প্রতিনিধি, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্ম্য আর দর্শকের অভাবে গত ২৩ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে কাপ্তাই উপজেলার সাতটি সিনেমা হল। অথচ সিনেমা হলগুলোর জন্য এই কাপ্তাই উপজেলা একসময় রাঙামাটি জেলার মধ্যে বিনোদনের সেরা স্থান হিসেবে বিবেচিত হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা ছিল জেলার সবচেয়ে উন্নয়নশীল এলাকা। সমগ্র উপজেলায় ছিল সবত–আটটি সিনেমা হল। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছিল বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রায় সারা বছরই এসব সংগঠনের কোনো না কোনো অনুষ্ঠান চলত। অথচ সময়ের সঙ্গে একে একে বিনোদনের সব মাধ্যমই বন্ধ হয়ে গেছে।
১৯৮৮ সালে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনাধীন `অলিম্পিয়া' সিনেমা হল বন্ধের মাধ্যমে উপজেলার বিনোদন অঙ্গনে ধস নামে। ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়ে যায় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত `লোটাস` সিনেমা হল। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে চন্দ্রঘোনা কেপিএমের আওতাধীন `চান্দিমা সিনেমা হল'। প্রায় এক যুগ সিনেমা হলটি বন্ধ থাকার পর ২০০৩ সালে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এটি পুনরায় চালু করা হলেও দর্শকের অভাবে এক মাসের মাথায় আবারও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৯ সালে বিধ্বস্ত হওয়া বাঙ্গালহালিয়ার `শান্ত সিনেমা হল'টি আর চালু করা হয়নি। ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাইখালীর `ঊর্মি সিনেমা হল'। এরপর বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয় মিতিঙ্গাছড়ির `বজ্রঙ্গনা' সিনেমা হলটি। সর্বশেষ দর্শকের অভাবে ২০০৬-২০০৭ সালের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত `বনলতা' সিনেমা হলটি। দীর্ঘ অনেক বছর অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত এসব সিনেমা হল চালানোর আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এলাকার প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব ইসমাইল ফরিদ জানান, আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেটের বদৌলতে মোবাইলের মাধ্যমে এখন হাতে হাতে নতুন ছবিগুলো চলে আসে। তাই মফস্বল এলাকার সিনেমা হলে বসে ছবি দেখার সময় কোথায়। হলে বসে ছবি দেখার মজাই আলাদা, যা মোবাইলে অথবা টিভিতে দেখে পাওয়া যায় না।
কাপ্তাই সংগীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ বিশিষ্ট বাউলশিল্পী রফিক আশেকী জানান, শিশু ও যৌবনকাল বেড়ে ওঠা কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায়। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কাপ্তাই অলিম্পিয়া, নতুনবাজার বনলতা সিনেমা হলে অনেক ছবি দেখতেন তাঁরা। কিন্তু এখন সিনেমা হল নেই। ছেলেমেয়েদের বিনোদনের জায়গা এখন মোবাইলে বা কম্পিউটার।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব জানান, একসময় সপ্তাহে দুবার সিনেমা হলে যেতাম বন্ধুবান্ধব ও পরিবার–পরিজন নিয়ে, সেই সময় ভালো মানের ছবি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হতো, হলভর্তি দর্শক হতো। কিন্তু বর্তমানে ভালো মানের ছবির অভাব, ঘরে ঘরে টেলিভিশন, কেব্ল নেটওয়ার্কের প্রভাবে কাপ্তাইয়ের সমস্ত হল বন্ধ হয়ে গেছে।
আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে আমাদের বিনোদনের অন্যতম উপাদান সিনেমা হলগুলো যদি আবারও চালু করা যেত, তাহলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা আবারও এই খাতে বিনিয়োগ করার উৎসাহ পেতেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্ম্য আর দর্শকের অভাবে গত ২৩ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে কাপ্তাই উপজেলার সাতটি সিনেমা হল। অথচ সিনেমা হলগুলোর জন্য এই কাপ্তাই উপজেলা একসময় রাঙামাটি জেলার মধ্যে বিনোদনের সেরা স্থান হিসেবে বিবেচিত হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা ছিল জেলার সবচেয়ে উন্নয়নশীল এলাকা। সমগ্র উপজেলায় ছিল সবত–আটটি সিনেমা হল। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছিল বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রায় সারা বছরই এসব সংগঠনের কোনো না কোনো অনুষ্ঠান চলত। অথচ সময়ের সঙ্গে একে একে বিনোদনের সব মাধ্যমই বন্ধ হয়ে গেছে।
১৯৮৮ সালে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনাধীন `অলিম্পিয়া' সিনেমা হল বন্ধের মাধ্যমে উপজেলার বিনোদন অঙ্গনে ধস নামে। ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়ে যায় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত `লোটাস` সিনেমা হল। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে চন্দ্রঘোনা কেপিএমের আওতাধীন `চান্দিমা সিনেমা হল'। প্রায় এক যুগ সিনেমা হলটি বন্ধ থাকার পর ২০০৩ সালে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এটি পুনরায় চালু করা হলেও দর্শকের অভাবে এক মাসের মাথায় আবারও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৯ সালে বিধ্বস্ত হওয়া বাঙ্গালহালিয়ার `শান্ত সিনেমা হল'টি আর চালু করা হয়নি। ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাইখালীর `ঊর্মি সিনেমা হল'। এরপর বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয় মিতিঙ্গাছড়ির `বজ্রঙ্গনা' সিনেমা হলটি। সর্বশেষ দর্শকের অভাবে ২০০৬-২০০৭ সালের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত `বনলতা' সিনেমা হলটি। দীর্ঘ অনেক বছর অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত এসব সিনেমা হল চালানোর আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এলাকার প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব ইসমাইল ফরিদ জানান, আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেটের বদৌলতে মোবাইলের মাধ্যমে এখন হাতে হাতে নতুন ছবিগুলো চলে আসে। তাই মফস্বল এলাকার সিনেমা হলে বসে ছবি দেখার সময় কোথায়। হলে বসে ছবি দেখার মজাই আলাদা, যা মোবাইলে অথবা টিভিতে দেখে পাওয়া যায় না।
কাপ্তাই সংগীতাঙ্গনের পরিচিত মুখ বিশিষ্ট বাউলশিল্পী রফিক আশেকী জানান, শিশু ও যৌবনকাল বেড়ে ওঠা কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায়। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কাপ্তাই অলিম্পিয়া, নতুনবাজার বনলতা সিনেমা হলে অনেক ছবি দেখতেন তাঁরা। কিন্তু এখন সিনেমা হল নেই। ছেলেমেয়েদের বিনোদনের জায়গা এখন মোবাইলে বা কম্পিউটার।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব জানান, একসময় সপ্তাহে দুবার সিনেমা হলে যেতাম বন্ধুবান্ধব ও পরিবার–পরিজন নিয়ে, সেই সময় ভালো মানের ছবি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হতো, হলভর্তি দর্শক হতো। কিন্তু বর্তমানে ভালো মানের ছবির অভাব, ঘরে ঘরে টেলিভিশন, কেব্ল নেটওয়ার্কের প্রভাবে কাপ্তাইয়ের সমস্ত হল বন্ধ হয়ে গেছে।
আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে আমাদের বিনোদনের অন্যতম উপাদান সিনেমা হলগুলো যদি আবারও চালু করা যেত, তাহলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা আবারও এই খাতে বিনিয়োগ করার উৎসাহ পেতেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
৫ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৫ ঘণ্টা আগেমহান মে দিবসে শিশুশিল্পীদের নিয়ে দুরন্ত টিভি প্রচার করবে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোলো তোলো’। অনুষ্ঠানটিতে এম আর ওয়াসেকের নৃত্য পরিচালনায় গণসংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে নন্দনকলা কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পী পুষ্পিতা, অর্পিতা, ইমি, পিউ, ইরা, অর্জন, মাহমুদা, শ্রেষ্ঠা, লাবিবা, সিলভা, সাদিয়া, সিজান, সিফা
৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ খরা কাটিয়ে ২০২৩ সালে পরপর তিন সিনেমা দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে শাহরুখ খানের। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’ দিয়ে সে বছর বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড গড়েন বলিউড বাদশা। এরপর কিছুটা বিরতি। গত বছর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি শাহরুখের, এ বছরটাও ফাঁকা যাবে। নতুন সিনেমা নিয়ে তিনি প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন ২০২৬ সালে।
৬ ঘণ্টা আগে