Ajker Patrika

নতুনদের সঙ্গে কাজ না করলে ওরা কীভাবে দাঁড়াবে

খায়রুল বাসার নির্ঝর
নতুনদের সঙ্গে কাজ না করলে ওরা কীভাবে দাঁড়াবে

টানা অনেক দিন ঢাকার বাইরে শুটিং করলেন। কেমন লাগছে এই ব্যস্ততা?

খুবই ভালো। কন্টিনিউ কাজ হচ্ছে। কক্সবাজার ও বান্দরবানে গিয়েছিলাম ‘কানামাছি’ ছবির কাজ নিয়ে। আর এক দিনের শুটিং বাকি আছে। সিলেটে গিয়েছিলাম ‘বীরত্ব’ ছবির গানের শুটিং করতে। তার আগে কক্সবাজারে একটি শো করছি। সব মিলে টানা ব্যস্ততা গেল।

গান দিয়েই কি ‘বীরত্ব ছবির শুটিং শেষ হলো?

এর আগে আমরা দৌলতদিয়া, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী—বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করেছি। ডাবিংও শেষ। শুধু গানই বাকি ছিল। সিলেটে দু্ই দিন ধরে গানের শুটিং হয়েছে। এবার সম্পাদনা শেষ করে মুক্তির প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। এ ছবির পরিচালক সাইদুল ইসলাম রানা।

এতে আপনার নায়িকা সালওয়া, নতুন অভিনেত্রী। তাঁর সম্পর্কে কিছু বলবেন?

সালওয়া নতুন হলেও কাজের প্রতি আগ্রহ আছে। অনেক ধৈর্য, সময়জ্ঞানও বেশ। আমার মনে হয়, সে ভালো অভিনেত্রী হতে পারবে।

সহ-অভিনেত্রী নিয়ে নায়কদের নানা রকম চাওয়া থাকে। অনেকেই নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে চান না। এ ক্ষেত্রে আপনি ব্যতিক্রম

বিষয়টি একটু স্পষ্ট করি। আমি যখন চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে আসি, তখন একবারেই নতুন ছিলাম, তখন থেকেই আমি সবার সঙ্গে কাজ করে আসছি। তখন যাঁরা চলচ্চিত্রের স্টার—অপু বিশ্বাস, পূর্ণিমা, সাহারা—সবার সঙ্গেই অভিনয় করেছি। এখনো করছি।

এখন আমি খানিকটা সিনিয়র হয়েছি। আমি যদি নতুনদের সঙ্গে কাজ না করি, তাহলে ওরা কীভাবে দাঁড়াবে! তা ছাড়া নির্মাতা যদি মনে করেন, তাঁর ছবিতে নতুন কাউকে নেবেন, তাতে আমার আপত্তির কিছু নেই। আমার কাজ ভালোভাবে অভিনয় করে যাওয়া।

গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও আগের চেয়ে সচেতন হয়েছেন মনে হচ্ছে

এখন আমি গল্পপ্রধান ছবিতেই বেশি কাজ করছি। আমি কারও ওপর ডিপেনডেন্ট নই। আমি দেখি ছবিতে আমার চরিত্র কী, গল্পটা কেমন। আগামী বছর আমার বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পাবে। সব ছবিতে আমাকে নানা ধরনের চরিত্রে দেখতে পাবেন দর্শক।

ইমনআগামী ডিসেম্বরে আপনার নতুন ছবি ‘আগামীকাল মুক্তি পাবে। কেমন প্রত্যাশা ছবিটি নিয়ে?

এটি অঞ্জন আইচের প্রথম চলচ্চিত্র। গল্পকে প্রাধান্য দিয়ে ছবিটি বানিয়েছেন তিনি। গুণী অনেক অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। করোনার পর মাত্র তো হল খুলছে। আস্তে আস্তে দর্শক হলে আসা শুরু করেছেন। আশা করছি, ‘আগামীকাল’ দিয়ে আমরা আরও বেশি দর্শককে হলে আনতে পারব।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনার কী মনে হয়, এখন ঢালিউডে কী ধরনের ছবি হওয়া উচিত?

সব ধরনের ছবিই হওয়া উচিত। নির্দিষ্ট একটা-দুটো ঘরানা নিয়ে এগোনো মুশকিল। রোমান্টিক, থ্রিলার, অ্যাকশন, কমেডি—সব ধরনের গল্প যখন হবে, তখন দর্শক বিরক্ত হবেন না। একেক সময় একেকটা টেস্ট পাবেন তাঁরা। দর্শক যখন নানা ধরনের কাজ এনজয় করবেন, তখনই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত