Ajker Patrika

সেন্সর বোর্ড অকেজো জিনিসে পরিণত হয়েছে: ফারুকী

জাবি প্রতিনিধি
সেন্সর বোর্ড অকেজো জিনিসে পরিণত হয়েছে: ফারুকী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘একান্নবর্তী’ চলচিত্র উৎসবে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘সেন্সর বোর্ড এখন অকেজো জিনিসে পরিণত হয়েছে। যেটা এখন শুধুমাত্র যন্ত্রণা দিতে পারে।’ 

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে আয়োজিত চলচিত্র উৎসবের মুক্ত আলোচনায় এ মন্তব্য করেন ফারুকী। এ সময় আরও বক্তব্য দেন নির্মাতা আশফাক নিপুন ও মেজবাউর রহমান সুমন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন জহির রায়হান ফিল্ম সোসাইটি তিন দিনব্যাপী সিনেমা উৎসব ‘একান্নবর্তী’ আয়োজন করে। যার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এই আলোচনা সভা হয়। 

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারের এখন ভাবার সময় এসেছে যে সেন্সরের নামে শিল্পীদের গলা চেপে ধরে আদৌ তাকে রক্ষা করতে পারছি কি না? কারণ সে যেটার ভয়ে আছে সেটা আপনি, সেটা ফেসবুকে পাবেন, ইউটিউবে গেলে পাবেন। সেন্সর বোর্ড এখন অকেজো জিনিসে পরিণত হয়েছে। যেটা এখন শুধুমাত্র যন্ত্রণা দিতে পারে।’ 

ফারুকী বলেন, ‘ইরানে একটা নির্দিষ্ট আইন আছে। আমাদের দেশে সেটা নেই। তাই আমরা জানি না আমাদের সীমা কতটুকু। আমরা জানি না কোন কথাটা বললে আটকে দেবে। আর কোন কথাটা বললে আটকে দেবে না। আপনি যদি সেন্সরশিপের নীতিমালা পড়েন। শুধু নির্ভর করবে সেন্সর বোর্ডে কে বসে আছে। সেন্সর আইন করা হয়েছিল কারণ কেউ যেন সরকারের সমালোচনায় এমন কিছু না বলে যেটাতে সরকার ঝামেলায় পড়ে। তো এখন সরকারের সমালোচনা করার জন্য কার এত ঠেকা পড়েছে কষ্ট করে সিনেমা বানাবে?’ 

‘আর্টিস্ট টক’ সেশনে কথা বলেন অভিনেত্রী নাজিফা তুষি‘এই অবস্থা থেকে মুক্তির একটাই উপায় দেশে যখন আইনের শাসন থাকবে। দেশে যখন সত্যিকারের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে। বিচার থাকবে, সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে। তখন শিল্পী ও তাঁর গল্প বলার স্বাধীনতা পাবে। সমাজের অন্যান্য জায়গায় স্বাধীনতা নাই, কিন্তু সিনেমায় স্বাধীনতা থাকবে—এটা একজন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে যদি আমি প্রত্যাশা করি তাহলে আমি খুবই রোম্যান্টিক। এটার কোনো মানে নাই।’ যোগ করেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। 

আমাদের শিল্পীরা তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না—এমন অভিযোগ করে এ নির্মাতা বলেন, ‘দায়িত্ব পালন না করলেও হতো, কিন্তু কখনো কখনো ভুল দায়িত্ব পালন করছেন। এটা যে কতটা বিপজ্জনক দিক সেটা আমাদের কোনো সর্বনাশ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা টের পাব। এর মাধ্যমে আমরা শুধু যে আমাদের সর্বনাশ করেছি সেটা না। বরং সরকারকেও ভুল পথে যেতে উৎসাহিত করেছি। আমাদের দেশের সাহিত্যিকেরা, শিল্পীরা, থিয়েটার কর্মীরা থেকে যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। তাহলে বাংলাদেশ আরও সুন্দর হতো, সরকার তখন সচেতন হতো।’ 

এ সময় নির্মাতা আশফাক নিপুন বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও এখন সেন্সরশিপ নেই। যেটা আছে সেটা হলো সেন্সর সার্টিফিকেশন। এটা ঠিক করে দেয় কোন বয়সের মানুষজন কোন কনটেন্ট দেখবে। সেন্সর বোর্ডটা যে কোনো রাষ্ট্র আরোপ করে দিতে চায় কারণ, হয়তো শিল্পের মাধ্যমে কথা বলতে পারা বা এই ক্ষমতা আছে যে এক সাথে অনেক মানুষকে তাড়িত করে বা ধাবিত করে যা রাষ্ট্র বা সিস্টেম হয়তো সেটা চায় না বা ভয় পায়। যার কারণে রাষ্ট্র এই সেন্সর নামে চালায়।’ 

আশফাক নিপুন বলেন, ‘একজন দর্শক কাপড় কিনতে গেলে যেমন তাঁর পছন্দ মতো কাপড় কিনবে, সেখানে যেমন বাধাধরা কিছু নাই। ঠিক সিনেমার ক্ষেত্রেও কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই। রাষ্ট্র যদি এখন বলে দেয়, কাপড় কেনার ক্ষেত্রে তুমি অমুক কাপড়টি পরতে পারবে না, নিতে পারবে, সেটা যেমন বেমানান, সিনেমার ক্ষেত্রেও যদি বলে দেয় তুমি এটা করতে পারবে না, ওটা দেখাতে পারবে না, এটা কেটে দিতে হবে, তাহলে সেটাও বেমানান।’ 

বর্তমানে সিনেমা নির্মাতাদের রাষ্ট্র গ্রহণ করতে চায় না বলে মন্তব্য করেন আরেক নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘সমাজে জনমত তৈরির একটি বড় মাধ্যম সিনেমা। সিনেমায় কমেডি, রাজনীতি ইত্যাদি উপস্থাপন করা হয় বিনোদনের জন্য। কিন্তু সেন্সরশিপ বলছে, রাজনীতি নিয়ে উপস্থাপন করা যাবে না। সেন্সরশিপের ভয়ে নির্মাতারা নিজেরাই একটি সেন্সরশিপ তৈরি করে নিয়েছে। এ জন্য সিনেমা নির্মাণের আগেই সেন্সরশিপের ভয়ে রাজনৈতিক অবস্থা বা পরিস্থিতি তুলে ধরা থেকে বিরত থাকে।’ 

উৎসবের আরও একটি সেশন ‘আর্টিস্ট টক’–এ অংশ নেন অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। অভিনেত্রী বলেন, ‘সিনেমা করতে হলে অনেক ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। অভিনয়কে ভয়ংকর ভালোবাসলে কেবল এদিকে আসতে হবে। অভিনয় করতে হলেও পড়াশোনা করা উচিত। শুধু কেবল পড়াশোনাই নয় অভিনয় করতে হলে সকল ইন্দ্রিয় সচল রাখতে হবে। অভিনয় ভালোবাসলে এটাকে চর্চা করা উচিত। প্রতিটি মানুষই সুন্দর। পৃথিবীতে মানুষ খুব একটা আলাদা হয় না। অনেক ভয়ংকর মানুষের পেছনের জীবনটাকে হয়তো আমরা দেখি না। কাউকে ভালোবাসতে হলে তার ভালো খারাপ দুটোকেই ভালোবাসতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওটিটিতে জয়া আহসানের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায় কুসুম চরিত্রে জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায় কুসুম চরিত্রে জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।

প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। দর্শকের জন্য সহজবোধ্য করতে গল্পের প্রেক্ষাপটকাল এগিয়ে এনেছেন নির্মাতা। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগ থেকে চল্লিশের দশকের শুরুর দিকের প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে গল্প। মূল উপন্যাসে সময়টা ছিল আরও পেছনের। এতে কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। শশী ও কুমুদের চরিত্রে থাকছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আরও অভিনয় করেছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

‘বিসর্জন’ ও ‘বিজয়া’র পর পুতুলনাচের ইতিকথা সিনেমাতেও প্রশংসিত হয়েছে আবীর-জয়ার পর্দার রসায়ন। এবার তাঁদের অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রি দেখা যাবে ঘরে বসে। ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ায় বাংলাদেশের দর্শকও সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন।

jaya-2

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সময় জয়া আহসান জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি বাংলাদেশের দর্শক দেখার সুযোগ পেলে তিনি খুব খুশি হবেন। ওটিটিতে মুক্তির মধ্য দিয়ে জয়ার সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। সে সময় জয়া বলেছিলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাসটি ওপরের দিকেই থাকবে। এটি নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। খুব খুশি হব যদি এই সিনেমাটি আমার বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পায়। সিনেমাটি ভারতীয় একজন নির্মাণ করলেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশেরও। এ দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া তাঁর গায়ে লেগেছে। বাংলাদেশের যে সকল দর্শক সাহিত্যনির্ভর সিনেমা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য দেখবার মতো একটি সিনেমা পুতুলনাচের ইতিকথা।’

এদিকে ২ নভেম্বর দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে জয়া অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটির নির্মাতা ইরানের মুর্তজা অতাশ জমজম। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি এ সিনেমায় দেখা যাবে ঢাকা শহরের এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক ও জয়া আহসান। আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী প্রমুখ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ফেরেশতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচারকের আসনে ফেরদৌস ওয়াহিদ, লিজা ও লুইপা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আরটিভি লিটল স্টার’ শোর তিন বিচারক (বাঁ থেকে) লিজা, ফেরদৌস ওয়াহিদ ও লুইপা। ছবি: সংগৃহীত
‘আরটিভি লিটল স্টার’ শোর তিন বিচারক (বাঁ থেকে) লিজা, ফেরদৌস ওয়াহিদ ও লুইপা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা। গতকাল থেকে আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে এই রিয়েলিটি শো। দেখা যাবে প্রতি শনি ও বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে।

অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর প্রতিযোগিতায় প্রায় ১২ হাজার প্রতিযোগী আবেদন করে। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার প্রতিযোগীকে বাছাই করেন বিচারকেরা। তাঁদের বিচার-বিশ্লেষণে ১৫০ প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয় স্টুডিও রাউন্ডের জন্য। আরটিভি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে ১৫০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হচ্ছে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বরের পরবর্তী বাছাই পর্ব। এসব রাউন্ডে থাকবে ফোক, রবীন্দ্রসংগীত এবং নজরুলসংগীত, মডার্ন সং ও ব্যান্ড রাউন্ড।

আরজু আহমেদের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন ইমতু রাতিশ ও রুহানি সালসাবিল লাবণ্য। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান এবং ব্যবস্থাপনায় থাকবেন অনুষ্ঠানপ্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব। টিভি পর্দার পাশাপাশি আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর দেখা যাবে আরটিভির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুটোপিয়ার অদ্ভুত রাজ্যে শ্রদ্ধা কাপুর

বিনোদন ডেস্ক
‘জুটোপিয়া ২’-এর জুডি হপস চরিত্রের সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: সংগৃহীত
‘জুটোপিয়া ২’-এর জুডি হপস চরিত্রের সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: সংগৃহীত

অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই। ‘জুটোপিয়া ২’-এর হিন্দি সংস্করণে জুডি হপস চরিত্রে শোনা যাবে শ্রদ্ধা কাপুরের কণ্ঠ।

গতকাল মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। সেখানে হাজির ছিলেন শ্রদ্ধা। এ চরিত্রে কণ্ঠ দিতে পেরে কতটা উচ্ছ্বসিত তিনি, জানান সে কথা। শ্রদ্ধা কাপুর বলেন, ‘হিন্দিতে জুডি হপস চরিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে জুটোপিয়া ২-তে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। শুধু আমি নই, আমার পরিবারের সদস্যরাও কাজটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’

জুটোপিয়া ২-তে শ্রদ্ধার যুক্ত হওয়ার খবর জানাতে একটি বিশেষ ট্রেলার বানিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। দুই মিনিটের ওই ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, ড্রেসিং রুমে চরিত্র অনুযায়ী পোশাক খুঁজছেন শ্রদ্ধা। জুডি হপসের পোশাক পেয়েই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তিনি। শুটিং শুরু হতেই খবর আসে, একটি আংটি হারিয়ে গেছে। জুডি হপসের মতো করে তদন্ত শুরু করে শ্রদ্ধা। আংটি খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর আসে জুটোপিয়া ২-এর কিছু ঝলক। ভয়েসওভারে শোনা যায় শ্রদ্ধার কণ্ঠ। জুডি হপসের ভঙ্গিতেই সিনেমাটির বর্ণনা দিতে থাকেন তিনি। জানা গেছে, জুটোপিয়ার সিকুয়েল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ২৬ নভেম্বর। আর ভারতে দেখা যাবে ২৮ নভেম্বর থেকে।

জুটোপিয়ার প্রথম পর্ব মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে জুটোপিয়া নামের এক অদ্ভুত রাজ্যের গল্প। জুটোপিয়া জীবজন্তুদের শহর। সব প্রাণী একসঙ্গে বসবাস করে। জুডি হপস নামের এক খরগোশের ইচ্ছা পুলিশ অফিসার হওয়ার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে প্রথম খরগোশ হিসেবে পুলিশ বিভাগে চাকরি পায় জুডি। কিন্তু চাকরির কিছুদিন না যেতেই শহরে ঘটতে থাকে একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা। জুডিও দমবার পাত্র নয়। কোমর বেঁধে লেগে পড়ে রহস্য উদ্‌ঘাটনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ষষ্ঠ বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ষষ্ঠ বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া। এবারের উৎসবে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৩২টি দেশের ৭১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বগুড়া উৎসবে শর্টফিল্ম, ফিচার ফিল্ম, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেটেড ফিল্ম ও ওপেন ডোর শর্ট—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে সিনেমা জমা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই সেরা নির্বাচন করা হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকবে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ অর্থ।

প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচনের জন্য থাকছে ভিন্ন জুরিবোর্ড। বোর্ডে থাকছেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ নির্মাতা, ফিল্ম স্কলার ও কিউরেটররা। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন, মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান, অন্তু আজাদ, সিনেমাটোগ্রাফার শেখ রাজিবুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, রাশিয়ার চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ আনাস্কিন সার্জে, নির্মাতা আলেক্সান্ডার মোরোও, ভারতের ফিল্ম কিউরেটর শান্তনু গাঙ্গুলি, ইরানের নির্মাতা মারিয়ম ঘাসেমি, নেপাল কালচারাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান সন্তোষ সুবেদী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত