জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
দুদিন ধরে বহুবার চেষ্টা করেছি। না, ফোন বন্ধ। কোনোভাবেই তাঁর নাগাল পাওয়া গেল না। উদ্দেশ্য ছিল জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো। অবশ্য দুই সপ্তাহ আগে একবার কথা হয়েছিল। তা-ও বেশ সংক্ষিপ্ত। এই করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরেই আছেন। সময় পার করছেন ঘরসংসারের কাজে।
গত বছর দুবার কথা হয়েছে। দুবারই তাঁর কণ্ঠ ছিল বেদনামাখা। ছেলে অনিককে দেখতে যেতে পারছেন না কানাডায়, ভালো থাকেন কী করে? তারপর যখন করোনায় একের পর এক পরিচিতজনেরা চলে যেতে থাকলেন, বিষণ্ণতা ততই বাড়ল। বন্দী হয়ে রইলেন নিজের বাড়িতে। লিফটের কাছে যেতেও ভয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত থাকতে প্রতিদিন ঘরেই দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটি করেন। গাছপালার পরিচর্যা করেন। সময় কাটান নিজের ছাদবাগানে। টেলিভিশনের খবর দেখে করোনার আপডেট জেনে নেন।
এরই মধ্যে চলে গেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কবরী। আরও কতজন! কিন্তু ববিতার সঙ্গে আর কথা হয়নি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যে শিল্পীদের নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়েছে, নিঃসন্দেহে ববিতা তাঁদের অন্যতম। আজ ৩০ জুলাই তাঁর জন্মদিন। শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় আজকের দিনটিতে অবগাহন হবে—সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এ বছর সে সুযোগ নেই। হয়তো নিভৃতে দিনটি কাটবে তাঁর।
ববিতা প্রথম অভিনয় করেছিলেন জহির রায়হান পরিচালিত ‘সংসার’ ছবিতে রাজ্জাক-সুচন্দার কন্যার চরিত্রে। জহির রায়হানের ‘শেষ পর্যন্ত’তে তিনি নায়িকা, সেটা ১৯৬৯ সাল। এরপর কত ছবি! ‘আলোর মিছিল’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘বাঁদী থেকে বেগম’, ‘একমুঠো ভাত’ তাঁর উজ্জ্বল চলচ্চিত্র পরিভ্রমণের একটি ছোট্ট অংশমাত্র। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ নিয়ে ‘অনঙ্গ বউ’- ববিতার উচ্ছ্বাস তো এখনো কাটেনি। গত বছর এ সময়টিতে তিনি সত্যজিতের সবগুলো চলচ্চিত্র আবার দেখা শুরু করেছিলেন, সে কথা আমাকে বলেছিলেন মনে পড়ে।
বহুদিন চলচ্চিত্রজগৎ থেকে দূরে আছেন তিনি। বর্তমানে চলচ্চিত্রজগতের অনেকের ভাবনার সঙ্গে তিনি নিজের ভাবনা মেলাতে পারেন না বলেই এই স্বেচ্ছানির্বাসন।
যাঁরা সত্তর-আশির দশকের চলচ্চিত্রজগতের কথা স্মৃতিতে আনবেন, তাঁরা জানবেন, সে সময় দেশব্যাপী সিনেমা হলগুলোয় যখন ববিতার ছবি মুক্তি পেত, তখন বেশির ভাগ হলে লেখা থাকত ‘প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ’। এই তালিকায় আরও ছিলেন রাজ্জাক, কবরী, আলমগীর, শাবানা, সোহেল রানা প্রমুখ। সৃজনশীল পরিচালকেরা তখন চলচ্চিত্রকে রুচিশীল এ বাঙময় করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
তখন সারা দেশেই ছিল সিনেমা হল। এখন বহু জায়গায় সিনেমা হল নেই। আমাদের দেশে মানুষের বিনোদনের ধরন, মাধ্যম দিনে দিনে পাল্টে গেছে। বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতির প্রকাশ-ভাবনায় এসেছে পরিবর্তন। তাই এ সময় দর্শকশূন্য সিনেমা হলে বসে বোঝা যাবে না, কী একটা সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা!
আর সেই সিনেমার অন্যতম চালকের আসনে ছিলেন ববিতা—আজ তাঁর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
দুদিন ধরে বহুবার চেষ্টা করেছি। না, ফোন বন্ধ। কোনোভাবেই তাঁর নাগাল পাওয়া গেল না। উদ্দেশ্য ছিল জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো। অবশ্য দুই সপ্তাহ আগে একবার কথা হয়েছিল। তা-ও বেশ সংক্ষিপ্ত। এই করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরেই আছেন। সময় পার করছেন ঘরসংসারের কাজে।
গত বছর দুবার কথা হয়েছে। দুবারই তাঁর কণ্ঠ ছিল বেদনামাখা। ছেলে অনিককে দেখতে যেতে পারছেন না কানাডায়, ভালো থাকেন কী করে? তারপর যখন করোনায় একের পর এক পরিচিতজনেরা চলে যেতে থাকলেন, বিষণ্ণতা ততই বাড়ল। বন্দী হয়ে রইলেন নিজের বাড়িতে। লিফটের কাছে যেতেও ভয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত থাকতে প্রতিদিন ঘরেই দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটি করেন। গাছপালার পরিচর্যা করেন। সময় কাটান নিজের ছাদবাগানে। টেলিভিশনের খবর দেখে করোনার আপডেট জেনে নেন।
এরই মধ্যে চলে গেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কবরী। আরও কতজন! কিন্তু ববিতার সঙ্গে আর কথা হয়নি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যে শিল্পীদের নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়েছে, নিঃসন্দেহে ববিতা তাঁদের অন্যতম। আজ ৩০ জুলাই তাঁর জন্মদিন। শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় আজকের দিনটিতে অবগাহন হবে—সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এ বছর সে সুযোগ নেই। হয়তো নিভৃতে দিনটি কাটবে তাঁর।
ববিতা প্রথম অভিনয় করেছিলেন জহির রায়হান পরিচালিত ‘সংসার’ ছবিতে রাজ্জাক-সুচন্দার কন্যার চরিত্রে। জহির রায়হানের ‘শেষ পর্যন্ত’তে তিনি নায়িকা, সেটা ১৯৬৯ সাল। এরপর কত ছবি! ‘আলোর মিছিল’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘বাঁদী থেকে বেগম’, ‘একমুঠো ভাত’ তাঁর উজ্জ্বল চলচ্চিত্র পরিভ্রমণের একটি ছোট্ট অংশমাত্র। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ নিয়ে ‘অনঙ্গ বউ’- ববিতার উচ্ছ্বাস তো এখনো কাটেনি। গত বছর এ সময়টিতে তিনি সত্যজিতের সবগুলো চলচ্চিত্র আবার দেখা শুরু করেছিলেন, সে কথা আমাকে বলেছিলেন মনে পড়ে।
বহুদিন চলচ্চিত্রজগৎ থেকে দূরে আছেন তিনি। বর্তমানে চলচ্চিত্রজগতের অনেকের ভাবনার সঙ্গে তিনি নিজের ভাবনা মেলাতে পারেন না বলেই এই স্বেচ্ছানির্বাসন।
যাঁরা সত্তর-আশির দশকের চলচ্চিত্রজগতের কথা স্মৃতিতে আনবেন, তাঁরা জানবেন, সে সময় দেশব্যাপী সিনেমা হলগুলোয় যখন ববিতার ছবি মুক্তি পেত, তখন বেশির ভাগ হলে লেখা থাকত ‘প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ’। এই তালিকায় আরও ছিলেন রাজ্জাক, কবরী, আলমগীর, শাবানা, সোহেল রানা প্রমুখ। সৃজনশীল পরিচালকেরা তখন চলচ্চিত্রকে রুচিশীল এ বাঙময় করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
তখন সারা দেশেই ছিল সিনেমা হল। এখন বহু জায়গায় সিনেমা হল নেই। আমাদের দেশে মানুষের বিনোদনের ধরন, মাধ্যম দিনে দিনে পাল্টে গেছে। বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতির প্রকাশ-ভাবনায় এসেছে পরিবর্তন। তাই এ সময় দর্শকশূন্য সিনেমা হলে বসে বোঝা যাবে না, কী একটা সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা!
আর সেই সিনেমার অন্যতম চালকের আসনে ছিলেন ববিতা—আজ তাঁর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
সম্প্রতি, ব্রিটেনে এক রেস্তোরাঁয় গান পরিবেশনের পর ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় জনপ্রিয় পাকিস্তানি গায়ক চাহাত ফতেহ আলী খানের দিকে ডিম ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করায় এবার ওই রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন গায়ক।
১১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়িকা ও গীতিকার কুররাতুল আইন বালুচ সম্প্রতি একটি বাদামি ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে তাঁর টিম নিশ্চিত করেছে, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত এবং চিকিৎসাধীন। তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সময় ধরে নিজেকে শোবিজ থেকে দূরে রেখেছেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। তিনি আড়ালে চলে যাওয়ার কারণে আটকে আছে ‘ভালোবাসার প্রজাপতি’, ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’সহ কয়েকটি সিনেমা। নির্মাতারাও দীর্ঘ সময় ধরে কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না নায়িকার। জানিয়েছিলেন, পপির জন্য তাঁরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেঈদে দেশে নতুন সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা গেলেও বছরের অন্য সময়ে থাকে ভাটা। পুরোনো সিনেমা দিয়েই হল চালু রাখতে হয় হলমালিকদের। তবে এ মাসে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে দুটি সিনেমা। এ সপ্তাহেও আলোর মুখ দেখছে নতুন সিনেমা।
১৯ ঘণ্টা আগে