আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত দর্শকের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। কারণ, মার্কিন সমাজ ইউরোপের মতো সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নয়।
ম্যাকসিম কট্রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বিদেশি চলচ্চিত্রের জন্য বরাবরই কঠিন। এর প্রধান কারণ ভাষা। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকেরা সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নন। তাই তাঁরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র খুব একটা দেখতে চান না। তবে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ডাবিং প্রযুক্তি এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে বলে মনে করেন তিনি।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত-চালিত ডাবিং প্রযুক্তি দিয়ে ডাবিং করা সুইডিশ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’। চলচ্চিত্রটির অডিও ও ভিডিও প্রক্রিয়াজাত করা হয় ‘ডিপএডিটর’ নামের একটি ডিজিটাল টুলে, যা এমনভাবে সংলাপকে রূপ দেয় যে, মনে হয়, অভিনেতারা ওই ভাষাতেই কথা বলছেন।
এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে বলেন, ‘প্রথম যখন এ প্রযুক্তির ফলাফল দেখেছিলাম, তখন ভালো লেগেছিল। কিন্তু সর্বশেষ সংস্করণ দেখে আমি অভিভূত। আমি নিশ্চিত, সাধারণ দর্শক বুঝতেই পারবেন না এটি ডাব করা—তাঁরা ধরে নেবেন অভিনেতারাই ওই ভাষায় কথা বলছেন।’
এ বছরের মে মাসে ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’-এর ইংরেজি সংস্করণ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১১০টি এএমসি থিয়েটারে মুক্তি পায়। কট্রে জানান, ইংরেজিতে ডাব না করা হলে এই ছবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। ফলে মার্কিন দর্শকেরা এমন একটি সুইডিশ স্বাধীন চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছেন, যা অন্যথায় কেবল সীমিত পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকত। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এএমসি একই ধরনের আরও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা করছে।
ডিপএডিটর প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে ফ্ললেস নামের লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে ফ্ললেস প্রতিষ্ঠা করেন লেখক ও পরিচালক স্কট ম্যান। তিনি হেইস্ট, দ্য টুর্নামেন্ট, ফাইনাল স্কোরসহ একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
স্কট ম্যান জানান, আন্তর্জাতিক সংস্করণের জন্য প্রচলিত ডাবিং কৌশল তাঁর চলচ্চিত্রগুলোর আসল আবেগ ও প্রভাবকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে হেইস্ট ছবিতে রবার্ট ডি নিরোসহ দুর্দান্ত একটি কাস্ট নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু যখন সে ছবিটি অন্য ভাষায় ডাব করা সংস্করণে দেখলাম, তখনই বুঝলাম, কেন সিনেমা আর টেলিভিশন আন্তর্জাতিকভাবে তেমন সাড়া পায় না। কারণ, পুরোনো ধাঁচের ডাবিং আসলে পুরো চলচ্চিত্রের আবেগ ও অনুভূতি নষ্ট করে দেয়। সবকিছু তালছাড়া হয়ে যায়, অভিনয়ও ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। আমি বলব, ডাবিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক দর্শকেরা প্রকৃত মান তো পানই না, বরং নিম্নমানের সংস্করণ তাঁদের কাছে পৌঁছায়।’
অভিনয়ের আবেগ অক্ষুণ্ন রেখে বিভিন্ন ভাষায় চলচ্চিত্রটি উপস্থাপন করতে সক্ষম ডিপএডিটর। ২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রযুক্তির নাম রাখা হয় ‘ডিপএডিটর’। স্কটম্যান জানান, ফেস ডিটেকশন, ফেসিয়াল রিকগনিশন, ল্যান্ডমার্ক শনাক্তকরণ ও থ্রিডি ফেস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি দৃশ্যে অভিনেতার চেহারা, অঙ্গভঙ্গি ও আবেগ অক্ষুণ্ন রাখা হয়। এতে নতুন করে শুটিং বা ডাবিং ছাড়াই অভিনয়ের মূল আবেগ ধরে রেখে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা সম্ভব হয়। স্কট বলেন, ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’ ছিল বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভিজ্যুয়ালি-ডাবড ফিচার ফিল্ম। শুধু অন্য ভাষায় উপস্থাপনই নয়, একই দৃশ্যের অন্য টেক থেকে উন্নত অভিনয় এনে ব্যবহার করতে পারে এই প্রযুক্তি।
শিল্পবিশ্লেষকদের মতে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স ও অ্যাপল টিভির প্রসারের কারণে বৈশ্বিক ডাবিং বাজার ২০২৪ সালের ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩৩ সালে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। স্কট বলেন, ডিপএডিটর দিয়ে ডাবিংয়ে যে খরচ হয়, তা প্রচলিত শুটিং বা ডাবিংয়ে খরচের প্রায় দশভাগের একভাগ। তিনি আরও জানান, তাঁর গ্রাহকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মই রয়েছে।
প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে স্কট বলেন, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সিনেমা ও টিভি শো রয়েছে, যা ইংরেজিভাষী দর্শকেরা দেখেন না। কারণ, অনেকেই সাবটাইটেল বা ডাবিং পছন্দ করেন না। এ প্রযুক্তি সে সীমাবদ্ধতা দূর করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি অভিনেতাদের বিকল্প নয়। এখানে সিনথেটিক ভয়েসের পরিবর্তে শুধু অভিনেতাদের আসল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়।
তবে প্রযুক্তিটির নেতিবাচক দিক কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কিতও অনেকে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমের সহকারী অধ্যাপক নেত্তা আলেকজান্ডার বলেন, বিদেশি চলচ্চিত্রকে কৃত্রিমভাবে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করলে ভাষা, সংস্কৃতি ও অঙ্গভঙ্গির স্বকীয়তা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাঁর ভাষ্য, যদি সব বিদেশি ছবি ইংরেজি ভাষার মতো শোনায় ও দেখায়, তাহলে দর্শকদের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে কৃত্রিম ও নির্জীব। এতে আন্তসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাবটাইটেল বা মূল ভাষায় সিনেমা দেখার প্রবণতাও কমে যাবে।
আলেকজান্ডার আরও সতর্ক করেন, সাবটাইটেল সরিয়ে দেওয়ার ফলে ভাষাশিক্ষার্থী, অভিবাসী, শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ নানা দর্শক বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, ক্লোজড ক্যাপশনিং শুধু একটি বিকল্প নয়, বরং এটি ভিজ্যুয়াল ও অডিও—উভয় দিকের গল্প বলাকে সবার জন্য অক্ষুণ্ন রাখার উপায়। বিদেশি সিনেমাকে সহজভাবে ইংরেজিভাষীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেয়ে বরং ভাবা উচিত—কীভাবে দর্শকদের ভিন্ন সংস্কৃতির সিনেমা তাঁদের নিজস্ব শর্তে গ্রহণে উৎসাহিত করা যায়।
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত দর্শকের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। কারণ, মার্কিন সমাজ ইউরোপের মতো সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নয়।
ম্যাকসিম কট্রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বিদেশি চলচ্চিত্রের জন্য বরাবরই কঠিন। এর প্রধান কারণ ভাষা। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকেরা সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নন। তাই তাঁরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র খুব একটা দেখতে চান না। তবে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ডাবিং প্রযুক্তি এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে বলে মনে করেন তিনি।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত-চালিত ডাবিং প্রযুক্তি দিয়ে ডাবিং করা সুইডিশ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’। চলচ্চিত্রটির অডিও ও ভিডিও প্রক্রিয়াজাত করা হয় ‘ডিপএডিটর’ নামের একটি ডিজিটাল টুলে, যা এমনভাবে সংলাপকে রূপ দেয় যে, মনে হয়, অভিনেতারা ওই ভাষাতেই কথা বলছেন।
এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে বলেন, ‘প্রথম যখন এ প্রযুক্তির ফলাফল দেখেছিলাম, তখন ভালো লেগেছিল। কিন্তু সর্বশেষ সংস্করণ দেখে আমি অভিভূত। আমি নিশ্চিত, সাধারণ দর্শক বুঝতেই পারবেন না এটি ডাব করা—তাঁরা ধরে নেবেন অভিনেতারাই ওই ভাষায় কথা বলছেন।’
এ বছরের মে মাসে ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’-এর ইংরেজি সংস্করণ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১১০টি এএমসি থিয়েটারে মুক্তি পায়। কট্রে জানান, ইংরেজিতে ডাব না করা হলে এই ছবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। ফলে মার্কিন দর্শকেরা এমন একটি সুইডিশ স্বাধীন চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছেন, যা অন্যথায় কেবল সীমিত পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকত। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এএমসি একই ধরনের আরও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা করছে।
ডিপএডিটর প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে ফ্ললেস নামের লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে ফ্ললেস প্রতিষ্ঠা করেন লেখক ও পরিচালক স্কট ম্যান। তিনি হেইস্ট, দ্য টুর্নামেন্ট, ফাইনাল স্কোরসহ একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
স্কট ম্যান জানান, আন্তর্জাতিক সংস্করণের জন্য প্রচলিত ডাবিং কৌশল তাঁর চলচ্চিত্রগুলোর আসল আবেগ ও প্রভাবকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে হেইস্ট ছবিতে রবার্ট ডি নিরোসহ দুর্দান্ত একটি কাস্ট নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু যখন সে ছবিটি অন্য ভাষায় ডাব করা সংস্করণে দেখলাম, তখনই বুঝলাম, কেন সিনেমা আর টেলিভিশন আন্তর্জাতিকভাবে তেমন সাড়া পায় না। কারণ, পুরোনো ধাঁচের ডাবিং আসলে পুরো চলচ্চিত্রের আবেগ ও অনুভূতি নষ্ট করে দেয়। সবকিছু তালছাড়া হয়ে যায়, অভিনয়ও ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। আমি বলব, ডাবিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক দর্শকেরা প্রকৃত মান তো পানই না, বরং নিম্নমানের সংস্করণ তাঁদের কাছে পৌঁছায়।’
অভিনয়ের আবেগ অক্ষুণ্ন রেখে বিভিন্ন ভাষায় চলচ্চিত্রটি উপস্থাপন করতে সক্ষম ডিপএডিটর। ২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রযুক্তির নাম রাখা হয় ‘ডিপএডিটর’। স্কটম্যান জানান, ফেস ডিটেকশন, ফেসিয়াল রিকগনিশন, ল্যান্ডমার্ক শনাক্তকরণ ও থ্রিডি ফেস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি দৃশ্যে অভিনেতার চেহারা, অঙ্গভঙ্গি ও আবেগ অক্ষুণ্ন রাখা হয়। এতে নতুন করে শুটিং বা ডাবিং ছাড়াই অভিনয়ের মূল আবেগ ধরে রেখে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা সম্ভব হয়। স্কট বলেন, ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’ ছিল বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভিজ্যুয়ালি-ডাবড ফিচার ফিল্ম। শুধু অন্য ভাষায় উপস্থাপনই নয়, একই দৃশ্যের অন্য টেক থেকে উন্নত অভিনয় এনে ব্যবহার করতে পারে এই প্রযুক্তি।
শিল্পবিশ্লেষকদের মতে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স ও অ্যাপল টিভির প্রসারের কারণে বৈশ্বিক ডাবিং বাজার ২০২৪ সালের ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩৩ সালে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। স্কট বলেন, ডিপএডিটর দিয়ে ডাবিংয়ে যে খরচ হয়, তা প্রচলিত শুটিং বা ডাবিংয়ে খরচের প্রায় দশভাগের একভাগ। তিনি আরও জানান, তাঁর গ্রাহকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মই রয়েছে।
প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে স্কট বলেন, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সিনেমা ও টিভি শো রয়েছে, যা ইংরেজিভাষী দর্শকেরা দেখেন না। কারণ, অনেকেই সাবটাইটেল বা ডাবিং পছন্দ করেন না। এ প্রযুক্তি সে সীমাবদ্ধতা দূর করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি অভিনেতাদের বিকল্প নয়। এখানে সিনথেটিক ভয়েসের পরিবর্তে শুধু অভিনেতাদের আসল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়।
তবে প্রযুক্তিটির নেতিবাচক দিক কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কিতও অনেকে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমের সহকারী অধ্যাপক নেত্তা আলেকজান্ডার বলেন, বিদেশি চলচ্চিত্রকে কৃত্রিমভাবে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করলে ভাষা, সংস্কৃতি ও অঙ্গভঙ্গির স্বকীয়তা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাঁর ভাষ্য, যদি সব বিদেশি ছবি ইংরেজি ভাষার মতো শোনায় ও দেখায়, তাহলে দর্শকদের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে কৃত্রিম ও নির্জীব। এতে আন্তসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাবটাইটেল বা মূল ভাষায় সিনেমা দেখার প্রবণতাও কমে যাবে।
আলেকজান্ডার আরও সতর্ক করেন, সাবটাইটেল সরিয়ে দেওয়ার ফলে ভাষাশিক্ষার্থী, অভিবাসী, শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ নানা দর্শক বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, ক্লোজড ক্যাপশনিং শুধু একটি বিকল্প নয়, বরং এটি ভিজ্যুয়াল ও অডিও—উভয় দিকের গল্প বলাকে সবার জন্য অক্ষুণ্ন রাখার উপায়। বিদেশি সিনেমাকে সহজভাবে ইংরেজিভাষীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেয়ে বরং ভাবা উচিত—কীভাবে দর্শকদের ভিন্ন সংস্কৃতির সিনেমা তাঁদের নিজস্ব শর্তে গ্রহণে উৎসাহিত করা যায়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন অভিনেতা শাকিব খান। ফেরার আগেই গুছিয়ে নিয়েছেন শিডিউল। দিন দুয়েকের বিশ্রাম সেরেই সে অনুযায়ী শুরু করেছেন কাজ। ৫ অক্টোবর থেকে শাকিব খান শুটিং করছেন সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের ‘সোলজার’ সিনেমার।
২ ঘণ্টা আগেবলিউডে এ বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘সাইয়ারা’। নতুন জুটি আহান পান্ডে ও অনীত পাড্ডাকে নিয়ে তৈরি সাইয়ারা ব্যবসার অঙ্কে পেছনে ফেলে দিয়েছে জনপ্রিয় অনেক অভিনেতার সিনেমাকে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল প্রেমের গল্প হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এটি।
২ ঘণ্টা আগেসংগীতজীবনের ২৫ বছরে এসে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন তাহসান। গত ২০ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক কনসার্টে তাহসান জানান, মিউজিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চলেছেন তিনি। তাহসানের হঠাৎ এমন ঘোষণায় ব্যাপক হইচই পড়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগে৮ অক্টোবর পথচলার ২১ বছর পূর্তি উদ্যাপন করতে যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ওই দিন স্টার সিনেপ্লেক্সের যেকোনো সিনেমার জন্য একটি টিকিট কিনলে আরেকটি টিকিট ফ্রি পাবেন দর্শকেরা।
১৪ ঘণ্টা আগে