Ajker Patrika

শিল্পী কখনোই তৃপ্ত হতে পারেন না

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ১৯
শিল্পী কখনোই তৃপ্ত হতে পারেন না

১৯৬৫ সালে ‘ত্রিধারা’ নাটক দিয়ে শুরু হয় দিলারা জামানের অভিনয়জীবন। আজও অভিনয়ের সঙ্গেই আছেন। থাকতে চান আজীবন। মন-প্রাণ ঢেলে প্রতিটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে চান নাটকের ক্যানভাসে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মীর রাকিব হাসান

শুটিং করছেন?

আপাতত শুটিং করছি না। আমার বড় মেয়ে এসেছে কানাডা থেকে। তাঁকে সময় দিচ্ছি। তবে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘গুনিন’ ছবিটা করতে হবে। এই মাসের ১৭ তারিখ থেকে চার দিনের শিডিউল দিয়েছি। মানিকগঞ্জে শুটিং হবে। সম্প্রতি কয়েকটা অনুদানের ছবিতেও অভিনয় করেছি। তবে সেলিমের ছবিটা করে আবার কিছুদিন বিরতি নেব। মেয়েকে সময় দেব। ও থাকবে নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর আবার নিয়মিত কাজ করব।

দিলারা জামানকোনো কাজের কথা হয়ে আছে?

কিছু ছবির শুটিং, ডাবিং বাকি আছে। ওগুলো করতে হবে। আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ নামে একটি ছবিতে কাজ করার কথা চলছে।

‘বঙ্গবন্ধু’ ছবিতে শেখ মুজিবুর রহমানের মা শেখ সায়েরা খাতুন। ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ও ‘চিরঞ্জীব মুজিব ছবি দুটিতেও একই ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন?

এটা আমার অভিনয়জীবনের সেরা অর্জন। এই কাজের মাধ্যমে আমি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকব। আমার যে পরিচয় বাংলাদেশি, সেটা তো বঙ্গবন্ধু ছাড়া হতো না। ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবির কিছু শুটিং বাকি আছে। শুটিং হয়েছে মুম্বাইয়ে। পরিচালক শ্যাম বেনেগাল আমাকে মেকআপ-গেটআপে শেখ সায়রা খাতুনের এমন রূপ দেন যে আমি আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে উঠি। কেবল আমাকে না, যারা বঙ্গবন্ধু ছবিতে অভিনয় করেছে, সবাইকে একেবারে সত্যিকারের চরিত্রের রূপ দিয়েছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ঢাকার বাড়ি, টুঙ্গিপাড়ার বাড়িটাও যেন একেবারে হুবহু একই রকম করে তৈরি করেছিলেন।

দিলারা জামানবঙ্গবন্ধুকে কখনো সামনে থেকে দেখেছেন?

বিয়ের পরপরই ১৯৬৬-৬৭ সালে একবার তাঁকে দেখেছিলাম। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ পড়ি। তিনি একটি সভায় এসেছিলেন, দূর থেকে দেখেছি।

অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কোনো অপ্রাপ্তি আছে?

একজন শিল্পী কখনোই তৃপ্ত হতে পারেন না। শিল্পী তৃপ্ত মানেই তো তাঁর প্রাপ্তি শেষ। তাঁর অপ্রাপ্তিগুলোই ভালো কাজের উৎস। তাই মৃত্যু পর্যন্ত শিল্পীর অতৃপ্তি বা আকাঙ্ক্ষা থেকে যায়। ভালো চরিত্রের ক্ষুধা থেকে যায়। আর এই অতৃপ্তি প্রতিনিয়ত পরিচালকেরাই মেটানোর চেষ্টা করতে পারেন। আমি একজন অভিনেত্রী। এত বছর অভিনয় করছি। তবু মনে করি, একজন ভালো পরিচালকই বুঝতে পারবেন তাঁর কোন চরিত্রটার জন্য আমি পারফেক্ট।

দিলারা জামানব্যক্তিজীবন কেমন চলছে?

এই বয়সে তো অসুখ-বিসুখ নিয়েই থাকতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। আর আমি কাজ ছাড়া একটা দিনও থাকতে পারি না। শুটিং না থাকলেও আমি বাসায় প্রচুর ব্যস্ত থাকি। বসে বসে গল্প করা আর টেলিভিশন দেখার মানুষ আমি না। রান্না, বাজার করা থেকে বাসা পরিষ্কারসহ সব আমিই করি। এটাতেই আমার তৃপ্তি।

 অসুবিধা হয় না?

এটা আমার বহুদিনের চর্চা, তাই কোনো সমস্যা হয় না। সংসার, অভিনয়, শিক্ষকতা—একই সঙ্গে করেছি। ২৬ বছর শিক্ষকতা করেছি, অভিনয় কখনো ছাড়িনি। সংসারও সামলাতে হয়েছে। আমার দুই মেয়ে যখন ছোট ছিল, অনেক সময় ওরা ঘুমে থাকতে শুটিংয়ে চলে গেছি। এমনও হয়েছে, অনেক রাতে শুটিং শেষে ফিরে দেখেছি, ওরা ঘুমিয়ে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত