভালো হবে। তাঁর চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত