Ajker Patrika

বুড়ো হাড়ে ভেলকি

বুড়ো হাড়ে ভেলকি

সেরা অভিনেতার ক্ষেত্রে তো রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন স্যার ফিলিপ অ্যান্থনি হপকিন্স। বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখিয়েছেন তিনি। ৮৩ বছর বয়সে অস্কার জয় করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। অস্কারের ৯৩ বছরের ইতিহাসে এত ‘বুড়ো’ অভিনেতা আর নেই। তিনিই ইতিহাসের সবচেয়ে বুড়ো অস্কারজয়ী। ‘দ্য ফাদার’ ছবিতে হপকিন্স একজন অ্যালজেইমার রোগী হিসেবে নজরকাড়া অভিনয় করেছেন। ৮০ বছরের বৃদ্ধ অ্যান্থনি এই ছবির মূল চরিত্র, অর্থাৎ বাবা। বৃদ্ধ অ্যান্থনি লন্ডনে নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। তার মেয়ে অ্যানি বাবাকে এসে দেখে যায়। বাবার জন্য যতটুকু করা যায় সে করে।

আপাতদৃষ্টিতে সহজ স্বাভাবিক মনে হলেও ডিরেক্টর ফ্লোরিয়ান জেলার সিনেমাটোগ্রাফির মাধ্যমে গল্পটা দেখিয়েছেন অন্যভাবে। ডিমনেশিয়া আক্রান্ত অ্যান্থনির চোখে যদি আমরা গল্পটাকে দেখি তাহলে দেখব অ্যানি বাবাকে দেখতে আসছে কিন্তু অ্যান্থনির জন্য প্রতিবারই সেটা নতুন কিছু। কারণ, সে কোনো কিছু মনে রাখতে পারছে না। কখনো নিজের মেয়েকে অপরিচিত কোনো মানুষ মনে করছে সে, নিজের অ্যাপার্টমেন্টকে বারবারই তার মনে হচ্ছে নতুন কোনো বাড়িতে সে চলে এসেছে।

আগের দিন মেয়ের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, সে আর মনে করতে পারে না। অথচ অ্যান্থনির কাছে এটাই স্বাভাবিক। তার কোনো ধারণাই নেই তার মেয়ে প্রতিনিয়ত কিসের সঙ্গের যুদ্ধ করছে। এমন এক চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন হপকিন্স।

১৯৯১ সালে ‘দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস’ ছবিতে ‘হ্যানিবাল লেকচার’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমবার অস্কার জিতেছিলেন। হ্যানিবল চরিত্রটি চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত খলচরিত্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। মোট ৬ বার অস্কারের অভিনেতা, সহ–অভিনেতার বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

চলতি বছরে ‘বাফটা’-তেও সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন। তবে জানিয়ে রাখা ভালো এই বছরের ‘বাফটা’ কিংবা ‘অস্কার’ কোনো পুরস্কারের মঞ্চেই উঠতে দেখা যায়নি তাঁকে।

১৯৯৩ সালে তিনি ব্রিটিশ নাইটহুড সম্মাননা অর্জন করেন। এ জন্যই তাঁর নামের আগে সম্মানসূচক ‘স্যার’ পদবি ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৮ সালে এক জরিপ অনুযায়ী তিনি যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আয় করা অভিনেতা হিসেবে চিহ্নিত হন। অভিনয়ে কখনো লম্বা বিরতি দেননি। ১৯৬৭ সালে ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিনেতার প্রায় প্রতিবছরই সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। বর্তমানে ‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’ নামক সায়েন্স ফিকশন টিভি সিরিজে ড. রবার্ট ফ্রড চরিত্রে অভিনয় করছেন। এ বছর ‘দ্য ভার্তুসু’ নামে একটি থ্রিলার সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। বয়স বেড়ে গেলেও, তাঁর অভিনয়ের দীপ্তিতে একদমই ভাটা পড়েনি। অ্যান্থনি হপকিন্স বাল্যকাল থেকে ডিসলেক্সিয়া রোগে ভুগতেন। তাই তাঁর কোনো কিছু বুঝতে একটু সময় লাগত। তবে তাঁর স্মৃতিশক্তি ছিল প্রখর। তিনি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে প্রতি সপ্তাহে নতুন করে একটি কবিতা মুখস্থ করতেন। ক্যামেরার সামনে আসার আগে তিনি নিজের সংলাপ প্রায় ২০০ বারের মতো চর্চা করেন।

বিষয়:

অস্কার
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল ইসরায়েল, তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত